নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভাসমান বরফের উপর বৈজ্ঞানিক বসতিও স্থাপিত হয়

১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:৩৭


ইউরোপের প্রাচীন ইতিহাসে উত্তর মেরু অভিযানের নজির বিশেষ নেই। এই অঞ্চলের ভূগোল সম্পর্কে সঠিক ধারণাও সেযুগে কারো ছিল না। মাসিলিয়ার পাইথিয়াস ৩২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে উত্তরদিকে এসচ্যাট থাল নামে একটি স্থানে যাত্রার একটি বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছিলেন। এই অঞ্চলে সূর্য প্রতিদিন মাত্র তিন ঘণ্টার জন্য অস্ত যেত এবং জল এখানে এমন এক থকথকে পদার্থে পরিণত হত যার উপর দিয়ে হাঁটাও যেত না, আবার নৌকা চালানোও যেত না। সম্ভবত তিনি গ্রাওলার বা বার্গি বিটস নামে পরিচিত হালকা সামুদ্রিক বরফের কথা লিখেছেন। তার বিবরণীর থাল সম্ভবত আইসল্যান্ড। যদিও কোনো কোনো মতে তিনি নরওয়ের কথা লিখেছেন।প্রথম যুগের মানচিত্রকারেরা সঠিকভাবে জানতেন না যে, উত্তর মেরু সংলগ্ন অঞ্চলটি জলভাগ যেমন, মার্টিন ওয়াল্ডসিমুলারের ১৫০৭ সালের বিশ্বমানচিত্র না স্থলভাগ যেমন জোহানেস রুইসের ১৫০৭ সালের মানচিত্র গেরার্ডাস মেরক্যাটরের ১৫৯৫ সালের মানচিত্র। ক্যাথে চীন পৌঁছানোর একটি উত্তরমুখী রাস্তা আবিষ্কারের প্রত্যাশায় অত্যুৎসাহী একদল নাবিকের আগ্রহে শেষপর্যন্ত এই অঞ্চলটিকে জলভাগ আখ্যা দেওয়া হয়। ১৭২৩ সাল নাগাদ জোহান হোম্যান প্রমুখ মানচিত্রকারেরা তার মানচিত্রের উত্তর সীমায় একটি Oceanus Septentrionalis আঁকতে শুরু করেন।
সেই যুগে সুমেরু বৃত্তের ভিতরে অল্প কয়েকটি অভিযান হলেও তা কয়েকটি ছোটো দ্বীপেই সীমাবদ্ধ ছিল। নোভায়া জেমল্যা দ্বীপে একাদশ শতাব্দীতে এবং স্পিটসবার্গেন দ্বীপে ১৫৯৬ সালে অভিযান চলে। কিন্তু এই সব দ্বীপ বরফ-পরিবৃত থাকায় এগুলির উত্তরসীমা সে সময় জানা যায়নি। সমুদ্র-মানচিত্র নির্মাতারা কোনো কোনো কল্পনাপ্রবণ মানচিত্রকারের ধারণার ধার ধরতেন না। তারা মানচিত্রে এই অঞ্চলটিকে শূন্য রেখে দিতেন। কেবল জ্ঞাত উপকূলরেখাটির স্কেচ আঁকতেন।

বরফের সঞ্চরণশীল ব্যারিয়ারের ওপারে কী আছে সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য না থাকায় এই সম্পর্কে নানারকম গালগল্প ছড়িয়ে পড়ে। ইংল্যান্ড সহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে মুক্ত মেরু সাগর ধারণাটি জনপ্রিয়তা পায়। ব্রিটিশ অ্যাডমিরাল্টির দীর্ঘকালের সেকেন্ড সেক্রেটারি জন বারো এই সমুদ্রের সন্ধানে ১৮১৮ থেকে ১৮৪৫ সালের মধ্যে একাধিক মেরু অভিযান প্রেরণ করেছিলেন।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৮৫০-এর ও ১৮৬০-এর দশকে এলিশা কেন ও আইজ্যাক ইজরায়েল হায়েস নামে দুই অভিযাত্রী এই রহস্যময় বিরাট জলভাগ দেখেছেন বলে দাবি করেন। এই শতাব্দীর শেষভাগেও ম্যাথিউ ফনটেইন মুরে তার দ্য ফিজিক্যাল জিওগ্রাফি অফ দ্য সি (১৮৮৮) গ্রন্থে মুক্ত মেরু সাগরের এক বৃত্তান্ত অন্তর্ভুক্ত করেন। তবে সকল অভিযাত্রীই, যারা মেরু অঞ্চলের দিকে আরও বেশি অগ্রসর হয়েছিলেন তারা জানান যে মেরু অঞ্চলের বরফের টুপিটি বেশ মোটা এবং তা সারাবছরই বজায় থাকে।১৯৩৭ সাল নাগাদ সোভিয়েত ও রাশিয়ান মানবচালিত ভাসমান বরফ স্টেশনগুলি উত্তর মহাসাগরের উপর ব্যাপক নজরদারি শুরু করে। এই সব ভাসমান বরফের উপর বৈজ্ঞানিক বসতিও স্থাপিত হয়।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৫

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল জেনে ভাই ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৮:৫৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞ।

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কেমন আছেন ভাই।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এই মোটামুটি দিন চলে যাচ্ছে আপনিও আল্লাহুর মেহেরবানিতে নিশ্চয় ভালো আছেন।

৩| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৭

তালপাতারপাখাই বলেছেন: আপনার পোস্ট সবসময় ভালো লাগে ।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:০৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগল।

২২ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ৯:১৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.