নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালার ইতিহাস

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১২


শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন সংগ্রহশালা হল বাংলাদেশের ময়মনসিংহ সদরে অবস্থিত একটা চিত্রকললা সংগ্রহশালা।এখানে বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্মসমূহ সংরক্ষিত রাখা আছে। শহরের উত্তর প্রান্তে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে সংগ্রহশালাটি অবস্থিত।
ময়মনসিংহ শহরের উত্তর পাশ দিয়ে প্রবহমান পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে একটি দোতলা দালান আশ্রয় করে ১৯৭৫ সালে এই সংগ্রহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ই এপ্রিল তারিখে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এই সংগ্রহশালার উদ্বোধন করেন। সে সময় দেশব্যাপী জয়নুল আবেদিনের বিভিন্ন শিল্পকর্ম সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিলো। আর তাই প্রথম দিকেই শিল্পীর নিজের এলাকা তথা ময়মনসিংহে এই সংগহশালাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। উদ্বোধনের পর ৭ই জুলাই তারিখে সংগ্রহশালার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৬ সালে সংগ্রহশালাটি নতুন করে সাজানো হয়। নীচতলায় ব্যবস্থাপনা কক্ষসমূহ এবং দোতলায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছবির গ্যালারী স্থাপন করা হয়। মূল ভবনের পেছনভাগে ব্যবস্থাপকদের বাসস্থানের সঙ্গে সঙ্গে ৩টি কুটির স্থাপন করা হয়েছে যা শিল্পরসিকদের সাময়িক আবাসনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

একটা দোতলা ভবনবিশিষ্ট যে জমিতে সংগ্রহশালাটি অবস্থিত তার মোট আয়তন হচ্ছে ৩.৬৯ একর।পুরো চত্বরটি গাছগাছালি পরিবেষ্টিত। যে ভবনটিতে সংগ্রহশালা অবস্থিত ইংরেজ আমলে তা ছিল জনৈক ইংরেজ বার্ডেন সাহেবের বাড়ি। তার কাছ থেকে বড়লাটের কাউন্সিল সদস্য জনৈক নলিনীরঞ্জন সরকার বাড়িটি কিনে নেন।নলিনীরঞ্জন ১৯৪৭-এ দেশবিভাগের পর ভারতে চলে যান। তারপর সরকার বাড়িটি অধিগ্রহণ করে। ১৯৪৭ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এটি ছিল ঊর্ধতন সরকারি কর্মকর্তাদের সরকারি বাসভবন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরও কয়েক বছর এটি একইভাবে পড়ে থাকে। ১৯৭৫ সালে সরকারী সিদ্ধান্তক্রমে এটিকে সংগ্রহশালায় রূপান্তরিত করা হয়। জয়নুল আবেদিনের মনেও একটি সংগ্রহশালার ধারণা অনেক আগে থেকে বিদ্যমান ছিল। ১৯৫০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অনেক দুর্লভ ছবির সংগ্রহের কাজে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেদিক দিয়ে বলতে গেলে এই সংগ্রহশালাটির প্রতিষ্ঠা ছিল শিল্পাচার্যের স্বপ্নেরই একটা বাস্তবায়ন।এই সংগ্রহশালায় প্রথমে ৭০ টি চিত্রকর্ম স্থান পেয়েছিল যার বেশিরভাগই ছিল তৈলচিত্র । সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে আছে বিভিন্ন দেশ ভ্রমনকালে শিল্পাচার্যের অঙ্কিত ছবি, গুণটানা, নদী পারাপারের অপেক্ষায় পিতা-পুত্র এবং দুর্ভিক্ষ। এখান ১৭ টি অতি আকর্ষণীয় ছবি ১৯৮২ সালে চুরি হয়ে যায়। তার মধ্যে ১০ টি ছবি ১৯৯৪ সালে আবার উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তাই এখানে মোট ৬৩ টি চিত্রকর্ম রয়েছে। তাছাড়াও রয়েছে শিল্পাচার্যের ব্যবহৃত জিনিস এবং তার কিছু স্থিরচিত্র। স্থিরচিত্রগুলো ভবনের দোতলার বারান্দায় শোভা পায়।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:১৭

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: খুব ভাল লাগলো ভাইয়া

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তারেক মাহমু৩২৮।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৫১

মাআইপা বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট ।
আরো কিছু ছবি দিলে ভাল লাগতো।
ধন্যবাদ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই মাআইপা ।আমার কাছে আর নাই।

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:১২

আবু তালেব শেখ বলেছেন: যেতে হয় তাহলে একদিন

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হু সময় পেলে একদিন ঘুরে আসু্ন।

৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ২:২৮

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন: পরিচিতি পুস্ট। ভালো লাগলো।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ভাই সৈয়দ ইসলাম পুস্টি আপনার কাছে ভালো লেগেছে এতেই আমার পুস্টের স্বার্থক। ।

৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:১৩

সুমন কর বলেছেন: উইকিপিডিয়া'তে আছে তো !!

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হু আছেতো ।আগে জানতাম না। ধন্যবাদ ভাই সুমন কর।

৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১১:৪৪

সোহানী বলেছেন: জানলাম ও সুযোগ পেলে যাবো..........

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ বোন সোহানী।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.