নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিয়ে যেন.....

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ৯:৪৮

মন্টু বেশ কয়েকদিন ধরেই তার বন্ধুদের সুড়সুড়ি দিচ্ছিল যে সে বিয়ে করবে। যে যেখানেই পাত্রির কথা বলে সেখানেই সে হাজির। অবশ্য খরচের দিক দিয়ে সে বেশ হিসেবি। কিন্তু ভালো পরিবারে বিয়ে করতে চাইলে ভাল গাটের কিছু টাকা পয়সাও খসাতে হয়। অনেকেই তাকে এ ব্যপারে পরামর্শ দিলেও সে তা মানতে নারায। খরচ অল্প হউক, তার অতি দ্রুত বিয়ে করা চাইই চাই।

এভাবে বেশ কয়েক মাস চলে গেল। একদিন হঠাৎ করেই খবর পেলাম মন্টু বিয়ে করেছে। আমিতো রীতিমতো ক্রাশ খাইলাম। 'আরে এই ব্যটার পাত্রি ঠিক করতে গিয়া কত্ত টাকা যে খরচ করছি তার হিসাব নাই'

উত্তরে এক বন্ধু বলল, যে মেয়েরে মন্টু বিয়ে করছে সে তার এক্স....

তারপর কি আর করার, আমরা সবান্ধব তার নববধু দেখতে উপস্থিত হলাম। তার বাড়িতে ঢোকার
আগেই সে একরকম দৌড়ে দরজার সামনে এসে দাঁড়ালো। ওরে গায়ে আঁশটে গন্ধ। তার উপরে খেকিয়ে বলল," এই এই কি জন্যে ভেতরে যাওয়া হচ্ছে শুনি".

ওর কথা শুনে সবান্ধবে ক্রাশ খাইলাম। 'হালায় কয় কি? নতুন বউ পাইয়া এমন শুদ্ধ কথা বলা শুরু করল কবে থাইক্যা"
পেছন থেকে কেউ বলে উঠল, "শুনলাম তুই নতুন বিয়া করছত, তাই ভাবীর হাতের চা খাইতে আইসি"।

একথা শুনে ও আরো খ্যাপাটে হয়ে গেল। নিজের খোলস ছেড়ে বেড়িয়ে গেল। বেশ দাঁত খিচিয়ে বলল, " বন্ধুর বউ দেখতে জিব্বা দিয়া পানি পরে না, নিজেগো বিয়া করবার মুরদ নাই আইছ আবার বউ দেখতে। তোগোরে কে দাওয়াত দিছেরে"

ওর কথা শুনে আমরা রীতিমতো তৃতীয়বারের মত ক্রাশ খাইলাম। পিছু হঠতে শুরু করলাম। রাস্তায় যে বন্ধুর এক্স কে মন্টু বিয়ে করেছে তার সাথে দেখা। সে বলল, " মামা চিন্তা করিচ না, ওর বউর যেই খরচের হাত। এমনিতেই তো আর এক্স হয়নাই। "

আমি ওর কথা শুনে একটু খুশি হলাম।

মাস ছয়েক পরের কথা। আমরা মন্টুকে ভুলেই যেতে বসেছি। এমবিএ প্রথম সেমিস্টার এ ওর উপস্থিতি মাত্র ৫%। পরীক্ষা দিতে পারবে না সেটা নিশ্চিত। আমি আরো কয়েক বন্ধুকে নিয়ে সূর্যসেন হলের এক দোকানে বসে চা খাচ্ছি। হঠাৎ করেই মন্টুর আবির্ভাব। এসেই দোকান থেকে দুইটা কলা আর একটা পাউরুটি নিয়ে খেতে শুরু করল। ও সবসময় এমন করত। শেষমেশ বিল না দিয়েই কাজের সুতো দিয়ে চলে যায়।

ও শুকনো গলায় গিলতে পারছিল না। আমি পানি এগিয়ে দিলাম। ও কিছু বলল না। বেশ বিমর্ষ দেখাচ্ছিল। খাওয়া শেষ না হতেই একজন বলল, "দোস্ত কেমন চলতাসে?"

ও শুধু আড় চোখে চাইল। তারপর খাওয়ায় মনযোগ দিল। খাওয়া শেষ করে সবাইকে আশ্চর্য করে সবার বিল শোধ দিল। তারপর একটা দির্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল, " দোস্ত বিয়েটা হইল টয়লেটের মত, যে করছে সে ভেতর থেকা বাইর হইতে চায়। আর যে করেনাই সে বদনা লইয়া বাইরে দাঁড়ায় থাকে কখন ভিতরে ঢোকবো। ""

সমাপ্ত।
৩১/১০/২০১৬
♥♥♥♥♥♥

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৪

রাতুল_শাহ বলেছেন: ভাই আপনি তো দেখি অনেক ক্রাশ খান।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আপনি খাইয়েন না আর।

২| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ২:৩৯

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন:
ক্রাশ খাইছেন নাকি টাশকি খাইছেন?

বত্ব, ঘটনা পড়ে আমিও ক্রাশ খাইলাম।

টাশকিকে ক্রাশ হিসেবে প্রকাশ করায়ও ক্রাশ খাইলাম।

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৬ রাত ৯:৫৬

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: টাশকি বলে কোন শব্দ নেই। তবে ক্রাশ শব্দের ব্যবহার ঠিক হয়নি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.