নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

গুপ্ত সাম্রাজের ইতিহাস ( পর্ব ১ )

১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২


গুপ্ত সাম্রাজ্য ছিল একটি প্রাচীন ভারতীয় সাম্রাজ্য। আনুমানিক খ্রিষ্টীয় ৩২০ থেকে ৫৫০ অব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের অধিকাংশ অঞ্চল জুড়ে সেই সাম্রাজ্য প্রসারিত ছিল। মহারাজ শ্রীগুপ্ত ধ্রুপদি সভ্যতা-র আদর্শে এই সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন। গুপ্ত শাসকদের ভারতে যে শান্তি এবং সমৃদ্ধি স্থাপিত হয়েছিল, তার ফলশ্রুতিতে দেশ বৈজ্ঞানিক ও শিল্পক্ষেত্রে বিশেষ উৎকর্ষ লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। গুপ্তযুগকে বলা হয় ভারতের স্বর্ণযুগ। এই যুগ ছিল আবিষ্কার, বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি, বাস্তুবিদ্যা, শিল্প, ন্যায়শাস্ত্র, সাহিত্য, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, ধর্ম ও দর্শনের বিশেষ উৎকর্ষের যুগ; বর্তমান হিন্দু সংস্কৃতি মূলত সেই যুগেরই ফসল। গুপ্ত যুুগের আমলে অনেক পণ্ডিত ব্যক্তি যেমন কালিদাস, আর্যভট্ট, বরাহমিহির, বিষ্ণু শর্মা -এর অবির্ভাব হয়েছিলো। প্রথম চন্দ্রগুপ্ত, সমুদ্রগুপ্ত ও দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত ছিলেন গুপ্ত সাম্রাজ্যের সর্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ সম্রাট।প্রায় ৩২০ থেকে ৫৫০ অবধি,গুপ্ত বংশের প্রধান শাখা ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্য শ্বাসন করেছিলেন। সেই সাম্রাজ্য যাদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে সকল শাসকগণ হলেনঃ
(১) শ্রী গুপ্ত
(২) ঘটোৎকচ
(৩)প্রথম চন্দ্রগুপ্ত
(৪) সমুদ্রগুপ্ত
(৫) রামগুপ্ত
(৬) দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত
(৭) প্রথম কুমারগুপ্ত
(৮) স্কন্দগুপ্ত
(৯) পুরুগুপ্ত
(১০) প্রথম কুমারগুপ্ত দ্বিতীয়
(১১)বুধগুপ্ত
(১২) নরসিংহগুপ্ত বালাদিত্য
(১৩) প্রথম কুমারগুপ্ত তৃতীয়
(১৪) বিষ্ণুগুপ্ত
(১৫) বৈনগুপ্ত
(১৬) ভানুগুপ্ত
এদের মধ্যে যাদের সংক্ষিপ্ত বর্নণা আমরা পেয়েছি তারা হলঃ

প্রথম চন্দ্রগুপ্ত গুপ্ত মহারাজা শ্রীগুপ্তের পৌত্র এবং ঘটোৎকচগুপ্তের পুত্র ছিলেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করে সিংহাসনে আসীন হন। তিনি কুমারদেবী নামক একজন লিচ্ছবি রাজকুমারীকে বিবাহ করেন। তার পুত্র সমুদ্রগুপ্তের একটি স্বর্ণমুদ্রায় প্রথম চন্দ্রগুপ্ত ও কুমারদেবীর প্রতিকৃতি এবং তার পাশে লিচ্ছবিগণের নাম উৎকীর্ণ রয়েছে। আলেকজান্ডার কানিংহাম গয়া জেলা থেকে এই স্বর্ণমুদ্রা আবিষ্কার করেন।বর্ধমান জেলার মসাগ্রাম থেকে প্রথম চন্দ্রগুপ্তের একটি মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে, যা বর্তমানে বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদে সংরক্ষিত রয়েছে। প্রথম চন্দ্রগুপ্তের রাজ্য প্রয়াগ অবধি প্রসারিত ছিল বলে মনে করা হয়।আর যতদূর জানা যায় প্রথম চন্দ্রগুপ্ত রাজত্বকাল ছিল ৩১৯ থেকে ৩৩৫ খ্রিস্টাব্দ পযন্ত তিনি প্রথম গুপ্ত সম্রাট ছিলেন।

রামগুপ্ত
৯২৩ খ্রিস্টাব্দে সিলভিয়ান লেভি রামচন্দ্র ও গুণচন্দ্র নামক দুই জৈন লেখক দ্বারা রচিত নাট্যদর্পণ নামক একটি সংস্কৃত গ্রন্থ থেকে বিশাখদত্ত রচিত দেবীচন্দ্রগুপ্ত নামক একটি সংস্কৃত নাটকের ছয়টি শ্লোক প্রকাশ করেন। ঠিক সে একই বছরে একাদশ শতাব্দীর মালবের রাজা ভোজ রচিত শৃঙ্গারপ্রকাশ এবং সরস্বতীকণ্ঠাভরণ নামক দুইটি গ্রন্থ থেকে দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটকের তিনটি শ্লোক আবিষ্কৃত হয়।১৫৩,১৫৪ ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম অমোঘবর্ষের সঞ্জন তাম্রলিপির একটি শ্লোক এবং বাণভট্ট রচিত হর্ষচরিতের একটি ছোট টীকা থেকে দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটক সম্বন্ধে আরো কিছু তথ্য উদ্ধার করেন। সেই সকল শ্লোক একত্র করে দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটকের বক্তব্য বোঝা সম্ভব হয়েছে।
দেবীচন্দ্রগুপ্ত নাটক থেকে জানা যায় যে, গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের মৃত্যুর পর তার জ্যেষ্ঠ পুত্র রামগুপ্ত সিংহাসনে আরোহণ করেন এবং তার কনিষ্ঠ ভ্রাতা দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের বাগদত্তা ধ্রুবস্বামিণীকে বলপূর্বক বিবাহ করেন।পশ্চিমী ক্ষত্রপদের সঙ্গে যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর পশ্চিমী ক্ষত্রপ শাসক তৃতীয় রুদ্রসিংহের দাবী মেনে রামগুপ্ত ধ্রুবস্বামিণীকে তার নিকট সমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেন। আর সেই ঘটনায় ক্রুদ্ধ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্ত নিজে রাণী ধ্রুবস্বামিণীর ছদ্মবেশে তৃতীয় রুদ্রসিংহের নিকট যান এবং তাকে হত্যা করেন।ফলে পশ্চিমী ক্ষত্রপ রাজ্য গুপ্ত সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। পরে তিনি রামগুপ্তকেও হত্যা করেন এবং সিংহাসনে আরোহণ করেন ও ধ্রুবস্বামিণীকে বিবাহ করেন।যদিও ঐতিহাসিকেরা বিশাখদত্ত বর্ণিত এই ঘটনার সত্যতা সম্বন্ধে নিশ্চিত নন। কিন্তু প্রথম কুমারগুপ্তের বিলসাদ স্তম্ভলিপিতে মহাদেবী ধ্রুবদেবী এবং বৈশালীর টেরাকোটা শীলমোহরে মহাদেবী ধ্রুবস্বামিণীর উল্লেখ রয়েছে। তাছাড়া বিদিশায় আবিষ্কৃত কিছু তাম্র মুদ্রা এবং লিপিতে রামগুপ্তের উল্লেখ রয়েছে।

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১১

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


উপমহাদেশের খুব সুন্দর ইতিহাস তুলে ধরেছেন। গুপ্ত সম্রাজ্য সম্বন্ধে অনেকেই জানেন না। ধন্যবাদ তা তুলে ধরার জন্য।

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ কাওসার ভাই ।

২| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সমৃদ্ধ অতীতের কাহিনী পড়তে ভালই লাগে :)

++++++

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: বরাবরের মত সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভ্রাতা। :)

৩| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: গুপ্ত সম্রাজ্যের পতন হল কিভাবে ?

২১ শে মে, ২০১৮ রাত ৩:৫৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তারও ইতিহাস আছে।

৪| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০০

চাঁদগাজী বলেছেন:


তখনকার ভারতের মানুষ অন্য অনেক এলাকার মানুষদের চেয়ে উন্নত ছিলেন ; তাঁদের ইতিহাস, ভালো সময়ের ইতিহাস।

২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: হুম ঠিক বলেছেন।

৫| ১৬ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:২৬

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: দুর্বলভ ছবির সাথে তথ্য বহুল আলোচনা। মন্দ নয়। তবে খুব দ্রুত দ্বিতীয় পর্ব চাই। ধন্যবাদ।

২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ সোহাগ ভাই । হবে ভাই সবই হবে।

৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

টারজান০০০০৭ বলেছেন: এই গুপ্ত মহাশয়গন কাহারা ? ইনারা কি রসময় গুপ্ত মহাশয়ের পূর্বপুরুষ ? :D :P

২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০১

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: :P

৭| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:৫২

রাজীব নুর বলেছেন: গুপ্ত সাম্রাজ্যে ফিরে যাওয়া কোনো দিন সম্ভব হবে।
এরকম টাইম মেশি যদি একটা পেতাম।

২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: তাহলে ফিরে যেতাম।

৮| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৮

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম সময় করে পড়ে নেব ।

২১ শে মে, ২০১৮ ভোর ৪:০২

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.