নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যযুগের রোম স্রামাজ্যের হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের ইতিহাস

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০


হাজিয়া সোফিয়া হল মধ্যযুগের রোম স্রামাজ্যের সাবেক রাজধানী ইস্তাম্বুলের এবং বর্তমান “তুরস্ক” প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি আদিতে বা আগে গির্জা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।এটি স্থাপন করা হয়েছিল মূলত অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে। এই স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে স্থাপনের পর থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এর এটিকে ক্যাথলি গির্জায় রুপান্তর করা হয় ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে, যা ১২৬১ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। তারপর এটি পুনরায় অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তর করা হয়, যার মেয়াদকাল ১২৬১-১৪৫৩ সাল পর্যন্ত।
গম্বুজের অন্তর্ভাগের পুনঃরুদ্ধার কাজ
ইম্পিরিয়াল গ্যলারীর মোজাইক
মার্বেল পাথরের দরজা
কিন্তু এর পর মানে পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তুরস্ক মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রুপান্তর করা হয়। যার নতুন নামকরণ হয় "ইম্পিরিয়াল মসজিদ" আর তা প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। বর্তমানে তুরস্কের প্রধান মসজিদ সুলতান আহমেদ মসজিদ, যা ব্লু মসজিদ নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। যা স্থাপিত হয় ১৬১৬ সালে। কিন্তু এই মসজিদ স্থাপনের পূর্বে ইম্পিরিয়াল মসজিদই ছিল তুরস্কের প্রধান মসজিদ।

ইম্পিরিয়াল তোরণ
ইস্পাতের কোটেড পাথরের একটি স্তম্ভ
এরপর এই স্থাপনাটি ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি মুস্তফা কামাল আতার্তুক যাদুঘরে রূপান্তর করেন। যা বর্তমানেও বিদ্যমান।মসজিদে রূপান্তরের পর এর দেয়ালে মার্বেল পাথরে অঙ্কিত যীশু খ্রিস্টের অনেক গুলো ছবি সিমেন্ট দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। ছবিগুলো প্রায় ৫০০ বছরের জন্য সিমেন্টের নিমে চাপা পড়ে। কিন্তু এই স্থাপনাটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের পর ছবিগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়। ফলে যীশুখ্রিস্টের ছবিগুলো অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে অঙ্কিত "আল্লাহু ও মুহাম্মদ (সঃ)" এর আরবিতে অঙ্কিত মার্বেল পাথরও এর পাশাপাশি সংরক্ষিত হয়। তাই এই নামগুলোর পাথর অনেক বেশি উজ্জ্বল থাকে।

অভ্যন্তরের প্যানোরামা
মসজিদের মেহরাব
হাজিয়া সোফিয়ার ভেতর, প্রধান গম্বুজে ইসলামিক ঐতিহাসিক জিনিস সংরক্ষিত
তারপর থেকে এই স্থাপনায় নতুন নিয়ম প্রবর্তন হয়। প্রধান নিয়মটি হল,এই স্থাপনার মূল অংশ বা হলরুম ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটি মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্ম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই স্থাপনার উভয় ধর্মের জন্য আলাদা আলাদা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। অর্থাৎ এই কমপ্লেক্ষটিতে একটি মসজিদ এবং একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়।
ইশ্বরের মেষ খচিত বাসিলিকা পাথরের ধ্বংসাবশেষ
১৯ শতকের চিহ্ন

তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট ।

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


গীর্জাকে মসজিদে রূপান্তর করা কি ঠিক হয়েছে? যায়গার অভাব ছিলো, নাকি টাকার অভাব ছিলো অটোম্যানদের?

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মনে হয় আপনার মত বুদ্ধিজীবি-র,অভাব ছিল ।অটোম্যানরা পাথুরি যুগের মানুষ কিনা আবার ।:)

২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই । শুভসকাল ।

৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার ইতিহাস ।

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মামুন ইসলাম ।

৪| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৭

লেখা পাগলা বলেছেন: ভালো লাগল ইতিহাস জেনে ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই লেখা পাগলা।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি বুঝতে পারছিনা আপনারা কেন চাঁদগাজী -র পোস্টে কমেন্ট করে তাকে বিশাল হস্তি বানাচ্ছেন! চাঁদগাজী -র পোস্টে কমেন্ট বন্ধ করুন এমনিতেই মহাশয় থেমে যাবেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই দেশ প্রেমিক বাঙালী ।কি কমু ভাই তারে লইয়া বিশাল চিন্তায় আছি।

৬| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫২

মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: গাজী আংকেল, খিস্টানরা আল আকসাকে ক্রুসেডের সময় ঘোড়ার আস্তাবল বানিয়েছিল কেন? নিরপেক্ষভাবে প্রশ্ন করেন।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: গাজী আংকেল, =p~ =p~

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:০৩

রুহুল আমিন খান বলেছেন: ফাতিহ মাহমুদের মেবি প্রতিজ্ঞা ছিলো যে আয়া সোফিয়া চার্চ কে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদ বানাবে ইস্তাম্বুল জয় করতে পারলে

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রুহুল আমিন খান।

৮| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:০১

মলাসইলমুইনা বলেছেন: বসফরাস প্রণালীর পাশে ইস্তাম্বুল সত্যিকার ভাবেই একটা অপূর্ব সুন্দর শহর | এই শহরের সৌন্দর্য আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এই অসাধারণ মসজিদগুলো | খুব ভালো লাগলো হাজিয়া সোফিয়া মসজিদের ভেতরের ফটোগুলো দেখে আর বর্ণনা পড়ে | ধন্যবাদ নেবেন |

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মলাসইলমুইনা ।

৯| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৫৪

অনল চৌধুরী বলেছেন: ওসমানীয় সুলতানরা ছিল অসভ্য বর্বর।এদের অঅচরণে ধর্মের লেশমাত্র ছিল না।প্রত্যেকেরই হেরেম ছিল অঅর সবাই মদখোর ছিল।টিভি ধারাবাগিক সুলতান সোলেমান তাদের অসভ্যতার জ্বলন্ত প্রমাণ।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বলেন কি ভাই ।

১০| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫

রুহুল আমিন খান বলেছেন: অনল চৌধুরির ইতিহাস জ্ঞান এর দৌড় টিভিতে প্রচারিত টিভি সিরিজ পর্যন্ত।
ইউরোপে সায়েন্স ফিলোসফির উত্থান ঘটেছিলো আগে অটোমান টেরিটোরিতে ১৪৫৩ এর পরে তা ইউরোপীয় রেনেসার জন্ম দেয়। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের শিক্ষা ও জ্ঞান এর ভালো মেলবন্ধন ঘটিয়ে ছিলো এই অটোমেনরা।
অসভ্য বর্বরতা দিয়ে সাতশত বছর একটা সম্রাজ্য রুল করা যায় না

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:৩৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ঠিক আছে যার যেমন বিশ্বাস ভাই ;)

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫১

আবু আফিয়া বলেছেন: তর্থবহুল একটি বিষয় উপস্থাপন করার জন্য লেখককে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবু আফিয়া।

১২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১০:৪১

আবু তালেব শেখ বলেছেন: অজানা ছিল না। তবে আরো বেশি করে জানা হল। ধন্যবাদ

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবু তালেব শেখ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.