নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার অনেক পুরানো কিছু মসজিদ ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিত এবং ইতিহাস (পর্ব ২)

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৩


ঢাকার অনেক পুরানো কিছু মসজিদ ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিত এবং ইতিহাস (পর্ব ১)
খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদ
খান মহম্মদ মির্ধার মসজিদ রাজধানী ঢাকার পুরনো ঢাকায় আতশখানায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। এটি ১৭০৬ সালে নায়েবে নাযিম ফররুখশিয়ারের শাসনামলে নির্মিত করা হয়েছিল। ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের মতে ঢাকার প্রধান কাজী ইবাদুল্লাহের আদেশে খান মহম্মদ মির্ধা এই মসজিদটির নির্মাতা ছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ এই মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করছেন।

খান মোহাম্মদ মৃধা মসজিদের ২০১৭ সালে তোলা একটি ছবি।

চকবাজার শাহী মসজিদ
চকবাজার শাহী মসজিদটি রাজধানী ঢাকা শহরের পুরানো ঢাকা চকবাজার এলাকায় অবস্থিত মোগল আমলের একটি মসজিদ। মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান এই মসজিদটিকে ১৬৭৬ সালে নির্মাণ করেছিলেন, মসজিদে প্রাপ্ত শিলালিপি থেকেই এই ধারণা করা হয়। এই মসজিদটিই সম্ভবত বাংলায় উঁচু প্লাটফর্মের উপর নির্মিত প্রাচীনতম ইমারত স্থাপনা। প্লাটফর্মটির নিচে ভল্ট ঢাকা কতগুলো বর্গাকৃতি এবং আয়তাকৃতি কক্ষ আছে, সেগুলোর মাথার উপরে খিলান ছাদ রয়েছে, যার উপরের অংশ অবশ্য সমান্তরাল। ধারণা করা হয় যে এই মসজিদের প্লাটফর্মের নিচের কক্ষগুলোতে মাদ্রাসার ছাত্র এবং শিক্ষকদের আবাসন ছিল। এইধরণের ভবনগুলোকে বলা হয় আবসিক মাদ্রাসা মসজিদ।মসজিদটির আদি গড়নে ছিল তিনটি গম্বুজ। অবশ্য বিভিন্ন সময়ে সংস্কারকার্য ও নির্মাণ সম্পাদনের ফলে বর্তমানে এর আদি রূপটি আর দেখা যায়না। মসজিদের ভিতরকার নকশা তিনটি বে তে বিভক্ত ছিল যার মাঝখানের বে ছিল বর্গাকার কিন্তু দুপাশের বে ছিল আয়তাকার। তিনটি বে র উপরেই গম্বুজ দিয়ে আচ্ছাদিত ছিল। মাঝখানের গম্বুজটি ছিল তুলনামূলক বড় আকৃতির।

তারা মসজিদ
তারা মসজিদ হল পুরানো ঢাকার আরমানিটোলায় আবুল খয়রাত সড়কে অবস্থিত একটি পুরানো মসজিদ। আঠারো শতকের প্রথম দিকে সাদা মার্বেলের গম্বুজের ওপর নীলরঙা তারায় খচিত এই মসজিদটি নির্মান করা হয় । মসজিদের গায়ে এর নির্মাণ তারিখ খোদাই করা ছিল না।মির্জা গোলাম পীর এ মসজিদটি নির্মাণ করেন। ‌মির্জা সাহেবের মসজিদহিসেবে তখন এই মসজিদটি বেশ পরিচিতি পায়। ১৮৬০ সালে মারা যান মির্জা গোলাম পীর। পরে ১৯২৬ সালে ঢাকার ততকালীন স্থানীয় ব্যবসায়ী আলী জান বেপারী মসজিদটির সংস্কার করেন। সে সময় জাপানের রঙিন চিনি টিকরি পদার্থ ব্যবহৃত হয় মসজিদটির মোজাইক কারুকাজে।

মোঘল স্থাপত্য শৈলীর প্রভাব রয়েছে এই মসজিদটিতে। ঢাকার কশাইটুলির মসজিদেও এই ধরনের বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য দিল্লি, আগ্রা এবং লাহোরের সতের শতকে নির্মিত স্থাপত্যকর্মের ছাপ পড়ে মোঘল স্থাপত্য শৈলীতে। মির্জা গোলামের সময় মসজিদটি ছিল তিন গম্বুজঅলা আর দৈর্ঘ্যে প্রায় ৩৩ ফুট বা ১০.০৬ মিটার আর প্রস্থে প্রায় ১২ ফুট বা ৪.০৪ মিটার। আলী জানের সংস্কারের সময় ১৯২৬ সালে মসজিদের পূর্ব দিকে একটি বারান্দা বাড়ানো হয়। ১৯৮৭ সালে তিন গম্বুজ থেকে পাঁচ গম্বুজ করা হয়। পুরনো একটি মেহরাবভেঙে দুটো গম্বুজ আর তিনটি নতুন মেহরাব বানানো হয়।মসজিদের বতর্মান দৈর্ঘ্য প্রায় ৭০ ফুট বা ২১.৩৪ মিটার আর প্রস্থ প্রায় ২৬ ফুট বা ৭.৯৮ মিটার।

তথ্যসূত্রঃমুনতাসীর মামুন, "ঢাকা: স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী", ৩য় সংস্করণ, ৪র্থ মূদ্রণ, জানুয়ারি ২০০৪, অনন্যা প্রকাশনালয়, ঢাকা, পৃষ্ঠা ৬৭,
এবং চক মসজিদ (ঢাকা)", বাংলাপিডিয়া, সিডি ভার্ষণ 2.0.0।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: চমৎকার যতসব ছবি। ১ম হওয়ার জন্য চা দেন।





ভালো থাকুন নিরন্তর। ধন্যবাদ।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন:
গরম চা খেয়ে ঠাণ্ডার সকালে মন চাঙ্গা করে ব্লগীং করুন ।শুভ প্রভাত ।

২| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০

আখেনাটেন বলেছেন: তারা মসজিদ দেখা হয় নি। এগুলো কি এখনও আগের মতো জৌলুস নিয়ে আছে নাকি আধাধ্বংসপ্রাপ্ত।

২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: প্রায় কিছু কিছু আছে আধাধ্বংস প্রাপ্ত ।আর কত ৩০০ থেকে প্রায় ৪৫০ পযন্তও বয়স আছে। তবুও তখনকার দিনের বলে
এখনও টিকে আছে। আর এখন যদি এই আধুনিক যুগের ইঞ্জিয়ার সাহেবরা একটা বিল্ডি তৈরি করেন তা কত বছর টিকবে
তা বোঝা মুশকিল হয়ে যাবে ।

৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

আবু তালেব শেখ বলেছেন: অনেক পুরনো স্হানসমূহ। ভাল লাগলো

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আবু তালেব।

৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৯

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: ভালো পোস্ট!:)


পোস্টের জন্য থ্যাংকু!:)

৫| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: ভালো বলেছেন।

এগুলোর যথাযথ সংরক্ষণ জরূরী। যাতে জাতির অতীত কিছু হলেও পরবর্তী জেনারেশনগুলো জানতে পারি।

৬| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:১৬

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:

চমৎকার স্থাপত্যকলা...

৭| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

আনুতা বলেছেন: খুব সুন্দর !!

৮| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ বিকাল ৪:২১

নিয়াজ সুমন বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ধন্যবাদ ।

৯| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন বিচারক বলেছেন: সুন্দর সব মসজিদের ইতিহাস।

১০| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১১:৩৮

কালীদাস বলেছেন: সুন্দর বর্ণনা। খালি চকবাজারের শাহী মসজিদটা চিনি।
কার্জন হলের যে মসজিদটাওটাও অনেক পুরান। নিচতলা সিলড, নামাজ পড়া হয় দোতলায় আর বেশি হলে মসজিদের পেছনে মাটিতে। ওই মসজিদটা কি আসবে আপনার সিরিজে?

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম :)

১১| ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:১০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: পরের পর্বের অপেক্ষায় :)

১২| ২৪ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১২:২৬

নাইম রাজ বলেছেন: ভালো লাগল ছবিগুলো সাথে লেখাটাও।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.