নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ফিরে দেখা বাংলাদেশে সামরিক অভ্যুত্থানগুলোর আংশিক অংশ বিশেষ

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১:১৮


১৯৭১ সালে পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থানের সম্মুখীন হয়।আর সেগুলোর
মাঝেই বহু জয় পরাজয়ের ঘটনা ঘটে যায়। পূর্ণ হয় কারো চাওয়া বা কারো না চাওয়া।১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্টের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কিছু নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা একটা অভ্যুত্থান পরিচালনা করে।আর সেই অভ্যুত্থানেই জীবন দিতে হয় বাংলাদেশ নামক একটা দেশ গড়ার
প্রধান কারিগর ততকালিন রাষ্ট্র নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ তার পুরো পরিবার শুধু বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা জার্মানিতে অবস্থানের কারনে বেঁচে যান এবং কয়েকজন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতা। ।সেই অভ্যুত্থানে যারা জড়িত ছিলেন বা যারা সেই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব ছিলেন তারা হলেন,মেজর শরীফুল হক (ডালিম) বীর উত্তম, মেজর সৈয়দ ফারুক রহমান এবং মেজর রশিদ। তবে সেই অভ্যুত্থানের সাথে সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কোনো কর্মকর্তা জড়িত ছিলেন না। মেজর ফারুক, মেজর রশিদ এবং খন্দকার মোশতাক আহমেদ-এর গড়া সরকার আরও একটি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৩রা নভেম্বর, ১৯৭৫-এ ক্ষমতাচ্যুত হয়। সেই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর উত্তম।

৩রা নভেম্বর খালেদ মোশাররফ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটাতে চেয়েছিলেন তাই মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে তার নিজ বাসভবনে গৃহবন্দী করে রাখেন। কর্নেল আবু তাহের সে সময় চট্টগ্রামে অবস্থান করছিলেন। কর্নেল আবু তাহের ছিলেন জিয়াউর রহমানের একজন বিশেষ শুভাকাংখী। তিনি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন। সৈনিক-অফিসার বৈষম্য তার পছন্দ ছিল না। তার এই নীতির জন্য তাহের সেনাবাহিনীর সাধারণ সৈনিকদের মাঝেও দারুণ জনপ্রিয় ছিলেন। কর্নেল তাহের বিশ্বাস করতেন জিয়াও তারই আদর্শের লোক। ৩রা নভেম্বরের অভ্যুত্থানের পর তাহের জানতে পারেন জিয়াউর রহমানকে বন্দী করা হয়েছে। তিনি ঢাকাতে তার অনুগত ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সিপাহীদের বিদ্রোহের নির্দেশ দিয়ে তৎক্ষণাৎ চট্টগ্রামে থেকে ঢাকা রওনা হন, সে সময় তার সঙ্গী ছিল শত শত জাসদ কর্মী। কর্নেল তাহেরের এই পাল্টা অভ্যুত্থান সফল হয় ৭ই নভেম্বর। কর্নেল তাহের, জিয়াউর রহমানকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে মুক্ত করে নিয়ে আসেন। পাল্টা এই অভ্যুত্থানে ইষ্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যরা জেনারেল খালেদ মোশাররফকে হত্যা করে।

জেনারেল জিয়াউর রহমান তার পাঁচ বছরের শাসনামলে প্রায় ২১টি অভ্যুত্থানের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ২১টি অভ্যুত্থান থেকে বেঁচে গেলেও ২২তম অভ্যুত্থানে তিনি মৃত্যুবরন করেন। এর অধিকাংশই ছিল ১৯৭১ সালের সেই সকল মুক্তিযোদ্ধা অফিসারদের সমন্বয়ে গঠিত, যারা জিয়ার ইসলামিক ভাবাপন্ন দলের সাথে সম্পর্ক সহ্য করতে পারেননি।তিনি সেইসব আন্দোলন দৃঢ়ভাবে দমন করেন।
১৯৮১ সালের ৩০শে মে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে -তে একটা ক্যু সংঘঠিত হয় দেশের দক্ষিণের বন্দর নগরী চট্টগ্রামে। রাষ্ট্রপতি জিয়ার প্রধান সেনাপতি এরশাদের ষড়যন্ত্রে একদল আর্মি অফিসার দ্বারা সংঘটিত সেই ক্যুয়ের দায় চাপানো হয় জেনারেল মঞ্জুরের উপর। তিনি ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। প্রমাণ মুছে ফেলার জন্য ঢাকা থেকে ব্রিগেডিয়ার মাহমুদুল হাসানকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে পাঠিয়ে মঞ্জুরকে ক্যান্টনেমেন্ট বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বলে লরেন্স লিফশ্যুলজের দাবী ।

১৯৮২ সালের ২৫শে মার্চ ততকালিন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি আব্দুস সাত্তারকে জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে পদচ্যুত করেন এবং নিজেকে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে ঘোষনা দেন।পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল এ. এস. এম. নাসিম এক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ব্যর্থ হয় জেনারেল ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম এর প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকার কারনে। আর সেসময় বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন আবদুর রহমান বিশ্বাস।

তথ্যসূত্র ইন্টারনেট সংগ্রহীত।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ৯:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: পড়লাম।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:০০

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: মনযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.