নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শুধু মাত্র ইহুদি বিদ্বেষের কারনে প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৭


একজন ইহুদি পৃথিবীকে ঘিরে ধরেছে - ইহুদি-বিদ্বেষী কার্টুন ফ্রান্স, ১৮৯৮ সাল

ইহুদি জাতি গোষ্ঠী বা ধর্মের প্রতি যেকোনো ধরনের বৈরিতা বা কুসংস্কারকে ইহুদি বিদ্বেষ বোঝানো হয়। এধরনের বিদ্বেষের মধ্যে ব্যক্তিগত ঘৃণা থেকে শুরু করে এমনকি সংঘবদ্ধ জাতি নিধনও পড়ে। ইংরেজিতে একে বলা হয় এন্টি-সেমিটিজম Anti-Semitism ,যার অর্থ দাঁড়ায় সেমিটীয় সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ। সেমিটীয় একটি বৃহৎ ভাষাভাষী গোষ্ঠী যার মধ্যে হিব্রুভাষী ছাড়াও আরবিভাষীরাও অন্তভুক্ত। তথাপি অ্যান্টি-সেমিটিজম ইহুদি-বিদ্বেষ বোঝাতেই ব্যবহৃত হয়। ইহুদি-বিদ্বেষের ইতিহাস প্রাচীন হলেও এটি চরম আকার ধারণ করে হিটলার শাসিত জার্মানিতে।উনিশ শতকের পূর্বে ইহুদি বিদ্বেষ ছিল মূলত ধর্ম ভিত্তিক। খ্রিস্টান ও মুসলমানরা ইহুদি ধর্মের ব্যাপারে তাদের নিজস্ব ধর্মীয় ব্যাখ্যা ও দৃষ্টিকোণের আলোকে এই বিদ্বেষভাব পোষণ করতো। তৎকালীন খ্রিস্টান-শাসিত ইউরোপে বৃহত্তম সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসেবে ইহুদিরা বিভিন্নসময় ধর্মীয় বিদ্বেষ, নির্যাতন ও সহিংসতার শিকার হত। ধর্মীয় নির্যাতনের মধ্যে ছিল - ধর্ম-পালনে বাধা, জোরপূর্বক ধর্মান্তরকরণ, দেশ থেকে বিতাড়ন, ইত্যাদি।

শিল্প-বিপ্লবের পর ইহুদিদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নতি হয়। এসময় ইউরোপে জাতীয়তাবাদের বিকাশ ঘটলে ইহুদিদের প্রতি জাতিগত বিদ্বেষ দেখা দেয়। জাতিতত্ত্ব সংক্রান্ত অপ-বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা এই বিদ্বেষে ইন্ধন যোগায়। ইহুদিরা অনার্য ও আর্যদের চেয়ে হীন, এমন মতবাদ দেয়া হয় এবং জাতিগতভাবে তাদের বিরুদ্ধে অর্থলিপ্সা, শ্রমবিমুখতা, ধূর্ততা, গোত্রপ্রীতি ও দেশপ্রেমহীনতার অভিযোগ দেয়া হয়।তৎকালীন ইউরোপীয় বুদ্ধিজীবী সমাজ ধর্মভিত্তিক বিদ্বেষকে অসংস্কৃত আচরণ মনে করলেও এই বংশানুগতিক অপতত্ত্বকে 'বৈজ্ঞানিক' তত্ত্ব মনে করে এধরণের জাতিগত সংস্কারের যথার্থতা স্বীকার করে নেয়।নাৎসিদের ইহুদি-নিধনযজ্ঞএই জাতিগত বিদ্বেষ ভয়াবহ চরম আকার ধারণ করে বিংশ শতকের তৃতীয় দশকে, হিটলারের নাৎসি দল-শাসিত জার্মানিতে। ইহুদি-বিরোধী এই জাতিতত্ত্বের উপর ভিত্তি করে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের দায়ও ইহুদিদের উপর চাপিয়ে দিয়ে তারা বিভিন্ন অত্যাচার এবং নিধনমূলক আইন-কানুন প্রণয়ন করে। ১৯৩৯ সালে হিটলার বিভিন্ন দেশ আক্রমণের মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত ঘটালে ইউরোপে ইহুদি নির্যাতন ও নিধন চরমরূপ নেয়। তারা আইন করে ইহুদিদের নিজস্ব নিবাস অধিগ্রহণ করে বন্দী-নিবাসে প্রেরণ করে এবং পর্যায়ক্রমে হত্যা করে। প্রায় ৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয় ।সে ঘটনা হলোকস্ট (Holocaust) নামে পরিচিত। নব্য ইহুদি-বিদ্বেষীরা এই নিধনযজ্ঞের ঘটনাকেও সন্দেহ বা অস্বীকার করে।


মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:৫৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



বাংগালীরা একেবারেই অন্ধভাবে ইহুদী বিদ্বেষী; এটা হয়তো সওয়াবের কাজ!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: খারাপ বলেন নাই ভাই হতে পারে।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:১৩

মাকার মাহিতা বলেছেন: বিস্তারিত এখানে...

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়েছি ।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২১

সনেট কবি বলেছেন:





ঠ্যঠা মফিজের‘শুধু মাত্র ইহুদি বিদ্বেষের কারনে প্রায়
৬০ লক্ষ ইহুদিকে হত্যা করা হয়েছিল’পোষ্টে মন্তব্য-

জাতিগত বিদ্বেষ বিশ্ব শান্তি ক্ষেত্রে
মারাত্মক বিপর্যয় ঘটাবে সর্বদা
তার থেকে মানুষের রক্ষা পেতে হলে
এর থেকে সকলের দূরে থাকা ভাল।
বিদ্বেষ পোষন হবে অপরাধী ক্ষেত্রে
সে হোক যে ধর্মমত প্রতিরোধ তাকে
অবশ্য করতে হবে মানব শান্তির
নিমিত্তে সমগ্র বিশ্বে সম্মিলিত ভাবে।

অপরাধ নেই যার তাকে শাস্তি দেয়া
কোন কালে নয় কভু সোয়াবের কাজ
এ ক্ষেত্রে গাজীর মত প্রণিধান যোগ্য।
সকল মানব দেহে কষ্ট সুখ আছে
সকলের অধীকার নিশ্চিতকরনে
একসাথে সকলের কাজকরা ভাল।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: শুভেচ্ছা নিবেন প্রিয় সনেটকার।

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৫

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আমি তো ইহুদী নিধন নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম আর এক পোস্টেই ধপাস! সবাই আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে আমি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছি।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কি জানি ভাই আমি লেখে আবার কোন ভুল করি নাইতো।

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৩১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: গল্প আর মুভিতেপিড়েছি/দেখেছি কি ভংঙ্করভাবে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। কোণ গণহত্যাই কাম্য নয়। আর এ্যানা ফ্রাঙ্কের ডাইয়ীতো এক ইতিহাস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এটাই আসল কথা ভাই কোণ গণহত্যাই কাম্য নয়।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন, " আমি তো ইহুদী নিধন নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম আর এক পোস্টেই ধপাস! সবাই আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে আমি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছি। "

-আপনার পোস্টের কথা মনে আছে, অনেক পরিপক্ক ভাবনার ফল ছিল তাতে, নিজেকে পরিচিত করতে সমর্থ হয়েছিলেন।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার অবস্থা এখন কোন পর্যায় চাঁদগাজী ভাই।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৫:৪৮

হাফিজ হুসাইন বলেছেন: ইহুদী রা বেচে থেকে দেখিয়ে দিচ্ছে বিশ্বকে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয় আর মুসলমান দের ভূমি দখল করে নিজেদের রাজত্ব কায়েম করতে হয়।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৯

জ্বলন্ত আলো বলেছেন: নিধনের শিকার হওয়া ‍ইহুদিরা ‍এখন ফিলিস্তিনিদের নিধনে ব্যস্ত।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৪০

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ক্রসেডের ইতিহাস জানেন কে কে?
সবাই ক্রসেডকে ধর্মযুদ্ধ আক্ষায়িত করলেও আমি বলব এটা ধর্মযুদ্ধ ছিলনা। এটা ছিল ইউরোপীয় সম্মিলিত শক্তির মুসলিমদের ভূমি দখল এবং মুসলমান কর্তৃক পুনরুদ্ধারের ঘটনাবলী যা ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পূর্বে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ । কারন ইউরোপীয়রা এটাকে ক্রসেড নামে প্রচারিত করলেও প্রকৃত পক্ষে তাদের কার্যকলাপে ধর্মের লেশ মাত্র ছিলনা।
ছিল শুধু আগ্রাসী এক বর্বরতার ইতিহাস।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ । :(

১০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৬

লেখা পাগলা বলেছেন: :(

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১১:০৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ । :(

১১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৭

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @প্রশ্নবোধক (?) ক্রসেড নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করলে খবর আছে!






ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৫১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি কোন ক্যাচালে নাই ।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: @প্রশ্নবোধক (?) ক্রসেড নিয়ে বেশি ঘাটাঘাটি করলে খবর আছে

Every Action There Is Equal And Opposite Reaction.

০৮ ই অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হুম ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.