নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

উইলিয়াম শেক্সপিয়রীয় ট্র্যাজেডি ( ২য় পর্ব ) ম্যাকবেথ

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬


উইলিয়াম শেক্সপিয়রীয় ট্র্যাজেডি এই পর্বে তথা ২য় পর্বে আমরা উইলিয়াম শেক্সপিয়রীয়দ্য ট্র্যাজেডি অফ ম্যাকবেথ নিয়ে আলোচনা করবো।মূল আলোচনায় যাওয়া যাক, দ্যা ট্র্যাজেডি অফ ম্যাকবেথ যা প্রচলিত ম্যাকবেথ নামে উইলিয়াম শেক্সপিয়ার রচিত একটি নাটক। এটিই ছিল শেকসপিয়রের সর্বাপেক্ষা বা অতি ক্ষুদ্রাকার ট্র্যাজেডি। নাটকটির মূল উপজীব্য একটি রাজহত্যা এবং তার ফলস্রুতিতে সংঘটিত ঘটনাবলি। যতদূর সম্ভব ১৬০৩ থেকে ১৬০৭ সালের মধ্যবর্তী কোনো এক সময়ে রচিত হয় এইম্যাকবেথ। সিমোন ফরম্যানের বয়ান থেকে জানা যায় যে ১৬১১ সালের এপ্রিল মাসে গ্লোব থিয়েটারে তিনি এইরূপ একটি নাটক মঞ্চায়িত হতে দেখেন সম্ভবত সেই নাটকটি ছিল শেক্সপিয়ারেরই নাটক। ১৬২৩ সালে প্রকাশিত প্রথম ফোলিওতে সম্ভবত বিশেষ কোনো নাট্যাভিনয়ের জন্য প্রস্তুত প্রম্পট পুস্তিকা থেকে সংকলিত হয় ম্যাকবেথ।শেক্সপিয়ারের এই নাটকের প্রধান উৎস ছিল হলিনশেড’স ক্রনিকল নামক ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের ইতিহাস সংক্রান্ত একটি গ্রন্থে বর্ণিত ম্যাকবেথ, ম্যাকডাফ ও ডানকানের উপাখ্যান। উক্ত গ্রন্থটি শেকসপিয়র এবং তার সমসাময়িকদের নিকট সুপরিচিত ছিল।নাট্যজগতের কেউ কেউ এই নাটকটিকে অভিশপ্ত মনে করতেন। তারা এই নাটকের নাম উচ্চারণ না করে এটিকে দ্য স্কটিশ প্লে নামেই অভিহিত করতেন।প্রায় শতাধিক বছর ধরে ম্যাকবেথ ও লেডি ম্যাকবেথের চরিত্রদুটি বিশিষ্ট অভিনেতা অভিনেত্রীদের আকৃষ্ট করে এসেছে। এই নাটক অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ধারাবাহিক, অপেরা, উপন্যাস, কমিক বই এমনকি ভিডিও গেমও।
যারা এখনো প্রথম পর্বটি পড়েন নাই তারা আগে ওই পর্বটি পড়ে আসুন ।

নাটকের প্রথম দৃশ্যে তিন ডাইনি এক ঊষর প্রান্তরে মিলিত হন। স্থির করেন যে তারা দেখা দেবেন ম্যাকবেথকে। পরবর্তী দৃশ্যে স্কটল্যান্ডের রাজা ডানকানের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় এক আহত ক্যাপ্টেনের। সেই ক্যাপ্টেন তাকে জানান যে তার দুই সেনানায়ক ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কো এইমাত্র বিদ্রোহী ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বাধীন নরওয়ে ও আয়ারল্যান্ডের যৌথবাহিনীকে পরাস্ত করেছিলেন। ক্যাপ্টেন রাজার আত্মীয় তথা গ্লেমিসের থেন ম্যাকবেথের শৌর্য ও বীর্যের বিশেষ প্রশংসাও করেন।দৃশ্য বদল হয়। আবহাওয়া ও নিজেদের বিজয় সম্পর্কে আলোচনা করতে করতে প্রবেশ করেন ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কো। এক ঊষর প্রান্তরের পথে তাদের সঙ্গে দেখা হয় তিন ডাইনির। ম্যাকবেথ ও ব্যাঙ্কোকে অভিবাদন জানিয়ে তারা তিনটি ভবিষ্যৎবাণী উচ্চারণ করেন। ব্যাঙ্কো তাদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলে তারা ম্যাকবেথকে অভিবাদন জানান। পরপর তিনটি অভিবাদনে ডাইনিরা প্রথমে ম্যাকবেথকে থেন অফ গ্লেমিস তারপর থেন অফ কডর ও শেষে বি কিং হিয়ারআফটা বলে উল্লেখ করেন। স্তম্ভিত ম্যাকবেথ চুপ করে যান। তবে ব্যাঙ্কো আবার তাদের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করেন। তখন ডাইনিরা তাকে জানান যে ব্যাঙ্কো নিজে রাজা না হলেও রাজবংশের জনক হবেন। এই ভবিষ্যৎবাণীগুলি শুনিয়ে দুজনকে অবাক করে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান ডাইনিরা। রস নামে অপর এক থেন রাজার দূত হয়ে প্রবেশ করেন। তিনি জানান যে ম্যাকবেথকে থেন অফ কডর উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। এইভাবে প্রথম ভবিষ্যৎবাণীটি ফলে যায় এবং ম্যাকবেথের মনে রাজা হওয়ার ইচ্ছা বলবতী হয়ে ওঠে।

ম্যাকবেথ একটি চিঠিতে তার স্ত্রীকে ডাইনিদের ভবিষ্যৎবাণীগুলি সম্পর্কে জানান। এরপর ডানকান ম্যাকবেথের ইনভার্নেসের দুর্গে রাত্রিবাসের সিদ্ধান্ত নিলে লেডি ম্যাকবেথ তার স্বামীকে সিংহাসনে বসানোর লক্ষ্যে রাজহত্যার পরিকল্পনা করেন। ম্যাকবেথ প্রথমে রাজহত্যায় রাজি ছিলেন না। কিন্তু লেডি ম্যাকবেথ নানা কৌশলে তাকে বুঝিয়ে রাজি করান। নিজের পরিকল্পনা সফল করতে তিনি স্বামীর পৌরুষ নিয়ে প্রশ্নও উত্থাপন করেন।আতিথ্যগ্রহণের রাত্রিতেই ম্যাকবেথ হত্যা করেন ডানকানকে। হত্যার ঘটনাটি মঞ্চে দৃশ্যায়িত করা হয়নি। হত্যার পর ম্যাকবেথ মানসিকভাবে ভেঙে পড়লে লেডি ম্যাকবেথকে আসরে নেমে অবস্থা সামাল দিতে হয়। ষড়যন্ত্রমাফিক, একটি রক্তমাখা ছোরা ডানকানের ঘুমন্ত পরিচারকদের কাছে রেখে তাদের উপর হত্যার দায় চাপিয়ে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে স্কটিশ রাজপুরুষ লেনক্স ও ফিফের অনুগত থেন ম্যাকডাফ এসে উপস্থিত হন।দ্বাররক্ষক দরজা খুলে দেয়। ম্যাকবেথ তাদের রাজার কক্ষে নিয়ে যায়। সেখানে ম্যাকডাফ রাজার মৃতদেহ আবিষ্কার করেন। ছদ্মক্রোধে ম্যাকবেথ তৎক্ষণাৎ রাজপরিচারকদের হত্যা করেন। তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগটুকুও দেন না। ম্যাকডাফ সেই মুহুর্তেই ম্যাকবেথকে খুনি বলে সন্দেহ করেন। কিন্তু মুখে কিছুই বলেন না। প্রাণভয়ে ডানকানের দুই পুত্র পলায়ন করেন। জ্যেষ্ঠ পুত্র ম্যালকম ইংল্যান্ডে ও কনিষ্ঠ পুত্র ডোনালবেইন আয়ারল্যান্ডে চলে যান। ডানকানের বৈধ উত্তরাধিকারগণের এহেন পলায়নে স্বভাবতই সন্দেহের আঙুল তাদের দিকেই উঠতে থাকে। এই সুযোগে রাজার নিকটাত্মীয় হিসেবে ম্যাকবেথ নিজেকে স্কটল্যান্ডের নতুন রাজা ঘোষণা করেন।

এই সাফল্য সত্ত্বেও স্বস্তি পান না ম্যাকবেথ। ব্যাঙ্কো-সংক্রান্ত ভবিষ্যৎবাণীটি তাড়া করে ফেরে তাকে। এক রাজকীয় ভোজসভায় আমন্ত্রণ জানাতে গিয়ে তিনি জানতে পারেন যে সেই রাতেই ব্যাঙ্কো ও তার পুত্র ফ্লিয়ান্স বাইরে যাচ্ছেন। এদের খুন করার জন্য দুজন গুপ্তঘাতক নিয়োগ করেন ম্যাকবেথ। হত্যার ঠিক পূর্বে অপর এক খুনি রহস্যজনকভাবে আবির্ভুত হয় ঘটনাস্থলে। ব্যাঙ্কো খুন হন। কিন্তু ফ্লিয়ান্স পালিয়ে যান। ভোজসভায় উপস্থিত হয় ব্যাঙ্কোর প্রেত। সে ম্যাকবেথের কাছে গিয়ে বসে। কেবল ম্যাকবেথই তাকে দেখতে পান। একটি খালি চেয়ার দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠছেন ম্যাকবেথ। মরিয়া হয়ে লেডি ম্যাকবেথ অভ্যাগতদের চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।বিধ্বস্ত ম্যাকবেথ আবার যান ডাইনিদের কাছে। তারা ভূত নামিয়ে আরও কিছু ভবিষ্যৎবাণী ও বিপদসংকেত উচ্চারণ করেন। ম্যাকবেথকে তারা ম্যাকডাফের থেকে সাবধান হতে বলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে এও জানান যে নারীর যোনিসম্ভূত কেউ ম্যাকবেথকে হত্যা করতে পারবে না এবং যতদিন না বিশাল বার্নামের বন উচ্চ ডানসিনান পর্বতে তার বিরুদ্ধে উপস্থিত হবে ততদিন তিনি অপরাজেয় থাকবেন। ম্যাকডাফ সেই সময় ইংল্যান্ডে ছিলেন। ম্যাকবেথ তার প্রাসাদে গুপ্তঘাতক পাঠিয়ে তার স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে হত্যা করেন।এদিকে লেডি ম্যাকবেথ তার ও তার স্বামীর কৃত অপরাধের জন্য অপরাধবোধে ভুগতে থাকেন। একটি বিখ্যাত দৃশ্যে দেখা যায় যে তিনি ঘুমের মধ্যে হাটছেন আর তার জানা ভয়ংকর সব কথা বলতে বলতে নিজের হাতের কাল্পনিক রক্তের দাগ মুছে ফেলার চেষ্টা করছেন।

ইংল্যান্ডে রস ম্যালকম এবং ম্যাকডাফকে লেডি ম্যাকডাফ ও তার পুত্রের হত্যাকাণ্ডের সংবাদ দেন। অন্যদিকে ম্যাকবেথকে ষড়যন্ত্রকারী মনে করে তার একাধিক থেন তাকে পরিত্যাগ করে চলে যান। ইংল্যান্ডের নর্দামব্রিয়ার আর্ল সিওয়ার্ড কে সঙ্গে নিয়ে ম্যালকম ডানসিনান দুর্গে ম্যাকবেথের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান শুরু করেন।বার্নামের বনে শিবির করার সময় সৈন্যদের নির্দেশ দেয়া হয় নিজেদের সংখ্যা গোপন রাখতে তারা যেন গাছের ডাল কেটে নিয়ে তার আড়ালে অগ্রসর হতে শুরু করে। এইভাবে ডাইনিদের আর একটি ভবিষ্যৎবাণী ফলে যায়। অন্যদিকে লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যুসংবাদ আসে। ম্যাকবেথ এই সময় একটি বিখ্যাত স্বগতোক্তি উচ্চারণ করলেন। লেডি ম্যাকবেথের মৃত্যুর কারণটি নাটকে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়নি। কোনো কোনো মতে তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। সবশেষে ম্যালকম তার সম্পর্কে বলেন, tis thought, by self and violent hands / took off her life।
যুদ্ধে ইয়াং সিওয়ার্ড নিহত হন। ম্যাকডাফ ম্যাকবেথের মুখোমুখি হন। ম্যাকবেথ ঔদ্ধত্য প্রকাশ করে বলেন যে নারীর যোনিসম্ভূত কেউ তাকে হত্যা করতে পারবে না। তখনই ম্যাকডাফ তাকে জানান যে তাকে মায়ের জরায়ু থেকে অসময়ে তুলে আনা হয়েছিল,অর্থাৎ, অস্ত্রোপচারের ফলে তার জন্ম। সেই কারণে তিনি অযোনিসম্ভূত। ম্যাকবেথ বুঝতে পারেন যে ডাইনিরা তাকে ভুল পথে চালনা করেছে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ম্যাকডাফ ম্যাকবেথের শিরোচ্ছেদ করেন অবশ্য এই দৃশ্যটি মঞ্চে অভিনীত হয়নি। এইভাবে সর্বশেষ ভবিষ্যৎবাণীটি ফলে যায়।তারপর ম্যালকম সিংহাসনে বসেন। ফ্লিয়ান্স রাজা হননি। কিন্তু ডাইনিরা ব্যাঙ্কোকে রাজবংশের জনক হবেন বলে যে ভবিষ্যৎবাণী করেছিলেন শেকসপিয়রের সময়কালে তাও ফলে যায়। কারণ ইংল্যান্ডের প্রথম জেমসকে অপর নাম স্কটল্যান্ডের ষষ্ঠ জেমস ব্যাঙ্কোর বংশধর বলেই মনে করা হয়।

যাই হোক তাহলে আজ এ পযন্তই ম্যাকবেথ এর আরো একটু অংশ বাকি আছে ওই টুকো সহ পরের পর্ব আসবে ।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

বিজন রয় বলেছেন: শেক্সপিয়ার দ্যা গ্রেটেস্ট!

আপনি কি ঐতিহাসিক?

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আমি ইতিহাস পড়তে ভালোবাসি।

২| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৩০

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: গুরু ভালো লাগল এই পর্বটিও । :)

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই ।

৩| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৫

বিজন রয় বলেছেন: খুব ভাল।

আশাকরি আরো আরো ইতিহাস আপনার লেখা থেকে জানতে পারবো।

শুভকামনা।

২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১১:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: দোআ করবেন আপপ্রাণ চেষ্ঠা থাকবে আপনাদের মন জাগিয়ে রাখার।

৪| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

জাহিদ অনিক বলেছেন: ম্যাকবেথের কি যেন একটা বিখ্যাত সংলাপ আছে? ঠিক মাথায় আসছে না B:-)

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আমারো মনে নাই ।

৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ দুপুর ২:২৭

টারজান০০০০৭ বলেছেন: দারুন ! সেক্সপিয়ার হালায় এক পিচ মাল আছিল !

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: :P বার এমন গুনীজনকে হালা বলতে নাই ।

৬| ২৮ শে আগস্ট, ২০১৭ রাত ৮:৪৪

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:



আপনার এই লেখাটি পড়তে দারুণ লেগেছে। পরের পর্বের অপেক্ষায়....

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মনে হচ্ছে কয়েকদিন সময় লাগবে ।

৭| ২৯ শে আগস্ট, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম মফিজ ভাই।

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:১২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.