নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি যা তা আমি নিজেই। অন্যকিছু তুলনার বাহিরে। আমার মতো পৃথিবীতে দ্বিতীয় নেই!

তাজুল ইসলাম নাজিম

তাজুল ইসলাম নাজিম › বিস্তারিত পোস্টঃ

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপাখ্যানঃ ঘরের কথা পরে জানছে কেমনে

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩

পার্বত্য চট্টগ্রামের উপাখ্যানঃ ঘরের কথা পরে জানছে কেমনে?

উপজাতিদের রঙ তামাসা আর কত দেখবো? একের পর এক অপরাধ আর কু-কর্ম করে সেটা ধামাচাপা দেয়ার জন্য নানান মিথ্যাচার, বানোয়াট আর বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের মাধ্যমে দেশী-বিদেশী মহলের সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর মত বারবার তাদের কু-কর্মগুলো পার্বত্য বাংগালীদের উপর চাপানোর চেষ্টা বুমেরাং হয়ে তাদের গায়েই লাগছে। উপজাতিদের এই অপকৌশলের কুটকৌশল আজ সবার কাছেই ফিলিপস বাত্তির আলোর মত ফকফকা। বারবার তাদের অপকৌশল আর অপকর্ম ফাঁস হয়ে যাওয়ায় উপজাতি সন্ত্রাসীরা হয়তো ভাবছে- ‘ঘরের কথা পরে জানলো কেমনে?’ আরে ভাই ঘরের কথা পরে জানবে না কেন?? পাপ কখনো চাপা থাকে না। সেনাবাহিনী, পুলিশ আর প্রশাসনের চোখ ফাকি দেয়া এত্ত সোজা না মনু!!!
খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইতি চাকমার হত্যাকান্ডের পর পার্বত্য বাংগালীদের দায়ী করে উপজাতিরা ফেসবুকে অপপ্রচার, মিছিল, সমাবেশ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাস বর্জন, কালো ব্যাজ ধারণসহ নানান কর্মসূচি পালন করে। কিন্তু সকল রহস্যের উন্মোচন করে এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকায় যখন তুষার চাকমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ তখন থেকেই তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে (বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুনঃ http://goo.gl/vVs2i4)। আর তারা ইতি চাকমার হত্যার বিচার চাচ্ছে না। বুমেরাং হয়ে খাওয়া এই ধাক্কা যেন তারা প্রাণ হজম ক্যান্ডি খেয়েও হজম করতে পারছে না।
ইতি চাকমার ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই আবার ধাক্কা!!!! এবার দৃশ্যপটে বালাতি ত্রিপুরা নামের এক উপজাতি মহিলা। গত ১২ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির পানছড়িতে খুন হয় বালাতি ত্রিপুরা। আবারও আটঘাট বেঁধে মাঠে নামে বিভিন্ন উপজাতি সংগঠনগুলো। শুরু হয় হৈ হৈ কান্ড রৈ রৈ ব্যাপার। এবার তারা সমস্ত পার্বত্য বাংগালীকে দোষারোপ না করে সুনির্দিষ্ট ভাবে করিম, নুরু আর মানিক নামে তিন বাংগালীকে দোষারোপ করে। কিন্তু বিধি বাম। এবারও তাদের কুটকৌশল ধরা পড়ে গেল। ঘটনার মাত্র ছয়দিনের মাথায় বালাতি ত্রিপুরার খুনের মূল নায়ক সাধন কার্বারী নামক এক উপজাতি পুলিশের হাতে ধরা পড়লো (বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুনঃ http://goo.gl/XDpUEV)। আবারও তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছে।
উপজাতি ভাই-বোনদেরকে বলছি, যেসব সংগঠন প্রকৃত খুনির বিচার দাবী না করে শুধু মাত্র নিজস্ব স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত আপনারা তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান। অপরাধী যেই হোক উপজাতি বা বাংগালী; তার বিরুদ্ধে স্বোচ্চার হোউন। শুধুমাত্র দলীয় স্বার্থ রক্ষা করতে গেলে আপনাদের অবস্থাও হবে খাগড়াছড়ির বুদ্ধজয় চাকমার মত। বুদ্ধজয় চাকমার কথা মনে আছে তো?? যিনি জুম্মমুক্তির স্বপ্ন নিয়ে যোগ দিয়েছিলেন ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র দলে। যিনি ছিলেন ইউপিডিএফ-এর সশস্ত্র দলের এক সক্রিয় যোদ্ধা। ১৪ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে সেনাবাহিনীর সাথে গুলি বিনিময়কালে তিনি নিহত হয়েছিলেন। কিন্তু দলের এই সক্রিয় সদস্যের মৃত্যুর পর ইউপিডিএফ তাকে নিজ দলের স্বীকৃতি তো দেয়ইনি উপরন্তু তার অসহায় স্ত্রী আনন্দ বালা চাকমার পাশেও দাড়ায়নি। যুগে যুগে এরকম বহু আনন্দ বালার কান্না আর ইতি চাকমা, বালাতি ত্রিপুরার লাশের গন্ধ চাপা পড়ে যাচ্ছে জেএসএস-ইউপিডিএফ নামক আঞ্চলিক সংগঠনের স্বার্থ রক্ষার স্বার্থের কারণে। এখনই সময় এইসব স্বার্থান্বেষী আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর তা না হলে আপনার বা আপনার আপনজনের পরিনতি হতে পারে ইতি চাকমা, বালাতি ত্রিপুরা, আনন্দ বালা চাকমা বা বুদ্ধজয় চাকমার মত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.