নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

এক ছাত্রলীগ নেতা মাসেজ করে বলেছিলো আমি যেন ঐ গ্রুপে আর না লেখি

২৩ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:৫৫

সেই ২০১১ সালের শুরুর দিক থেকে যখন ফেসবুক চালানো শুরু করি তখন থেকেই পাহাড়ের সন্ত্রাস নির্মূল, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার , চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের জন্য লেখালেখি করে আসছি! একই সাথে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালি ও উপজাতিদের মধ্যে যে কৃত্তিম বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়েছে তার বিরোধিতা করে সবার সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি করেছি! এজন্য রাস্তায় যেমন সক্রিয় ছিলাম অনলাইনেও সমান তালে চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি!

আমার ফ্রেন্ডলিস্টে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠন, বিএনপি ও অংঙ্গ সংগঠন, জাতীয় পার্টি, জামায়াত - শিবির এমনকি বাম সংগঠনের হতে শুরু করে প্রায় সব রাজনৈতিক দলের সমর্থক রয়েছে! বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আমার; পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের নিয়ে কোন লেখায় অতি (খুব কাছের) দু একজন লীগের সমর্থক ছাড়া কেউ লাইক, কমেন্ট বা শেয়ার করতো না! পরিচিত যে দুয়েকজন আছে তারা হয়তো নিউজফিডে গিয়েছে তাই দুএকটি লেখায় কখনো কখনো শুধুমাত্র লাইক দিয়েছে! কমেন্ট বা শেয়ার ছিলো কল্পনাতীত! আমি এটা বুঝতে পেরেছি কারণ এরা আমার ছবি বা অন্য লেখায় লাইক কমেন্ট করলেও পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেকোন লেখা এড়িয়ে যেতো! এখানে আপনাদের একটি তথ্য জানাতে চাই। পাহাড় নিয়ে আমার লেখাগুলো একটি উপজেলার ছাত্রলীগের গ্রুপে পোস্ট করতাম! আশ্চর্যের বিষয় আমাকে ছাত্রলীগের এক নেতা মেসেজ করে জানিয়ে দিলো আমি যেন এসব বিষয়ে ঐ গ্রুপে আর কোন পোস্ট না করি!

পাহাড়ের এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লেখার কারণে অফলাইন ও অনলাইনে অনেকের কাছেই শুনতে হয়েছে আমি নাকি সাম্প্রদায়িক! চাকমা বা উপজাতি বিরোধী! আমি জামায়াত - শিবিরের লোক। যদিও আমার কোন লেখা কখনো আওয়ামীলীগ, বিএনপি বা জামায়াতের পক্ষে বা বিপক্ষে ছিলো না! নিখাদ না পারলে কখনো কখনো সমালোচনা করতাম। সেটা কোন নির্দিষ্ট কোন দলের নয়। প্রায় সব দলেরই!

যাক সেসব কথা আর নাই বলি। সবচেয়ে বড় কথা হলো পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের নিয়ে এখন সবচেয়ে বেশি পরে আছে আওয়ামীলীগ। তিন পার্বত্য জেলার আওয়ামীলীগের সকল অনলাইন কর্মীদের ফেসবুকের টাইমলাইন ভরে গেছে পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ছাপানো পোস্টারে! পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধেই এখন তাদের সকল লেখা! তারা এখন বলতে শুরু করেছে জামায়াত শিবির নয় পাহাড়ের সন্ত্রাসীরাই (জেএসএস - ইউপিডিএফ) তাদের প্রধান শত্রু! আসলে এটাই সত্য যে, সব সন্ত্রাসীর পার্বত্য তিন জেলা আওয়ামীলীগের প্রধান শত্রু!

এখন আমার চেয়ে মনে হয় আর কেউ এতো খুশি হতে পারেনি! কারণ আমি এমন একটি সময়ের অপেক্ষায়ই ছিলাম। "আজ যেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লেখার কারণে আমাকে সাম্প্রদায়িক বলা হচ্ছে নিশ্চয়ই একদিন সেই সন্ত্রাসীরা তোমাদেরকেও ছাড়বে না"। ঠিক এমনটাই ভাবতাম এতোদিন!

আল্লাহর অশেষ মেহেরবানী সেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আজ তারা অনলাইন - অফলাইন(রাজপথ) সব জায়গায়! বিক্ষোভ - মিছিল করছে প্রতিনিয়ত! পাহাড়ের অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে চিরুনি অভিযান চালানোর জন্য লিখেছি কত শতবার! ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস সেই চিরুনি অভিযান চালানোর জন্য সংবাদ সম্মেলনে করে রাঙ্গামাটি জেলার আওয়ামীলীগের কর্ণধার দাদা দিপংকর তালুকদার নিজেই! আর সমগ্র জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আওয়ামীলীগের কর্মী সমর্থকরা দেওয়ালে দেওয়ালে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগাচ্ছে! এমন দৃশ্য দেখে আমার চেয়ে বেশি খুশি আর কে হতে পারে?

আমার অনেক শুভাকাংখী বলেছে আমি যেন ফেক আইডি দিয়ে লেখালেখি করি! কিন্তু আমি ছিলাম অবিচল। কারণ আমি জানতাম আমি কোন অন্যায় করছি না। দেশ বিরোধী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে লেখা কোন অন্যায় না! যাক পাহাড়ের সন্ত্রাসীদের বংশ নির্মুল হোক, পাহাড়ে বাঙ্গালি - উপজাতি সম্প্রদায়ের মাঝে যে মৌলিক বৈষম্য আছে তার নিরসন হোক, পাহাড়ে শান্তি ফিরে আসুক এটাই একমাত্র কাম্য!

সবাইকে ধন্যবাদ

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.