নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

মানবাধিকার কমিশনকে বলছিঃ

০৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৫



মানব অধিকারঃ কি সুন্দর একটি নাম!!! কিন্তু এই সংগঠনের কার্যক্রম আর গতিবিধি দেখে মনে প্রশ্ন জাগে এই সংগঠন কি আদৌ সকল মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করে নাকি গুটি কতক মানুষের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত তারা। রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচর এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী রমেল চাকমার বিষয়টি ফেসবুক আর মিডিয়ার কারনে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। সেনাবাহিনী নাকি রমেল চাকমাকে মেরে ফেলেছে। শুধু মেরেই ফেলেনি; রমেলের লাশ নাকি পেট্রল ঢেলে পুড়িয়েও দিয়েছে। কত হাস্যকর একটা কথা। সেনাবাহিনীর যদি ইচ্ছাই থাকতো রমেল চাকমাকে মেরে ফেলার তাহলে তো তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তরই করতো না। রমেল চাকমা অসুস্থ্যতার কথা জানালে পুলিশ তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠায়। কি দরকার ছিলো এসবের? সেনাবাহিনী চাইলে তো রমেলকে ধরার পরই গুলি করে মেরে ফেলতে পারতো।

শুনেছি রমেল চাকমার মৃত্যুর অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যেখানে কমিটির প্রধান আহ্ববায়ক জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও রাঙামাটি সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বাঞ্ছিতা চাকমা। বড়ই মজার কৌতুক, বাঞ্ছিতা চাকমা করবে রমেল চাকমার মৃত্যুর তদন্ত। কি বোঝাতে চেয়েছি পাঠকরা মনে হয় সেটা বুঝে গেছেন।
সংগঠণটির নাম মানবাধিকার কমিশন না হয়ে “মনে বধির কমিশন” হলেই উপযুক্ত হত।

বাঘাইছড়ির সার্জেন্ট মুকুল চাকমাকে যখন জেএসএস এর সশস্ত্র দল অপহরন করে নিয়ে হত্যা করেছিলো তখন কোথায় ছিলো মানবাধিকার সংগঠন? মুকুল চাকমার স্ত্রী-সন্তান আজও প্রাণ ভয়ে লুকিয়ে বেড়াচ্ছে। নিজের স্বামীর সম্পত্তির অধিকার পাচ্ছে না মুকুল চাকমার স্ত্রী। এটা কি মানবাধিকার কমিশন দেখছেন না? বান্দরবানের মংপ্রু মারমাকে অপহরন করে মেরে ফেলেছে উপজাতী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সেটাও কি মানবাধিকার সংগঠন দেখে নাই? খাগড়াছড়ির মহালছড়িতে বাংগালী মোটরসাইকেল চালক ছাদিকুল কে যখন হত্যা করে লাশ মাটির নীচে পুতে রেখেছিলো তখন কোথায় ছিলো মানবাধিকার সংগঠন? রাংগামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলার আয়না চাকমাকে যখন উপজাতী সন্ত্রাসীরা গণধর্ষণ করেছিলো তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? উপজাতী সন্ত্রাসীরা যখন রাংগামাটির নানিয়ারচরে বাংগালীদের লাখ লাখ আনারস বাগান কেটে সাফ করে ফেলেছে তখন কোথায় ছিলেন আপনারা? বাংগালী ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে জ্যোস্না চাকমাকে যখন অপহরণ করে টানা তিনদিন জংগলে লুকিয়ে রেখে উপজাতী সন্ত্রাসীরা নির্যাতন করেছিলো তখনই বা কোথায় ছিলেন আপনারা। বিশ্বজিৎকে যখন দিনে দুপুরে জনসমক্ষে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করলো তখন কোথায় ছিলো আপনাদের বিবেক, সিলেটের খাদিজাকে যখন কুপিয়ে জখম করেছিলো খাদিজার সেই আর্তচিতকার কি আপনাদের কানে পৌছায়নি? এরকম হাজার হাজার উদাহরণ আছে। রমেলের মত কুখ্যাত পাহাড়ি সন্ত্রাসী নয় বলেই কি ওদের আর্তনাদ আপনাদের কানে পৌঁছায়নি? নাকি আপনারা সত্যিই “মনে বধির কমিশন” ?
ঢাকার গুলশানে হলি আর্টিজান, সিলেটের আতিয়া মহলে সেনাবাহিনীর সফল অভিযান নিয়ে একবারও বাহবা দিয়েছেন আপনারা? দেশের সকল ক্রান্তিলগ্নে আমাদের দেশপ্রেমিক, স্বাধীনতার অতন্দ্র প্রহরী সেনাবাহিনীই সকলের শেষ ভরসার আশ্রয়স্থল। পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের সকল সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে ঐ এলাকার সকল মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দিন রাত নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সেটা কি আপনারা জানেন প্রিয় মানবাধিকার কমিশন? সম্প্রতি আমাদের ক্রিকেটের মহাতারকা মাশরাফি বিন মর্তুজার ফেসবুক পোস্টে দেখলাম তিনি পার্বত্য চট্টগ্রামে কর্মরত সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। কারণ তিনি আদর্শবান ও বিবেকবান। মাশরাফির মত কিছু বিবেকবান মানুষের কারণে আজও আমাদের দেশ টিকে আছে। মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারে বসে যারা এসির বাতাস খাচ্ছেন, পকেট ভারী করছেন আর বিবেক বিসর্জন করে তোতা পাখির মত শিখিয়ে দেয়া বুলি আওড়াচ্ছেন তাদেরকে বলছিঃ কষ্ট করে পার্বত্য চট্টগ্রামে গিয়ে নাগরিক সুবিধাবিহীন সেনা ক্যাম্পে কিছুদিন থাকুন তাদের কার্যক্রম দেখুন তাহলে আপনাদের মনের বধিরতা সম্পূর্ণ না কাটলেও চোখের পর্দা কিছুটা খুলে যাবে (যদি থাকে)। আর যদি আপনারা জাগ্রত অবস্থায় ঘুমিয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের সে ঘুম ভাংগানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। রমেল চাকমার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে মিথ্যাচার বন্ধ করুন। উপজাতী স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের পকেট ভারী করে মিথ্যাচারে না জড়িয়ে চোখ কান খোলা রেখে সংগঠনটাকে নিরপেক্ষ রাখুন। তা না হলে আপনাদের উপর মানুষের অবশিষ্ট আস্থাটুকুও থাকবে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.