নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গোয়া গাজাহ এবং ক্যাংকুয়াং সম্পর্কে কিছু কথা

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩৩


গোয়া গাজাহ
গোয়া গাজাহ, অথবা এলিফ্যান্ট গুহা হল ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপে উবুদ এর নিকট অবস্থিত গুহা যা নির্মাণ করা হয়েছিল ৯ম শতাব্দীতে। এটি উপাসনার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত হয়।এই স্থানটি ১৯৯৫ সালের ১৯ অক্টোবর ইউনেস্কো সাংস্কৃতিক বিভাগে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেন।

এই গুহার বাইরের অংশে বিভিন্ন ভয়ঙ্কর চেহারা বিশিষ্ট প্রাণী এবং রাক্ষসের মূর্তি বিদ্যমান যা ঠিক গুহার প্রবেশদ্বারে ঢুকতে অবস্থিত। কোন এক সময়ে এখানকার প্রাথমিক প্রাণীর মূর্তি ছিল হাতীর তাই একে অনেকে এলিফ্যান্ট গুহা নামেও ডেকে থাকেন। এই স্থানটির নাম ১৩৬৫ সালে লিখিত জাভানিজ কবিতা দেসাওয়ারানাতে পাওয়া যায়। এখানে বিদ্যমান বৃহৎ স্নানাগারটিতে নির্মানের পর থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত কোন খননকাজ পরিচালনা করা হয়নি।এটি অশুভ আত্মাকে তাড়ানোর উদ্দেশ্য প্রদর্শিত হয়।
ক্যাংকুয়াং
ক্যাংকুয়াং হল ইন্দোনেশিয় একটি ছোটখাটো অষ্টম শতাব্দীর শৈব মন্দির যা অনেকের কাছে ক্যান্ডি ক্যাংকুয়াং নামেও পরিচিত। এই মন্দিরটি ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম জাভায় কামপুঙ্গ গ্রামে অবস্থিত। যে কটি হিন্দু বৌদ্ধ সংস্কৃতির মন্দির পশ্চিম জাভা অঞ্চলে আজ পর্যন্ত আবিস্কৃত হয়েছে তার মধ্যে এই মন্দিরটিও আছে এবং এটি অন্যতম একটি মন্দির। অন্যান্য মন্দিরগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল বটুজায়া আর বোজোঙ্গমেঞ্জে মন্দির। এই ক্যাংকুয়াং মন্দিরের দক্ষিণে ৩ মিটার দুরত্বে আরিফ মহম্মদের ১৭শ শতাব্দীর প্রাচীন দরগা অবস্থিত।
লেলেস শহর থেকে গারুট শহরে যাবার পথে বানডুঙ্গের ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ ও পূর্বদিকে অবস্থিত। উক্ত মন্দিরটি লেলেস থেকে গারুট যাবার প্রধান সড়কের থেকে বেশ কিছু কিলোমিটার পূর্বদিকে অবস্থিত। মন্দিরটি ১৬.৫ হেক্টর জায়গা জুড়ে একটি দ্বীপে অবস্থিত। দ্বীপটির নাম কামপুঙ্গ গ্রাম। এই জায়গাটির চতুর্দিক সিটু ক্যাংকুয়াং নামক ছোট একটি হ্রদ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই মন্দিরটির কাছে একটি প্রাচীন সানদানি গ্রাম অবস্থিত। এই মন্দির, দরগা, প্রাচীন গ্রাম আর চারপাশের অঞ্চল এবং হ্রদ সংরক্ষিত হচ্ছে সাংস্কৃতিক ও পুরাতাত্বিক অভয়ারন্য হিসাবে। প্রাথমিকভাবে পুরো দ্বীপটি হ্রদ-পরিবেষ্টিত ছিল। বর্তমানে কেবল দ্বীপটির উত্তরভাগে হ্রদ আছে, দক্ষিণ অংশ পুনর্নির্মিত করে সেখানে ধানচাষ করা হয়। সানদানি ভাষাতে পানদান গাছের স্থানীয় নাম থেকে মন্দিরের ক্যাংকুয়াং নামটির উৎপত্তি। এই পানদান গাছ ওই দ্বীপের চারপাশে দেখতে পাওয়া যায়।

মন্দিরটি অ্যানডেসাইট পাথরে নির্মিত। মন্দিরটির ভূতল ৪.৫x৪.৫ মিটার এবং ৮.৫ মিটার উচ্চ। মন্দিরটি পূর্বমুখী, পূর্বদিকে ঢোকার মুখে কয়েকটি সিঁড়ি আছে এবং তারপর মুখ্য ঘর বা গর্ভগৃহ। গর্ভগৃহের মধ্যে একটি পাথরের ছোট ৬২ সে.মি. উঁচু শিবের মূর্তি আছে। মূর্তিটি ভগ্নদশা প্রাপ্ত, হাতগুলি ভাঙা এবং মুখটি ক্ষয়প্রাপ্ত। মূর্তিটির পদপ্রান্তে একটি নন্দীর মস্তক ক্ষোদিত আছে। মন্দিরটি বেশ সাধারণ ও কম অলঙ্কার ভুষিত। মন্দিরের ছাতটি তিনটি লিঙ্গাকার গম্বুজাকৃতি। মন্দিরটির স্থাপত্য প্রাচীন মধ্য জাভাস্থিত হিন্দু মন্দিরের মত। পাথর ক্ষয়ের হিসাব থেকে এবং মন্দিরটির সহজ সরল আকৃতি থেকে বিশেষজ্ঞদের অভিমত হল মন্দিরটি অষ্টম শতকের আদি যুগের, ডায়েং মন্দিরগুলির সমসাময়িক এবং প্রাম্বানানের মতো দক্ষিণ-মধ্য জাভার মন্দিরগুলির থেকেও প্রাচীন।
সূত্র

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৮:২৫

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: মানুষ চলৈ যায় তার নির্মিত স্থাপনা রেয়ে যায় কালের স্বাক্ষী হয়ে!!!!

কী অদ্ভুত সত্য। হায় আমরা কত অল্প সময়কেই না ধারন করতে পারি!!!

ঐতিহাসিক তথ্য সমৃদ্ধ পোষ্টে ভাললাগা
++++

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মানুষ ভুলে গেলেও কালের স্বাক্ষী বহন করে আবহমান যুগের পর যুগ ইতিহাস।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার যতসব ছবি।






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ শুভকামনা।

৩| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৮

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: যতসব চমৎকার ছবি দিয়ে পোস্টটি গোছানো ভালো লাগল।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ শুভকামনা।

৪| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৬

সাদা মনের মানুষ বলেছেন: এসব দেখলে রক্তে নাচন শুরু হয়, খালি ঘর ছেড়ে পালাতে মন চায়...........ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম মফিজ ভাই।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: খালি একা একাই নাইচেন না মাঝে মধ্যে সঙ্গে ভাবিজিরেও নিয়ে নাইচেন তাতে মন আরো ফুরফুরো হবে। :)

৫| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: সুন্দর তথ্য জানা হল ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

পাকাচুল বলেছেন: চমৎকার ছবি। ধন্যবাদ

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ পাকাচুল ভাই।

৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগল ।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.