নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করে দিয়েছি চিন্তা করতে করতে। কখনো চিন্তা করার উপযুক্ত সময়ে, কখনো পড়তে বসে এমনকি খেতে বসেও চিন্তা করে সময় পার করেছি। চিন্তা করি নিজেকে নিয়েই বেশি। পরিবার, সমাজ, দেশ ধর্ম, সৃষ্টিকর্তা, বহির্বিশ্ব ইত্যাদি কত ব্যাপর নিয়েই নিজ

চিন্তিত নিরন্তর

নিজেকে নিয়ে বলার মত কিছুই করতে পারিনি। যেদিন পারব, সেদিন ঠিকই বলে দেব।

চিন্তিত নিরন্তর › বিস্তারিত পোস্টঃ

চালের দাম বৃদ্ধি, জনগণ নিরবে মেনে নিয়েছে , আদৌ কি চালের সংকট ছিল বা আছে?

২৬ শে মে, ২০১৭ ভোর ৫:৩৩



এবারের চালের দাম বৃদ্ধির কারণ নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই। হাওর এলাকায় যে ধরণের পরিস্থিতির স্রৃষ্টি হয়েছিল তা অস্বাভাবিক। কেজি প্রতি প্রায় পাঁচ টাকা দাম বেড়েছে। দুই মাস হয়ে গেল দাম কমার কোন লক্ষণ নাই। প্রথম দিকে মিডিয়া , কিছু রাজনৈতিক দল (বাম পন্থী ) ও ব্লগারেরা এ নিয়ে কথা বলেছিল. এখন এমন অবস্থা যেন সবাই এটা মেনে নিয়েছে।
আমাদের দেশে এ ধরণের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কোন গবেষণা হয়না , গবেষণা হলেও সেটা বিশেষজ্ঞ মহলে থেকে যায়। যাদের উদ্ধারের জন্য গবেষণা করা হয় তাদের কাছে এর ছায়াও পৌছুয় না। ছয় সাত বছর পরে সে গবেষক কে দেখা যায় কোনো পশ্চিমা দেশের কোন এক স্বনামধন্য বিশ্ব বিদ্যালয়ে পিএইচডি করছে. তার পাচ্ বছর পরে খবরের কাগজে এও আসতে পারে, কোন এক বাংলাদেশী বংশদ্ভুত ব্যক্তি গবেষণার সাফল্য স্বরূপ সেই পশ্চিমা দেশের সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি লাভ করেছেন. এ নিয়ে ফেসবুকে , ব্লগে বেশ শোরগোল হয় কিছুদিন. কিন্তু সে মহান ব্যক্তিটি বাংলাদেশী বংশদ্ভুত থেকে যায়, বাংলাদেশী হয়না। বরাবরই আমাদের দেশে এমন ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। অন্যদিকে চোর, লম্পট, অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব আর স্বীকৃতি দেখতে দেখতে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, আসলেই কে ভালো আর কে খারাপ তা বোঝা দায়। রাজনৈতিক দলগুলো বটেই বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন এমনকি মসজিদের কমিটিতেও এমন অসাধু লোকেরা সভাপতির আসনে বসে আছে। অথচ এ ধরণের লোকেরাই চাউলের মজুতদারি করে এদেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষের ভোগান্তির কারণ হচ্ছে।
চালের সংকট বেরে যাবার পরে এমন হুলুস্থুল বেধে গেল যে আগামীতে আর চাল পাওয়া যাবেনা। সাধারণ মানুষ যেন চাল কিনে মজুত করার প্রতিযোগিতায় নেমে গেল। কে কোথায় থেকে কত কম দামে চাল কিনতে পারে তা নিয়ে শুরু হল আলোচনা ।বাস্তবে এর থেকে লাভবান হলো মজুতদার ব্যবসায়ীরা। ক্ষতিগ্রস্থ হল যারা দিন আনে দিন খায় , কিংবা অল্প উপার্জনের মানুষ। বাস্তবতা হল , যে সংকটের কথা বলা হচ্ছিল তা কৃত্রিম। বরাবরই এমন ঘটনা ঘটে যখন রমজান মাস আসে। এইবার সুযোগ পেয়েছে প্রাকৃতিক দুর্যোগের অতি আলোচনায়। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য সরকারের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ প্রশংসা যোগ্য। কিন্তু দীর্র্ঘ মেয়াদে যদি চালের দাম না কমে তাহলে এই ক্ষতিগ্রস্থদের সামান্য সময়ের সুবিধা কোনোই কাজে আসবেনা. অতীত ইতিহাস বলে চালের দাম একবার বাড়লে তা আর কমার নাম নেয় না। পরিবহন ভাড়া ব্র্র্দ্ধির ক্ষেত্রেও এমনটা হয়ে থাকে।
বেশি দামে চাল কিনতে গিয়ে কাউকে ফেরত আসতে হয়নি। কিন্তু দাম কম বললে চাল পাওয়া যাচ্ছেনা। তবে মানুষ কি খাওয়া কমিয়ে দিয়েছে? মোটেও না। অভাবে ক্ষতিগ্রস্থরা কমিয়ে দিলেও অন্যরা একটুও কমায় নি. তার মানে চালের দাম বেড়ে গেলো, আবার দাম দিলে সঙ্কটের প্রশ্নই নেই। দাম কম দিলেই যত সমস্যা।
পরিচিত এক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম, তিনি ব্যবসার প্রয়োজনে গত এক দশকের বেশি সময় ধরে চীনাতে যান। আমার তখনো বাইরের বিশ্বের দ্রব্যমূল্য ও পরিবহন ব্যয় ব্র্র্দ্ধি নিয়ে খুব একটা ধারণা ছিলোনা. ভদ্রলোকের কাছে তার অভিজ্ঞতার কথা শুনে আমি রীতিমত থ. তিনি নাকি গত এক দশকে চায়নাতে যেয়ে পরিবহন ব্যয় এক টাকাও বাড়তে দেখেন নি. টাকা তো দূরের কথা, পয়সার অংকেও তিনি কোন ব্র্র্দ্ধি চোখে দেখেন নি। অন্যদিকে আমাদের দেশে দ্রব্যমূল্য বলুন আর পরিবহন ভাড়া ব্র্র্দ্ধি বলুন, বড়মাপের কোন কারণ ছাড়াই একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর মূল্য ব্র্র্দ্ধি হতেই হবে। আর একবার বাড়লে তা আর কমানোর কোন সম্ভাবনা নাই। বাড়িওয়ালার প্রতিবছর বাড়ি ভাড়া বাড়াতেই হবে. এ যেনো এক অলিখিত নিয়ম। আজ অবধি কোন সরকারই এটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। নিয়ণ্ত্রন করার সদিচ্ছা আছে কিনা তাতেও সন্দেহ আছে। কারন অনেক সময়তেই দলীয় লোকজনের এখানে বৃহৎ স্বার্র্থ থেকে থাকে।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে মে, ২০১৭ ভোর ৬:০৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



মানুষের খাদ্যাভাস বদলানোর দরকার; প্রতিবেলা, খাবারের শুরুতে "ভেজটেবল স্যুপ" দুয়ে শুরু করলে, তারপর ভাত খেলে, ১ বেলার চালে ২ বেলা চলবে!

২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ভাল বলেছেন, আলুকে সকলের খাবার উপযোগী করতে হবে। পুষ্টিবিদদের গবেষনা দরকার। ত
দেশীয় শাক সবজি দিয়ে ভাল খাবার তৈরি করতে হবে, সেটা জনপ্রিয় করতে হবে।

২| ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ৮:২৩

দীপঙ্কর বেরা বলেছেন: বেশ চিন্তার

২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ভারত থেকে চাল আমদানি করে চালের দাম কমানো যেতে পারে।

৩| ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: ভাল বলেছেন। আমরা পেট ভরলেই শান্তি, পুষ্টি কতটুকু তা জানিনা।

৪| ২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪

ঢাকাবাসী বলেছেন: করাপটেড কমিশনখোর মন্ত্রী ব্যাবসায়ীদের ধরে কিছু একটা করতেন তাইলে চাউলের দাম ৫-১৫ টাকা বাড়তোনা। পৃথিবীতে সবচাইতে করাপটেড দেশের এই অবস্হা তো হবেই।

২৬ শে মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: এ ব্যবস্থা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, পরিবর্তন হচ্ছেনা। জনগন অসহায়। কোন দলের দোষ দিয়ে লাভ নাই।

৫| ২৬ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৩:০৬

টারজান০০০০৭ বলেছেন: ব্যাবসায়ীরা রাজনীতিবিদ বা রাজনীতিবিদরা ব্যাবসায়ী হইলে এমনই হওয়ার কথা ! আবাল গণতন্ত্রের সুযোগ তাহারা নিবেই ! চীনের উদাহরণ দিলেন , উহা একনায়কতন্ত্রের দেশ। কোনো সফল প্রতিষ্ঠানেই আবাল গণতন্ত্রের চর্চা নাই , থাকিলে তাহা সফল হইতে পারে না ! দেশ কিভাবে সফল হইবে ? বলিতে পারেন , পশ্চিমা বিশ্বে তো গণতন্ত্র আছে ! তাহা আছে, তাহাদের চমৎকার ব্যাবস্থাপনা ও জবাবদিহিতা আছে , আছে জবাবদিহিতা চাওয়া ও নিশ্চিত করার বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় ! আমাদের মিডিয়া ও বুদ্ধুজীবীদের চামচামি করিতেই সময় যায় ! আর বামপন্থী সারমেয়দের কথা আর কি বলিব, ভালো করিলেও ঘেউ ঘেউ করে , মন্দ করিলেও ঘেউ ঘেউ করে ! তাই লোকে এহন আর তাহাদের ঘেউ ঘেউয়ে পাত্তা দেয়না ! নেড়ি কুত্তা খেদানোর জন্য লাথি মারে !

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২০

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: শুভকামনা রইল।

৬| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৬

প্রামানিক বলেছেন: চালের উৎপাদন কিছুটা কম হয়েছে বটে শর্ট পড়ার কথা নয়।

২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৫২

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: মজুতদারদের অত্যচারে সবাই অতিষ্ট। শুধু চাল না, রমজান এলে সব ভোগ্য পন্যের দাম আকাশ ছোয়া। শুভকামনা রইল।

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


খাদ্য, শিক্ষা, চাকুরী ও যাতায়ত ব্যবসার মালিক হতে হবে সাধারণ মানুষকে

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩০

চিন্তিত নিরন্তর বলেছেন: সাধারন মানুষ কে রাজনীতি কখনো এক হতে দেয়নি, দেবেও না। এক না হতে পারলে খাদ্য, শিক্ষা, চাকুরী ও যাতায়ত আমাদের হাতে আসবে না। আপনি ভাল বলেছেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.