নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপাখ্যানঃ উপজাতী পুরুষ কর্তৃক ধর্ষন যেন পাপ মোচনের শামিল

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫১

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপাখ্যানঃ উপজাতী পুরুষ কর্তৃক ধর্ষন যেন পাপ মোচনের শামি

নারী নির্যাতন একটি সামাজিক অপরাধ। সারা বিশ্বেই এ অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটি, বান্দরবান আর খাগড়াছড়ি জেলা নিয়ে গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রামও এর ব্যতিক্রম নয়। এখানেও নারী নির্যাতনের মত ঘৃন্য অপরাধ সংগঠিত হয়। ব্যক্তিগতভাবে নারী নির্যাতনকে আমার কাছে খুবই জঘন্য একটি অপরাধ মনে হয়। কিন্তু অদ্ভুত বিষয় হচ্ছে পার্বত্য চট্টগ্রামে উপজাতিয় নারীরা খুন বা নির্যাতনের শিকার হলে এ বিষয়ে প্রতিবাদ, সভা, মানববন্ধন, শুশীল সমাজের মায়াকান্না, মিডিয়ার অপপ্রচার, মানবাধিকার সংস্থাগুলির তোড়জোড় ইত্যাদির অন্ত থাকেনা। এ জন্য ধন্যবাদ জানাই তাদেরকে। কিন্তু বাঙ্গালি অথবা ইসলাম ধর্মে রুপান্তরিত উপজাতি নারীরা খুন বা নির্যাতিত হলে মিডিয়াতো দূরের কথা আমাদের শুশীল সমাজ এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলোও কোন কথা বলেনা। বরংচ উপজাতি নারী খুন বা ধর্ষিত হলে বাঙ্গালীদের অনর্থক দায়ী করে সাম্প্রদায়িক বিবাদ সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালানো হয়। এখানে বলাবাহুল্য, উপজাতী নারীরা উপজাতী পুরুষ কর্তৃক নির্যাতিত হলে কোন সংগঠন তার প্রতিবাদ করে না। এধরনের ঘটনা মানবাধিকার সংস্থাগুলো তাদের পরিসংখ্যানে তালিকাভূক্ত করে কিনা সে বিষয়েও যথেষ্ট সন্দেহ আছে। উপজাতী সংগঠনগুলির ভাবমূর্তি ও পরিস্থিতি দেখলে মনে হয় যেন, তাদের দৃষ্টিতে উপজাতী পুরুষ কর্তৃক ধর্ষন করলে তা ধর্ষন নয়, বরং পাপ মোচন।

এরকম শত শত ঘটনার মধ্য থেকে কিছু উদাহরণ দেয়া যাক। গত ২৯ মে ২০১৬ তারিখে রাঙ্গামাটি জেলার বিলাইছড়ি উপজেলাতে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএস সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) অর্থ সম্পাদক সুনীতিময় চাকমা এর নেতৃত্বে প্রায় ২০ জনের একটি দল আয়না চাকমা নামক এক কিশোরীকে অপহরণ করে। এরপর গহিন জঙ্গলে নিয়ে আয়না চাকমাকে যৌন নির্যাতন করে তারা। কিন্তু এ বিষয়ে পাহাড়ি সংগঠনগুলি ছিল নীরব।
খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার ক্ষেত্রলাল ত্রিপুরার মেয়ে দীপা ত্রিপুরাকে গত ১২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে অপহরণ করে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কর্মীরা। অপহরণের পর একটি জুম ঘরে আটক করে দীপা ত্রিপুরাকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে পিসিপি’র এসব সন্ত্রাসীরা। এসময় পুরো গণ-ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইলে ভিডিও করে তারা।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ১৩ জন কিশোরীকে একটি আশ্রমে রেখে বিনা খরচে লেখা পড়ার কথা বলে রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার মিতিংঙ্গ্যা ছড়ি বৌদ্ধ বিহারে নিয়ে যায় উসিরি নামক এক বৌদ্ধ ভিক্ষু। পরে ঐ ভিক্ষু’সহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার কথা বলে কিশোরীদের মায়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু শহরতলীতে পাচার করে। সেখানে নেইছাদং এলাকায় একটি বৌদ্ধ আশ্রমে তাদের রাখা হয়। পরবর্তীতে মিয়ানমার থেকে উদ্ধারকৃত পাচার হওয়া ঐসকল কিশোরীরা পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, প্রতিদিন বৌদ্ধ ভিক্ষু উসিরি তাদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো। অনেক সময় দু’কিশোরীকে উসরির দু’পাশে শুইয়ে থাকতে হতো। সে যখন যাকে ডাকত তারা তার শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য হত। অন্যথায় মারধরের করা হত।
২০১২ সালের ১৩ জুন খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার দক্ষিণ কুমিল্লা টিলা এলাকায় মো: আব্দুল মান্নানের মেয়ে কুলসুম আকতার (১২) নামে এক কিশোরী চারজন উপজাতি কর্তৃক ধর্ষনের শিকার হয়। এ ঘটনার এক মাসের মাথায় ২৩ জুলাই মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়ি এলাকায় শাহদা বেগম (৫৫) নামে এক বাঙ্গালী গৃহবধুকে পাহাড়ী যুবক কর্তৃক ধর্ষন করা হয়। একই বছর ৯ অক্টোবর মহালছড়ির শ্মশানখোলা এলাকার বাসিন্দা শামছুন্নাহার (৩০) নামে একজনকে ধর্ষণ করে উপজাতিরা। এসময় উপজাতি যুবকের দা‘র আঘাতে শামছুন্নাহারের মাথায় মারাত্বক জখম হয়। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে ভালোবেসে এক বাঙালী ছেলেকে বিয়ে করার অপরাধে খাগড়াছড়ির গুইমারার উমাচিং মারমা (১৮) নামে এক মারমা তরুণী ও তার পরিবারকে নির্যাতন ভোগসহ মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয়। এভাবে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালী মুসলিম ছেলেকে ভালোবেসে মাটিরাঙার সোনাবি চাকমা, রাঙামাটির কুতুকছড়িতে রিনা ত্রিপুরা, রামগড়ের মণিকা ত্রিপুরা, নানিয়ারচরের জ্যোৎস্না চাকমা ও আয়েশা সিদ্দিকা ওরফে মিনুরওজা মারমাসহ এরকম আরো অসংখ্য পাহাড়ী মেয়েকে অপহরণ, গণধর্ষণ, হত্যাসহ বিভিন্ন নারকীয় অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ হল গত ৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখে মাটিরাংগার বাইল্যাছড়ি এলাকা হতে চলন্ত বাস থেকে স্বামীর সামনে থেকে নয়ন ত্রিপুরা ওরফে ফাতেমা বেগমকে উপজাতি সন্ত্রাসী কর্তৃক অপহরণ।
পাহাড়ী তরুণীদের নিজ জাতি-গোষ্ঠীর লোকদের হাতে এরুপ নির্বিচারে গণধর্ষণের শিকার হওয়া নিয়ে একটি গবেষণাধর্মী উপন্যাস বের করেন লেখিকা রোকেয়া লিটা। ‘ডুমুরের ফুল’ নামে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ বইটি বের করলে উপজাতি সংগঠন কর্তৃক তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়।
পার্বত্য এলাকায় অপসংস্কৃতির বেড়াজালে বন্দি উপজাতী সন্ত্রাসীদের ভোগ্য পন্যের শিকার বাঙ্গালী এবং ধর্মান্তরিত এসব নারী নির্যাতনের কথা কতিপয় মিডিয়া এবং শুশীল সমাজের মুখে প্রতিবাদ বাক্য হিসেবে কোনদিনও শোনা যায় না। এখানেই বোঝা যায় যে পার্বত্য বাংগালীদের পক্ষে কথা বলায় ঐসব মিডিয়া এবং শুশীল ব্যক্তিবর্গের কোন স্বার্থ নাই। উপজাতিদের পক্ষে কথা বললেতো তাদের পকেট লালে লাল...সাথে মাস্তি একদম ফ্রি!!!

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০১

চাঁদগাজী বলেছেন:


পাহাড়ে বাংগালী যাবার আগে হয় এসব সমস্যা ছিলো না, কিংবা থাকলেও জানা যেতো না; পাহাড়ী মেয়েকে বিয়ে করার দরকার কেন, তাকে মুসলমান বানানোর দরকার কেন?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: ১। আগে ছিলনা এই কথার ভিত্তি নেই,
কেননা আপনি নিজেই বললেন থাকলেও জানা যেতো না।
গাজীর কাছে প্রশ্ন, তখনকার ধর্ষণের খবর জানা যেতো না এটা কি কোন সুখবর হতে পারে? নারী ধর্ষণ হয় বা হচ্ছে অথচো পশ্চাত্পদতার জন্য তা প্রকাশ পাবে না এই সমাজ কি চাঁদ সাহেব প্রত্যাশা করে?

২। উপজাতি মেয়েরা বাঙালি ছেলেদের বিয়ে করে কেন প্রশ্নটা এমন হলে কেমন হয়?

৩। তারা মুসলমান হয় কেন এই প্রশ্ন তোলা কি অযৌক্তিক?

২ ও ৩ নং ক্ষেত্রে বাঙালিরা কখনো জবরদস্তি করেছে এমন প্রমাণ চাঁদগাজী দিতে পারবে?

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

মানিজার বলেছেন: @ছান কাগু !

আপনের দুইটা চোউক -ই কি টেরা ?

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৪

চাঁদগাজী বলেছেন:


@মানিজার বলেছেন,
" @ছান কাগু ! আপনের দুইটা চোউক -ই কি টেরা ? "

-চোখের ভুমিকা আছে, তবে ইনফরমেশন প্রসেসিং হয় মগজে

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২০

মানিজার বলেছেন: আমি মগজের কতাই কইছি । যেই চোউখ বসাই রাকছেন ভিতরের ভিতরে । বেচারার টপিক ছিল একটা আপনি কতা কইতেছেন আরেকটা ।

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩২

সেয়ানা পাগল বলেছেন: লাভ জিহাদ আর কি !! বিধর্মীর ঘরের মেয়েকে ফুসলিয়ে বা জোর করে বিয়ে করে মুসলিম বানাতে পারলে দো জাহানের নেকি হাসিল হয় এবং জান্নাতের টিকেট কনফ্রাম হয় !!

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:০৩

প্রশ্নবোধক (?) বলেছেন: ১। পাহাড়ে বাঙ্গালীরা কি কি সমস্যা করছে?

২। লাভ জিহাদ দ্বারা কি বুঝাতে চেয়েছেন? পোষ্টের মুল বিষয় বস্তুকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা কেন?

৩।পাহাড়ী সংগঠন গুলোর এত ক্ষমতা কোথায় থেকে আসে? ধর্ষণ দ্বারা কি মুসলমান থেকে আবার চাকমা , মারমা বানানো যায়?

৪। বাংলাদেশীরা পার্বত্য চট্রগ্রামে জমি কিনতে পারবে না কেন? তাদের ছেলে মেয়েরা মুসলমান হতে পারবে না কেন?

৫। পাহাড়ীরা বিভিন্ন প্রাকৃতিক ধর্ম থেকে শুধু মাত্র খৃষ্টান হতে পারে কেন?

৬। পাহাড়ে ঘুরতে গেলে গুম-খুন হওয়ার ভয় এত বেশি কেন থাকে?

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

তাজুল ইসলাম নাজিম বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.