নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

সত্য উপলব্ধি করতে শিখি

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২১

আমরা অভিযোগ করি পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রীস্টিয়করণ করা হচ্ছে। শন্তু লারমারা অভিযোগ করে ইসলামীকরণ করা হচ্ছে।

আমরা অভিযোগ করি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে পাশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করছে। শন্তু লারমারা বলে তাদের ভুমি থেকে উচ্ছেদ করছে।

আমরা অভিযোগ করি পাহাড়ে পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসন দেখা দিয়েছে। শন্তু লারমারা অভিযোগ করে মেডিকেল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলে তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস হবে।

আমরা বলি পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের সম অধিকার দিতে হবে। শন্তু লারমারা বলে পাহাড় থেকে বাঙ্গালীদের চলে যেতে হবে।

আমরা বলি আদিবাসী শব্দটি দেশ ভাগের ষড়যন্ত্রের অংশ। শন্তু লারমারা ইউএনডিপির অর্থায়নে আদিবাসী স্বীকৃতির আন্দোলন করে।

এবার মূল কথায় ফিরে আসি। ১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ২/৩টি খ্রিস্টান পরিবার ছিলো। ৭১ সালে তা ১০০ পরিবার ছাড়িয়ে যায়।

আর বর্তমান পরিসংখ্যান সংখ্যায় প্রকাশ করার মতো না। বাংলাপিডিয়ায় দেখলাম বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার প্রায় ১লাখ ৩০ হাজার খ্রিস্টান আছে। অর্থাৎ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রায় সবাইকে খ্রিস্টান হিসেবে দেখাচ্ছে। অন্যান্য উপজেলাশুলোর একই চিত্র হয়তো দেখাচ্ছে।

এটাতো গেলো বাংলাপিডিয়ার পরিসংখ্যান। বাস্তবে কতটুকু সত্য? এইতো কয়েকদিন আগে দাদা দিপংকর তালুকদার নিজে গিয়ে জুরাছড়ি উপজেলায় চার্চ উদ্ভোধন করে আসলেন। সাজেকে তো খ্রিস্টান ছাড়া বৌদ্ধ নেই বললেই চলে। সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে বান্দরবান জেলাতে। আর এই ধর্মান্তরিতের ঘটনা কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের হয়নি হয়েছে বৌদ্ধরা। মানে চাকমা, মারমা, চাক ইত্যাদি সম্প্রদায়ের লোকেরা।

আসলে মূল ঘটনা কি?

শন্তু লারমারা বুঝে না যে ওদের মাথায় কাঁঠাল রেখে খাচ্ছে পশ্চিমারা। তাদের মাঝে ইসলাম বিদ্ধেষ ছড়িয়ে কৌশলে বৌদ্ধ ধর্মের বারোটা বাজাচ্ছে তার খবর তাদের নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠন করার প্রধান অন্তরায় হলো বাঙ্গালী। তাইতো ইউএনডিপি কয়েকদিন পরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালীদের চলে যাওয়ার কথা বলে। সেই পালে হাওয়া তুলে উপজাতীয় বৌদ্ধরা। কিন্তু তারা জানে না পাহাড় থেকে বাঙ্গালীররা চলে গেলে এক নিমিষেই শন্তরদের কাপুকাৎ করে দিবে পশ্চিমারা।

সময় আছে সাবধান হয়ে যাও। তা না হলে অতি শিগ্রই এর ফল ভোগ করতে হবে শন্তু লারমা তথা উপজাতীয় গংদের।

দেখুনঃ বৌদ্ধ মন্দিরে নব্য খ্রিস্টানদের হামলা

১.http://parbattanews.com/নাইক্ষ্যংছড়িতে-বৌদ্ধ-জাদ/#.VpElzGywezl.facebook
http://

২.www.chttimes24.com/archives/19872

মন্তব্য ১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:২৮

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: আমরা অভিযোগ করি পার্বত্য চট্টগ্রামে খ্রীস্টিয়করণ করা হচ্ছে। শন্তু লারমারা অভিযোগ করে ইসলামীকরণ করা হচ্ছে।

আমরা অভিযোগ করি পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে পাশ্চিমারা ষড়যন্ত্র করছে। শন্তু লারমারা বলে তাদের ভুমি থেকে উচ্ছেদ করছে।

আমরা অভিযোগ করি পাহাড়ে পশ্চিমা সংস্কৃতির আগ্রাসন দেখা দিয়েছে। শন্তু লারমারা অভিযোগ করে মেডিকেল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হলে তাদের সংস্কৃতি ধ্বংস হবে।

আমরা বলি পাহাড়ে সকল সম্প্রদায়ের সম অধিকার দিতে হবে। শন্তু লারমারা বলে পাহাড় থেকে বাঙ্গালীদের চলে যেতে হবে।

আমরা বলি আদিবাসী শব্দটি দেশ ভাগের ষড়যন্ত্রের অংশ। শন্তু লারমারা ইউএনডিপির অর্থায়নে আদিবাসী স্বীকৃতির আন্দোলন করে।

এবার মূল কথায় ফিরে আসি। ১৯৪৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামে ২/৩টি খ্রিস্টান পরিবার ছিলো। ৭১ সালে তা ১০০ পরিবার ছাড়িয়ে যায়।

আর বর্তমান পরিসংখ্যান সংখ্যায় প্রকাশ করার মতো না। বাংলাপিডিয়ায় দেখলাম বাঘাইছড়ি ও দীঘিনালা উপজেলার প্রায় ১লাখ ৩০ হাজার খ্রিস্টান আছে। অর্থাৎ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রায় সবাইকে খ্রিস্টান হিসেবে দেখাচ্ছে। অন্যান্য উপজেলাশুলোর একই চিত্র হয়তো দেখাচ্ছে।

এটাতো গেলো বাংলাপিডিয়ার পরিসংখ্যান। বাস্তবে কতটুকু সত্য? এইতো কয়েকদিন আগে দাদা দিপংকর তালুকদার নিজে গিয়ে জুরাছড়ি উপজেলায় চার্চ উদ্ভোধন করে আসলেন। সাজেকে তো খ্রিস্টান ছাড়া বৌদ্ধ নেই বললেই চলে। সবচেয়ে বেশি খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছে বান্দরবান জেলাতে। আর এই ধর্মান্তরিতের ঘটনা কিন্তু মুসলিম সম্প্রদায়ের হয়নি হয়েছে বৌদ্ধরা। মানে চাকমা, মারমা, চাক ইত্যাদি সম্প্রদায়ের লোকেরা।

আসলে মূল ঘটনা কি?

শন্তু লারমারা বুঝে না যে ওদের মাথায় কাঁঠাল রেখে খাচ্ছে পশ্চিমারা। তাদের মাঝে ইসলাম বিদ্ধেষ ছড়িয়ে কৌশলে বৌদ্ধ ধর্মের বারোটা বাজাচ্ছে তার খবর তাদের নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আলাদা খ্রিস্টান রাষ্ট্র গঠন করার প্রধান অন্তরায় হলো বাঙ্গালী। তাইতো ইউএনডিপি কয়েকদিন পরপর পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে বাঙ্গালীদের চলে যাওয়ার কথা বলে। সেই পালে হাওয়া তুলে উপজাতীয় বৌদ্ধরা। কিন্তু তারা জানে না পাহাড় থেকে বাঙ্গালীররা চলে গেলে এক নিমিষেই শন্তরদের কাপুকাৎ করে দিবে পশ্চিমারা।

সময় আছে সাবধান হয়ে যাও। তা না হলে অতি শিগ্রই এর ফল ভোগ করতে হবে শন্তু লারমা তথা উপজাতীয় গংদের।

দেখুনঃ বৌদ্ধ মন্দিরে নব্য খ্রিস্টানদের হামলা

১.http://parbattanews.com/নাইক্ষ্যংছড়িতে-বৌদ্ধ-জাদ/#.VpElzGywezl.facebook
http://

২.www.chttimes24.com/archives/19872

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.