নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রথম আলোর ঝাঝালো প্রতিবেদন নয়, সত্যটা জানুন নিজের চেষ্টায়

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৭

প্রিয়
বই পড়ুয়া বন্ধুরা। আপনারা যারা বই পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য একটি বইয়ের তথ্য দিচ্ছি। পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে এ পর্যন্ত যতো বই লেখা ও প্রকাশ হয়েছে তা ছিলো অনেকটাই একচেটিয়া। এর বহুবিধ কারণ ছিলো। একদিকে উপজাতীয় শিক্ষিত এলিট শ্রেণী অন্যদিকে উপজাতীয় চাঁদাবাজির বিপুল টাকা ব্যয়ে ঢাকার কথিত চেতনাধারীরেদ কথিত লেখা প্রকাশ পেয়েছে। আর এসব বই পড়েই পার্বত্য চট্টগ্রাম, বাঙ্গালী, বাংলাদেশের গর্বিত সেনাবাহিনী সম্পর্কে আপনার এমন কিছু ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যা বাস্তবতার সাথে অধিকাংশের মিল নেই বললেই চলে। অনেকের মাঝে এমনও ধারনা জন্মেছে যে, পাহাড়ের উপজাতীয়রা যুগযুগ ধরে রাষ্ট্র কর্তৃক নির্যাতিত হয়ে আসছে। শুধু তাই নয় অনেকে মনে করে যে, পাহাড়ের বাঙ্গালী আর সেনাবাহিনী মিলে একটাই কাজ কেবল উপজাতীয় মেয়েদের ধর্ষণ।
অথচো প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বাঙ্গালীর রক্তে রঞ্জিত পার্বত্য চট্টগ্রাম! শুধুমাত্র বাংলাদেশের অখন্ডতা রক্ষায় বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠন "শান্তিববাহিনীর " হাতে এসব বাঙ্গালী তাদের প্রাণ অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে।
স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন। বাংলাদেশ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর পরই স্বার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়েছিলো(আজও অব্যাহত আছে)। আর ঐ ভুমি ছিলো পার্বত্য চট্টগ্রাম। সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণ, দেশের নিরাপত্তা, গহীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের প্রয়োজনে তৎকালীন সময়ে সমতল থেকে দেশের প্রতি আনুগত্য আছে এমন জনসংখ্যা পার্বত্য চট্টগ্রামে বৃদ্ধি করাটা ছিলো কালের দাবি। অতি দুঃখের সাথে বলতে হয় সেই বাস্তবতাকে মানতে নারাজ আজকের কথিত ঢাকাইয়া বুদ্ধিজীবীরা(সবাই নয়)। যাদের আস্করা পেতে পেতে পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা আবারও ব্যপরোয়া হয়ে উঠছে।
প্রিয় ভাইয়েরা আসুন বুঝার চেষ্টা করি। প্রথম আলোর ঝাঝালো রিপোর্ট আর একচেটিয়া বই পড়ে সবকিছু বিচার করা বন্ধ করি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রকৃত বাস্তবতার কিছুটা তুলে ধরে এবারের বই মেলায় প্রকাশিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনীতি ও জীবনাচরণ নিয়ে রচিত উপন্যাস "ডুমুরের ফুল "। এই উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। একুশে বই মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে তিন নম্বর
স্টলে গত শুক্রবার থেকে পাওয়া যাচ্ছে উপন্যাসটি।
আপনার পছন্দের বইয়ের মধ্যে "ডুমুরের ফুল "বইটি থাকবে বলে আশা করছি।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৫

পথে-ঘাটে বলেছেন: আপনি বলেছেন, "প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ হাজার বাঙ্গালীর রক্তে রঞ্জিত পার্বত্য চট্টগ্রাম"! তথ্যসূত্র উল্লেখ করলে পাঠক উপকৃত হবে বলে আশা করি।
পার্বত্য চট্টগ্রামের অবস্থা সম্পর্কে আপনার সাথে সহমত। কিন্তু উপন্যাসের মাধ্যমে কোন কিছুর সত্যতা নিরুপন করা যায় কিনা আমার সন্দেহ আছে।

যাহোক "ডুমুরের ফুল "এর জন্য শুভ কামনা।

২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১৪

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ, তথ্যসূত্র দিতে পারলে ভালো হতো। এই তথ্যটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের ন্যায়। বাস্তবিকই গবেষণা না হলেও ভিবিন্ন বই ও পত্রিকার কলামে কখনো ত্রিশ হাজার কখনো পঁয়ত্রিশ হাজার এসেছে।

আমার ইউনিয়নে মাত্র দুই হাজার লোকের বসবাস। আমার জানা মতে প্রায় ৩০/ ৩২ জনের মতো নিহত ও প্রায় ৫/৬জন এখনো আহত অবস্থায় বেঁচে আছে। এরা সবাই "শান্তিবাহিনী " দ্বারা নির্যাতিত।

বইটি একদিকে উপন্যাস অন্যদিকে গবেষনামূলক বইও বলা চলে। লেখিকা নিজে পার্বত্য চট্টগ্রামে থেকে বাস্তব অবিজ্ঞতার আলোকে লিখেছে।

বইটির বিশেষত্ব হলো দীর্ঘদিন ধরে দেশে যা প্রচার হয়েছে তার সম্পূর্ণ বিপরীত তথ্য রয়েছে বইটিতে। ধর্ষণের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুটি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যার সাথে জড়িয়ে আছে বাঙ্গালী জাতিসত্তা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম!

৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫৭

ching বলেছেন: ৩০-৩৫ শান্তিবাহিনীর দ্বারা, বাঙ্গালি্ +সেনাবাহিনীর দ্বারা কত? জনসংখ্যা বৃদ্ধি না অন্য পলিটিক্স

৪| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:২০

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ধন্যবাদ ching আপনাকে!

হামলা পাল্টা হামলা বলে একটা কথা নিশ্চয়ই আছে যা আপনার অজানা নয়। ১৯৭৬ সালে জুড়াছড়ি উপজেলায় পুলিশের উপর হামলার মধ্যে দিয়ে যে সন্ত্রাসী শান্তিবাহিনীর প্রকাশ তা আজও অব্যাহত। বাছাধন সেনাবাহিনীর সাথে বাঙ্গালীদেরওও জুড়ে দিলেন। সেনাবাহিনীর কাজ বিচ্ছিন্নতাবাদীদের প্রতিহত করে দেশের স্বার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। আর বিচ্ছিন্নাবাদীদের দেশের স্বার্থে হত্যা করা অপরাধ বলে বিবেচিত নয়।

আর বাঙ্গালীদের উপর যখন শান্তিবাহিনীর নির্যাতন নেমে আসতো তখন হতো শান্তিবাহিনী ্ বাঙ্গালী সংঘর্ষ!

বাকিটা বিচারের দ্বায়িত্ব বিবেচকদের হাতে দিলাম।

আবারও ধন্যবাদ আপনাকে

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.