নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঢাকার অনেক পুরানো কিছু মসজিদ ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিত এবং ইতিহাস (পর্ব ৩)

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৪



ঢাকার অনেক পুরানো কিছু মসজিদ ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিত এবং ইতিহাস (পর্ব ১)
ঢাকার অনেক পুরানো কিছু মসজিদ ও তাদের সংক্ষিপ্ত পরিচিত এবং ইতিহাস (পর্ব ২)
মুসা খাঁর মসজিদের ইতিহাস
মুসা খানের মসজিদ বা মুসা খাঁর মসজিদ ঢাকায় অবস্থিত একটি মধ্যযুগীয় মসজিদ। মুসা খাঁর মসজিদটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ হল ছাত্রাবাসের নিকটে এবং কার্জন হলের পিছনে অবস্থিত একটি মসজিদ। ধারণা করা হয় এই মসজিদটি ঈসা খাঁর পুত্র মুসা খান আনুমানিক ১৬৭৯ সালে। নির্মাণ করেন। ঢাকা শহরে বিনত বিবির মসজিদের পাশাপাশি এটি প্রাক ও মুঘল স্থাপত্যের একটি নিদর্শন।

একটি উঁচু প্লাটফর্মের উপর নির্মিত মসজিদটির নিচতলায় কয়েকটি কক্ষ আছে। সেগুলোতে আগে মসজিদ সংশ্লিষ্টরা বাস করলেও এর সবগুলোই এখন পরিত্যক্ত। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদটির একটি গম্বুজে বড় ফাটলও দেখা দিয়েছে। ওই ফাটল দিয়ে বর্ষায় বৃষ্টির পানি মসজিদের ভিতরে পড়েছে বলেও জানা যায় । মসজিদের পশ্চিম এবং পূর্ব প্রাচীর প্রায় ৬ ফুট পুরু। উত্তর এবং দক্ষিণ প্রাচীর ৪ ফুট পুরু। চার দেওয়াল, ছাদ এবং গম্বুজ সবকিছুতেই দীর্ঘদিন ধরে শেওলা জমে কালচে হয়ে গেছে। মসজিদের দুই মূল স্তম্ভে বড় ধরনের ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। ইতিহাসবিদ আহমদ হাসান দানীর ঢাকা অ্যা রেকর্ড অব ইটস চেঞ্জিং ফরচুনস গ্রন্থে উল্লেখিত বর্ণনামতে মসজিদটি মুসা খাঁর নামে হলেও স্থাপত্যশৈলী অনুযায়ী এটি শায়েস্তা খাঁর আমলে বা তারপরে নির্মিত হয়েছিল।

বিনত বিবির মসজিদ
বিনত বিবির মসজিদ এটিও ঢাকার পুরানো ঢাকায় অবস্থিত একটি মধ্যযুগীয় মসজিদ। নারিন্দা পুলের উত্তর দিকে অবস্থিত এই মসজিদটির গায়ে উৎকীর্ণ শিলালিপি অনুসারে ৮৬১ হিজরি অর্থাত ১৪৫৭ সালে সুলতান নাসিরুদ্দিন মাহমুদ শাহের শাসনামলে মারহামাতের কন্যা মুসাম্মাত বখত বিনত বিবি মসজিদটি নির্মাণ করিয়ে ছিলেন। নারিন্দার যে প্রাচীন পুলের পাশে মসজিদটি অবস্থিত তার নাম হায়াত বেপারির পুল। মসজিদটি চৌকোনা, এবং এতে একটি গম্বুজ আছে। এই মসজিদটি ঢাকার সবচেয়ে পুরাতন মুসলিম স্থাপনার নিদর্শন হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।

বায়তুল মুকাররম মসজিদ
বায়তুল মুকাররম মসজিদ এটি বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ।মসজিদটি ঢাকায় অবস্থিত। এর স্থাপত্যশৈলী অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। পাকিস্তানের বিশিষ্ট শিল্পপতি লতিফ বাওয়ানি এবং তার ভাতিজা ইয়াহিয়া বাওয়ানির উদ্যোগে এই মসজিদ নির্মাণের পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছিল।আব্দুল লতিফ ইব্রাহিম বাওয়ানি প্রথম ঢাকাতে বিপুল ধারণক্ষমতাসহ একটি গ্র্যান্ড মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করেন। ১৯৫৯ সালে বায়তুল মুকাররম মসজিদ সোসাইটি গঠনের মাধ্যমে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পুরান ঢাকা এবং নতুন ঢাকার মিলনস্থলে মসজিদটির জন্য জায়গা অধিগ্রহণ করা হয়। স্থানটি নগরীর প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র থেকেও ছিল নিকটবর্তী। বিশিষ্ট স্থপতি টি আব্দুল হুসেন থারিয়ানিকে মসজিদ কমপ্লেক্সটির নকশার জন্য নিযুক্ত করা হয়। পুরো কমপ্লেক্স নকশার মধ্যে দোকান, অফিস, লাইব্রেরি এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬০ সালের ২৭শে জানুয়ারি এই মসজিদের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। এই মসজিদে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারে। মসজিদের প্রধান কক্ষটি তিন দিকে বারান্দা দিয়ে ঘেরাও। মিহরাবটি অর্ধ বৃত্তাকারের পরিবর্তে আয়তাকার। আধুনিক স্থাপত্যে কম অলংকরণই একটি বৈশিষ্ট্য যা এই মসজিদে লক্ষনীয়। এর অবয়ব অনেকটা পবিত্র কাবা শরিফের মতো হওয়ায় মুসলমানদের হৃদয়ে এই মসজিদটি আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।
হাজী শাহাবাজের মাজার ও মসজিদ
হাজী শাহাবাজের মাজার এবং মসজিদ রাজধানী ঢাকার রমনা এলাকায় অবস্থিত একটি প্রাচীন মসজিদ। মোগল শাসনামলে শাহজাদা আযমের সময়কালে ১৬৭৯ সালে এই মসজিদটি নির্মান করা হয়। মসজিদটি হাইকোর্টের পিছনে এবং তিন নেতার মাজারের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত। এর চত্ত্বরে হাজী শাহবাজের সমাধি অবস্থিত। দৈর্ঘ্যে মসজিদটি প্রায় ৬৮ ফুট এবং প্রস্থে প্রায় ২৬ ফুট। মসজিদটিতে তিনটি গম্বুজ আছে। ঐতিহাসিক মুনতাসীর মামুনের মতানুসারে হাজী শাহবাজ ছিলেন একজন অভিজাত ধনী ব্যবসায়ী তিনি কাশ্মীর হতে সুবা বাংলায় এসে টঙ্গী এলাকায় বসতি স্থাপন করেছিলেন।১৬৭৯সালে তিনি জীবিত থাকাকালেই এই মসজিদটি নির্মাণ করেছিলেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: দেখেতো মনে হচ্ছে না এই প্রাচীন মসজিদগুলোর যত্ন নেওয়া হয়? মুসা খাঁর মসজিদের ভেতরটাওতো মনে হলো জীর্ণ ! বিনত বিবির মসজিদটাও বাইরে থেকে দেখে মনে হলো খুবই ভঙ্গুর অবস্থায় যাচ্ছে | কবে যে পরেই যায় ভেঙে | এই প্রাচীন স্থাপত্যগুলো যদি একটু সুন্দর করে দেখাশোনা করা যেত ! আপনার লেখাটা পরে পুরোনো কিছু মসজিদ সম্পর্কে জানলাম |ভালো লাগলো লেখাটা |

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহকারে অনেক ধন্যবাদ ।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ৯:৫০

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: পুরাকীর্তি সংরক্ষনে বিশাল অধিদফতর আছৈ জানি! প্রাচীন মসজিদকি পুরাকীর্তির আোতায় পড়ে না???

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহকারে অনেক ধন্যবাদ ভ্রাতা।

৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ১:০৪

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: ভালো লাগলো লেখাটা |

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ হাসু ভাই।

৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ রাত ২:৪১

কালীদাস বলেছেন: মুসা খাঁর মসজিদটার জন্য থ্যাংকস :) কার্জন হলের আশেপাশে থাকলে ঐখানেই নামাজ পড়া হয় সবসময়।
ভালই সংকলন করছেন, ধন্যবাদ :)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনাকেও কৃতজ্ঞতা সহকারে অনেক ধন্যবাদ কালী দা :)

৫| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ১:১৬

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: বিনত বিবির মসজিদটাতো বেশ হট টপিক( চাকরির পরীক্ষায় বার বার আহে আরকি)

মুসা খাঁর মসজিদটার দর্শনো মনে হয় পাইছিলাম!:)

বাইতুল মোকারমের পাশ দিয়া প্রায়ই যাই!:)

তবে নামাজটা মহল্লার মসজিদেই পড়ি!:)

পোস্টের জন্য থ্যাংকু!:)

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৭ দুপুর ২:৫০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: কৃতজ্ঞতা সহকারে অনেক ধন্যবাদ বিলি ভ্রাতা। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.