নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোথায় খুঁজবো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:৪৬



আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১কোটি শরনার্থী আশ্রয় দিয়েছিলো ভারত। এজন্য ভারতের কাছে আমরা সবসময় কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে আসছি। একটিবার চিন্তা করে দেখি তো যদি এই এক কোটি শরনার্থী তখন নিরাপদ আশ্রয় না পেত তখন শহিদের সারি কত দীর্ঘ হতো? ত্রিশ লাখ শহিদের সংখ্যাটি ১কোটিও হতে পারতো। আমরা তো সেই জাতি যারা নির্যাতনের স্বীকার হয়ে প্রতিরোধ যুদ্ধের মাধ্যেমে নিজেদের জাতীয় মুক্তি অর্জন করেছি। তখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশকে যেমন আমাদের পাশে পেয়েছি তেমনি আমাদের বিপক্ষেও ছিলো অনেকে।

আমরা যেহেত মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যদিয়ে নির্যাতিত জাতী থেকে আজ মুক্ত জাতিতে এসে পৌছেছি এবং আমাদের পাশে অনেক রাষ্ট্রেকে পাশে পেয়েছিলাম তেমনি বিশ্বের যে প্রান্তেই হোক নিপিড়নের স্বীকার সকল মানুষের পাশে দাড়ানো আমাদের রাষ্ট্রীয় নৈতিক দায়িত্ব!

বিপদে পড়লে মানুষ বিড়ালের পা ধরতেও কুণ্ঠাবোধ করে না। বিপদ চলে গেলে সব ভুলে যায়। আমাদের অবস্থাও তাই হয়েছে। কাশ্মীরি জনগণ যখন নির্যাতনের স্বীকার তখন তাদের পাশে না দাড়িয়ে আমরা বিপক্ষে অবস্থান নিলাম।

মায়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী ইতিহাসের নির্মম গণহত্যার স্বীকার হচ্ছে। প্রতিবেশী দেশ হিসেবে আমাদেরও কিছু দায়িত্ব থাকে। সরকারি ভাবে একটা প্রতিবাদ জরুরি। হাজার হাজার শরনার্থী সাগরে ভাসছে একটু আশ্রয়ের আশায়! এই সময়ে সবচেয়ে আগে যেই দেশের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার কথা সেই বাংলাদেশ সবচেয়ে বৈরি আচরণ করছে। শরনার্থীদের আশ্রয় দিতে না পারি জাতিসংঘের মাধ্যেমে এটকা চাপ সৃষ্টি করার উদ্যোগ তো নেওয়া যেতে পারে! রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদও তো করা যেতে পারে। এটা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় না। যে সমস্যার কারণে আমাদের দেশেও প্রভাব পরে সেই সমস্যা আর পেইড দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে না। তাই মায়নমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত গণহত্যার রাষ্ট্রেয় প্রতিবাদ চাই! এটা জাতীয় দায়িত্ব! এতে লুকিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা!

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:২৯

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শরনার্থীদের আশ্রয় দিতে না পারি জাতিসংঘের মাধ্যেমে এটকা চাপ সৃষ্টি করার উদ্যোগ তো নেওয়া যেতে পারে! রাষ্ট্রীয় প্রতিবাদও তো করা যেতে পারে। এটা অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় না। যে সমস্যার কারণে আমাদের দেশেও প্রভাব পরে সেই সমস্যা আর পেইড দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় থাকে না। তাই মায়নমারে রোহিঙ্গাদের উপর বর্বরোচিত গণহত্যার রাষ্ট্রেয় প্রতিবাদ চাই! এটা জাতীয় দায়িত্ব! এতে লুকিয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা!

ভাল বলেছেন। অন্ধের দৃষ্টিতে আলো এলেই কল্যান।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৪৮

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ১৯ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



রোগিংগারা চট্টগ্রামের আদি বাসিন্দা, তারা বাংলায় কথা বলে, রোহিংগা সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশকেই ভুমিকা নি্তে হবে।

২০ শে নভেম্বর, ২০১৬ সকাল ১১:৫০

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: বাঙালি না হলেও মানবিক বিবেচনায় হলেও এগিয়ে আসা দরকার

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.