নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইয়ম কিপুর যুদ্ধ-র সংক্ষিপ্ত ঘটনা

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২১


এটা ১৯৭৩সালে আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধ ,অক্টোবর যুদ্ধ, রমজান যুদ্ধ এবং ইয়ম কিপুর যুদ্ধ বলেও অনেকের কাছে পরিচিত । মিশর এবং সিরিয়ার নেতৃত্বাধীন জোট ও ইসরায়েলের মধ্যে ১৯৭৩ সালের ৬ই অক্টোবর থেকে ২৫শে অক্টোবরের মধ্যে সংঘটিত হয়।ইহুদিদের পবিত্র দিন ইয়ম কিপুরের সময় ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলে আরব জোটের অতর্কিত হামলার মাধ্যমে সেই যুদ্ধ শুরু হয়েছিল। সেসময় পবিত্র রমজান মাস ছিল। মিশরীয় এবং সিরিয়ান সেনারা যুদ্ধবিরতি রেখা ভেদ করে যথাক্রমে সিনাই উপদ্বীপ এবং গোলান মালভূমিতে ঢুকে পড়েন। সেই অঞ্চলগুলো ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধের সময় ইসরায়েল অধিকার করে নেয়। যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ে তাদের নিজ নিজ মিত্রদের তখন সহায়তা করেন। ফলে দুইটি পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি হয়েছিল।

মিশরের সফলভাবে সুয়েজ খাল অতিক্রম করার মাধ্যমে যুদ্ধের সূচনা হয়। যুদ্ধবিরতি রেখা অতিক্রম করার পর মিশরীয় সেনারা সিনাই উপদ্বীপের দিকে যাত্রা করে। তিন দিন পর ইসরায়েল এর অধিকাংশ সেনা নিয়োগ করে মিশরীয় অগ্রযাত্রা থামাতে সক্ষম হয়। সিরিয়ানরা গোলান মালভূমির উপর হামলা চালায়। প্রথমদিকে তারা ইসরায়েলি অধিকৃত অঞ্চলে সাফল্য লাভ করে।

তিন দিনের মধ্যে ইসরায়েলিরা সিরিয়ানদের যুদ্ধপূর্ব যুদ্ধবিরতি রেখার বাইরে পাঠাতে সক্ষম হয়। এরপর তারা সিরিয়ার অভ্যন্তরে চারদিনব্যপী পাল্টা আক্রমণ চালায়। এক সপ্তাহের মধ্যে ইসরায়েলি গোলন্দাজরা দামেস্কের উপকন্ঠে গোলাবর্ষণ শুরু করে। নিজ মিত্রের ক্ষতির কথা চিন্তা করে মিশরের রাষ্ট্রপতি আনোয়ার সাদাত ধারণা করতেন যে সিনাইয়ের ভেতরে দুইটি কৌশলগত পথ অধিকার আলোচনার সময় তার অবস্থান শক্ত করবে। তাই তিনি মিশরীয়দের পুনরায় আক্রমণের নির্দেশ দেন। কিন্তু এই আক্রমণ প্রতিহত করা হয়। এরপর ইসরায়েলিরা পাল্টা আক্রমণ করে এবং দক্ষিণ ও পশ্চিমদিকে কায়রোর দিকে ধীরে অগ্রসর হওয়া শুরু করে। সেসময় উভয় পক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

২৪শে অক্টোবর নাগাদ ইসরায়েল নিজেদের অবস্থান শক্ত করে নেন এবং মিশরের থার্ড আর্মি এবং সুয়েজের শহর ঘিরে ফেলতে সক্ষম হন। তখন যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে বেশ উত্তেজনা বেড়ে যায়। ২৫শে অক্টোবর যুদ্ধবিরতি হয় এবং যুদ্ধের সমাপ্তি হয়।সেই যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল ছিল। ১৯৬৭ সালের ছয় দিনের যুদ্ধে ভারসাম্যহীন অবস্থায় পরা মিশরীয়-সিরিয়ান-জর্ডানি মিত্রতা প্রাথমিক সাফল্যের ফলে খন্ডিত হয়। ইসরায়েল যুদ্ধক্ষেত্রে সফল হলেও এটি একচ্ছত্রভাবে আরব রাষ্ট্রগুলো সামরিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না তা প্রতীয়মান হয়। এসকল পরিবর্তন শান্তি প্রক্রিয়ার দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়। ১৯৭৮ সালে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তার ফলে মিশরকে সিনাই উপদ্বীপ ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং প্রথমবারের মত কোনো আরব রাষ্ট্র কর্তৃক ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। মিশর সোভিয়েত ইউনিয়ন বলয়ের প্রভাব ত্যাগ করে বেরিয়ে আসে।

তথ্যসূত্র: Perez, Cuba, Between Reform and Revolution, pp. 377–379

Gott, Cuba, A New History, p. 280.

Mahjoub Tobji (২০০৬)। Les officiers de Sa Majesté: Les dérives des généraux marocains 1956-2006। 107: Fayard।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:২৫

অনল চৌধুরী বলেছেন: এই যুদেবধ আরবদের চরম অপদার্থতা ও ইসরালাইলীদের উন্নত যুদ্ধকৌশলের পরিচয় পওয়া যায়।৫ টা আরব-ইসরাইল যুদ্ধের একটাতেও আরবরা জিততে পারেনি।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ঠিক বলেছেন ।

২| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ২:৪১

চাঁদগাজী বলেছেন:


১৯৪৮ সালে আরবেরা যুদ্ধ করে "ফিলিস্তিন" হারায়।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হুম...জটিল ঘটনা ।

৩| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: খুব ভালো লাগল যুদ্ধের বিস্তারিত জেনে ।

০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ০৯ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই যুদ্ধ নিয়া ইত্তেফাকে একটা সুন্দর আর্টিকেল দিয়াছিল ! উহা হইতে জানা যায় , যুদ্ধের এক পর্যায়ে যখন ইজরায়েল পরাজিত হইতে লাগে তখন প্রধানমন্ত্রী গোল্ডা মেয়ার আমেরিকার কাছে অস্ত্র, বিমান ও সৈন্য চাহিয়া পাঠান।আমেরিকা সরাসরি অংশগ্রহণের বিরোধিতা করে।গোল্ডা মেয়ার তখন হুমকি দেন পরাজিত হইলে ইজরায়েল পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করিবে।আমেরিকা ইহার দায় নিতে চাহে নাই।তাই পরাজয়ের মুখে আমেরিকান সৈন্য ইজরাইলি সৈন্যদের পোশাক পড়িয়া অস্ত্র , বিমান লইয়া অংশগ্রহণ করে।অন্যদিকে সোভিয়েত পিঠ টান দিয়া বিস্বাসঘাতকতা করে।যাহার ফলে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়া যায়।সোভিয়েতের বিস্বাসঘাতকতা দেখিয়া মিসর ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি করে এবং সোভিয়েত বলয় থেকে বাহির হইয়া আসে।
পশ্চিমা সাহায্য না হইলে ইজরায়েল প্রতিষ্ঠিত হইতোনা ইহা সত্যি , তবে ইজরায়েল রাষ্ট্র তৈরী না হইলে সব ইহুদি একত্রিত হইয়া শেষ জমানায় গোয়া মারা খাইবেও না সত্যি ! তাই ইজরায়েল রাষ্ট্র অনিবার্যই ছিল।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২

ইমরান আশফাক বলেছেন: ইসরাইল আধুনিক যুদ্ধ্ব কলাকৌশল ও প্রযুক্তি খুব ভালভাবে আয়ত্ব করেছে। তারা চব্বিশ ঘন্টাই যে কোন পরিস্তিথির জন্য প্রস্তুত থাকে। তাদের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক খুবই উচ্চমানের এবং দক্ষ। তারা সুযোগের সদব্যবহার করতে সিদ্ধহস্ত।

যেমন উক্ত যুদ্ধ্বে মিসরের বিমান বাহিনী তৈরী ছিলো ম্যাসিভ এটাক করে ইসরাইলকে গুড়িয়ে দিতে। আর মাত্র আধা ঘন্টা সময় পেলেই মিসরীয় জংগী বিমানগুলি ঘাটি থেকে রওনা দিবে বিপুল পরিমান গোলাবারুদ নিয়ে ইসরাইলের দিকে। কিন্তু আরবদের একটা অভ্যাস আছে সকাল ৯টার সময় কফি পানের বিরতি নেয়া যেটা এখনও তাদের অভ্যাস। ঠিক সাড়ে ৯টার সময় তারা বিমান গুলি নিয়ে উড়াল দিবে। এদিকে ইসরাইল তাদের শক্তিশালী গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের কারনে এইগুলি খুব ভালো করেই জানতো। আরবরা মনে করেছিলো তারা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরাইলকে ভড়কে দিবে কিন্তু ইসরাইল অনেক আগে থেকেই জানতো আরবদের এই যুদ্ধ্বের প্রস্তুতি সন্মন্ধে এবং সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুত হয়েই ছিলো।

ফলে ইসরাইল আরবদের ঐ কফি পানের বিরতিকে টার্গেট করে তাদের বিমানগুলি সুয়েজ বা সিনাইয়ের উপর দিয়ে না পাঠিয়ে ভূমধ্য সাগরের উপর দিয়ে মিসরের উত্তর দিক থেকে প্রবেশ করে (যেটা মিসরীয়রা কল্পনাই করতে পারে নাই) । মিসরীয়রা কিছু বুঝে উঠার আগেই তাদের অধিকাংশ জংগীবিমান, হেলিকপ্টার এবং ক্ষেপনাস্ত্রগুলি ধ্বংশ হয়ে যায় এবং যুদ্ধ্বের মোড় সম্পূর্ন ঘুরে যায় ইসরাইলের দিকে।

ঐ একই যুদ্ধ্বে সিনাই ও গোলান মালভূমিতে ইসরাইল কোন ট্যাকটিস বা কৌশল ব্যবহার করেছিল সেটা আরেকদিন জানাবো।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.