নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

Otzi The Iceman : মানব জাতির অন্য এক অভিশপ্ত ইতিহাস

১৪ ই অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:১৩




Otzi The Iceman : মানব জাতির অন্য এক ইতিহাসএকবার ভেবে দেখুন , আপনি কোন এক পাহাড়ী কিংবা পার্বত্য এলাকায় ভ্রমণে গেছেন। সেখানে গিয়ে কোন প্রয়োজনে মাটি খুঁড়েছেন বা পাথরের ফাঁক ফোঁকরে, কিংবা ঝোপঝাড়ের নিচে কিছু খুঁজছেন। আর তখনি পেয়ে গেলেন হাজার হাজার বছরের কোন মমি। তারপরে আপনার নামটি ইতিহাস হয়ে গেল। ভাবছেন এগুলো শুধুই উদ্ভট চিন্তা। অথচ ১৯৯১ সালের ১৯ শে সেপ্টেম্বার ঠিক এমনই কিছু একটা হয়ে গিয়েছিল দুই জার্মান পর্যটক হেলমুট ও এরিক সিমনের হাত ধরে। তারা দুইজন যে মমিটি খুজে পেয়েছিলেন যা পরবর্তিতে “Otzi the Iceman, The Similaun Man, the Man from Hauslabjoch, Homo tyrolensis, and the Hauslabjoch mummy” নামে পরিচিতি পায়।

কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছিলঃ
DNA analysis এর পর তার শরীর ও সাথে থাকা জিনিস পত্রে চার ধরণের রক্তের নমুনা পাওয়া যায়। একটি তার সাথে থাকা চাকুর সাথে, অন্য দুটি তার শরীরে বিধে থাকা একই তীরফলা থেকে। এবং চতুর্থ নমুনাটি তার শরীরের পোষাক থেকে উদ্ধার করা হয়। ধারণা করা যায় এই ব্যক্তিটি বিপক্ষ দলের হাতে মারা পড়েছিল। শরীরে বিধে থাকা তীরের ফলা এটাই প্রমাণ করে সে শিকার করতে যেয়ে বিপক্ষ দলের মানুষদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। সাথে থাকা সঙ্গীরা তাকে ফেলে চলে গিয়েছিল। অতঃপর দির্ঘক্ষন রক্তপাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। আর এটা এও প্রমাণ করে এই Otzi টি পৃথিবীতে পাওয়া সবচেয়ে পুরনো খুন হওয়া মানুষের লাশের জলজ্যন্ত প্রমাণ।




Tyrolean iceman দের বেশভুষাঃ
খুব সংক্ষেপে বলতে গেলে তাদের পোষাক ছিল মূলত ঘাসের উপকরণ দ্বারা তৌরী। এই অঞ্চলে প্রচণ্ড শীত হওয়ায় পশুর চামড়া ব্যবহার হতেই পারে। ছবিতেই দেখুন ৫,৩০০বছর আগে এই Tyrolean iceman রা কিভাবে পোষাক পরত।



Otzi The Iceman : একটি অভিশপ্ত মমি

ফেরাঊনের মমির মতই অনেকে মনে করে এটি একটি অভিশপ্ত মমি। বেশ কিছু ঘটনা যেগুলোকে অনেকে co-incident বলে চালিয়ে দেয়, কিন্তু ঘটনাগুলো এতই বেশি এই মমি সম্পর্কিত যাতে কিছু ভাবনা থেকেই যায়। এই মমি সম্পর্কিত বেশ কিছু ঘটনা নিচে দেয়া হল।

o অভিশাপের শুরু হয় ১৯৯২ সালে Dr. Rainer Henn এর মৃত্যুর মাধ্যমে। তিনি ছিলেন এই লাশটির “head of the forensic team”। Otzi নিয়ে কিছু বলতে যাচ্ছিলেন এমন পথিমধ্যেই তার গাড়িটি অন্য একটি গাড়ির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আর এতেই তার মৃত্যু হয়।


o এই অভিশাপের দ্বিতীয় শিকার হলেন “mountaineer Kurt Fritz”, যে কিনা Dr. Henn ও অন্যদের মমিটির প্রাপ্তিস্থলে নিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি তুষারঝড়ের কবলে পরে মারা পরেছিলেন।

 “Austrian journalist Rainer Hoelzl” এর তৃতীয় শিকার। সারা পৃথিবী এই মমিটি ও তাদের সভ্যতা নিয়ে জানতে পেরেছিল তারই তৌরী এক ঘন্টার একটি documentary থেকে। কিন্তু এর পর থেকেই তাকে এক অজানা অসুখে পেয়ে বসে যেটাকে “brain tumor” বলা যেতে পারে। এতেই তার মৃত্যু হয়।

 এর চতুর্থ শিকার এর অভিশাপকে আরও বেশি সত্যি বলে প্রমাণ করে। German tourist Helmut Simon যিনি এই মমিটি খুজে পেয়েছিলেন। এই মমিটির স্বত্বাধিকার নিয়ে আদালতে ৫০,০০০ ইউরো পাবার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে যাবার সময় প্রচণ্ড তুষারঝড় তাকে ১০০ মিটার গভীর খাদে ফেলে দেয়। তারপর কি হয়েছিল তা নিয়ে বলার আর কিছু থাকে না। তিনি সেই টাকা পাবার চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে পারেন নি তাই তার বিধবা স্ত্রী কখনোই সে টাকা নিজের দাবী করতে পারেননি।

 এর পঞ্চম শিকার আরও অদ্ভুত। Dieter Warnecke ছিলেন “head of the mountain rescue team” । যিনি Helmut Simon এর মৃত দেহ সৎকার করে আসার এক ঘন্টা পরেই হার্ট এট্যাকে মারা যান।

 এর ষষ্ঠ শিকার ছিলেন archaeologist Konrad Spindler - the leading Austrian expert। যিনি নিজেও শিকার করতেন না , এই মমিটি অভিশপ্ত। তাই তিনি নিজেই বলতেন, "I think it's a load of rubbish. It is all a media hype. The next thing you will be saying I will be next." অতঃপর তিনি পূর্ববর্তিদের মতই রহস্যজনক ভাবে মারা যান।
o এর সপ্তম শিকার হলেন, Dr Tom Loy। যিনি Otzi নিয়ে একটি বই লিখছিলেন। এই মমিটির সাথে তিনি বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন। বইটি লেখা শেষ হবার আগেই তিনি ২০০ সালে মারা যান।


এ ব্যপারে আর কিছু বলতে চাইনা। যারা আরও বেশি জানতে চান। তারা উইকিপিডিয়া ও গুগলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সকাল ৭:১৩

চাঁদগাজী বলেছেন:


এই মমি নিয়ে লেখা পোস্ট আমি পড়িনি; এই মমি সম্পর্কে আমার কোন মন্তব্য নেই, আসলে এটা আমার মন্তব্যও নয়।

২| ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:০৯

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আমিও এ নিয়ে আর কিছু বলতে চাইনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.