নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অনুপ্রেরনা

আমি খুব সাধারন একজন, মানুষের জন্য কাজ করি। কবিতা লিখি, অনুপ্রেরনা পোস্ট লিখি। হয়তো কারো উপকারে আসতে পারে। নবজীবন সোসাল ওয়ার্ক সংগঠনের সেকরেটারী জেনারেল।

জোবায়ের রহমান

সাদামাটা জীবন ভালোবাসি। ভালোবাসি মানুষকে বিশ্বাস করতে। অতিতকে নিয়ে ভাবি না , বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে ভালোলাগে। ভালোলাগে লিখতে বা নতুন কিছু আবিষ্কার করতে। অসহায় ও দুর্বল মানুষের পাশে দাড়ানো আমার একটা বদ অভ্যাস। ব্লগিং করতে ভালো লাগে, পাঠক মন্তব্য দেখলে খুব আনন্দ পাই। বাকিটা আমার সাথে মিশলে বুঝবেন আমি কতোটা বদের হাড্ডি ।\\n\\nপছন্দ: কালো ও নীল রং ভালো লাগে, সকল ধরনের ফস্টফুড ও চাইনিজ খাবার পছন্দ করি, সকল ফল আমার প্রিয় তবে টক জাতীয় ফল একটু বেশি পছন্দ, খুব আচার খেতে ভালোবাসি, প্রিয় মাছ ইলিশ ও গলদা চিংড়ি, গিটার নিয়ে গান খাইতে ভালো লাগে, ছবি আকা ও কবিতা লেখা আমার সখ, উল্লেখযোগ্য সখ হচ্ছে সুন্দর সুন্দর ফুল বা ফলের গাছ লাগানো।\\n\\nআমার সম্পর্কে এর চেয়ে বেশি জানতে চাইলে একদিন বাসায় চলে আসবেন, দুজনে কফি হাতে আড্ডা দিতে দিতে বাকিটা বলবো। ওহ ভালো কথা, বাসায় আসলে সাথে করে মিষ্টি আনতে ভুল করবেন না যেন, মিষ্টি আমার খুব প্রিয় ;)

জোবায়ের রহমান › বিস্তারিত পোস্টঃ

সরে দাড়ান, গায়ের ভিতর ঢুকছেন কেন?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪৫

আগে বাসে উঠলে সামনে ডানপাশে ৯টা সিটের উপরে লেখা দেখতাম “প্রতিবন্ধি, বৃদ্ধ, শিশু ও মহিলা সংরক্ষিত ৯ টি আসন” কালের বিবর্তনে এখন লেখা দেখি “মহিলা সিট” একজন মহিলা কোন ভাবে বাসে উঠেই, যেই বসা থাক না কেন বলে ওঠেন।মনে হয় সিটটা ওনার কেনা, কেউ একজন বসে মহা অন্যায় করে ফেলেছে।সেই সিটে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধি বা শিশু থাকনা কেন। কালের বিবর্তনে বাকি লেখাটা হারিয়ে গেলেও, যখন কোন নারীকে দাড়িয়ে থাকতে দেখি তখন নিজের সিট ছেড়ে দিয়ে বসতে দেই।আবার তখন শুরু হয় অধিকার প্রতিষ্ঠার পালা।কিছুক্ষন যেতে না যেতেই বলে “সরে দাড়ান, গায়ের ভিতর ঢুকছেন কেন?” যদিও বর্তমানের বাসগুলাতে দাড়ানোর সুযোগও থাকে না, বাধ্য হয়েই এসব বাসে উঠতে হয় খরচ কিংবা সময় বাচানোর জন্য।যদিও আজ পর্যন্ত কোন নারীকে দেখিনি কারো জন্য সিট ছেড়ে দিতে সে বৃদ্ধ বা প্রতিবন্ধি হোক। সিট মানে সিট, সংরক্ষিত মানেই মহিলাদের সিট আবার পুরুষ সিট ছেড়ে যদি কোন মহিলাকে বসতে না দেয়া হয় তাহলে বলা হয় ”বিবেক হীন” সেদিন বাসে ৬০ বছরের বেশি এক বৃদ্ধকে উঠিয়ে দিয়ে নিজের সিট দখল করার দৃশ্য চোখে পরতেই এই লেখার অনুপ্রেরোনা।
যাই হোক, আমার জীবনের একটা ঘটনা বলি, মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর ১ এ যাওয়ার একটা ভালো মাধ্যম লেগুনা। লেগুনার প্রতি সিটে ৬ জন্য করে বসতে হয এটা নিয়ম। ৬ জন বসলে ডানে বায়ে নড়ার আর কোন উপায় থাকে না।মেয়ে বা নারীদের সবার পিছনে বসতে দেয়া হয় তাদের নিরাপত্তার জন্য। সেদিন আমার সিটে ৪ জন বসেছিলাম, একটু রিলাক্স বলা যায়। শ্যামলি আসতেই এজন মেয়ে উঠলে, তার বসার জন্যই আমি একটু ভিতরে সরে গেলাম।বার বার ইতস্তত বোধ করতে লাগলো একজন পুরুষের সাথে তার শরীর লাগছে, আমার কাছে কেন যেন মনে হলো ওভার এক্টিং। তাকে সেভ করতেই আমি ভিতরের দিকে ঘুরে বসলাম, অর্থাৎ আমার পিঠের দিকে মেয়েটা, অন্তত শরীর বা হাত তার শরীরে না লাগুক।যাই হোক, কিছুক্ষন পরেই আরো এক ভদ্রলোক উঠেই সোজা ভিতরে চলে গেলো। স্বাভাবিক কারনেই আমাকে মেয়েটার দিকে সরে যেতে হলো। তবুও আমি বাকা হয়েই বসে আছি। মেয়েটার শরীর থেকে বাচার জন্য আমার সর্বচ্চ চেষ্টা করেও কেন যেন পারলাম না, অবশেষেই লেগেই গেলো তার সাথে।অর্থাৎ আমার পিঠের সাথে তার কাঁধ।আমার কাছে মনে হয় চলতে ফিরতে এটা স্বাভাবিক বেপার। সাথে সাথেই মেয়েটা আমাকে এক সুপার ঝাড়ি “বাকা হয়ে বসছেন কেন, সোজা হয়ে বসেন” কি আর করা সোজা হয়েই বসলাম, এবার যেভাবে শরীর লাগলো তাতে তার থেকে লজ্জাটা আমার বেশি করছিলো। একটু পরে বলে “আগের মতোই বসুন” এইবার দিলাম আমি সুপার ঝাড়ি “নিজেদের কি মনে করেন? আপনাকে সেভ করার জন্য হাত উপরে দিয়ে কার্টুনের মতো ঘুরে বসলাম তাতেও আপনার ভালো লাগলো না, এক সাথে চলতে গেলে অনেক কিছুই হতে পারে, সবাইকে এক পাল্লায় দেখবেন না, বেশি সমস্যা হলে প্রাইভেট কার কিনে নিন তাহলে এভাবে পাবলিকের পাশে বসতে হবে না।আর না হলে অভ্যাস করে নিন।মেয়েটা চুপ হয়ে গেলো, নিজের কাছেও খারাপ লাগছে ঝাড়ি দেয়ার জন্য। কিন্তু কি করার ছিলো।এতোটুকু চাপা যায়গায় শরীরে শরীর লাগবে এটাই স্বাভাবিক, সবাই নারীকে সম্মান করবে না, সবাই ঘুরে বসবে না।তবে চলতে ফিরতে সবাই সবাইকে কিছুটা ছাড় দেয়া উচিৎ। পরিস্থিতি বোঝা উচিৎ। নারী পুরুষ সমান অধিকার, অথচ আমরা অনেক নারিরাই বেশি প্রত্যাশাবদী, এটাই যেন হওয়া উচিৎ।
ছবিটা গুগল থেকে নেয়া

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৬

শেয়াল বলেছেন: খুব দুঃখজনক ব্যাপার।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৩

জোবায়ের রহমান বলেছেন: কি করার আছে, এটাই নিয়ম, সরকার আপনাদের ক্ষমতাও আপনাদের

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:১৪

প্রামানিক বলেছেন: এই বিষয়ে আমার একটি লেখা আছে নিচে লিঙ্ক দিলাম, পড়ে দেখুন- - - -
নারী দুর্বল না পুরুষ দুর্বল

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

জোবায়ের রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:৪১

এসব চলবে না..... বলেছেন: এগুলারে ঝাড়ির উপরই রাখতে হয়। নাইলে পাইয়া বসে।
আমি ইহ জিন্দেগিতে ও বৃদ্ধ আর প্রতিবন্ধী ছাড়া কোন মাইয়া মানুষের লাইগা সিট ছাড়ি না।
থাক তোরা খাড়াইয়া। সমান অধিকার না ?

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩২

জোবায়ের রহমান বলেছেন: সব সময় পারি না রে ভাই :(

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:০১

গুলশান কিবরীয়া বলেছেন: আপনার লেখাটি আমার ভালো লেগেছে । যদিও অনেকে ভাবতে পারে নারী হয়ে কিভাবে আমি এই লেখাকে ভালো লাগলো বললাম । আপনার লেখার ভঙ্গি দেখে আমার মনে হয়েছে আপনি বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই লিখেছেন ।

এটা আসলে আমাদের সমাজের দুর্বল সময়ের দুর্বলতম ধ্যানধারণা - পুরুষের শরীরের একটু খানি স্পর্শে সতীত্ব হানী হতে পারে । আবার এটাও সত্য , কিছু কিছু অসাধু পুরুষও রয়েছে তাদের অসাধু অভিপ্রায় থাকে - এটাও কারণ হতে পারে । কিন্তু নিরুপায় মানুষ এসবের মধ্য দিয়েই চলছে , কোন কোন নারী ভয়ে ভয়ে আবার কোন কোন নারী বিধ্বংসী আচরণ করে । একটা সমাজের মূল্যবোধ , রীতিনীতি একদিনে গড়ে ওঠেনি কিংবা একদিনে শেষও হয়ে যাবে না । সব কিছুরই প্রকৃতিগত ভাবে একটা টাইম ফ্রেম থাকে আর এই টাইম ফ্রেমকে উপেক্ষা করে জীবন চলতে পারে না । আশা করি এই ধরনের অবস্থার অবসান একদিন হবে , পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ , সহানুভূতিশীলটা জাগ্রত হবে ।

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৪

জোবায়ের রহমান বলেছেন: শুভ কামনা আপনার জন্য এমন মন্তব্য করার জন্য, ভালো থাকুন

৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৩

ইচ্ছে পাখি বলেছেন: বাস্তবতা একটু কঠনিই হয়। সমাজে নানান ধরনের মানুষ(পুরুষ ও মহিলা) রয়েছে। সবার চিন্তাভাবনা এক নয়। তবে যারা পজিটিভ তারা সবকিছু পজিটিভলি নিলেই সমাধান ..

১১ ই মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৩৭

জোবায়ের রহমান বলেছেন: একটা মানুষের কতোটুকু পজিটিভ হওয়া সম্ভব? কোন দিন কি দেখেছেন নারী পুরুষ বন্ধু হতে? একটু নির্জনতাই বলে দেবে আসল রূপ। নারী পুরুষের অধিকার নিয়ে আজ কেন কথা উঠছে? আমাদের মা খালারা কি খারাপ ছিলো? আজ ঘরে ঘরে বিবাহ বিচ্ছেদ, আগে কি এতটা ছিলো? অতিতে কি সুখের অভাব ছিলো যা আজকাল খুব দরকার। যাই হোক, শুভ কামনা আপনার জন্য

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.