নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশের পরিবেশ দুষণে বা বিবর্তনে ভারত বা বহির্বিশ্ব কতটা দায়ী?

১৫ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:০৩


বর্তমান সময়ে দেশের অন্যতম আলোচিত বিষয় সুন্দরবন রক্ষা নিয়ে সাধারন মানুষের আন্দোলন। আমরা সবাই চাই আমাদের বনভূমি রক্ষা করতে, হউক সেটা দেশী বা বিদেশি প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তির হাত থেকে। সাধারণ জনগণ এ আন্দোলন চালিয়ে গেলে সুন্দরবন অবশ্যই এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাবে। আমরা চাই ভারতের পরিবেশবাদীরাও আমাদের সাথে একাত্মতা পোষন করবে।

এবারে আসা যাক বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের পরিবেশ বিপর্যয়ের ব্যপারে। আমাদের দেশ নদী মাতৃক, এটা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এক যুগ আগেও যে নদী স্রোতস্বিনী ছিল, এমন নদীর অনেক গুলোর নাম বর্তমান সময়ের ছেলে মেয়ারা জানেও না। আর কিছু নদী এমন হয়েছে যার নাম ইতিহাসে আছে কিনা সন্দেহ। লোকমুখে শোনা যায়। বই পত্রে পাওয়া যায়না। আমারা আমাদের প্রকৃতির সবচেয়ে বড় সম্পদ হাড়িয়েছি নিজেদের অসচেতনতার কারণেই তা নয়, বরং পার্শবর্তি দেশ ভারতের নদী শাসন নীতির কারণেই। একেতো আমাদের নদী রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেই, নেই নদী খননের কোন পরিকল্পনা। তার উপরে যোগ হয়েছে ভারতের পানি নিয়ে একমুখী নীতি। বছর অধিকাংশ সময় নদীতে পানি থাকেনা বলেই নদী নাব্যতা হাড়াচ্ছে। স্রোত কম হওয়ায় পানির সাথে ভেসে আসা পলিমাটি জমে যাচ্ছে। যা পরে চর তৈরী করছে।

আমাদের দেশের পরিবেশের মূল বৈশিষ্ট্য নদী ও নদী নির্ভর জলাশয় সাথে সবুজ গাছপালা। এ নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। এ দেশে ঘনবসতি অনেক আগে থেকেই। তাই নানা কারনেই দেশের বনাঞ্চল বিছিন্ন ভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। সরকারের অবহেলা ও সাধারণ মানুষের অসচেতন কর্মকান্ডের ফলে উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বনভূমি প্রায় ধ্বংস এর পথে। এই অবস্থার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। এর জন্য ভারত বা বহির্বিশ্ব দায়ী নয়। দেশের আইন থাকার পরেও বনভূমি দখল, পার্বত্য অঞ্চলের মাটি চুরি কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছেনা। এর জন্য দেশের সরকারকে একক দোষ দিলে চলবে না। মানুষের সচেতনতা অনেক বেশি জরুরী।

দেশের অভ্যন্তরীণ পানি দুষণে যেভাবে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে জলা ভূমির মাছ সহ অনান্য পানি নির্ভর প্রানীদের জীবন বিপন্ন। শুষ্ক মৌসুমে ভারতের বিশুদ্ধ পানির প্রবাহ না থাকায় তুরাগ,বুড়িগংা ও শীতলক্ষ্যা হয়ে দূষিত পানির প্রবাহ ঠিকই আছে। এতে ভাটির দিকের মেঘনা, ধলেশ্বরী তে দিন দিন মাছের প্রাকৃতিক উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

এধরনের সমস্যাগুলোই যখন ঠিক মত মোকাবেলা করা যাচ্ছে না, সেখানে "Global Warming "সাথে যুক্ত হয়েছে। উন্নত বিশ্ব্বর বেপরোয়া দাহ্য পদার্থের ব্যবহার আমাদের ক্ষতি করছে। রাসায়নিক পদার্থের কু প্রভাবে ওজন স্তর ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। নতুন নতুন রোগের আবির্ভাব হচ্ছে। মেরু অঞ্চলের বরফ গলে সমুদ্রের পানির স্তর বাড়ছে। এতে ভোলার মত দ্বিপ গুলোও হুমকির মুখে।

সব শেষে আমাদের সকলের প্রাণের দাবি, "সুন্দরবন বাচাঁতে চাই "। বনভূমি বাচঁলে আমরাও বাচঁব।

লেখা: ১৫ই আগস্ট, ২০১৬ (জাতীয় শোক দিবস)

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:০২

জুবায়ের ইব্রাহীম বলেছেন: ঠিকই বলেছেন। আমরাও যথেষ্ট সচেতন না।

২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:২৬

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১০:৪২

প্রামানিক বলেছেন: ভালই বলেছেন। ধন্যবাদ

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:২৫

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: শুভকামনা আপনাকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.