নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

গলাবাজি না করে ভেবে চিন্তে কাজ করি

২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৩

আমাদের এমন একটি স্বভাব একটু কিছু হলেই হইচই করে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করি যা পরবর্তীতে হীতেবিপরীত হয়ে দাঁড়ায়। এই ধরুন ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজান ও ওয়াজ মাহফিল নিয়ে বিদ্বেষী কথা বলেছে। আর এতেই আমরা ক্ষেপে গিয়ে ঐ মহিলার চৌদ্দপুরুষ ধ্বংস করে দিচ্ছি। এমন সব গালিগালাজ করা হচ্ছে যা মুখে নেওয়ার মতো নয়। এতে কোন লাভ হয়েছে বা হচ্ছে কেউ বলতে পারবেন?
মূর্খটা আজান নিয়ে কথা বলেছে! কোথায় বলেছে? একটি সেমিনারে! প্রশ্ন হলো সেমিনারে আর কারা ছিলো? এই কথার প্রতিবাদ করার কি কেউ সেমিনারে ছিলো না? একথা শুনার পরও সেখানে কি প্রতিবাদ হয়েছিলো? হয়নি। তার প্রতিবাদ করা হয়নি বলেই আমরা ধরে নিতে পারি তার এই বক্তব্যের সমর্থন সেমিনারে উপস্থিত সবার আছে।
এখন আমাদের করনীয় কি? অনলাইনে গালাগালি করে কি কিছু অর্জন করা যাবে? না, যাবে না!
গতকাল ঐ সংবাদ প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে আমাদের উচিত ছিলো সচেতনতামূলক কিছু করার। আমরা যদি কাল থেকেই প্রত্যেকে ইত্তেফাক পত্রিকা কিনা বন্ধ করার জন্য পোস্ট করতাম হয়তো পত্রিকাটি আজ সারা দেশে কোথাও নূন্যতম সংখ্যাও বিক্রি হতো না। আমরা যদি আরও বেশি প্রচার করতে পারতাম বা দীর্ঘ দিন চালিয়ে যেতে পারতাম তাহলে হয়তো বাজার হারিয়ে পত্রিকার মালিককে পথে বসতে হতো। কিন্তু তা না হয়ে হয়েছে উল্টো! অনেক হতচ্ছড়া হুমরি খেয়ে ইত্তেফাকের অনলাইনে ভিজিট করেছে। এতে পত্রিকাটির রেটিং বেড়ে গেছে।
গাধা পানি খায় কিন্তু ঘোলা করে খায়। প্রথম আলোর কথা মনে আছে? মহানবী সঃ এর কার্টুন ছাপিয়েছিলো। আর এতেই আমরা হাউমাউ শুরু করে দিয়েছিলাম। এতে কার লাভ আর কার ক্ষতি হয়েছে?? পত্রিকাটি এখন দেশের এক নম্বর পত্রিকা! এর দায় কি আমরা এড়াতে পারবো??
এবার দেখি পরিকল্পিত কাজের সুফল কি। গতবছর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সাথে বাঘাইছড়ি উপজেলায় গোলাগুলিতে ৫ বিচ্ছিন্নতাবাদী উপজাতীয় সন্ত্রাসী নিহত হয়। সারা পৃথিবীতে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কোন দেশের সেনাবাহিনী ধ্বংস করলে যেখানে সেই দেশের পত্রিকাগুলো প্রসংশা করে কিন্তু প্রথম আলো তা না করে এমন এক শিরোনাম করলো যা সেনাবাহিনীকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছিলো। আর এর প্রতিবাদে সারা দেশের কতিপয় দেশপ্রেমিক অনলাইন এক্টিভিস্ট জ্বলে উঠেছিলো। মাত্র এক দিনের প্রচারনায় সারা দেশে এমনকি বিদেশেও প্রথম আলো পত্রকিায় আগুন দেওয়ার কর্মসূচি পালন করে। যার ফলে দেশের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত সংবাদটির ভিত নড়ে যায়। বাধ্য হয়ে সংবাদের শিরোনাম পরিবর্তন করে। শুধু তাই নয় এর পর থেকে আজ পর্যন্ত আর সে ধরনের সংবাদ প্রচার করে না। এছাড়া এখনো প্রতিদিন বিজ্ঞাপন হারিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতছাড়া হচ্ছে পত্রিকাটির।ধারণা করা হয় ঐ দেশবিরোধী নিউজ করার কারনেই প্রথম আলো বিজ্ঞাপন হারায়।
তাই আসুন গালাগালি না করে ইত্তেফাক পত্রিকা নিজে বর্জন করি অন্যকে বর্জন করতে উৎসাহ দেই। মনে রাখতে হবে এটি শুধু পত্রিকার সম্পাদকের কথা নয় পত্রিকাটির নীতিমালা ও এরসঙ্গে জড়িতরা একই পলিসিতে বিশ্বাসী।
সবাইকের ধন্যবাদ

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: উনি যে ভুল বলেছেন প্রমাণ করুন

২| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:০৭

রাইসুল ইসলাম রাণা বলেছেন: উনি যে ভুল বলেছেন প্রমাণ করুন

৩| ২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:১৮

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: যখন হাই ভোল্টেজ দিয়ে সাউন্ড সিস্টেম চালান তখন শব্দ দূষণের কথা মনে থাকে না?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.