নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমিত্ব কে আবিষ্কার করা...

তাওিহদ অিদ্র

জীবন অর্থবহ...

তাওিহদ অিদ্র › বিস্তারিত পোস্টঃ

নতুন ভাষার জন্ম”দিতে পারা যায় যেভাবে______

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ১০:৩৮






নারী এবং ওয়ার বা ব্যাটলফিল্ডে লিঙ্গনিরপেক্ষতার প্রেক্ষিত—
আজকাল নারীরা সোলজার হিসাবে প্রায় সভ্য দেশে লিঙ্গনিরপেক্ষ চাকরি ও সুবিধার ক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই তাদেরকে সহযোগিতা করা।একই সাথে মানুষ হিসাবে যেকোন কাজে অংশগ্রহণ ও চ্যালেঞ্জ নেয়ার সমকক্ষতা যে একই তা প্রমাণ করা।নারী ও পুরুষ এই লিঙ্গকাহিনী নতুন করে ফাঁদার প্রয়োজন মনে করি না।মানুষের মর্যাদায় কোন লিঙ্গ নাই।এটাই স্ট্যাবিলিশড।

আসল প্রেক্ষিতে আসা যাক,যুদ্ধে তাদের পেশাগত দায়িত্বপালনের ক্ষেত্রে লিঙ্গখোঁজা হবে কিনা?যুদ্ধের মাঠে ঘায়েল করাই প্রধান অস্ত্র।সশস্ত্র বা খালিহাতে কনফ্রন্টেশন বা মুখোমুখি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে কি কোন যৌননির্যাতন বা অন্যকোনকিছু খোঁজা হবে কিনা?জেনেভা বা হেগ কনভেনশনেও সরাসরি নির্দেশনা এ ব্যাপারে না থাকলেও ধরে নিতেই হবে এ ব্যাপারে অন্যদশটা নির্দেশনার মতোই কাজ করবে।

যুদ্ধের সাধারণ নিয়তি হচ্ছে নারীরা সবসময় যৌনহয়রানির শিকার হয়।কিন্তু এখানে বেসামরিক নারীদের কথা বলা হচ্ছে।সামরিক নারীদের ক্ষেত্রেযৌন হয়রানি শব্দটা কতোটা প্রেক্ষিত দাবী করে?যুদ্ধের ময়দানে সত্য-মিথ্যা বলে কোন মিথ থাকে না।পরস্পর ঘায়েল করাই একমাত্র ফলাফল।তাহলে কোন নারীসৈনিক যদি পুরুষকে বন্দি করে পাশবিক নির্যাতন করতে পারে,পুরুষকে এখানে যৌনহয়রানি করতে পারে।পুরুষকে বলতে পারে দিনে দশবার করে আমার সঙ্গে যৌনমিলন করতে হবে।চমকায় যাচ্ছেন—সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে ইরাক যুদ্ধে আমেরিকার এক নারী সৈনিক।আমি নারী সৈনিক শব্দটি ব্যবহার করছি বুঝার জন্য।সৈন্য বললে এখন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে আছে এটা বুঝতে হবে।সেদিকেই বিশ্বআগায় যাচ্ছে।যাকে সেই নারী সৈন্যের বিচার হয়েছে সামরিক নিয়ম না মানায়,কিন্তু যৌন হয়রানির জন্য তার বিচার হয়নি।পুরুষ হলে কিন্তু উল্টোটা হতো!সামরিক এবং যৌন হয়রানি দুটোই সামনে আসত।

এখানে নতুন ভাষা আবার কি??!!
দেশীয় প্রেক্ষিতে আসি—বাংলাদেশের সমাজচিত্রে নারী নিগৃহীত হওয়া মানে শতভাগ ধরে নিতে হয় পুরুষ কতৃর্ক নিগৃহীত হওয়া।কিন্তু গত চারদশকের পরিবর্তিত সমাজচিত্রে অবস্থাটা খুব দ্রুতই এসটার্ণ দিচ্ছে।আর একদশক গেলে অবস্থাটা এসটার্ণদিবে কোন সন্দেহ নাই।অবস্থাটা কি?—এখানে নারী মানেই অবলা।এই অবলা শব্দটি মুলত ঘায়েল করা শব্দই।করুণাও বুঝায়।এখানকার সমাজে নারীরা কোন সুযোগ সুবিধা পায়নাই তাই সর্বোতভাবে চ্যালেঞ্জ পাওয়া যায় নাই।

কিন্তু অবস্থাটাতো পাল্টাচ্ছে।সেই পরিবর্তিত অবস্থায় যেখানে সমানাধিকার ও সমানসুযোগ সামনে চলে আসছে সেক্ষেত্রে এই অবলা শব্দটির প্রেক্ষিত আর থাকছে না।নারীরা এখন দেদারসে ঘুষ খায়,দুনীর্তি করে,অস্ত্র-মাদক,ছুরি চালানো,হত্যা,যৌনটার্মগুলোকে যথেচছব্যবহার করছে সেক্ষেত্রে তার এই অবলা শব্দটির আর পানি পাবে না।তখন এইরক একটা প্রেক্ষিত দাঁড়াবে –জীবনযুদ্ধ ও ব্যাটল বা ওয়ার ফিল্ড।তাহলে সেক্ষেত্রে লিঙ্গ খুঁজা যাবে না।নারী-পুরুষ এমনটা ভাবা যাবে না।যুদ্ধের মাঠে ঘায়েলই দুতরফাই একমাত্র লক্ষ্য।সেক্ষেত্রে নারী –পুরুষ উভয়েই যৌনহয়রানির টার্ম থেকে মুক্ত থাকবে।ধরুণ মারামারিতে অংশগ্রহণ করার পর স্তনে বা যৌনাঙ্গে আঘাত এমনটা বলা যাবে না।শারীরিক আঘাত হয়েছে এমনটা বলতে হবে।যেখানে নারী স্বয়ং পুরুষের বীচিতে লাথি মারতে পারতেছে,ঘাড় থেকে কোপ দিয়ে মাথা ফেলাই দিতে পারতেছে।ফাইটিং মুভমেন্টে নারী –পুরুষ উভয়েই লিঙ্গনিরপেক্ষ ফাইটার।ফাইটার শব্দটিই আসল।নারী শব্দটি এখানে গৌণ।

এ ভাষা ধারণ করে নারী-পুরুষ উভয়কে এগোতে হবে।এমনও দেখলাম মোবাইলে কথা বলার মাধ্যমে পুরুষ নারীর মাথা ফাটাই দিছে!!!

বলছি—এখানেই নতুন ভাষা জন্ম নেবে।নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রস্তুত হোন।

নতুন ভাষার একিভুত হতেই হবে।নতুবা অন্যরকম একটা বৈষম্য গেড়ে বসবে।যদি বৈষম্যের বিরুদ্ধে সবাই লড়তে চায় তাহলে বৈষম্যের নুতন টার্মকে নিয়েই আগাতে হবে।নইলে নারী ও পুরুষ এমন আলাদা মনোভাব দীর্ঘদিন স্থায়িত্ব পাবে।এইস্থায়ীত্ব টিকতে না দেয়াই এই নতুন টার্র্মের ভাষা সবাইকে জানতে হবে।সামনে এই ভাষায় সবার জন্য নিয়ামক হিসাবে কাজ করবে।নারী-পুরুষ এরকম শব্দকে ঘিরে কোন সুবিধা আদায় নয়।

মোট কথা অপরাধের কোন লিঙ্গ নাই।সেই অপরাধের কোন লিঙ্গান্তর সুবিধা নাই।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:৩১

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: প্রথমত, নারীরা আপনার প্রস্তাবিত ভাষা গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না। তারা এখনো নিজেদের সুবিধামতো নারীত্ব ব্যবহার করতে চায় বা করে থাকে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশ উন্নত বিশ্ব থেকে এখনো অনেক পিছিয়ে। জনগণের শিক্ষা, বাসস্থান, চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার পুরনো রাষ্ট্র এখনো উদাসীন। লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে চাইলে সাধারণের প্রধান মৌলিক অধিকার পূরণে রাষ্ট্রকে আরো যত্নবান হতে হতে হবে। শিক্ষিত জনসাধারণ আপনার প্রস্তাবিত ভাষা'র সারমর্ম ধরতে পারবে।

২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ সকাল ৯:৩৫

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: এই অঞ্চলের এই মানসিকতাকে ধরেই আগামী দিনের জন্য এটা লেখা। উন্নত বিশ্ব হতে এখানে দেরী হলেও এগিয়েতো যাচ্ছে সেটাই মুখ্য।
-
এটা হলো ভাষার মাধ্যমে প্রস্তাব--কার্যকারিতা বা ফলাফলের জন্য একটুকু অপেক্ষা করতেই হবে।
-
ধন্যবাদ।শুভেচ্ছা মতামতে আসার জন্য--------

২| ২৭ শে আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: লুংগি কি আমাদের জাতীয় ড্রেস? চীনের ওয়াল, হিমালয়.... মোট কথা বিদেশে গিয়া লুংগি পড়লেই কি বাংলাদেশরে রিপ্রেজেন্ট করা হয়? আপনারে তো তারা তামিলের মানুষও ভাবতে পারে, প্রায় একি রকম গায়ের রঙ, উচ্চতা, চেহারা কাটিং.... মায়ানমারের রোহিংগাও ভাবতে পারে কারন মায়ানমারের পাব্লিকও লুংগি পড়ে।

২৯ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৫:২৯

তাওিহদ অিদ্র বলেছেন: সত্যিই আমি নিজেই বুঝিনি কি বলতে চেয়েছেন---
-
উপরের প্রসঙ্গের সাথে অপ্রাসঙ্গিকতো

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.