নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সিরাজ সিকদার পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের একজন প্রতিষ্ঠাতাতা

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৯


সিরাজ সিকদার যিনি ছিলেন বাংলাদেশের একজন কমিউনিস্ট বিপ্লবী নেতা । ১৯৬৮ সালের ৮ই জানুয়ারি তিনি সমমনা কয়েকজনকে নিয়ে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসন থেকে পূর্ববাংলাকে মুক্ত করে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্ন করা ও সমাজতন্ত্র এবং সাম্যবাদ অভিমুখে যাত্রা করবার লক্ষ্যে বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠা করা। সিরাজ সিকদার গ্রেফতার হন ১৯৭৫ সালের ১ই জানুয়ারি এবং পরদিন ২রা জানুয়ারি গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৯২ সালের ৪ই জুন এই বিষয়ে আদালতে মামলা করা হয়।১৯৬৮ সালের ৮ই জানুয়ারি সিরাজ সিকদার প্রতিষ্ঠিত পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের মাধ্যমে উপস্থিত করেন পূর্ব বাংলার শ্রমিক আন্দোলনের খসড়া থিসিস। সেই থিসিসে তিনি পূর্ব বাংলাকে পশ্চিম পাকিস্তানের উপনিবেশ বলে অভিহিত করেন। প্রধান দ্বন্দ্ব নির্ধারণ করেন বর্তমান সামাজিক বিকাশের প্রক্রিয়ায় পূর্ব বাংলার জনগণের সাথে পাকিস্তানি উপনিবেশবাদীদের জাতীয় দ্বন্দ্ব। থিসিসে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লবের আহ্বান জানানো হয়। থিসিসে আরো বলা হয় মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ বর্তমান বিশ্ব প্রক্রিয়ার কেন্দ্র। ঘটনাবলি প্রমাণ করেছে যে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ এবং সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ দুনিয়ার জনগণের প্রধান শত্রু। এ দ্বন্দ্ব বর্তমান এবং এটিই প্রধান দ্বন্দ্ব।


পূর্ব পাকিস্তান কমিউনিস্ট পার্টি (মস্কোপন্থী)কে সংশোধনবাদী পার্টি বলে অভিহিত করে মন্তব্য করা হয় সেই পার্টি মার্কসবাদ লেনিনবাদের সকল মূলতত্ত্বকে সংশোধন করে প্রকৃতপক্ষে শোষক শ্রেণি অর্থাৎ উপনিবেশবাদী, সামন্তবাদী, পুঁজিবাদী ও সাম্রাজ্যবাদী এবং সোভিয়েত সামাজিক সাম্রাজ্যবাদীদের দালাল হয়ে পূর্ব বাংলার শ্রমিক কৃষকদের বিপথে চালিত করছে। পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের মূল প্রত্যয় ছিল জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্তানি ঔপনিশিক শাসনের অবসান ঘটাতে হবে। সেই লক্ষ্যে সিরাজ সিকদারের নেতৃত্বে একটি বিপ্লবী পরিষদ গঠিত হয়। তারপর ১৯৬৮ সালের শেষের দিকে তিনি ঢাকা শহরে মাও সেতুং গবেষণাকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। আইয়ুব সরকার সেটি পরবর্তীকালে বন্ধ করে দেন। ১৯৭০ সালে সিরাজ সিকদারের বিপ্লবী পরিষদ বিভিন্ন জেলায় পাকিস্তানী প্রশাসন ও শ্রেণি শত্রুর বিরুদ্ধে গেরিলা অপারেশন চালায়। সে বছরের ৮ই জানুয়ারি তারা ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ জেলা এবং ময়মনসিংহে ওড়ান স্বাধীন পূর্ব বাংলার পতাকা। ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ সেই বিপ্লবী পরিষদ শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগের উদ্দেশে একটি খোলা চিঠি লেখে যা লিফলেট আকারে সারাদেশে প্রচার করা হয়। তার চার নাম্বার দফাটি ছিল পূর্ব বাংলার দেশ প্রেমিক রাজনৈতিক পার্টি এবং ব্যক্তিদের প্রতিনিধি সমন্বয়ে জাতীয় মুক্তি পরিষদ বা জাতীয় মুক্তি ফ্রন্ট গঠন করা।বরিশালের বানারীপাড়া অঞ্চলে অবস্থান নেয় শ্রমিক আন্দোলন ৩০শে এপ্রিল গঠন করে জাতীয় মুক্তিবাহিনী যা দখলমুক্ত করে পেয়ারা বাগানের খানিকটা। সেই মুক্তিবাহিনী পরিচালনা করতে সিরাজ সিকদারকে প্রধান করে সর্বোচ্চ সামরিক পরিচালনামণ্ডলী গঠন করা হয়। বরিশালের পেয়ারা বাগান স্বাধীনতাসংগ্রাম চলার সময় প্রথম ঘাঁটি এবং মুক্তাঞ্চল। এ বিষয়ে সর্বহারা পার্টির তৎকালীন বৃহত্তর বরিশাল অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সম্পাদক রইসউদ্দিন আরিফ, কালের কণ্ঠকে বলেন, বরিশালের পেয়ারা বাগান বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে প্রথম ঘাঁটি এবং মুক্তাঞ্চল। সে অঞ্চলে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক বড় অপারেশন চালাতে হয়েছিল। আবার সর্বহারা পার্টি পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখত। সর্বহারা পার্টি সে অঞ্চলে অজস্র সফল হামলা চালিয়েছেন পাকিস্তান বাহিনীর ওপর।তাছাড়াও ১৯৭০ সালের মে এবং অক্টোবর মাসে পূর্ব বাংলা শ্রমিক আন্দোলনের গেরিলারা ঢাকাস্থ পাকিস্তান কাউন্সিল, বিএনআর ভবন, এবং মার্কিন তথ্য কেন্দ্রে যে বোমা হামলা পরিচালনা করেছিল, সেটি ছিলো পাকিস্তানি উপনিবেশবাদ এবং মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম সশস্ত্র হামলা।বরিশাল অঞ্চলে অসংখ্য সফল হামলা চালিয়ে সর্বহারা পার্টি পাকিস্তানি বাহিনীকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে। তবে স্বাধীনতার যত ইতিহাস লেখা হয়েছে সেখানে বরিশালে সর্বহারা পার্টির অবদানকে খুব কৌশলে ঊহ্য রেখেছেন রাজনৈতিক মদদপুষ্ট ইতিহাসবিদরা।

কী অবস্থায় সিরাজ সিকদার পুলিশের হাতে শেষপর্যন্ত আটক হন এবং ঠিক কখন কোথায় কীভাবে তাকে নির্বিচার হত্যা করা হয় সে সম্পর্কে অস্পষ্টতা রয়েছে। অ্যান্থনি মাসকারেনহাস বলেছেন সিরাজ সিকদার ১৯৭৪ সালে ডিসেম্বরের শেষ দিকে চট্টগ্রামের কাছাকাছি এক এলাকা বা কারো মতে টেকনাফ থেকে পুলিশ কর্তৃক গ্রেফতার হয়েছিলেন। আবার অনেকের মতে ১৯৭৫ সালের ১ই জানুয়ারি চট্টগ্রামের হালিশহরে সরকারী গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন তাকে গ্রেপ্তার করেন। আবার অন্য তথ্যমতে তিনি চট্টগ্রামের নিউমার্কেট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন। গ্রেফতারকারী জানতেন না যে তিনি সিরাজ সিকদার। সেই দিনই তাকে বিমানে ঢাকায় আনা হয়। পরদিন শেরেবাংলা নগর থেকে সাভারে রক্ষীবাহিনীর ক্যাম্পে যাওয়ার পথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাকে হত্যা করে।। আবার জাকারিয়া চৌধুরীর বলেন সিরাজ সিকদারকে হাতকড়া লাগিয়ে চোখবাঁধা অবস্থায় ঢাকাস্থ রমনা রেসকোর্সের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নিয়ে আসা হয়। তারপর ২রা জানুয়ারি ১৯৭৫ গভীর রাতে এক নির্জন রাস্তায় নিয়ে গিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

১৯৯২ সালে সিরাজ সিকদারের মৃত্যুর দীর্ঘ ১৭ বছর পর ১৯৯২ সালের ৪ই জনু সিরাজ সিকদার গবেষণা কেন্দ্রের চেয়ারম্যান শেখ মহিউদ্দিন আহমদ এবং মহাসচিব নাজমুল ইসলাম সাইদ ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিমের সিএমএম আদালতে মামলা দায়ের করেন।
যতদূর জানা যায় এখনো সেই মামলার কোন নিষ্পত্তি হয় নি।

তথ্যসূত্রঃ
http://en.banglapedia.org/index.php?title=Sikder,_Siraj
এবং বাংলা পিডিয়া।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি অনেক কিছুই চেষ্টা করেছেন; যথাসম্ভব, জেনেটিক্যালী জল্লাদ ছিলেন; শত শত দরিদ্র কৃষককে হত্যা করেছে এই মগজহীনের দল, তারা নাকি জোতদার ছিলো, যাদের বিধবা স্ত্রী ও বাচ্ছারা ভিক্ষা পর্যন্ত করেছে। বরিশাল, খুলনার অশিক্ষিত কৃষকেরা নাকি কার শ্রেণী শত্রু ছিল; লোকটা ইডিয়ট ছিলো।

১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৪৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তাই নাকি =p~

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৭

নতুন বিচারক বলেছেন: ভালো লিখেছেন লেখক তবে চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে সহমত।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:২৪

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: সিরাজ শিকদার ইডিয়ট ছিল, তার হত্যাকারীরা সাধু!!
শিরোনামে প্রতিষ্ঠাতাতা লিখা হয়েছে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ লিটন ভাই।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: প্রতিষ্ঠাতা ঠিক করে দেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ।

৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৪

জগতারন বলেছেন:
সিরাজ সিকদার
বড় মাপের একজন সন্ত্রাসী।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তাই বুঝি।

৬| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯

টারজান০০০০৭ বলেছেন: উনি মহান বিপ্লবী ছিলেন ! আর রক্ত ছাড়া কি বিপ্লব হয় ? লেলিন, স্তালিন , মেও, কানু সান্যাল, চারু মজুমদার, কাস্ত্রো, চে গুয়েভরা সবাই রক্তাক্ত বিপ্লব করিয়া মহানের খাতায় নাম লিখিয়াছেন ! উনি ছিলেন উনাদেরই সাক্ষাৎ অবতার !

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:০৬

প্রজ্জলিত মেশকাত বলেছেন: সুন্দর লেখা। যা লিখেছেন তার সাথে দ্বিমত পোষণ করার কিছু নেই। তবে গাজীকাকুর সাথেও শতভাগ সহমত। অজস্র নিরীহ কৃষককে শ্রেনীশত্রু আক্ষ্যা দিয়ে হত্যা করেছে এই মগজহীনটি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তবে গাজীকাকুর সাথেও শতভাগ সহমত। অজস্র নিরীহ কৃষককে শ্রেনীশত্রু আক্ষ্যা দিয়ে হত্যা করেছে এই মগজহীনটি।
আমিও তাই বলি। ধন্যবাদ ভাই।

৮| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:২৭

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: সিরাজ শিকদার স্মৃতি সংসদের খবর জানেন??

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ২:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাই আগে জানি নাই । এখন জানতে ইচ্ছা জাগছে । জানার লিং বা অন্য কোন তথ্য থাকলে জানান।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.