নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কমবুঝি কিন্ত কিছু একটা নিয়ে বোঝার চেস্টা করি তাই যত পারি বই পড়ি ।

ঠ্যঠা মফিজ

ঠ্যঠা মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৪


সূফীবাদ কুতুবুল আকতাব হযরত খাজা সৈয়দ মুহাম্মদ কুতুবউদ্দিন বখতিয়ার কাকী হলেন একজন মুসলিম সুফি সাধক। তিনি চিশতিয়া তরিকার সাধক ছিলেন। তিনি খাজা মঈনুদ্দিন চিশতির শিষ্য এবং খলিফা ছিলেন। তার নামেই দিল্লীর বিখ্যাত কুতুব মিনার উৎসর্গ করা হয়েছিল। শিষ্যত্ব গ্রহণ করার আগেই চিশতিয়া তরিকা শুধুমাত্র আজমির এবং নাগাউর এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। দিল্লিতে স্থায়ীভাবে এই তরিকাকে প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন। তার দরগাহ মেহরাউলের জাফর মহলের পাশেই অবস্থিত এবং পুরানো দরগাহ দিল্লিতে অবস্থিত, যেখানে তার ওরশ পালিত হয়। ভারতের অনেক বিখ্যাত শাসক তার ওরশ মহাসমারোহে উদযাপন করতেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন কুতুবউদ্দিন আইবাক, ইলতুতমিশ যিনি কাকীর জন্য ঘান্দাক কি বাউলি নামে এক গভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। শের শাহ সুরি তিনি একটি বড় গেইট তৈরী করেছেন। বাহাদুর শাহ তিনি দরগাহের পাশে মতি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। ফারুকশিয়ার যিনি মার্বেলের স্ক্রিন এবং মসজিদ নির্মাণ করেছেন। তার সবচেয়ে বিখ্যাত শিষ্য এবং খলিফা হলেন ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকার তিনি আবার দিল্লির বিখ্যাত সাধক নিজামউদ্দিন আউলিয়ার পীর বা সূফি গুরু ছিলেন। নিজামউদ্দির আউলিয়ার শিষ্য হলেন মুসলিম সুফি সাধক কবি আমির খসরু এবং নাসিরুদ্দিন চিরাগ-ই-তারা ছিলেন দিল্লি এর পীর।কুতুব উদ্দিন বখতেয়ার কাকি দক্ষিণ কিরগিন্তানের উশ নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন। ষোলতম শতাব্দিতে মোগল সম্রাট আকবরের উজির আবুল ফজল ইবনে মোবারক রচিত কুতুবউদ্দিনের জীবনী ‘আইন-ই- আকবর তে উল্লেথ করা হয়, তাঁর পিতার নাম কামালুদ্দিন, কুতুবউদ্দিনের দেড় বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। খাজা কুতুবউদ্দিন এর আসল নাম বখতিয়ার এবং পরবর্তে কুতুবউদ্দিন নামটা দেওয়া হয়। তিনি হোসাইন ইবনে আলী মাধ্যমে হয়ে হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর বংশের সাথে মিলিত হয়েছেন। তার মা তিনি একজন শিক্ষিত নারী ছিলেন। তার শিক্ষার জন্য শাইখ আবু হিফসকে নিয়োগ দেন। মঈনুদ্দিন চিশতি তার ভ্রমণের সময় যখন আউশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন খাজা বখতিয়ার তার হাতে বায়াত দান করেন এবং তার থেকে খেলাফত গ্রহণ করেন। এভাবেই তিনি মঈনুদ্দিন চিশতির প্রথম খলিফা হিসেবে নিযুক্ত হন।

দিল্লী সালতানাতের প্রতিষ্ঠাতা ইতুতমিশের এর অবসরের সময় নিজ পীরের, মঈনুদ্দিন চিশতি, একান্ত ইচ্ছায় খাজা বখতিয়ার দিল্লিতে চলে যান এবং সেখানেই বসবাস করতে থাকেন। বখতিয়ারের আধ্যাত্বিক ক্ষমতা এবং দক্ষতা ও মানবতার অপার মহিমা অবলোকন করে প্রচুর মানুষ প্রায় তার সাক্ষাত লাভে প্রতিদিনি আসা যাওয়া করতেন। তিনি এই আধ্যাত্বিক পথে সাধারণ মানুষকে বায়াত দানও শুরু করে দেন।
তিনি ফলাফলের বা প্রতিদানের আশা না করে অভাবগ্রস্থদের সাহায্য করার মতাদর্শের বিশ্বাসী ছিলেন । তার বিশিষ্ট শিষ্য ফরিদউদ্দিন গঞ্জেশকার তাকে তাবিজ বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন করেন যেগুলো ছিল বির্তকিত কেননা সেগুলো ইসলামে মূর্তিপূজার মত ধর্মীয় সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এর উত্তরে কাকি বলেন ইচ্ছা বা বাসনার পরিপূর্ণতা হওয়া কোন কিছুর উপর নির্ভর করে না কবচ বা তাবিজে আল্লাহর নাম এবং তাঁর কথা বা আয়াত রয়েছে এবং এগুলো মানুষকে দেওয়া যাবে। নিমগ্ন হয়ে তিনি চিশতিয়া তরিকার আধ্যাত্বিক সঙ্গীতের ঐতিহ্যকে বজায় রাখেন এবং আরো সমৃদ্ধ করেন। ধারণা করা হয় যে হিন্দু ধর্মে ভক্তি নিবেদনের সঙ্গীতের সাথে সুরের সমন্বয় করা হয় যাতে স্থানীয় মানুষদের সাথে সর্ম্পক স্থাপনের সহায়ক হিসেবে কাজ করে এবং দুই সম্প্রদায়ের মাঝে পারষ্পরিক সমন্বয় সহজ হয়। ১৪ই রবিউল আউয়াল ৬৩৩ হিজরীতে তিনি একটি সেমা মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন যেখানে কবি আহমদ-এ-জাম নিম্নোক্ত পংক্তিটি গেয়ে শুনান

যারা আত্মসর্ম্পণের খঞ্জরে নিহত হয়েছে,
অদৃশ্য থেকে তাঁরা প্রতিনিয়ত নব জীবন প্রাপ্ত হয়।

খাজা বখতিয়ার কাকি এই আধ্যাত্বিক পঙক্তি দ্বারা এতটাই পরমান্দ লাভ করলেন যে তিনি ততক্ষণাৎ মূর্ছা গেলেন। ওই আধ্যাত্বিক পরমান্দের মাঝেই চারদিন পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার দরগাহ, দিল্লির মেহরুলে অবস্থিত কুতুব মিনার কমপ্লেক্সের নিকটে জাফর মহলের পাশে অবস্থিত। তার জোর নির্দেশ ছিল মৃত্যুর পর তার নামাজে জানাজার নেতৃত্ব সে ব্যক্তিই দিবেন তিনি কখনও কোন হারাম কাজ করেননি এবং আসরের সালাত এর সুন্নত কখনও ছাড়েননি।

তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আল্লাহর অলিদের জীবনী সত্যি অনুপ্রেরনার।
মানবতার সেবায় তিনাদের উদৌগ অনুসরনীয়।

অনেক অনেক ভাল লাগল।

+++

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অসংখ ধন্যবাদ ভ্রাতা।

২| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো পোষ্ট।
গুছিয়ে লিখেছেন তাই পড়তে বিরক্ত লাগে না।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই রাজীব নুর।

৩| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০২

সূচরিতা সেন বলেছেন: Valu post anek kiso janlam.

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৪

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ দিদা।

৪| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৬

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: শেষে জানাজা কে পড়িয়েছিলেন?

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৬

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: চেংকু ভাই বলেছেন।

৫| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৫

চেংকু প্যাঁক বলেছেন: শেষ জানাজা সম্ভবত সুলতান ইলতুতমিশ পড়িয়েছিলেন।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

৬| ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৯

জনতার আদালত বলেছেন: অসাধারণ না জানার অনেক বিষয়ের ব্যাপারে আপনার পোস্ট থেকে জানা যায়।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৮

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই। আমি তেমন কিছুই জানি না।

৭| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: বাহ। আসলেই ওলিরা অন্য রকম ছিলেন। তাদের কাছে অনেক কিছু শিক্ষা নেয়ার আছে।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৯

ঠ্যঠা মফিজ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.