নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

Otzi The Iceman : মানব জাতির অন্য এক ইতিহাস

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫১



একবার ভেবে দেখুন , আপনি কোন এক পাহাড়ী কিংবা পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে গেছেন। সেখানে গিয়ে কোন প্রয়োজনে মাটি খুঁড়েছেন বা পাথরের ফাঁক ফোঁকরে, কিংবা ঝোপঝাড়ের নিচে কিছু খুঁজছেন। আর তখনি পেয়ে গেলেন হাজার হাজার বছরের কোন মমি। তারপরে আপনার নামটি ইতিহাস হয়ে গেল। ভাবছেন এগুলো শুধুই উদ্ভট চিন্তা। অথচ ১৯৯১ সালের ১৯ শে সেপ্টেম্বার ঠিক এমনই কিছু একটা হয়ে গিয়েছিল দুই জার্মান পর্যটক হেলমুট ও এরিক সিমনের হাত ধরে। তারা দুইজন যে মমিটি খুজে পেয়েছিলেন যা পরবর্তিতে “Otzi the Iceman, The Similaun Man, the Man from Hauslabjoch, Homo tyrolensis, and the Hauslabjoch mummy” নামে পরিচিতি পায়।

প্রথম দিকে তাদের কাছেও ব্যপারটি এতটা গুরুত্ব পূর্ণ মনে হয়েছিল না। কারণ আস্ট্রিয়ান- ইতালীয়ান বর্ডারে ওটজাল আল্পস নামের এই পর্বতে এর আগেও বেশ কিছু মমি পাওয়া যায় যাদের আনুমানিক বয়স আধুনিক কালের আশেপাশেই। অথচ এই মমিটির পুরুষ মানুষটি এই পার্বত্য এলাকায় প্রায় ৩,৩০০ খ্রিস্টপূর্ব সময়ে হাঁটাচলা করত। যা বর্তমান সময়ের চাইতে প্রায় ৫,৫০০ বছর আগে।



ছবিতেই দেখুন এই মমিটি।


মনে করা হয় এটিই ইউরোপে পাওয়া সবচেয়ে পুরাতন মানব মমি।
বর্তমানে এই মমিটি ও তার সংগে থাকা জিনিসগুলো ইতালীর South Tyrol Museum of Archaeology in Bolzano তে প্রদর্শনের জন্য রাখা আছে।
উদ্ধারকৃত পুরুষ দেহের মমিটি যতটা সম্ভব বিস্তারিতভাবে কিংবা গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করা হয়েছে। টিস্যু এবং আগুন কিংবা অন্যভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত দেহাবশেষ মাইক্রোস্কোপ তথা আধুনিক গবেষণাগারে পরীক্ষা করা হয়েছে।

এই ওটজির (Otzi the iceman) শরীর ও সাথে পাওয়া আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো নিয়ে দির্ঘ পর্যবেক্ষনের পরে ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের ২৫ তারিখে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। এই প্রতিবেদনে বলা হয়, এই Otzi টির মৃত্যুর সময় বয়স ছিল ৩০ থেকে ৪৫ বছর। তার উচ্চতা ছিল ১৬০ সেন্টিমিটার অথবা ৫’৩”। তার ওজন ছিল ৫০ কিলোগ্রাম বা ১১০ পাউন্ড। বাদামী চোখের এই মানুষটির বেশ ঘন দাড়ি ও চুল ছিল। সাধারণত পাথর যুগের মানুষের নীল চোখ পাওয়া যায়নি। সে ক্ষেত্রে এই মানুষটি ব্যতিক্রম। আধুনিক 3-D technology ব্যবহার করে তার মুখায়ব বের করা হয়। তার চোয়ালের ধরন ছিল অনেকটা খাজকাটা ও নিমগ্ন। তাকে বেশ বিষন্ন ও ক্লান্ত মনে হচ্ছিল। এরা ঘাসের তৌরী বিশেষ একধরনের পোষাক পরত। প্রায় বিশ বছরের গবেষনায় এই তথ্যগুলো বের হয়ে আসে।

Otzi টির শরীরে তখনো রক্তের cell জীবিত ছিল। ধরা হয় এটিই পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো রক্তের প্রমাণ। (BBC - May 2, 2012)
NBC - October 15, 2013 সালে এক প্রতিবেদনে বলে যে, এই Otzi টির বংশধরেরা এখনো পৃথিবীতে বর্তমান। গবেষকেরা রক্তের ডিএনে নিয়ে বিভিন্ন ব্যক্তির উপর গবেষনা করে ১৯ জন Otzi টির বংশধর খুজে পায় । এরা সবাই অস্ট্রীয়ার Otztal Alps পাহাড়ের Tyrol এলাকার আসেপাশে বসবাস করে।

February 28, 2012 সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয় এই মানুষটিই Lyme disease bacterium এর দ্বারা আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া সবচেয়ে পুরনো রোগীর প্রমাণ। এবং তার রক্তের গ্রুপ ছিল "O" blood type।








পরের পবর্:
Otzi the Iceman এর মৃত্যু রহস্যঃ
Otzi the Iceman একটি অভিশাপ:
চলবে.....

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


রাতদিন চাকুরীর গোড়ায় পানি ঢালছি, মমি খুঁজতেছি না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৬

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: রাতে অবসরে কিছু লেখা লেখি মন্দ না। ব্লগে অনেক ভাল লেখা আসে সেগুলো পড়লে কিছু জানা যায়।

২| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৫

চাঁদগাজী বলেছেন:



শীতলক্ষ্যায় কত মানুষ মরে পড়ে আছে, আপনি বলছেন কোথায় বরফের মাঝে মমির খোঁজে মরতে যেতে!

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫১

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আসলে মানুষের আর্থিক অবস্থা আর ইচ্ছা অনেক দুরে নিয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট। আর যদি সেখানে ভাগ্য কাজ করে তাহলে এমন কিছু করে ফেলা সম্ভব। আমাদের দেশেও অনেক উচু ডিবি থেকে ইতিহাস বেড় হয়ে এসেছে। সবাই ঘর আকড়ে পরে থাকলে আমরা আজ এতদুরেও আসতাম না।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৫

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: হুট করেই আবিষ্কৃত হয়ে গেল।

যাই হোক - সেই সময় ইতালির দিকে মমি করার প্রচলন ছিল? এমনটা আগে শুনিনি।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: পরের পর্বে এ নিয়ে কিছু বলতে চাই। তথ্যগুলো ওয়েবসাইট থেকে নেয়া। শেষ পর্বে সেগুলো দিয়ে দেব।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:২২

প্রামানিক বলেছেন: নতুন কিছু জানা হলো। ধন্যবাদ

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:১৯

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:২৬

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ব্লগে কিছু পজেটিভ মানুষ আছে বলেই লেখালেখি করি।

৫| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১:১০

জুবায়ের ইব্রাহীম বলেছেন: জানা হল বেশ কিছু জিনিস।

পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৫৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.