নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ডোনাল্ড ট্রাম্প সবচেয়ে ভাল অমুসলিম

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৩৯



দুবাইয়ের কোন এক শপিংমলের সামনে প্রায় বিশ বছর বয়্সী একটি ছেলেকে ঘিরে জটলা বেধেছে। ছেলেটির পায়ে NIKE ব্রান্ডের জুতো। পড়নের শার্ট প্যান্ট গুলোও নামিদামী কোন ব্রান্ডের পণ্য। কিন্তু ছেলেটি তার চোখের চশমাটি বিক্রি করতে চায়। আর সেটি কিনতেই দাম হাঁকাচ্ছে রাস্তার শ্রমিকেরা। কেউ দশ, কেউ বার দিনার দাম দিতে চায়। আর ছেলেটি সত্তরের নিচে আসতেই নারাজ।

এই ব্যপারটি চোখে পড়ল শপিং মলের এক আরব ব্যবসায়ীর। সে ছেলেটির কাছে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো কেন সে চোখের চশমা বিক্রি করতে চায়। ছেলেটি দুই দিন ধরে কিছু খায়নি। সে ক্ষুধার্ত। তাই সে চোখের চশমা বিক্রি করে কিছু খেতে চায়। কিন্তু ভিক্ষে করে খেতে চায়না। ব্যবসায়ীটি বেশ কয়েক বার বলার পরেও সে তার সাথে খেতে রাজি হয়না। সে নিজের টাকায় খেতে চায়। কেন জানেন?

সিরীয়ার অধিবাসীরা ভিক্ষে করতে জানতনা। ওরা ছিল জাত ব্যবসায়ী, জাত যোদ্ধা নয়। সৌদী আরব ও ইরানের ছায়াযুদ্ধের কবলে পরে ওরা শেষ। ওরা বেঁচে যেত যদিনা আবার ওবামা ও মিসেস ক্লিন্টনের তৌরী আইএস সাথে যুক্ত না হত। লাদেনের মৃতুয়র পরে মুসলিমদের গনহারে সন্ত্রাসী তাকমা দেবার কোন মওকা পাচ্ছিলনা তারা। এই সুযোগে সারা পৃথিবীতে আবার এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিল। আর অতি আবেগি মুসলিমেরা সে ফাঁদে পা দিল। আইএস ধবংসের নামে রাশিয়া যেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাল তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হল এই সিরীয়ার মানুষেরাই।

সিরীয়াতে আমেরিকা ও রাশিয়ার ছায়াযুদ্ধ শেষ হতনা যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় না আসত। মিসেস ক্লিন্টন ও ওবামা একই ক্যটাগরীর। তারা ধরি মাছ না ছুঁই পানি। মিসেস ক্ষমতায় এলে ছায়া যুদ্ধ আরো বেড়ে যেত। মুখে হাসি আর মিষ্টি কথা দিয়ে সারা পৃথীবিকে মাতিয়ে রাখত। আর তলে তলে গাছ কাটত সমূলে। সে হিসেবে ট্রাম্প অনেক ভাল। সে যা বলে এসেছে সে তাই করছে। সে যা বলছে সে তাই করবে। কেউ তার শত্রু হলে তাও প্রকাশ্যে। কেউ তার মিত্র হলে তাও প্রকাশ্যে। কোন লুকোছাপা, গুটিবাজি নেই। সে মুসলিমদের সম্পর্কে আমেরিকানদের চিন্তাধারা স্পষ্ট করে দিয়েছে। সে কি করতে চায় তাও বলে দিয়েছে। এমন শত্রু পৃথিবীতে আর একটাও নাই। এমন উপকারী শত্রু মুসলিমরা কবে পেয়েছে কে জানে। সে একজন ভাল অমুসলিম। সে একজন স্পষ্টভাষী শত্রু। কেউ যদি সাবধান হতে চায়, মুসলিমরা যদি বুদ্ধি খাটায় তাহলে বুঝতে পারবে ট্রাম্প তাদের কত উপকার করছে। কয়েকটি মুসলিম দেশকে সে নিষিদ্ধ করেছে। কৈ বাংলাদেশ , মালয়েশিয়াকে তো নিষিদ্ধ করেনি। কারন আমরা যুদ্ধবাজ না।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: লাইক দিলেও ট্রাম্পের ব্যাপারে দ্বিমত পোষন করছি।। রশুনের কোয়া কোথায় মিলেছে জানেন তো??

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সেটা আপনার নিজস্ব চিন্তা।

ধন্যবাদ।

২| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:০৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


"সে একজন ভাল অমুসলিম। সে একজন স্পষ্টভাষী শত্রু। "

-আপনার জন্ম হয়েছে অন্যের ক্ষতি করার জন্য, সে 'শত্রু" কেন? অমুসলিম হলে 'শত্রু'? আপনার মাথায় মগজ নেই!

সিরিয়ার যুদ্ধের কারণ হিসেবে যা বলেলেন, একটা মুরগীও এর থেকে কিছুটা সঠিক বলতে পারবে।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪০

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: মুসলিম হলেই শত্রু সে কথা আমি কোথাও বলিনি। বরং বলেছি সে যে মুসলিম বিদ্বেষী সেটা তার কথায় স্পষ্ট কখনো কখনো।

ধন্যবাদ।

৩| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:২৪

তানভীর আহমদ সায়েম বলেছেন: এই কথাটাই আমাদের অতি আবেগী মুসলিমরা বুঝতে চেষ্টা করে না।ট্রাম্প যে উপরে পানি ঢেলে নিচে দিয়ে গাছ কাটে না এটা বুঝার মত ক্ষমতাও এখনকার মিডিয়া বিশ্বাসী মুসলিমরা বুঝতে চায় না।মিডিয়া যাকে ভাল বলে মুসলমানরাও তাকেই ভাল বলে বিশ্বাস করে নেয়।দেখুন না ওইসব বাটপার মিডিয়াকে স্বয়ং ট্রাম্প পর্যন্ত বয়কট করেছে।ট্রাম্প জানে এসব মিডিয়ার কাজই হলো মুসলমানদের ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে দেওয়া।আমেরিকার মুসলমানরা তো বুঝারও চেষ্টা করে না যেখানে তারা পৃথিবীর অন্যতম সচেতন জাতি।খ্রিষ্টানরা এখন মুসলমানদের পক্ষে অবস্থানটাও যে একটা রাজনৈতিক কৌশল সেটাও মুসলমানরা বুঝতে পারছে না।ট্রাম্পের কাজ কর্মের কারণে পশ্চিমা স্বয়ং পশ্চিমা খ্রিষ্টানরা এখন ডিরেক্টলি বিতর্কিত হয়ে যাচ্ছে দেখে তারা মূলত ট্রাম্পের বিরোধীতা করছে।কারণ ওবামা হিলারীরা মুসলমান মারে সন্ত্রাসের নামে আর ট্রাম্প মারবে মুসলমান হওয়ার কারণে ডিরেক্ট ঘোষনা দিয়ে এতে খ্রিষ্টানরা বেকায়দায় পরে যাবে।নইলে এতদিন পশ্চিমা খ্রিষ্টান রা এতদিন মুসলমান হত্যার বিরুদ্ধে কথা বলে নি কেন?আন্দোলন করে নি কেন?ইসরাইলের বিরোধীতা করে নি কেন?যেখানে পুরো পশ্চিমা বিশ্ব ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইসরাইলকে মদদ দিল আজ সেই পশ্চিমা বিশ্বই সামনা সামনি ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে আর ফিলিস্তিনের স্বীকৃতি দিতে ওঠে পড়ে লেগে গেছে কেন?তারা চায় ট্রাম্প যেন ক্ষমতায় থাকতে না পারে।ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকলে তারা সন্ত্রাস দমনের নামে মুসলিম বিশ্বটাকে ধ্বংস করতে বাধাগ্রস্ত হবে তাই।ট্রাম্প ওপেনলি সব বলে দেয় এটাই তাদের সমস্যা।।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সহমত।

শুভকামনা রইল।

৪| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৪

ইউনিয়ন বলেছেন: সিরীয়ার অধিবাসীরা ভিক্ষে করতে জানতনা। ওরা ছিল জাত ব্যবসায়ী, জাত যোদ্ধা নয়। সৌদী আরব ও ইরানের ছায়াযুদ্ধের কবলে পরে ওরা শেষ। ওরা বেঁচে যেত যদিনা আবার ওবামা ও মিসেস ক্লিন্টনের তৌরী আইএস সাথে যুক্ত না হত। লাদেনের মৃতুয়র পরে মুসলিমদের গনহারে সন্ত্রাসী তাকমা দেবার কোন মওকা পাচ্ছিলনা তারা। এই সুযোগে সারা পৃথিবীতে আবার এই ভাইরাস ছড়িয়ে দিল। আর অতি আবেগি মুসলিমেরা সে ফাঁদে পা দিল। আইএস ধবংসের নামে রাশিয়া যেই ধ্বংসযজ্ঞ চালাল তাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হল এই সিরীয়ার মানুষেরাই।

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: মনে হয় ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। অনেক দিন পরে লিখলাম। তাইপে সমস্যা হচ্ছে।

ধন্যবাদ।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:০৭

রুরু বলেছেন: ট্রাম অমুসলিম বলেই শত্রু।

৬| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৪৮

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: হ্যাঁ। ব্যবসায়ী জাতি। এ জন্যই তো জোর করে অবৈধ উপায়ে বর্ডার ক্রস করে, রেল স্টেশনে শুয়ে পড়ে ইউরোপে ঢুকেছে। এ কেমন জাতি , নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করে। আই এস দমন না করলে যে আরো বেশী ক্ষতি হতো - এটা আপনার মাথায় আসে না? খুবই খোঁড়া যুক্তি দিলেন। ট্রাম্প কারোই শত্রু হয়নি শুধু 'জোর করে আমেরিকায় থাকতে চাওয়া জনগণ' আর জঙ্গি' রাষ্ট্রের জনগণের কাছে ছাড়া...

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৭

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আইএস দমন না হলে ওরা আরো ক্ষতিগ্রস্থ হত সেটা আমিও মানি। কিন্তু ওরা পালিয়ে গেছে জীবন রক্ষার জন্য। আগে কেন ইউরোপ আমেরিকায় আমাদের মত ওদের পাওয়া যেতনা জানেন??

রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে কেন পালিয়ে আসছে?

৭| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৭

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সেটা আপনার নিজের চিন্তা, আমার নয়।

৮| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:৩৯

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সে বিতর্কিত, সে সেভাবেই থাকতে চায়। আমি তাকে পছন্দ করি।

৯| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১২:৪০

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ভাইরে, আপনি কার পাছায় মরিচ ডইলা দিছেন, ট্রাম্পের না হের পুত্রদের(!) বুঝতে পারতাছিনা !

২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: যে যা মনে করে। এটা উন্মুক্ত। তবে বেশি বাড়াবাড়ি কখনোই ভালোনা।

১০| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩১

চাঁদগাজী বলেছেন:


আমেরিকা নিজেদের লোকদের দ্বারা সংগঠিত হত্যাকান্ড নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে; সেখানে তারা নতুন ইমিগ্র‌্যান্টদের নিয়ে ঝামেলায় যেতে রাজী নন; ট্রাম্প সেই সুযোগ নিয়েছে, সেটাতে সে আলোকপাত করছে।

১১| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ৩:৩৮

আরণ্যক রাখাল বলেছেন: অমুসলিমেরা শত্রু!

১২| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:২৯

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: আমেরিকায় বেকারত্ব একটা সমস্যা।

১৩| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ দুপুর ২:৪৬

মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বলেছেন: আপনার সাথে আমি সম্পূর্ণ একমত। ভাল লিখেছেন।

১৪| ০১ লা মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৮

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: শুভকামনা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.