নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

অবৈধ যৌনতা শধুই কি সুখের বা রোমাঞ্চের, অভিশপ্ত নয় কি?

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:১৬


মানুষের অবৈধ জিনিসের ব্যপারে আকর্ষন বরাবরই একটু বেশি। এর মধ্যে অবৈধ যৌনতা সব কিছুকে ছাড়িয়ে গেছে। এমন কোন যুগ নেই যে যুগে মানুষ এ পথে পা বাড়ায় নি। সব ধরনের মানুষের মধ্যেই এই যৌনতা আছে। ধর্ম গুরু থেকে শুরু করে রাজা-রানী, প্রেসিডেন্ট-ফার্ষ্ট লেডি, রাস্তার মাদক সেবী সবাই এর আনন্দ উপভোগ করেছে। কিন্তু এগুলো কি অভশপ্ত ছিলনা? নিজের দেখা বা শোনা কিছু ঘটনা দিয়েই শুরু করা যাক।

আমার পরিচিত কোন এক গ্রামে একজন অবিবাহিত পুরুষ ও বিবাহিত মহিলার যৌনাচার বেশ রটেছিল। ছেলেটি এতই পাগল্পার ছিল যে, শীতের রাতে তিনটে বাজেও নিজের ইছে পুরনে সে মহিলার সাথে মিলিত হত। মহিলার দুটি সন্তান ছিল। স্বামী বিদেশে ব্যবসা করত। বেশ সচ্ছল ছিল পরিবার। ছেলেটি ছিল কর্মঠ, কিন্তু বাজে অভ্যাসের বেশি দুর এগোতে পারত না। মাথায় সব সময় যৌনতা কিলবিল করত। আশচর্যের বিষয় ছিল, ছেলেটি এমন কুয়াশাচ্ছন্ন রাতে প্রায় দুই মাইল হেঁটে মহিলার বাসায় যেত। তাদের ‘করা’ নামক কাজটি হত ঘরের বাইরের রান্না ঘরে। ব্যপারটি রোমাঞ্চকর সত্যি! কিন্তু একবার ভেবে দেখুন, কোন শীতের রাতে দুই জন মানুষ উলঙ্গ বা অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় যৌনতায় লিপ্ত আর তা কেউ দেখে ফেলল, তখন ব্যপারটা কি হবে? মহিলার শ্বশুর কিংবা শ্বাশুড়ি কিংবা মুরুব্বী কেউ এমন সময় প্রকৃতির ডাকে সারা দিতে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এসে দেখল চাঁদের আলোয় চকচকে দুটি দেহ লুটোপুটি খাচ্ছে তখন কি হবে?

এমন ঘটনা আসলেই ঘটেছিল কিনা তারা নিজেরাই ভাল জানে। অনেক সময় পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে তা গোপন করা হয়। কিন্তু তাদের সম্পর্ক হয়েছিল অনেকটাই আবেগের কারণে। যে মেয়ে মানুষটিকে মহিলা বলছি, সে ছেলেটির সম বয়সী। ছোটবেলার স্কুলের সহপাঠী, একই গ্রামের খেলার সাথী। অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে সন্তানের মা হয়ে যাওয়ায় তার চাল চলন ছিল মহিলাদের মত, কিন্তু মন ছিল ব্যকুল। স্বামী বছরের পর বছর বিদেশে পরে থাকত তাই তার সংগীর বড় প্রয়োজন ছিল। কিন্তু বাস্তবতা তাদের এই আবেগ বেশিদুর যেতে দেয়নি। স্ত্রীর এমন খারাপ কাজের কথা শুনে স্বামী ব্যবসা ফেলে দিয়ে দেশে চলে আসে স্ত্রী পাহাড়া দিতে। একসময়ের সচ্ছল ব্যবসায়ী এখন হয়েছে কোন এক দোকানের কর্মচারী। শুনেছি সেই ছেলেটি সামান্য এক্সিডেন্টে মারা গেছে। দুই জনের পরিবারই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এসব কি তাদের কু-কর্মেরই অভিশাপ?
চলবে.........

[img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/taufique2016/taufique2016-1471447002-85340d0_xlarge.jpg

ছবিঃ ইন্টারনেট

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩১

প্রামানিক বলেছেন: সুন্দর তথ্য তুলে ধরেছেন।

১৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৯:৩৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আপনার মত গুনী লোকের আগমন সব সময়ই অনুপ্রেরনার।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ১২:১১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: পাপ করে কেউ শান্তিতে থাকতে পারবেনা...

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৩:৫২

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।

৪| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫

নতুন বলেছেন: যে কোন কিছু নেশা হলে তাতে ধংস বয়ে আনে।

৫| ২০ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৪৫

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আমিও এই দিকটি তুলে ধরতে চেয়েছি।

৬| ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৩৫

গেম চেঞ্জার বলেছেন: অভিশাপ বলে কিছু একটার অস্তিত্ব থাকাটা নিয়ে দ্বিধায় আছি! সে যা-ই হোক, মহিলার এই অবৈধ সম্পর্ক করাটাই স্বামীর পেশা পরিবর্তনের কারণ হয়ে দাঁড়াল!! সো, যৌনতার সমাধান নিয়ে চিন্তা করা উচিত!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.