নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ মাতৃভাষার দরদ উৎলাইয়া উঠলো কেন?

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৫৬

বিডিনিউজ২৪ সম্ভবত, তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় রচনা লিখেছে আজকে: মায়ের ভাষায় কথা না বলতে পারার যন্ত্রণা নিয়ে শহীদ মিনারে!
অথচ, সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোণে ক্রিটিক্যাল প্রশ্নটা হতে পারতো, 'গত ২৫টা বছর শহীদ মিনারের পথ মাড়ান নি কেন তারা?' সমপূরক প্রশ্ন হলে, এ প্রশ্নটাও যোগ করা যেত: 'এতগুলো বছর মাতৃভাষায় লিখতে না পারার যন্ত্রণাটা কি অনুপস্থিত ছিল?'
পুনশ্চ: সবাই নিজ ভাষায় লিখুক, পড়ুক, বলুক - কায়মনোবাক্যে চাই। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীও লিখুক, পড়ুক, বলুক। এ দেশে কাউকে মাতৃভাষায় লিখতে বাধা দেয়া হচ্ছে বলে জানা ছিল না।
যে ভাষার লিখিত রূপ নেই, সেই ভাষায় লিখার জন্য ভিনদেশী বর্ণমালা ধার করেও হলেও কেউ যদি 'যন্ত্রণা' লাঘব করতে পারে, তাতেও আপত্তি নেই। শুধু হিপোক্রেসি বা শঠতা প্রদর্শন না করলেই হয়।
কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর অমিত চাকমা। তিনি একবার ডেইলি স্টারকে একটি সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, তিনি চান না, মাতৃভাষা পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর শিক্ষাদানে ব্যবহৃত হোক। তার বক্তব্য, অতিরিক্ত কোর্স হিসেবে মাতৃভাষা কেউ চাইলে পড়তে পারে যদি কারও এতই দরদ থাকে। তবে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর উন্নতি করতে হলে বাংলা বা ইংরেজি শিক্ষার বিকল্প নেই।
অমিত চাকমা একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নও উঠিয়েছিলেন। পাহাড়ে যে অভিজাতরা আজ মাতৃভাষায় শিক্ষার দাবিতে এত হন্য হয়ে উঠেছেন, তারা তাদের ছেলেমেয়েকে মাতৃভাষায় পড়িয়েছেন বা পড়াচ্ছেন কি? নিজেদের ছেলেমেয়েকে ঢাকার অভিজাত ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলে পড়িয়ে, সাধারণ জনগোষ্ঠীর জন্য অপূর্ণাঙ্গ মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের আহবান কোন মুখে তারা জানান?
জামায়াতের নেতাদের সঙ্গে পাহাড়ি নেতাদের আমি কোন পার্থক্য খুঁজে পাই না। মুখে সারাদিন মাদ্রাসা শিক্ষার কথা বললেও, এবং দলের কর্মীদের বেশিরভাগ মাদ্রাসা শিক্ষার্থী হলেও, জামায়াতের কোন শীর্ষ নেতার সন্তানরা মাদ্রাসা শিক্ষায় শিক্ষিত নন। সবাই পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত!
ইতিহাস বলে, সবসময় ক্ষমতা বলয়ের পাশে ঘুর ঘুর করেছে পাহাড়ি অভিজাত শ্রেণি। লেখক হুমায়ূন আজাদের ভাষায়, 'কাঁটাচামচে' খেয়ে, চোস্ত ইংরেজিতে কথা বলতে ভারি পছন্দ এই 'এলিট'দের। কিন্তু সাধারণ জনগোষ্ঠীকে আনুগত্যের আফিমে আজীবন তারা বুঁদ করে রেখেছেন। 'প্রজা'দের শিক্ষাদীক্ষায় কোন উন্নতি চাইতেন না অভিজাতরা, বরং বাধা দিয়েছেন, এমন নজিরও আছে। এ নিয়ে ইংরেজ ও পাকিস্তান আমলে অনেক বাক-বিতণ্ডাও হয়েছে।
মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের দাবিতে যৌক্তিকতা বা আবেদন - দু'টোই আছে। আবার বিপক্ষেও হয়তো মতামত দেয়ার জায়গা আছে। কিন্তু পাহাড়ী অভিজাত সম্প্রদায়ের মুখে এসব দাবি বড্ড বেমানান, বড্ড প্রতারণাপূর্ণ।
লিখেছে- নাজমুল আহসান

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.