নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুপ্রেরনা

আমি খুব সাধারন একজন, মানুষের জন্য কাজ করি। কবিতা লিখি, অনুপ্রেরনা পোস্ট লিখি। হয়তো কারো উপকারে আসতে পারে। নবজীবন সোসাল ওয়ার্ক সংগঠনের সেকরেটারী জেনারেল।

জোবায়ের রহমান

সাদামাটা জীবন ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষকে বিশ্বাস করতে। অতিতকে নিয়ে ভাবি না , বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ভালোলাগে। ভালোলাগে লিখতে বা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে। অসহায় ও দুর্বল মানুষের পাশে দাড়ানো আমার একটা বদ অভ্যাস। ব্লগিং করতে ভালো লাগে, পাঠক মন্তব্য দেখলে খুব আনন্দ পাই। বাকিটা আমার সাথে মিশলে বুঝবেন আমি কতোটা বদের হাড্ডি ।\\n\\nপছন্দ: কালো ও নীল রং ভালো লাগে, সকল ধরনের ফস্টফুড ও চাইনিজ খাবার পছন্দ করি, সকল ফল আমার প্রিয় তবে টক জাতীয় ফল একটু বেশি পছন্দ, খুব আচার খেতে ভালোবাসি, প্রিয় মাছ ইলিশ ও গলদা চিংড়ি, গিটার নিয়ে গান খাইতে ভালো লাগে, ছবি আকা ও কবিতা লেখা আমার সখ, উল্লেখযোগ্য সখ হচ্ছে সুন্দর সুন্দর ফুল বা ফলের গাছ লাগানো।\\n\\nআমার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি জানতে চাইলে একদিন বাসায় চলে আসবেন, দুজনে কফি হাতে আড্ডা দিতে দিতে বাকিটা বলবো। ওহ ভালো কথা, বাসায় আসলে সাথে করে মিষ্টি আনতে ভুল করবেন না যেন, মিষ্টি আমার খুব প্রিয় ;)

জোবায়ের রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন শিক্ষার্থদের নিয়ে জুয়া খেলা হচ্ছে?

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৪৩

বর্তমান সমাজে আমি পাস করা মনে গোল্ডেন এ+ কে বুঝি আর ফেল করা হলো এ+।

০১. স্কুল জীবন : প্রতিটা স্কুল পাশের হার থাকতে হবে ৭০% তাই ৭০% পাস করাতে হলে শিক্ষককেই না হয় শিক্ষর্থীর খাতায় লিখে দিতে হয়। এবং তাই হচ্ছে প্রতিটা স্কুলে। তাই জীবনের শুরুতেই একজন শিক্ষার্থীর মেধাকে এভাবেই ধ্বংস করা হচ্ছে।

০২. পাশের হারই ক্ষমতা: প্রতিটা সরকারের আমলে পূর্বের সরকার থেকে পাশের হার বাড়াতে হবে তাই পাসের হার বাড়াতে প্রয়োজন পরে প্রশ্নপত্র ফাসের বা সুপার সাজেশনের। তা নাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর শিক্ষার্থীদের মনে স্থান নেওয়া সম্ভব নয়। পাশের হার বাড়ছে, মেধাবিদের সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে বাড়ছে বেকার সমস্যা, বাড়ছে সন্ত্রাস।

০৩. বোর্ড হেল্প: বোর্ড হেল্প শব্দটা নতুন নয়। বর্তমানে বিভিন্ন স্কুল কলেজ নিয়ে থাকেন বোর্ড হেল্প। ঐ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়লে কেউ ফেল করবে না ১০০% গ্যারান্টি দিচ্ছেন প্রতিষ্ঠানের মালিকগন। বোর্ড হেল্প হচ্ছে , স্কুল বা কলেজের সাথে বোর্ডের ভালো সম্পর্ক, বোর্ড থেকে পাশের বেপারে তারা হেল্প করেন। যে কোন স্টুডেন্টকে এ+ দেওয়ার ক্ষমতা তারা রাখেন। তারজন্য প্রতিমাসে প্রতিটা স্কুল কলেজকে গুনতে হয় মোটা অংক। প্রতিটা অবিভাবকই এ বেপারে অবগত অথচ সবাই চুপ। পাশের বাড়ির লোকদের দেখাতে হবে তো তার ছেলে এ+ পেয়েছে।

০৪. পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ন্ত্রন: কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবে শিক্ষার্থীরা, বন্ধুরা পাশা পাশি বসে পরীক্ষা দিতে পারবে, একজনের খাতায় আর একজন লিখে দিতে পারবেন, অর্থৎ গ্রুপ স্টাডি করার সকল সুযোগ পাওয়া যাবে । যারা পরীক্ষায় গার্ড দিবেন তারা চেয়ারে বসে পেপার পড়বেন। পাশের হার এমনিতেই বাড়বে কোন চিন্তা করতে হবে না।

০৫. ভর্তি: মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় তো এ+ পেলেন এবার ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে হবে । বাবার টাকা আছে তো যে কোন ইউনিভার্সিটিতে ভতি হতে পারবেন। আর যাদের টাকা নেই তারা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে হলে কলম চিবিয়ে বের হয়ে আসে। ভর্তি হয় বেসরকারী ইউনিভার্সিটিতে। বড় বড় সার্টিফিকেট নিয়ে পাশ করে শিক্ষার্থীরা।

০৬. পাঠ্যবই: মাঝে মাঝে মনে হয় যারা পাঠ্য বইগুলো লেখেন তারা প্রচুর পরিমান এলকোহলে আশক্ত। এলকোহল সেবন করেই বইগুলো লিখতে বসেন। কোন প্রুভ রিডারের দরকার হয় না। বই ছাপলেই হলো। সরকারী প্রতিটা বইয়ের মনে হয় প্রতি পাতাতেই কম বেশি ভুল থাকে। ছাপার ভুল, হিসেব ভুল। হাজার হাজার ভুল, কে দেখে কার ভুল। জীবন চলছে এমন ভাবেই।

০৭. চাকরী: চাকরীর বাজার খুব খারাপ, দেশে চাকরী নেই, মামা চাচা ছাড়া চাকরী হয় না। এমন কথা আমরা প্রায়ই শুনি। আপনার কাছে বড় বড় সার্টিফিকেটের তখন আর কোন দাম থাকে না। সার্টিফিকেট আছে অথচ মেধা নেই চাকরী কি করে হবে? অকর্মা অপদার্থ কাউকে দিয়েতো আর প্রতিষ্ঠান চলে না। সব প্রতিষ্ঠানই চায় মেধাবী কাউকে কিন্তু কোথায় পাবে? দিনে দিনে সার্টিফিকেট বাড়ছে কর্মসংস্থা তো বাড়ছে না। একটা পদের পিছনে আবেদন পরছে হাজার হাজার। যার ভিতর মেধা আছে সে অবস্থাই তার জায়গা করে নিচ্ছে। তাই তো কথায় আছে "যদি করো চালাকি পরে বুঝবা জালা কি" । প্রতিটা শীক্ষার্থী এখানে এসেই আসল ধরাটা খায়।

০৮. পরিনাম: যেমনটা হওয়ার কথা ঠিক তেমনটা। কেউ অংশ নেয় রাজনীতিতে, কেউ হয় সন্ত্রসী, কেউ মাদকাশক্ত, কেউ অংশ নেয় প্রতারনা মূলক ব্যবসায়, কেউ মানুষ ঠকানোর ধান্দায়, কেউ পতিতা। টাকা তো একভাবে না একভাবে উপার্জন করতে হবে তা না হলে পেট চলবে কি করে? আর সেই মূর্লবান টাকার পিছনে ছুটতে গিয়ে বেছে নেয় যে কোন পথ।

জাতীকে আমরা ইচ্ছা করে ধ্বংশ করছি, এর জন্য বাইরের কেউ দায়ী নয়,

দেশের ক্ষমতশালী মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনারা নিজেদের স্বার্থে দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না। পাসের সংখ্যা না বাড়িয়ে মেধাবির সংখ্যা বাড়ান। শীক্ষাব্যবস্থা এতো সহজ না করে আরো কঠিন করা হোক যাতে প্রতিটা শীক্ষার্থকে মেধা দিয়ে পাস করতে হয়। প্রতিটা স্কুল কলেজ বোর্ডে কড়া নজর রাখা হোক। অন্তত দেশের সম্পদ মেধা নিয়ে যেন খেলা না হয়।



বিদ্র: বিনামূল্যে রক্ত পেতে ও রক্ত দাতাদের তালিকায় নিজের নাম অন্তর্ভক্ত করতে ভিজিট করুন: http://www.blooddonors24.com

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:৫১

যোগী বলেছেন:
আগে দেশে বিদেশের শিক্ষা ব্যাবস্তা সম্পর্কে খুব ভালো ধারনা নেন তার পরে আসেন দেশের শিক্ষা ব্যাবস্তা জুয়া খেলা কিনা সেটা নিয়ে কথা বলতে।

আবালেরমত কিছু লিখে দিলেই হয় না।

২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:০৩

জোবায়ের রহমান বলেছেন: হেডলাইন পড়ার সাথে সাথে ভিতরের কথাগুলো পড়ার চেষ্টা করবেন তাতে আসল বেপারটি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন। আমার মনে হয় আপনি হেডলাইন পড়েই মন্তব্য করছেন। এটা আপনার প্রবলেম না, স্বল্প জ্ঞানের বোঝা। ভালো থাকবেন

২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ২:৪২

যোগী বলেছেন:
আরে আবাল ভিতরে পরেই মন্তব্য করেছি। আগে নিজের শিক্ষা ঠিক কর তার পরে শিক্ষা ব্যাবস্থা নিয়ে লিখ।

২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৪

জোবায়ের রহমান বলেছেন: এবার পরিষ্কার বুঝতে পারলাম আপনি একটা ইন্ডিয়ান,

৩| ২৬ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১:১২

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: জাতীকে আমরা ইচ্ছা করে ধ্বংশ করছি, এর জন্য বাইরের কেউ দায়ী নয়,
দেশের ক্ষমতশালী মানুষদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। আপনারা নিজেদের স্বার্থে দেশের সম্পদ নষ্ট করবেন না। পাসের সংখ্যা না বাড়িয়ে মেধাবির সংখ্যা বাড়ান। শীক্ষাব্যবস্থা এতো সহজ না করে আরো কঠিন করা হোক যাতে প্রতিটা শীক্ষার্থকে মেধা দিয়ে পাস করতে হয়। প্রতিটা স্কুল কলেজ বোর্ডে কড়া নজর রাখা হোক। অন্তত দেশের সম্পদ মেধা নিয়ে যেন খেলা না হয়।

@লেখক.. যোগীর আর কি দোষ? তাদের মন্ত্রীই যখন বলেন ৭৫ % উপস্থিতি থাকলেই চলবে টেষ্ট পরীক্ষাও দেয়া লাগবে না!!!
মানবিক দৃষ্টিতে খাতা দেখতে বলেন!
পরীক্ষক ন্যায় দৃষ্টিতে খাতা দেখলে কালো তালিকুভূক্ত করে!!

এই সকল অপকর্মের সাফাই গাইতে যা করা লাগে উনারা তাই করেন!!! -

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.