নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

তথাকথিত নাগরিক প্রতিনিধি দলের বান্দরবান ভ্রমণ, সংবাদ সম্মেলন এবং কিছু কথা

১০ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৫:২২




গত ৬ মে নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে নাগরিক প্রতিনিধি দলকে নাকি বান্দরবান এবং লামাতে ঢুকতে দেয়া হয়নি। সেই উপলক্ষে তারা গত ৭ মে তারা ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি গোলটেবিল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন ডাকে। নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে পরে বলছি, তার আগে আমার প্রশ্ন “নাগরিক প্রতিনিধি দল” আসলে কোন দেশের নাগরিক? এরা কি বাংলাদেশের নাগরিক নাকি ভীনগ্রহ থেকে এদের আবির্ভাব? আমার তো মনে হয় এরা ভীনগ্রহের কোন এলিয়েন- কোন ভাবেই এরা বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারে না। এরা যদি বাংলাদেশের নাগরিকই হত তাহলে বাংলাদেশের সংবিধানকে এরা অবমাননা বা লংঘন করতে পারতো না। প্রশ্ন করতে পারেন বাংলাদেশের সংবিধান এরা কিভাবে অবমাননা বা লংঘন করলো? এবার আসি সেই প্রসংগে।

বাংলাদেশ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর ২৩ক অনুচ্ছেদে বলা হয়েছেঃ
“রাষ্ট্র বিভিন্ন উপজাতি, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, নৃ-গোষ্ঠী ও সম্প্রদায়ের
অনন্য বৈশিষ্ট্যপূর্ণ আঞ্চলিক সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণ,
উন্নয়ন ও বিকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন”

“23A. The State shall take steps to protect and develop the unique local culture and tradition of the tribes, minor races, ethnic sects and communities.”
বাংলাদেশ সংবিধানের কোথাও কিন্তু ‘আদিবাসী’ শব্দটি বলা নেই। ২০১১ সালের ২১ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতেও আদিবাসী শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারী করা হয়। ২৮ জানুয়ারী ২০১০ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতেও “আদিবাসী” এর স্থলে “উপজাতী” শব্দ ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। ১৬ আগষ্ট ২০১৫ সালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতেও সেকথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানেই যেখানে আদিবাসী স্বীকৃতি না দিয়ে বাংলাদেশে বসবাসরত বিভিন্ন ছোট ছোট সম্প্রদায়।গোষ্ঠীকে উপজাতী/ক্ষুদ্র জাতিসত্তা/নৃ-গোষ্ঠী বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে সেখানে নাগরিক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কিভাবে “আদিবাসী” গ্রাম উচ্ছেদের অভিযোগ বিষয়ে সরেজমিন তদন্ত করতে ঢাকা থেকে বান্দরবানে যায়??? তথাকথিত “আদিবাসী ফোরাম”র সদস্যদেরই বা কিভাবে তাদের সংগঠনের সাথে যুক্ত করে??? বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা ভোগ করার পরও কি তারা বাংলাদেশের সংবিধান মানে না??? তাইতো মনে প্রশ্ন জাগে আসলেই কি তারা বাংলাদেশের নাগরিক??? নাকি তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্বের মুখোশধারী ভীনগ্রহের কোন এলিয়েন??? নাগরিক প্রতিনিধি দলের ব্যানারে তারা কিছু স্বার্থাণ্বেষী মহলের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে নিজের পকেট ভারী করে নিজস্ব জাত-কুল বিসর্জন দিয়ে আজ তারা নিজেদেরকে উপহাসের পাত্রে পরিণত করছে। সংবিধান লংঘনকারী এই নাগরিক দলকে রাষ্ট্রীয় আইনের আওতায় বিচারের দাবী জানাচ্ছি।

এবার নিরাপত্তার বিষয়ে আসি। নাগরিক প্রতিনিধি দল (কোন দেশের নাগরিক সেটা ইতিমধ্যেই প্রশ্নবিদ্ধ) দাবী করেছে কোন এক বিশেষ বাহিনীর ইন্ধনে সাম্প্রদায়িক সেটেলার বাংগালী কর্তৃক সড়ক অবরোধ করে তাদেরকে নাকি বান্দরবান এবং লামায় ঢুকতে দেয়া হয়নি। সাম্প্রদায়িক সেটেলার বাংগালী বলতে নাগরিক প্রতিনিধি দল আসলে কি বোঝাতে চেয়েছে সেটা বোধগম্য নয়। আজ ৮ মে ২০১৭ তারিখে রাংগামাটিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সশস্ত্র সংগঠণ ইউপিডিএফ (সরকার কর্তৃক অনিবন্ধিত দল) সড়ক অবরোধসহ নানান ধরনের কর্মসূচী পালন করছে। প্রিয় নাগরিক প্রতিনিধি দল এখন আপনারা বলুনতো কাদের ইংগিতে এই কর্মসূচী পালন করা হচ্ছে? পাহাড়ী উপজাতী সশস্ত্র দলগুলো যখন একের পর এক হরতাল, অবরোধ, বাজার বয়কটসহ নানান ধরনের বিশৃ্ংখলার সৃষ্টি করে জনজীবন দুর্বিষহ ও অচল করে দিচ্ছে তখন কোথায় থাকে আপনাদের গলাবাজী? উপজাতী সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা খুন, গুম, চাঁদাবাজি, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুরসহ নানান ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিয়োজিত নিরাপত্তা বাহিনী (সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার) এবং বেসামরিক প্রশাসন সেইসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ডরোধ করে পাহাড়ী জনগনের মধ্যে শান্তির সুবাতাস পৌছে দিতে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী ও কুচক্রী মহল, উপজাতী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অরাজকতা আর নাগরিক প্রতিনিধি দল নামধারী আপনাদের মত কিছু সাম্প্রদায়িক সেটেলার সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রামকে অশান্ত করার অপচেষ্টা করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামে যতগুলি উপজাতী আছে তার মধ্যে সবচেয়ে নিরিহ আর শান্তিপূর্ণ হলো ম্রো বা মুরং উপজাতী। জেএসএস এবং ইউপিডিএফ নামক দুই উপজাতি সশস্ত্র সংগঠনের ক্রমাগত চাঁদাবাজি, খুন, গুম, হত্যা, লুটতরাজের কারনে যখন তাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে তখন এই শান্তি প্রিয় ম্রো/মুরং উপজাতীরা কোন গাড়ি ভাংচুর না করে শান্তিপূর্ণভাবে ঐসব সশস্ত্র দলের বিরুদ্ধে তাদের অবরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করে। অথচ এইটাকে একটা ইস্যু বানিয়ে ম্রো/মুরংদের আরো কোণঠাসা করতে বেছে বেছে আপনারা ঐদিনই বান্দরবান আর লামায় গিয়েছিলেন। তিন পার্বত্য জেলায় প্রতিদিন হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটক আসছে। কারো তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে না তাহলে আপনাদের কেন হলো? আসলে আপনারা একটা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টায় মত্ত। আপনারা তো এখন নির্বিঘ্নে বান্দরবান আর লামা পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন কিন্তু উপজাতী স্বার্থান্বেষী মহল পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে আলাদা স্বাধীন জুম্মল্যান্ড গঠনের যে গোপন এজেন্ডা নিয়ে কাজ করছে তা তারা হাসিল করতে পারলে তখন ভিসা পাসপোর্ট ছাড়া ঐ এলাকায় যেতেও পারবেন না। নাকি আপনারা ঐ তথাকথিত স্বাধীন জুম্মল্যান্ডের নাগরিক প্রতিনিধি দলের হয়েই কাজ করছেন?

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:০২

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: একটা দেশ শান্তিতে চলুক এনারা চায় না। জিয়ার মত সত্যিকারের রাষ্ট্রনায়ক থাকলে এসব বুদ্ধিজীবিদের জেলে পুরতো...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.