নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আবেগ ও অনুভূতি খুব ঠুনকো ! ক্ষনে ক্ষণে রুপ বদলায়। ক্ষণে ক্ষণে উৎস বদলায়।

তওসীফ সাদাত

কল্পনায় যদি বাস্তবতার স্বাদ পাওয়া যেত। তবে বাস্তবতায় কেউ টেনে হিচড়েও কাওকে রাখতে পারতো না।

তওসীফ সাদাত › বিস্তারিত পোস্টঃ

হতাশার কাব্য-৩

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:৪৩

হতাশার কাব্য-১

হতাশার কাব্য-২



আমাদের জীবন টাই এমন। আমরা চাই বা না চাই। তাতে জীবন এর কিছু আসে যায় না। তার এমন হতেই হবে। শুরু থেকেই তার এমন কিছু যেন ঠিক করে রাখা। আমরা অনেক কিছু পাবো বলে আশা করি, পাই না। আবার পেলেও, একটা সময় সেই প্রাপ্তির প্রতি মায়া হারিয়ে ফেলি। আমি এখানে এক্সেপ্সনাল ব্যাপার টা আলোচনায় আনছি না। সাধারণত যা দেখেছি, তাই বলছি। যাই হোক, জীবন টা এমনই যে তৃপ্তি শব্দ টা শুধু লেখালেখি,আর কথাবার্তায় বেশ সুন্দর ভাবেই মানিয়ে যায়। কিন্তু যখন ব্যাপার টা আসে মানসিকতায় তখন তৃপ্তি শব্দ টা কেমন যেন অচেনা লাগে। আসলে, যত দিন যাচ্ছে, তত আমাদের চাওয়া পাওয়ার সুযোগ বাড়ছে, যার ফলে অতৃপ্ত সত্ত্বার সংখ্যা বেরে চলেছে। আমরা স্বপ্ন দেখি, লক্ষ নির্ধারণ করি জীবনের। কিন্তু সে অনুযায়ী হয়তো সময় ও পরিস্থিতি আমাদের অনুকূলে থাকে না বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই। যার ফলে জন্ম নেয় হতাশার। অনেক কিছুই আমরা চাই আমাদের মত করে। কিছু ব্যাপার অতি ক্ষুদ্র, হলেই কি না হলেই বা কি। সেসব ব্যাপার নিয়ে বলছি না আমি। যদিও একটা কথা প্রচলিত আছে,

ছোট ছোট বালুকণা,বিন্দু বিন্দু জল...

গড়ে তলে মহাদেশ, সাগর অতল।

ছোটবেলায় ভাবসম্প্রসারন পড়েছিলাম এটা। যাই হোক,যে গুলো খুব বেশি প্রভাব ফেলে, সে গুলোর কথাই বলি। যেমন কারও স্বপ্ন ছিল সে ডাক্তার হবে,ইঞ্জিনিয়ার হবে, অথবা কেও চেয়েছিল সৃজনশীল কিছু করতে, সময় ও পরিস্থিতির কারণে, সুযোগ এর কারণে হয়তো হয়ে ওঠেনি বা নিজের যথেষ্ট পারদর্শিতার অভাবে সে নিজের পছন্দসই পথ বেঁছে নিতে পারেনি।এখানে আমি যথেষ্ট পারদর্শিতা বলতে বুঝাতে চেয়েছি যে, মানুষ চাইলেই একটা কিছু করতে পারে না।বিভিন্ন ভাবে বাঁধা পায়। সব বাঁধা অতিক্রম করে কজন ই বা এগুতে পারে?

হুম, বলতে পারেন, বাঁধা তো আসবেই। তাই বলে থেমে থাকা চলে ?

কোনকিছু নিজের মত করে সাজিয়ে নিতে হলে অনেক বাঁধা পেরুতে হয়। এখন, একটা মানুষ এর প্রতিভা আছে একটা ব্যাপারে ধরলাম। তাই বলে শুরু থেকেই কি সে সবাই কে মুগ্ধ করে ফেলতে পারবে খুব সহজেই ?

তাকে তো সেই প্রতিভা বিকশিত করার সুযোগ টা অন্তত দিতে হবে?

আমার মতে কোন সৃজনশীল কাজ জোর করে হয় না। যথেষ্ট সুযোগ এর অভাবে এমন অনেক সৃজনশীল মানুষ এর সৃজনশীলতা দিন দিন চাপা পরে যাচ্ছে সমাজের সামাজিকতা নামক বিষবৃক্ষের তলে। কেউ সেই গাছ টা এক মুহূর্তের জন্য উপড়ে ফেলে দেখবে না। কারণ সেটা উপড়ে ফেললে সামাজিক জীব দের সামাজিকতা নষ্ট হয়ে যাবে বইকি।

এখানে বলে রাখা ভাল, আমি নিজেকে প্রতিভাবান বলছি না। যে আমি সুযোগ এর অভাবে কিছু একটা করতে না পেরে হার মেনে নিয়ে লিখতে বসে ঝাল ঝাড়ছি।অনেকেই হয়তো বলবেন যে আমি পারিনি বলে লিখে ঝাল ঝারার চেষ্টা করছি। তাই আমিই বলে দিলাম। আসলে আমি ঠিক ই আমার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু আমি এখানে যারা সুযোগ পায়না তাদের কথা বলতে বসেছি। নিজের কথা না। সমাজে খুব কম মানুষই সুযোগ পায় ইচ্ছে মত জীবন কে সাজিয়ে নিতে। জীবন এর দৌড় এ ছিটকে পরা সত্ত্বা গুলো ডুবে যায় হতাশা নামক নদী তে। আপাত দৃষ্টিতে যে নদীর কোন পাড় নেই বলা যায়। একবার টুপ করে সেই নদী তে পরলে পুরপুরি মুক্তি পাওয়া প্রায় অসম্ভব বলে ধরে নেওয়া যায়।

আপাত দৃষ্টিতে জীবনের সব চেয়ে সফল ব্যক্তিটি ও মন থেকে বলতে পারবে না যে সে একদম ই হতাশ নয়, বা পুরপুরি সফল। সফলতা কেন! প্রায় সব ব্যাপারই আপেক্ষিক। এক্ষেত্রে বিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইন এর আপেক্ষিকতার সূত্র ভাল ভাবে খাপ খেয়ে যাবে, হোক সেটা ফিজিক্স এর কোন সূত্র। কিন্তু বাস্তব জীবনেও যে আপেক্ষিক শব্দটা সব কিছুর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তা আমরা বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি। আইনস্টাইন কে এক্ষেত্রে সমাজবিজ্ঞানী বলেও চালিয়ে দেওয়া যাবে।

আমার একটা ধারনা আছে। পৃথিবী তে সব কিছুই সমতায় আছে। প্রয়োজন মত সব ব্যাপারে ই বেশ সুন্দর ভাবে সমতা মেনে আছে। সেই সমতায় বাঁধা পরলে বা ভেঙ্গে দিলে যত বিপত্তি বাঁধে। তেমনি মানুষ এর চাওয়া পাওয়া তেও সমতা করে দেওয়া আছে বলে মনে হয় আমার। সৃষ্টিকর্তা বলে কেও আছেন কি না। আমি সে আলোচনা ইচ্ছে করেই পাশ কাটিয়ে যাচ্ছি।আমাকে কেও নাস্তিক বলে ঘোষণা যদি দিয়েও ফেলেন এ কারণে, আমি কিছু মনে করবো না। কারণ, আমরা বাঙালিরা নিজের চরকাতে তেল দিতে পারি আর না পারি, ওপরের চরকাতে তেল ঢালার সুযোগ পেলে হাতছাড়া করি না। হয়তো বলবেন,আমি এখানে আপনাদের তেল দিচ্ছি কি না! তা নয়। আমি আসলে আমার ধারনা বা আমার চিন্তাধারা আপনাদের সাথে ভাগাভাগি করে নিচ্ছি, এবং তা কতটুকু যৌক্তিক তা বুঝতে চাচ্ছি বা পারবো আপনাদের মন্তব্য থেকে। যাই হোক, যা বলছিলাম। যদিও পৃথিবীতে সমতা কে করেছে, বা কিভাবে হয়েছে, তা রহস্য। তবুও, আমার কেন যেন বিশ্বাস করতে ভাল লাগে যে পৃথিবীতে খুব সুন্দর ভাবে সমতা বিধান করে দেওয়া ছিল। আছে বলছি না কারণ আমরা সবাই জানি ও দেখছি। বর্তমানে মানুষ এবং পুরো দুনিয়ার অবস্থা দেখলেই বুঝা যায় ব্যাপারটা। সমতা আমার মতে একটি প্রধান কারণ বর্তমান অরাজকতা এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। আমি যার জন্য এই কথা টা বলেছি সে কথায় আসছি, আমার মনে হয় যে মানুষ এর চাওয়া পাওয়া গুলো ও সমতা মেনে চলে। আপনি কিছু পেলে, তার বিনিময়ে আপনাকে কিছু হারাতে হবে। দুনিয়াতে আমরা সবাইই শূন্য হাতে আসি, আবার শূন্য হাতে যেতে হবে। দুটো ক্ষেত্রেই মিল আছে। দুনিয়ার চাওয়া পাওয়ার হিসেব কশতে কশতে আমাদের জীবনকাল কেটে যায়। বাস্তবতার সম্মুখীন হয়ে আমরা জীবনটা চাওয়া পাওয়ার হিসেব করে কাটিয়ে দেই। আর সংগ্রাম চলে যেটা পাই না,বা পেতে চাই তা পাওয়ার। এর মাঝে কত অপ্রাপ্তি জমতে থাকে। আবার পেয়েও হারিয়ে ফেলার কারণে বা না পাওয়ার কারণে জমতে থাকে হতাশা ও। প্রাপ্তির আনন্দ ও পাই না যে, সেটা নয়। পাই, তবে অপ্রাপ্তির দুঃখটা বেশিই মনে ধরে আমাদের। এ ক্ষেত্রে একটা কথা বলি, আমার ধারনা, মানুষ পাওয়ার আনন্দ এর চেয়ে না পাওয়ার দুঃখ বেশি অনুভব করে। মানে আমি বলতে চেয়েছি, একটা জিনিস যা পেলাম না বলে আমি ব্যথিত হলাম। সেটার সমতুল্য কোন জিনিস পেয়ে সে পরিমাণ আনন্দ হয়তো পাবো না। পাওয়ার আনন্দ ও না পাওয়ার দুঃখ সমান কিন্তু বিপরীত একক দিয়ে তুলনা হয় না। দুঃখ টা সবসময়ই বেশি কাজ করে, আনন্দের থেকে। আমার জানা মতে সবার ক্ষেত্রেই এমন হয়। আসলে যা বলেছি বা বলতে চেয়েছি সবই ছিল একটি কারণে। আমাদের অন্তর এর অন্তঃস্থল এ আমরা সবাই ই হতাশা পুষি,কেউ কম আবার কেও বা বেশি। আবার আমরা কেও ই বলতে পারবো না(দুনিয়ার সামনে অনেক সফল হতে পারলেও) যে আমরা সত্যি অনেক বেশি সফল হয়েছি জীবনে। কারণ জীবনে সফলতা আর্থিক, কিন্তু মানসিক সফলতা ? সেটা কি অর্থ দিয়ে মেলে ? কি মনে হয় ? আমার উত্তর, না।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ২:০৪

স্বপ্নবাজ অভি বলেছেন: কাব্য না প্রবন্ধ !
লিখা ভালো লেগেছে !

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৮

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ অভি ভাই।


নামকরণ এর পেছনে রহস্য আছে :)

২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭

হাসান মাহবুব বলেছেন: বেশ গুছিয়ে লিখেছেন।

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৪:৩৬

তওসীফ সাদাত বলেছেন: চেষ্টা করেছি।

ধন্যবাদ সময় করে পড়বার জন্য :)

৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



চালিয়ে যান , লেখায় আত্মতৃপ্তি একটা ভাব আছে।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২০

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভকামনা জানবেন :)

৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৮

মামুন রশিদ বলেছেন: ভাল লেগেছে আপনার আত্মবিশ্লেষণ ।

২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ৮:২২

তওসীফ সাদাত বলেছেন: ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম মামুন ভাই :)

ধন্যবাদ আপনাকে :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.