নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাহাড়ে কেন সেনা শাসন চলবে?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৫

ঢাকা থেকে দেশের বাড়ি রাঙামাটি যাচ্ছিলাম। পাশে এক উপজাতীয় সুন্দরী রমনী! চলতি পথে পাশে কেউ বসলে কথা না বলে থাকতে পারি না। আর সে যদি হয় কোন মেয়ে তাহলে তো কাথাই নেই!

আলাপটা আমিই শুরু করেছিলাম! পরিচয় পর্ব শেষে। রাঙামাটি কেন যাচ্ছি জানতে চাইলো(আমার বাড়ি রাঙামাটি তা গোপণ রেখেছি ইচ্ছে করেই)। বেড়াতে যাচ্ছি বলে জানালাম। অতপর, সবগুলো পর্যটন স্পট সম্পর্কে জানা থাকা সত্ত্বেও রমনীর কাছ থেকে সব জানতে চাইলাম! একএক করে পরিচিত জায়গা গুলোর সাথে আরেকবার পরিচয় করিয়ে দিলো। আলোচনার এক পর্যায়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক অবস্থা, সেনাবাহিনী প্রসঙ্গ খুটিয়ে খুটিয়ে জিজ্ঞেস করলাম বিশেষ করে সেনাবাহিনী প্রসঙ্গ টেনে আনলাম।

সেনাবাহিনী সম্পর্কে যা ববললেন তার সার সংক্ষেপ করলে দাড়ায়, বাংলাদেশের বাকি ৬১ টি জেলায় সেনাক্যাম্প নাই অথচ পার্বত্য ৩ টি জেলায় থাকবে কেন? কেন এই ভিন্ন নিয়ম? আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে তো পুলিশ আছে বা নিয়মিত অন্যান্য বাহিনীও আছে তাহলে কেন এখানে সেনাক্যাম্প থাকবে?সেনাদের থাকার কথা এখানকার ক্যান্টনমেন্ট গুলোতে, তাছাড়া কেন এখনকার উন্নয়ন কর্মকান্ড সেনাবাহিনী
করে? এখানে সেনা শাসন চলে?

কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলাম। এরপর আমি বলতে শুরু করলাম ...

পার্বত্য ৩টি জেলায় অবাধ বিচরণ হল বিদেশি মদদপুষ্ট অস্ত্র ধারীদের আস্তানা , যারা অত্যাধুনিক অস্ত্র সজ্জিত, যাদের মদদদাতা আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র, নিয়মিত যারা অপহরণ ও হত্যা করে রাষ্ট্রের নিরীহ নাগরিকদের , উপজাতীয়রাও এর থেকে বাদ যায় না! চাঁদাবাজি করে কেড়ে নিচ্ছে রাষ্ট্রের দারিদ্র নাগরিকের মুখের খাবার যারা সর্বদা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

আর নিয়মিত বাহিনী হিসেবে পুলিশের পক্ষে তাদের দমন করা সম্ভব নয়, পৃথিবীর কোনো রাষ্ট্রের পুলিশ ই পারবে না এরকম ভয়ংকর জঙ্গিদের দমন করতে । তাই তাদের দমনে অবশ্যই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হল রাষ্ট্রের স্বাধীনতা,সার্বভৌমিত্ব ও অখন্ডতার প্রতীক সেনাবাহিনী মোতায়েন করা। আর আমাদের রাষ্ট্র তাই করেছে। পৃথিবী যে কোনো রাষ্ট্র এমনটাই করতো বরং এরচেয়ে বেশি কিছু করতো।

সুতরাং কেন পার্বত্য ৩টি জেলায় সেনাক্যাম্প থাকবে তা এর চেয়ে পরিষ্কার করে আর বলতে হবে না। আর যেহেতু পার্বত্য ৩টি জেলা ছাড়া এই সমস্যা দেশের আর কোথাও নাই, তাই সেখানে কোনো সেনাক্যাম্পও নাই।

উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে কথা জানতে চাইছেন তো? তাহলে শুনেন

সেনাবাহিনী এখানকার উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে...

হুম পার্বত্য ৩টি জেলা পাহাড়ী দূর্গম জেলা, অনেক বিপদ সংকুল, তাই সেনাবাহিনী ছাড়া পার্বত্য ৩টি জেলার অবকাঠামো উন্নয়ন কারো পক্ষে সম্ভব নয়। আর কোনো নিরস্ত্র বা বেসামরিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সম্ভব নয় এরকম জঙ্গি বিচরণ এলাকর উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করা। এবং সেনাবাহিনী যেসব উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে তা সবি সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প ও সরকারি সিদ্ধান্তে পরিচালিত হয়, সেনাবাহিনী নিজে থেকে কিছুই করতে পারে না।

সুতরাং এখানে কোনো সেনা শাসণ চলছে না

অর্থাৎ এখানে সেনাবাহিনী সরকারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করছে।।

এবার বলেন আমি যা বললাম তা কি ভুল বলেছি? বলেন?

না, মানে . আপনি এতো কিছু জানেন কিভাবে? আপনি কি এর আগেও পাহাড়ে গেছেন?

জি না, আমার বাড়ি ওই পাহাড়েই! আপানার পাশের উপজেলা! আপনি লংগদু আর আমি বাঘাইছড়ির!

উহ, মগদা বাঙ্গাল! সেদেলার!

এরপর বেঁচারীর অসহায়ত্ব চেহারাটা দেখে খুব মায়া হচ্ছিলো! শত হলেও আমি যে এক ছেলে আর উনি ...
এরপর চেষ্টা করেও কথা বলার পরিবেশ তৈরি করতে পারলাম না!

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২৩

চাঁদগাজী বলেছেন:

"পাশে এক উপজাতীয় সুন্দরী রমনী! চলতি পথে পাশে কেউ বসলে কথা না বলে থাকতে পারি না। আর সে যদি হয় কোন মেয়ে তাহলে তো কাথাই নেই! "

-এটাও উপজাতিদের মাঝে বিরাট ক্ষোভের কারণ; ওদের মেয়েদের খুব সহজেই জিং জিং করা হয়েছে।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৭

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: আমি কিন্তু উপজাতি মেয়ে বলেই এমন তা নয়! এটা যেকোন মেয়ের ক্ষেত্রে একই অনুভূতি হতো!

আপনার কথা দেখে মনে হয় উপজাতীয় মেয়েরা মনেহয় গনিমতের মাল! চাইলাম আর পাইলাম! পাহাড়ে আসিয়েন! বুঝবেন উপজাতীয় মেয়েরা কি জিনিস! বিঁচি কাইটা রাইখা দিবে

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৫

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: সমতল আর পাহাড় এক নয় বলেই তো সেনাবাহিনী রয়েছে। দুর্গম পাহাড়ি এলাকা বিন লাদেন থেকে শুরু করে সব সন্ত্রাসীদের জন্য অভয়ারন্য। বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকা পাহাড়ী নয়, তাই সেই রকম পরিস্থিতি নেই। সেনাবাহিনীও নেই। কিন্তু পাহাড়ী এলাকায় সন্ত্রাসের সুযোগ বেশী বলেই সেখানে নিরাপত্তাও বেশী দিতে হয়। এটা তো বরং শান্তিপ্রিয় নাগরিকদের কাংখিত হওয়া উচিত।

সেনাবাহিনী যদি ক্ষমতার অপব্যবহার করে তবে তা নিন্দনীয়। তার প্রতিবাদ আসতেই পারে। কিন্তু সেনাবাহিনী কেন থাকবে, তাদের বিদায় কর - এই আবদার কেন?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:৪৯

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ওই তিন জেলার সাথে আমাদের দুশমন ভারতের সীমান্ত! সেটাও একটা বড় ফ্যাক্ট!

ধন্যবাদ, সুন্দর বলেছেন

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

চাঁদগাজী বলেছেন:

"আপনার কথা দেখে মনে হয় উপজাতীয় মেয়েরা মনেহয় গনিমতের মাল! চাইলাম আর পাইলাম! পাহাড়ে আসিয়েন! বুঝবেন উপজাতীয় মেয়েরা কি জিনিস! বিঁচি কাইটা রাইখা দিবে। "

-আপনার ২টা ঠিক আছে, নাকি সংখ্যায় কমে গেছে?

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ১০:৪৫

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: আপানার কথা মতো চাইলেন আর জিং জিং করলেন যদি এতো সহজ হয়ে থাকে! তো আসেন, দেখেন জিং জিং করা কি সহজ, মজা লুটে যান! অবশ্য আপনি যদি ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী এই টাইপের কারো পরিচয় দিয়ে আসতে পারেন তাহলে জিং জিং আপনার জন্য ডাল ভাত!

৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৪

টারজান০০০০৭ বলেছেন: আপনার কথা দেখে মনে হয় উপজাতীয় মেয়েরা মনেহয় গনিমতের মাল! চাইলাম আর পাইলাম! পাহাড়ে আসিয়েন! বুঝবেন উপজাতীয় মেয়েরা কি জিনিস! বিঁচি কাইটা রাইখা দিবে =p~

-আপনার ২টা ঠিক আছে, নাকি সংখ্যায় কমে গেছে? =p~


বিচির উপর পিএইচডি দেহি অনেকেই করা শুরু করছে ! =p~ :D =p~

৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০৩

নাজমুল ০৭ বলেছেন: '' উহ, মগদা বাঙ্গাল! সেদেলার!

এরপর বেঁচারীর অসহায়ত্ব চেহারাটা দেখে খুব মায়া হচ্ছিলো! '' যখনই জানল যে আপনি বাঙ্গাল তখনই সে অসহায় হয়ে গেল । ব্যাপারটা বুজলাম না

৬| ২৪ শে মে, ২০১৭ রাত ১২:১১

Mk jorze বলেছেন: প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে বাঙ্গালিদের দোষারোপ করা উপজাতীদের একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। যে কারণে ছাত্র ইউনিয়ন,প্রগতিশীল ছাত্র জোট, ছাত্র মৈত্রী ইত্যাদি নামের সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা পাহার সম্পর্কে না জেনেই সেনাবাহিনী ও বাঙ্গালিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা রটাচ্ছে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.