নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ে শহীদদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা চাই

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৫৪

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ আমরা তরুণ প্রজন্ম দেখিনি! কিন্তু সেই সময়ের যে দৃশ্য আমরা অবলোকন করি তাতেই আমাদের গাঁ শিউরে উঠে! নির্মম সেই দৃশ্য দেখেই আমরা বুঝতে পারি কতোটা নির্মম ছিলো পাকি হানাদাররা! বিভিন্ন ধ্বংসলীলার ছবি, ডকুমেন্টারীর, সেই সময়ের পত্রিকার কলাম আমাদেরে মন আজও দাগ কেটে যায়! তাই আজও আমরা পাকি জানোয়ারদের আমাদেরে মন জায়গা দিতে পারিনি! কখনো পারবো না! কারণ ওরাতো মানুষ না! ওরাতো হিংস্র জানোয়ার!!

হ্যাঁ, আমরা মুক্তিযুদ্ধের চতনায় উদ্বুদ্ধ হওয়ার কথা বলি কিন্তু ভুলে যাই তিন পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্যাতিত অসহায় বাঙ্গালিদের কথা! মুক্তিযুদ্ধে যে নির্যাতনের স্বীকার বাঙ্গালি হয়েছিল ঠিক পার্বত্য চট্টগ্রামেও নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়েছিলো বাঙ্গালিরা!

পাকিস্তানিরা নির্যাতন করেছিলো স্বাধীনতা চেয়েছিলাম বলে! আর পাহাড়ে নির্যাতিত হয়েছি এখনো হচ্ছি স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখায়!

আমাদের দেশে এক প্রকার প্রগতিশীলের জন্ম হয়েছে। যারা পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালি বলতেই বুঝে সেখানে ওরা চাকমাদের জায়গা দখল করতে গেছে! বাঙ্গালিরা দখলবাজ!!

কিন্তু তারা একবারও চিন্তা করে না পাহাড়ে কেন বাঙ্গালি গেল(আগে থেকেও ছিলো)। বাঙ্গালিরা কি সেখানে স্ব-ইচ্ছায় গিয়েছিলো?

না, বাঙ্গালিরা সেখানে নিজের ইচ্ছায় যায়নি! কারো ভুমি দখল করাও তাদের উদ্দেশ্য ছিলো না! তাদের সেখানে নেওয়া হয়েছিলো। এবার প্রশ্ন আসে কেন নেওয়া হয়েছিলো????

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্বার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা যখন হুমকির মুখে ছিলো! নিরাপত্তা বাহিনী যখন পেরে উঠছিলো না! স্বাধীনতার স্বপক্ষের জনগণ সেখানে যখন ছিলোই না তখন রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই সেখানে বাঙ্গালি নেওয়া হয়েছিলো। তাই পাহাড়ে প্রতিটি বাঙ্গালি যেখানে বীরের মর্যাদা পাওয়ার কথা সেখানে এই রাষ্ট্র, জনগণ থেকে বৈষম্য আর বঞ্চনা ছাড়া কিছুই পায়নি!

আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আবার অনেকেই হয়তো জানেন না! আজকে যে ছবিগুলো দিয়েছি এগুলো স্বাধীনতার ছবি নয়! এগুলো স্বাধীন বাংলাদেশে নির্যাতিত বাঙ্গালির ছবি! যারা রাষ্ট্রের প্রয়োজনে পাহাড়ে গিয়েছিলো!

১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির লংগদু ও বাঘাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাকুয়াখালী নামক স্থানে চাকমা সন্ত্রাসীদের হাতে নির্মমভাবে হত্যার স্বীকার হয় ৩৫ জন নিরীহ বাঙ্গালি! যাদের মধ্যে ২৮জনের মৃতদেহ পাওয়া গেলেও বাকিদের মৃতদেহ আজও পাওয়া যায়নি! পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য গনহত্যার মধ্যে পাকুয়াখালী ট্রাজেডি একটি! কি নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো!! বেনয়েট দিয়ে খুচিয়ে খুচিয়ে, পাহাড়ে চুড়া থেকে খাদে ফেলে, গাছের সাথে ঝুলে রেখে হত্যা করা হয়েছিলো! কি নির্মম সেই দৃশ্য!

স্বাধীনতা যুদ্ধের অনেক বদ্ধভূমি সরকার এখন সংরক্ষণ করছে! আমরাও চাই সকল বদ্ধভূমি যথাযথভাবে সংরক্ষণ করা হোক! কিন্তু পাকুয়াখালীর ব্যাপারে রাষ্ট্র নিশ্চুপ কেন? পাকুয়াখালী বদ্ধভূমও সংরক্ষণ করার দাবি জানাচ্ছি।

সরকার মক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযুদ্ধাদের নানারকম সুবিধা দিচ্ছে। এটা তাদের পাপ্য! এতে কারো আপত্তি নেই! আমরা চাই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে যেসব বাঙ্গালিরা পাহাড়ে শহীদ হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হোক!


মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.