নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী এক বীরকন্যা জোন অব আর্ক

১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:২২


পরাধীন ফ্রান্সের মুক্তিদাত্রী বীরকন্যা এবং রূপকথাতুল্য এক নেত্রী জোন অফ আর্ক । ইংরেজদের সঙ্গে শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধ এর সময় তিনি ফ্রান্সের সৈন্যবাহিনীকে নেতৃত্ব দেন। তার স্মরণে ফ্রান্সে অনেক স্মৃতিসৌধ নির্মান করা হয়েছে।মিউজ নদীর তীরে দঁরেমি গ্রামের এক সাধারণ কৃষক পরিবারে ১৪১২ সালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ফ্রান্স তখন ইংরেজদের শাসনাধীন ছিল। ইংল্যান্ডের রাজা পঞ্চম হেনরির পুত্র ষষ্ঠ হেনরি ফ্রান্সের সিংহাসনে আরোহন করলে ফ্রান্সের রাজা সপ্তম চার্লস পালিয়ে যান।

জোন লেখাপড়া জানতেন না। মাত্র তের বছর বয়সে মাঠে ভেড়ার পাল চরাবার সময় তিনি দৈববাণী শুনতে পান যে তাকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার এবং ফ্রান্সের প্রকৃত রাজাকে ক্ষমতায় পূনর্বহাল করার জন্য প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। সেই দৈববানী তার জীবনকে আমূল পালটে দেয়।তার পর জোন অনেক চেষ্টা করে ফ্রান্সের পলাতক রাজা সপ্তম চার্লসের সঙ্গে দেখা করেন এবং দেশের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধারের জন্য তার কাছে সৈন্য প্রার্থনা করেন। রাজা প্রথমে অবজ্ঞা প্রদর্শন করলেও যাজক সম্প্রদায়ের পরামর্শে জোনকে সৈন্যসাহায্য দিতে সম্মত হন।জোন সাদা পোশাক পরিধান করে একটি সাদা ঘোড়ায় চড়ে পঞ্চক্রুশধারী তরবারি হাতে ৪০০০ সৈন্য নিয়ে ১৪২৯ সালের ২৮শে এপ্রিল অবরুদ্ধ নগরী অরলেয়াঁয় প্রবেশ করেন। প্রথম আক্রমণেই তারা জয়লাভ করেন এবং তারপর তাদের একের পর এক সাফল্য আসতে থাকে। কিছুদিনের মধ্যেই তারা ইংরেজ সৈন্যদের কবল থেকে তুরেলবুরুজ শহর উদ্ধার করেন। তারপর পাতের যুদ্ধেও ইংরেজরা তাদের কাছে পরাজিত হয়। জুন মাসে জোন তার সৈন্যবাহিনী নিয়ে শত্রুদের ব্যূহ ভেদ করে রীইঁ নগরী অধিকার করেন। এরপর ১৬ই জুলাই সপ্তম চার্লস ফ্রান্সের রাজা হিসেবে আবার সিংহাসনে অভিষিক্ত হন এবং এভাবে জোন ফ্রান্সকে স্বাধীনতার পথে এগিয়ে দেন। জোনের মাধ্যমে ফ্রান্স ইংল্যান্ডের মধ্যকার শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধের অবসান ঘটান।

ফ্রান্সের স্বাধীনতার পর ইংরেজরা জোনকে জব্দ করার জন্য বিভিন্ন ফন্দি আঁটতে থাকে। কঁপিঞ্যান শহরের বহির্ভাগে শত্রুসৈন্যদের ওপর আক্রমণকালে ফ্রান্সের রাজনৈতিক দল বার্গেন্ডি কর্মীদের বিশ্বাসঘাতকতার সুযোগ নিয়ে ইংরেজরা জোনকে আটক করতে সক্ষম হয়। তারপর এক ইংরেজ পাদ্রির অধীনে তার বিচারকাজ চলে। বিচারে তার কার্যকলাপকে প্রচলিত ধর্মমতের বিরোধী আখ্যা দিয়ে তাকে ডাইনি সাব্যস্ত করা হয়। আইনে এর শাস্তির বিধান ছিল জীবন্ত পুড়িয়ে মারা। আর সেই রায় অনুসারে জোনকেও ১৪৩১ খ্রিষ্টাব্দে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়। তার নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর ফরাসিরা চিরতরে ফ্রান্সে ইংরেজদের সকল অধিকার এবং চিহ্ন মুছে দেওয়ার প্রয়াস পায়। পৃথিবীর ইতিহাসে জোন অফ আর্ক এক প্রেরণার নাম।

সূত্রঃ ইন্টারনেট।
বিশেষ কৃতজ্ঞতা উইকি অনুবাঁধন ।




মন্তব্য ১২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ রাত ১:৪৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


সাধারণ ঘরের সাধারণ এক মেয়ের কাহিনী

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: জী, সাধারণ ঘরের সাধারণ এক মেয়ের কাহিনী । মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই ।

২| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:৪৯

জোয়ান অব আর্ক বলেছেন: জোন কি মহিলা নাকি? কী আপদ!

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কেমনে কমু ?

৩| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: এরা এভাবে এসে ধরণীকে নিজের জন্য উৎসর্গ করে যায়।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

৪| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

হানিফঢাকা বলেছেন: নামটা হবে জোয়ান অব আর্ক (Joan of Arc), জোন অব আর্ক না।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

৫| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১২:২১

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: জেনে ভালো লাগল ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ১৩ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৪:০১

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: মনে হল সুন্দর একটি গল্প পড়লাম । সেই ডাইনি যুগের গল্প বেশ ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৭ ভোর ৬:৪৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.