নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশ ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৪৫


হার্ডিঞ্জ ব্রিজ বাংলাদেশের পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি রেলসেতু।এটি পাকশী ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দীর্ঘ রেলসেতু হিসেবেই বেশি পরিচিত। পাবনা জেলার পাকশি রেলস্টেশনের দক্ষিণে পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি অবস্থিত। এই সেতুর নির্মান হয়েছিল ১৯০৯ থেকে শুরু করে ১৯১৫সালে শেষ হয়। তৎকালীন ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের নাম অনুসারে এই সেতুর নামকরণ করা হয়। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দৈর্ঘ্য ১,৭৯৮.৩২ মিটার বা ৫৮৯৪ফুট বা ১.৮ কিমি।এর উপর দুটি ব্রড-গেজ রেললাইন রয়েছে।হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ঈশ্বরদী উপজেলার একটি ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা। ঈশ্বরদী উপজেলা সদর হতে প্রায় ৮ কিমি দক্ষিণে পাকশী ইউনিয়নে পদ্মা নদীর উপর এই সেতুটি অবস্থিত।

১৮৮৯ সালে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে পদ্মা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে ১৯০৮ সালে সেতু নির্মাণের মঞ্জুরী লাভের পর বৃটিশ প্রকৌশলী স্যার রবার্ট গেইলস সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
উদ্বোধনিয় দিন
১৯০৯ সালে সেতু নির্মাণের সমীক্ষা শুরু হয়। ১৯১০ হতে ১১ সাল পদ্মার দুই তীরে সেতু রক্ষার বাঁধ নির্মাণ হয়। ১৯১২ সালে সেতুটির গাইড ব্যাংক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি সেতুর গার্ডার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গার্ডার নির্মাণের জন্য কূপ খনন করা হয়। ২৪ হাজার শ্রমিক দীর্ঘ ৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ সাল সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। তাঁর নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রীজ। সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১ শত ৬৪ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৮ শত ফুট। ব্রিজটিতে ১৫টি স্প্যান আছে।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেতুটিতে বোমা ফেলা হলে ১২ নম্বর স্প্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেগুলো পরে মেরামত করা হয়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ঈশ্বরদী ভেড়ামারা সীমানায় পদ্মানদীর উপর অবস্থিত। সেতুটি দিয়ে শুধু ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন। ২০১৫ সালে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের শতবর্ষ পূর্ণ হয়।জানা যায় এই সেতু তৈরি করতে প্রায় ২৪ হাজার শ্রমিক শ্রম দিয়েছেন।


তথ্যসূত্রঃ


মন্তব্য ২৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


২৪ হাজার শ্রমিক কাজ করে আমাদের জন্য ব্রীজ রেখে গেছেন! তাঁদের জন্য সন্মান রলো।

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ চাঁদগাজী ভাই।তখনকার সময় ২৪ হাজার শ্রমিক কাজ করে আমাদের জন্য এই ব্রীজটা রেখে গেছেন।
অথচ আমরা আমাদের আগামী প্রজ্মের জন্য কি রেখে যাচ্ছি ? হিংসা আর হামলা পরিকল্পনা।

২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৭:৫৪

সৈয়দ ইসলাম বলেছেন:
ভাল শেয়ার....

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:০৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই সৈয়দ ইসলাম।

৩| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩২

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: এতো বছর হলো এখনো ব্রিজটি সম্পূর্ণ ভালো আছে কিন্তু এখন এর কয়েকগুন বেশি ব্যয়ে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করার পরও স্থাপনা বেশি দিন টিকেনা কারণ শুধু চুরি আর চুরি। :(

০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৪| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

খাঁজা বাবা বলেছেন: আমদের পদ্মা সেতু কতদিন টিকবে?
বৃটিশদের রেখে যাওয়া বহু স্থাপনা শত বছর পরেও টিকে আছে
আর আমাদের নির্মিত স্থাপনা গুলি ১০ বছর যেতে না যেতে ই ফাটল।
প্রযুক্তি কি পিছিয়ে যাচ্ছে?
নাকি আমাদের উদ্দেশ্য ই এমন যে ২০ বছর পরে আবার করবে।
এতে কি সাশ্রয় হচ্ছে?

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: আপনার শেষের কথাগুলো আমি সমর্থন করি।
নিয়তগুণে বরকত।

৫| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ৯:৩২

রাজীব নুর বলেছেন: হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পানি একেবারে কমে গেছে।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: যে নদীতে একবার ব্রিজ ওঠে সে নদীর ভারসমূহ এমনেই নষ্ট হয়ে যায়।

৬| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:০৬

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ব্রিজটি ১০০ বছর পার করে ফেললো? আশাকরি আগামী ১০০ বছরেও ব্রিজটির কিছুই হবে না।

০৮ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই তারেক মাহমুদ । পুরান চাউলে ভাতে বাড়ে।

৭| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:১৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব ছোটবেলায় বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানসমূহ পড়তে গিয়ে হার্ডিঞ্জ ব্রীজের নাম প্রথম শুনেছিলাম। ট্রেনে করে এটা প্রথম পাড়ি দেই তারও অনেক পরে, ১৯৭৮ সালে। সেই বিখ্যাত হার্ডিঞ্জ ব্রীজের কিছুটা ইতিহাস ছোট্ট করে এখানে তুলে ধরলেন, এজন্য ধন্যবাদ।
কিন্তু দুর্ভাগ্য, ব্রীজের নীচ দিয়ে প্রবাহিত এককালের প্রমত্তা পদ্মাকে আজ পানিশূন্যই বলা চলে। ব্রীজের নীচ দিয়ে এখন "পার হয়ে যায় গরু, পার হয় গাড়ী"!

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন। অনেক ধন্যবাদ ভাই খায়রুল আহসান।ব্রিজ ও কালবার্ট এবং সেতু নির্মাণে নদীর আসল
ভারসম্য নষ্ট হয়ে যায়।

৮| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:২০

শামছুল ইসলাম বলেছেন: হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নিয়ে অনেক কিছু জানা হলো । ধন্যবাদ ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই শামছুল ইসলাম।

৯| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১০:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: শৈশবে গিয়াছি ! পায়ে হাটিয়া পার হইয়াছি। নিচে তাকাইলে হাটু কাঁপিতে আরম্ভ করিত ! বর্ষাকালেও প্রমত্ত পদ্মার রূপ দেখিয়াছি ! নিকট অতীতে গরুর গাড়ি পার হইতেও দেখিয়াছি !
ছোট্ট একটা দেশে রেল যোগাযোগ উন্নত না করিয়া সড়ক যোগাযোগের পিছনে বিস্তর টাকা বিনিয়োগ বুদ্ধিমত্তার কাজ মনে হয় না ! ইহাতে ফসলি জমির অপচয়, এবং রেলের পূর্ব হইতেই যে অবকাঠামো ছিল উহার সঠিক ব্যবহার না হওয়ায় জাতীয় সম্পদের বিরাট অপচয় হইতেছে !

দারুন পোস্ট ! ধন্যবাদ !

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৫

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: সুন্দর মন্তব্য এ বিষয় বিস্তারিত একটা সচেতণমূলক পোস্ট চাই আপনার কাছে ।আর পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই।

১০| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ সকাল ১১:০৭

মলাসইলমুইনা বলেছেন: ১৯০৯-১৯১৫ সালের প্রমত্ত পদ্মাকে বশ মানিয়ে আমরা হার্ডিং ব্রিজ করতে পেরেছিলাম আজ প্রায় এখন বৎসর পরে সেই একই পদ্মায় ব্রিজ করতে আমাদের কেন যে এতো হিম সিম খেতে হচ্ছে !

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: এগুলো ভাবতে গেলেই গা কাঁটা দিয়ে ওঠে।

১১| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

:):):)(:(:(:হাসু মামা বলেছেন: অনেক কিছু জানা হল।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

১২| ০৫ ই মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:৩৬

ইমরান আশফাক বলেছেন: তথ্যবহুল পোষ্ট, আপনাকে ধন্যবাদ।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই ইমরান।

১৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৮ ভোর ৫:০৩

মামুন ইসলাম বলেছেন: চমৎকার তথ্যবহুল একটা পোস্ট।

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাই মামুন ইসলাম।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.