নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তৌফিক জোয়ার্দার

তৌফিক জোয়ার্দার

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরেট শেষ করে দেশে ফিরেছি ২০১৫ সালের শেষ দিকে। যারা ফলো করতো, তাদের কাছে বারবারই বলেছি দেশে ফিরবো। সামুতে লিখেওছিলাম এ নিয়ে। অনেকেই সাধুবাদ দিয়েছিলেন, আবার অনেকে প্রকাশ করেছিলেন সন্দেহ ও অনাস্থা। এ ক’টা বছর কেটে গেল ফিরে আসার ধাক্কাটা সামলাতে। অনেক দিন পর আবার এলাম সামুতে। আবারো লেখালেখির দুর্মর আকাঙ্ক্ষা বুকে নিয়ে। আবার ঘন ঘন দেখা হবে বন্ধুরা।

তৌফিক জোয়ার্দার › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেকা ফেরদৌসীর নডুলস ফেটিশ: এক স্থূল রন্ধনশিল্পীর খেয়ালী রেসিপি, নাকি একটি নিগূঢ় বিপণন কূটকৌশল?

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:১৮


কেকা ফেরদৌসী একজন জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী; তার আন্টিসুলভ টোনে, বাচ্চা বাচ্চা তথা অপাপবিদ্ধ কন্ঠের রেসিপি বর্ণনা সবার মনেই তার সম্পর্কে একটি ধনাত্মক উপলব্ধি সৃষ্টি করেছিল। হঠাৎ করেই দর্শকরা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করল, তিনি যেন বাংলার যাবতীয় খাদ্যে নডুলসের ব্যবহারকে অপরিহার্য করে তুলছেন। তার স্থূলকায় গাল, হাত ও শরীর এড়িয়ে একটু পেছনের দিকে দৃষ্টি পড়তেই দর্শকের নজরে পড়ল- ’ডেকো নুডলসের রকমারী রেসিপি: তারকা রান্না’। আর যায় কোথায়! বাঙ্গালিকে এত বোকা ভাবা কি ঠিক? সে ঠিকই দু’য়ে দু’য়ে চার মিলিয়ে যা বোঝার বুঝে নিল।



সাথে সাথে বাঙ্গালির মর্দাঙ্গি দেখানোর একমাত্র ক্ষেত্র ফেসবুকে যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ল ট্রল করতে। এদিকে কিছু সুশীল শ্রেণীর সদস্যকে কেকা ফেরদৌসীর বাংলাদেশের রান্নায় অবদান, আন্তর্জাতিকায়ন, ফিউশন- ইত্যকার নানা অযুহাত তুলে তাকে সুরক্ষা দিতেও দেখা গেল।

আমি বরাবরই গরম গরম বিষয়গুলো নিয়ে তাওয়া গরম থাকা অবস্থায় মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকি। বরং বিশ্লেষণাত্মক দৃষ্টি নিয়ে ঘটনার গতিপ্রকৃতি পর্যবেক্ষণে আমার আগ্রহ বেশি। কেকা ফেরদৌসীর রেসিপি নিয়ে নিন্দা-মন্দ একটু থিতিয়ে আসতেই আমার হাতে এসে পড়ল, Michael Moss-এর পুলিৎজার পুরষ্কার পাওয়া একটি বই- Salt Sugar Fat: How the Food Giants Hooked Us। এর কিছু অংশ পড়ে আমেরিকার পনির উৎপাদন ও বিপণনের এক চেপে যাওয়া ইতিহাসের সাথে কেকা ফেরদৌসীর নডুলস জনপ্রিয়করণ প্রকল্পের কিছু আশ্চর্যজনক মিল খুঁজে পেলাম। পাঠকের সাথে সেটি ভাগাভাগি করতেই এ লেখার অবতারণা।



চীজ তথা পনির বিশ্বের প্রায় সব এলাকার মানুষের কাছে সুপরিচিত ও বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। ইউরোপের বেশ কিছু দেশে খাবারটি কেবল সকালের নাস্তা বা প্রাতঃরাশের সাথেই খাওয়া চলতো শত শত বছর ধরে। আমেরিকাতেও এটি খাওয়া হতো প্রধাণতঃ বাড়িতে মেহমান আসলে, মূল খাবারের (মধ্যাহ্ণভোজ অথবা নৈশভোজ) আগে ক্ষুধাউদ্রেককারক হিসেবেই। আর পনিরের উৎপাদন হতো গ্রামের খামারবাড়িগুলোতে গরুর দুধের উপজাত হিসেবে। ১৯১২ সালে জেমস লুইস ক্র্যাফট (যার বদৌলতে আজকের জনপ্রিয় পনিরের ব্র্যান্ড Kraft Cheese এর নামটি এসেছে) প্রথমবারের মতো শিকাগো শহরে বাণিজ্যিকভাবে পনির উৎপাদন ও বিক্রয় শুরু করেন। ১৯৭০ সালে পনির উৎপাদনের এনজাইমটি পৃথক করে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হলে ক্র্যাফটের ভাগ্য হঠাৎ করেই খুলে যায়, পনিরের উৎপাদন এক লাফে ৭০% বৃদ্ধি পায়।

ক্র্যাফটের ভাগ্য খুলে গেলেও অন্যদিকে নতুন এক সমস্যার উদ্ভব হয়। অতি অল্প সময়ে এত বেশি পরিমাণে পনির উৎপাদিত হতে থাকায় টনের পর টন পনির ও আরও নানা দুগ্ধজাত পণ্যে সয়লাব হয়ে যায় গুদামগুলো। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে, সরকারের পক্ষে এত উদ্বৃত্ত দুগ্ধজাত দ্রব্য গুদামজাত রাখতেই খরচ হয়ে যেতে থাকে বছরে ৪ বিলিন ডলার! জায়গার অভাবে ক্যানসাসের এক পরিত্যক্ত চুনাপাথরের খনিতে উদ্বৃত্ত দুগ্ধজাত সামগ্রী মজুদ করে রাখতে বাধ্য হয় আমেরিকান সরকার। এ দুগ্ধজাত খাবার, বিশেষ করে পনির কীভাবে মানুষের ভোগে লাগানো যায়- তা নিয়ে সরকার ও পনির উৎপাদকরা দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে।

এ অবস্থায় ক্র্যাফট কোম্পানি এক অভিনব ফন্দি বের করে। তারা ঠিক করে, মানুষ যে প্রক্রিয়ায় পনির খায়, সে পদ্ধতিতে খেতে থাকলে এত পনির কোন দিনও বিক্রি করে শেষ করা যাবেনা। কাজেই পরিবর্তন করতে হবে মানুষের খাদ্যাভ্যাস। কী করে তা করা হবে? তারা সিদ্ধান্ত নিল, শুধু খাবার হিসেবে নয়, পনিরকে পরিচিত করে তুলতে হবে খাবারের ইনগ্রেডিয়েন্ট বা খাদ্যপ্রস্তুতকরণ উপাদান হিসেবে। এটি করা গেলে মানুষ তখন সব কিছুর সাথে কম বেশি পনির মিশিয়ে খাওয়া শুরু করবে।

কিন্তু প্রশ্ন হলো, এত দ্রুত কী করে মানুষের খাদ্যাভ্যাসে এমন আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব? বিপণন প্রতিভাগণ তখন এটিরও সমাধান নিয়ে এগিয়ে এলো। তারা এমন উদ্ভট খাদ্যকে জনপ্রিয় করতে টেলিভিশনে চালু করল রান্নার অনুষ্ঠান- যার শ্লোগান ঠিক করা হলো-'রিয়েল ওম্যান'। ক্র্যাফটের অর্থায়নে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থাপিকা হিসেবে হাজির করা হলো জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী 'পলা ডীন'কে। অনুষ্ঠানটির নাম হলো- 'পলা'স হোম কুকিং'। স্পনসরের অঙ্গুলিহেলনে পলা দিনে দিনে জনপ্রিয় করে তুলল এমন সব খাবার, যা ক্ষতিকর স্যাচুরেটেড ফ্যাটে পরিপূর্ণ। নানা হাস্যকর রেসিপিতে সয়লাব হতে লাগল তার একেকটি এপিসোড। তার নিজের অনুষ্ঠানের বাইরেও ক্র্যাফটের গোপন অর্থায়নে নির্মিত নানা টক শো, কুইজ শো, গেম শো ইত্যাদিতেও ঘন ঘন দেখা যেতে লাগল পলা ডীনকে।

বলাই বাহুল্য, পনিরের ব্যবহার গেল ঘরে ঘরে বেড়ে, আর ক্র্যাফটের এ্যাকাউন্টও উঠল ফুলে ফেঁপে। পলা ডীনকে নিয়ে সে সময় আমেরিকায় আমাদের কেকা ফেরদৌসীর মতো হাসি ঠাট্টা হয়েছিল কিনা জানিনা, তবে হলে হয়ত সেটা তার জন্যই ভালো হতো। কারণ, প্রায় এক দশক অনুষ্ঠান চালানোর পর এক টক শোতে সে স্বীকার করলো, প্রায় তিন বছর আগে থেকে সে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়েছে। পুষ্টি বিশেষজ্ঞরা জানালেন, পলা যে খাবারগুলো আমেরিকার ঘরে ঘরে জনপ্রিয় করে তুলেছে, সে খাবারগুলোই ডায়াবেটিস রোগের অব্যর্থ সদর দরজা।

আমি জানিনা আমাদের কেকা ফেরদৌসীও এমন কোন বিপণন 'প্রতিভা'র পাল্লায় পড়ে নডুলসের মতো একটি নাস্তার আইটেমকে দৈনন্দিন খাবারের অপরিহার্য অনুষঙ্গ বানিয়ে তোলার মিশনে নেমেছেন কিনা। তবে তার কর্মকান্ডের সাথে পলা ডীনের রান্নার অনুষ্ঠানের মিলটিকে অন্তত আমি অগ্রাহ্য করতে পারছিনা। আর যাই হোক, এই জনপ্রিয়, আন্টিসুলভ, বাচ্চা বাচ্চা কন্ঠের রন্ধনশিল্পীটির কোন মরণব্যাধি কিংবা অকালমৃত্যু- কোনটিই আমি প্রত্যাশা করিনা। আমি আশা করবো জনসাধারণ হঠাৎ জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কোন খাবার বিনা প্রশ্নে ভক্ষণ করা শুরু করে দেবেনা; আর কেকা ফেরদৌসীরা হবেনা কোন মার্কেটিং জিনিয়াসের উর্বর মস্তিষ্কজাত উদ্ভট মার্কেটিং হাইপের গণধিকৃত ক্রীড়নক।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৩৭

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: আপনার কথা ঠিক আছে।বাজারজাতকরনের এইটাও একটা কৌশল ।।।
মানুষকে চিত্রাকর্ষন করা মানুষের মনোযোগ তাদের দিকে নেয়া।।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২১

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ।

২| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩০

কল্পদ্রুম বলেছেন: নতুন একটা দিক দিয়ে এই বিষয়ে আপনার বিশ্লেষণ ভালো লাগলো।রান্নার রেসিপি নিয়ে এত মাতামাতি করা কি বেশি বেশি হয়ে যাচ্ছে না!এটা তো ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের বিষয়।যার ইচ্ছা রান্না করবে,যার ইচ্ছা খাবে।যার ইচ্ছা সেটা নিয়ে প্রোগ্রাম করবে!তাতে আমজনতার কি!

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৪

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আমিও আপনার সাথে একমত যে রান্না ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের বিষয়; তাই কেকা ফেরদৌসীকে নিয়ে যখন ট্রলের বন্যা বয়ে গিয়েছে, আমি কোথাও একটি কথাও বলিনি বা লিখিনি। কিন্তু এর যে একটা জনস্বাস্থ্যহানিকর দিক থাকতে পারে তা উপলব্ধি করার পর সচেতনতামূলক একটা লেখা লিখলাম।

৩| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪৫

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: ভালো একটা পয়েন্ট তুলে ধরেছেন যে এসব কি বিপনন কৌশল কিনা, সাথে কিছু তথ্য ও দিয়েছেন।

তবে একটি কথা বলতে চাই,
"ফোলা ফোলা গাল, হাত ও শরীর" তার শারীরিক গড়ন সম্পর্কে এই কথাগুলো একদম ই ভালো লাগেনি।

তাঁকে নিয়ে আমার একটি লেখা আছে, চাইলে পড়তে পারেন

প্রিয় অপ্রিয় "কেকা ফেরদৌসী"

এবং তাঁর নামের বানান টি "কেকা ফেরদৌসী" হবে। ঠিক করে নিয়েন ভাইয়া।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আপনার সম্মানে ‘ফোলা ফোলা’ শব্দবন্ধের পরিবর্তে ‘স্থূলকায়’ শব্দটি লিখলাম। উনি স্থূলকায় এ বিষয়ে তো কোন সন্দেহ নেই। তাছাড়া এর মাধ্যমে তাকে অসম্মানও করছিনা; কেবল একটি চিত্রকল্প ফুটিয়ে তুলেছি পাঠকের জন্য।
নাম শুধরে দেবার জন্য ধন্যবাদ। আমি অনলাইনে যেখানে দেখেছিলাম সেখানে ফেরদৌসি ছিল। আরো কয়েক জায়গায় দেখে এখন ঠিক করে দিলাম।
আপনার লেখা অবশ্যই পড়ে দেখব। সাথে থাকুন।

৪| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:২৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

মোগল সম্রাট বলেছেন: সব কর্পোরেটের দালাল; এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার সুদুর পরিকল্পনা।

১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৬| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সুন্দর কথা বলেছেনতো।

+++++

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩১

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সহমত।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৩৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ।

৮| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৮

রানা আমান বলেছেন: পুরোপুরি সহমত নই । বিপনন কৌশল হিসেবে ঠিক ই আছে তবে কেকা ফেরদৌসীর নুডলস বিষয়ক প্রোগ্রাম আমি দেখেছি কয়েকটা ( অন্যকোনো সময়কাটানোর যুৎসই অনুসঙ্গ না থাকায় ) এবং নুডলস খাবার আগ্রহটাই চলে গেছে । কেকা ফেরদৌসীর নুডলস বিষয়ক প্রোগ্রামগুলো যদি দেখে থাকেন আপনি , সত্যি করে বলুনতো উনার বানানো নুডলসের ডিশগুলো আদৌ খেতে আগ্রহবোধ করেন কি ?

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: একটা কথা আছে, নেগেটিভ পাবলিসিটিও পাবলিসিটি। সে অর্থে, কেকা ফেরদৌসীর রান্না করা নডুলসের বিচিত্র খাবারগুলো খেতে যেমনই হোক, নডুলসের নামটা তো ছড়িয়েছে। তাই আমার মনে হয় বিপনন কৌশল হিসেবে এটা মন্দ ছিলনা।
আমি রান্নার অনুষ্ঠান দেখিনা, তাই কেকা ফেরদৌসীর রান্নার অনুষ্ঠানও দেখা হয়নি। তবে ফেসবুকে আর ইউটিউবে যতটুকু দেখেছি, উনার ডিশগুলো খেতে কখনােই আগ্রহ বোধ করিনি।
ধন্যবাদ।

৯| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:২১

ক্স বলেছেন: নুডুলস আমরা যেভাবে খেয়ে অভ্যস্ত, সেভাবেই এটা সবচেয়ে সুস্বাদু। নুডুলস নিয়ে এক্সপেরিয়েন্সের কিছু নেই। রন্ধন শিল্পীরা আন্তরিক হলে আলু, কচু, তরিতরকারি এগুলো দিয়ে কুইক ফুড কিভাবে বানানো যায় সেই বুদ্ধি বের করতে পারেন। কারণ রান্না করার জন্য দরকারী সময় মানুষের হাতে দিন দিন কমে যাচ্ছে।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৫

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: একদম ঠিক।

১০| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪৫

জগতারন বলেছেন:



আমি সাধারনত ব্লগ পড়ি, মন্তব্য তেমন একটা করা হয় না।
বাংলা টাইপিং-এ দুর্বল আর প্রবাস জীবনের ব্যাস্ততা ও কারন।
কিছু ব্লগারদের লিখার মন্তব্য দেওয়া একান্তই প্রয়োজনঃ

তাই ব্লগার তৌফিক জোয়ার্দার-কে অভিনন্দন
এমন সুন্দর জন সচেতন মুলক একটি পোষ্ট দেয়ার জন্য।
কেকা ফেরদৌসীর নুডলস বিষয়ক প্রোগ্রামগুলো-এর কিছু আমি দেখেছি;
এ গুলো খাদ্য না বলে কুখাদ্যই বলা চলে।
এই মহিলা যে হারে মোটা হতে চলেছে, এ সমস্ত খাবার খেতে থাকলে
আমার মনে হয় আর কিছুদিন পরে তো সে আর বিছানা থেকেই উঠতে পারবেনা।

এই ব্লগে কথার ফুলঝুরি!; মানে বাচালতা না হলেই হয়।
ব্লগ লেখকের বারতা বুঝতে পারলেই ঝামেলা শেষ।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ৯:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: টিভিতে দেখানো বেশীরভাগ রান্নাই কেউ বাস্তবে ট্রাই করে বলে মনে হয় না। করলে এতদিনে আলু জনপ্রিয় হত! তার উপর নুডলস দিয়ে এই অদ্ভূত রেসিপিগুলো হাসিরই সৃষ্টি করেছে...

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪৭

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ঠিক। ধন্যবাদ।

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: উনার ক্ষেত্রে উল্টা হয়েছে। উনার প্রোগ্রামের এক দুটা এপিসোড দেখার পর নুডুলস খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। নুডুলস খেতে গেলেই উনার উদ্ভট রেসিপিগুলো মনে পড়ে যায়।

১৭ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৯

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: :D :D :D

১৩| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:২৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: @জগতারন বলেছেন: ব্লগে কথার ফুলঝুরি!; মানে বাচালতা না হলেই হয়।
ব্লগ লেখকের বারতা বুঝতে পারলেই ঝামেলা শেষ----- এক্সকিউজ মি, জগতারন ভাই, আপনি কি আমাকে কিছু বললেন ?

১৪| ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:২০

হাঙ্গামা বলেছেন: আমার কাছে ও শুরু থেকেই মনে হইছিলো যে ঐসব মুরগির দুধ টুধ কিছু না, সবই আসলে নুডুলস বিক্রির ধান্ধা।

১৮ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: জ্বী, আমারো তা-ই ধারণা। ধন্যবাদ।

১৫| ২২ শে জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:২৩

সিনথিয়া আফরিন বলেছেন: ধন্যবাদ, এমন জ্ঞানগর্ভ একটি লেখার জন্য ।। আশা করি ভবিষ্যতেও পাব ।।

২৩ শে জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৪১

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

১৬| ২৩ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৬

বাকপ্রবাস বলেছেন: অতপর কেকা হয়ে উঠল লেডিস গোপাল ভাড়

২৫ শে জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩

তৌফিক জোয়ার্দার বলেছেন: :D

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.