নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে যখন মজাদার দৃষ্টিনন্দন ইফতারের ছবির ঝড় ও তান্ডব

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৮

দুলাভাই আসুন সেলফি তুলতে হবে আমার ফেসবুকে দিতে হবে সবাই আসো কে কো্থায় ?


বাংলাদেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে মাতম চলছে তো চলছে, হায় ফিলিস্তিন, হায় সিরিয়া, হায় ইরাক, হায় লিবিয়িা, হায় মুসলিম, আরেক দিকে চলছে বাংলাদেশে নিজেদের বাসায় মজাদার দৃষ্টিনন্দন ইফতারের ছবির ঝড় ও তান্ডব করা দাওয়াত, সেলফি আজকে আছি লাল মিয়ার হোটেল রেষ্টুরেন্টে, সেলফি আজ শশুর বাড়ীতে আদরের জামাই কালা মিয়া সহ তিনজন গর্ধভ শ্যালক ও তিনজনা ধারী শ্যালিকা । আসুন দেখি তাদের খাবারের ম্যানু - যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাতার পর পাতা সয়লাব হচ্ছে, আর ২০০ লাইক ও ১২৩ টি কমেন্টের কি অবস্থা: -

দুলাভাই এটা না খেলে কিন্তু আমি খুব রাগ করবো হ্যাঁ


গপ গপ গপ খাবারের শব্দ হচ্ছে শুধু


আরেক টা ডিস কোথায় বুয়া ?


দুলাভাই খান তো কি যে করেন আপনি? ঈদে শপিংয়ে কবে যাবেন আমাদের নিয়ে ?


আসুন দেখি বেচাড়া ফিলিস্তিন কি অবস্থা:-


বেচাড়া সিরিয়া:-


সোনার দেশ লিবিয়া:-


বাংলাদেশের জাতীয় ঐতিহ্য কিছু বলার আছে কি - করছেন কি এসব ? আপনারা মানুষ না অন্য কিছু ?

ছবি: গুগল
দ্রষ্টব্য: কারো ব্যাক্তিগত সেলফি দিয়ে কাওকে ছোট করা কোনো ভালো কাজ হতে পারে না, তবে আপনি আমি সবাই সাবধান হওয়া উচিত, রমজান সংযমের মাস সব খেয়ে বাজার হোটেল রেষ্টুরেন্ট শেষ করে দেওয়ার মাস হতে পারে কি ? রাতে সেহরীও রেষ্টুরেন্টে চলে, সেই সেহরীও ভয়াবহ খাবার - বিয়ে বাড়ীর খাবার ফেইল !!!

মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৭

রোকনুজ্জামান খান বলেছেন: সংযম যেন অসংযম না হয় সেদিকে খেলায়
রাখাটা জরুরী।
লোক দেখানে সেহরী ইফতার
কখনো কবুল হবে না ।


(((((((আমার বল্গে ঘুরে আসার অনুরোধ রইলো।)))))))))

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে সংযম বলে কোনো শব্দ নেই কোনো কালে ছিলো ও না এই শব্দটি শুধু মাত্র মানুষের মুখে মুখে আছে যা সংসদে বিল পাশ করে ব্যান করে দিতে হবে ।

২| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৪৮

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: আচ্ছা, মাহমুদ ভাই??

এখনকার লিবিয়া কি গাদ্দাফির আমলের চেয়ে ভাল আছে?
আর ইরাক কি সাদ্দামের সময়ে চেয়ে ভাল অবস্থানে আছে?
কি মনে হয়??

৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চলার পথের মন্ডল ভাই, উত্তর তো আপনি নিজেই দিয়ে দিলেন, তারপর ও বলছি ইরাক লিবিয়া পূর্বের অবস্থায় আগামী ১০০ বছরেও যেতে পারবে না - অভিশপ্ত হয়ে গেছে । সোজা কথা অভিশপ্ত দেশ । বাংলাদেশের গুলিস্তানের টোকাই ইরাক লিবিয়ার ছেলে মেয়েদের চেয়েও ভালো আছে, কি মনে করেন - বিস্বাস হয় বস্ ?

৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আরেকটা ডিশ কোথায়, বুয়া? আমার তারেকের (আদরের ছোট জামাই) জন্য নুডুলসের শরবতটা এক্কুনি নিয়ে আস!! জামাই বাবাজি কতদিন পরে এলেন। B-) B-)

চমৎকার একটা পোস্ট, তারেক ভাই। এখন টয়লেট, কবর আর সুন্নতে খৎনায়ও সেলফি হয়। fb লাইভ হয়।

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নুডুলসের শরবত হাঃ হাঃ হাঃ - নিজের খুশি করতে হবে (খুদ খুশি - আত্ম হত্যা) এই দেশে জামাই আদর আর জামাই কে গ্যান্ডারী মেশিনে চিপা টেকনিক পি এইচ ডি থিসিস হওয়া উচিত, বিদেশে এই থিসিস রপ্তানী করে আয় হতে পারে বিপুল পরিমান বৈদেশিক মুদ্রা । থিসিস অথর - বাংলার শাশুরী আম্মা ।

৪| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৭

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: সরি, ঠাকুরমাহমুদ না লেখে তারেক লেখে ফেলেছি।

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অসুবিধা নেই যাহা বায়ান্না তাহাই তিপ্পান্ন ।

৫| ৩০ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংগালীরা নিজেদের অবস্হান বুঝে না, নিজেদের মানুষের কষ্ট অনুধাবন করে না; ফলে, এরা ফিলিস্তিন সমস্যা সঠিকভাবে বুঝার কোন সম্ভাবনাই নেই।

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, যে নিজের বোঝে না সে বুঝবে সিরিয়া ফিলিস্তিন আমাদের দেশ মগের মুল্লুক, - ঘুষ, কালো টাকা আর বিদেশী রেমিটেন্স এই দেশের মানুষকে উম্মাদে রুপান্তরিত করেছে।

৬| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৩

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: ঠিক, আপনার মনোভাব জানার জন্য প্রশ্নটি করেছিলাম!;)

@"বাংলাদেশের গুলিস্তানের টোকাই ইরাক লিবিয়ার ছেলে মেয়েদের চেয়েও ভালো আছে...."
-সত্য কথা।
সিরিয়া, ইরাক, আফগানিস্তান+... ওরা সব সময় ভয়ে থাকে, না জানি কখন মাথার উপর আন্ডা(বোমা) পড়ে?
আমাদের অন্তত সেই ভয় নাই! (বন্দুক যুদ্ধ ছাড়া)



পুনশ্চঃ দেশের পাঁচ জেলায় দরিদ্রের হার বেড়েছে। (প্রথম আলো):(

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মন্ডল ভাই, দেশে চাচা বাড়ছেন গানিতিক হারে তাদের মোবাইল কেনার জন্য বাজেঠ লাগে তাদের লোটা বদনার জন্য ও বাজেট লাগে - যেইদিন এই চাচা’রা - “চাচা আপন প্রণ বাঁচা” বলে দৌড় দেবেন সেদিন দেশের মুক্তি - যদি কোনো কালে চাচা’রা দৌড় দেন, যদিও অসম্বভব স্বপ্ন !!!

৭| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৮

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আর তিনি বাঙালীর অবস্থা বুঝে
মনের দুঃখে দেশ ছেড়ে চলে গিয়ে
ইফতারীতে হ্ট ডগ আর মাটন বার্গার
মেরে দিচ্ছেন গোটা কয়েক!

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: নূর মোহাম্মদ নূরু ভাই, আপনার লেখা কেনো আমি পোষ্ট করি ভাই ? এই লেখাটি আরো মারাত্বকভাবে আপনার পোষ্ট দেওয়ার কথা, যেখানে আমি কমেন্ট করবো - ছুড়ি কাচি নিয়ে ঝাপিয়ে পরবো, বাজার-হোটেল-রেষ্টুরেন্ট বাংলার জনগণ খেয়ে ফেলবে সাথে দোকানের সাইনবোর্ড ও পেটে যাবে ইফতার করা দিয়ে কথা, ইফতার করতে হবে ।

৮| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২১

সনেট কবি বলেছেন: সে যাই হোক ইফতারিগুলো বেশ লোভনীয়।

৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্যার, বাংলার খাবারই দেখলেন - সিরিয়া লিবিয়া ফিলিস্তিন চাপা পড়ে গেলো মজার খাবারের নিচে !!!

৯| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০০

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: বাংঙ্গালি পরিবারে রোযা মাসে অন্যান্য মাসের তুলনায় দুই'তিনগুন বা আরো বেশি খরচ হয়। ধনী, দরিদ্র সবাই আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়। সুতরাং আত্মসংযমের প্রশ্নই আসে না।

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বাংলাদেশে রোজা মানে খাবারের উৎসব, খাবারের প্রতিযোগিতা, খাবারের অপচয়, খাবারের ধ্বংস। আজব প্রাণী এই দেশে সয়লাব । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে তাদের দেখা মিলে খাবার সহ সেলফি !!!

১০| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১২

কাইকর বলেছেন: আমি জুনায়েদ ভাইয়ের সাথে একমত

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দেশের সব খাদ্য একদিনে খেতে হবে এমন কোনো অলিম্পিয়াড হোক - বাংলাদেশ জিতবে গোল্ড মেডেল !!!

১১| ৩০ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৯

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: কিছু পাবলিকের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশী টাকা হয়ে গিয়েছে। কয়েকজন যখন এই টাকা খরচ করতে লাগল চিরকালীন পরশ্রীকাতর বাংলাদেশীও তা শুরু করে দিল। এভাবেই শুরু হয়ে গেল রাতের সেহেরী নামের আরেক ভন্ডামি...

৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ৮:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার, ভন্ডামী কি তার নমুনা চলছে দেশে মধ্যরাত অবদি খোলা থাকে রেষ্টুরেন্ট দুর দুর থেকে আসে গুলশান বনানী পুরান ঢাকা সেহরী করার জন্য !!! খাবার তো নয় যেনো বিয়ে বাড়ীর মচ্ছব, মানুষ খায় না এখন খাবার মানুষকে গিলে ।

১২| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৭

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: এখনতো সেহেরি নাইট ও করে!

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেহরী নাইট আর ইফতার নিয়ে হচ্ছে অদল বদল - পুরান ঢাকার লোক নতুন ঢাকায় আর নতুন ঢাকার লোক পুরান ঢাকায়, খাবি তো খাহ মারা যাবি যাহ, রাতের রেষ্টুরেন্টে মচ্ছব বসে খাবারের ঢেড় পড়ে, যেনো মনে হতে পারে প্রতিযোগিতা চলছে ।

১৩| ৩০ শে মে, ২০১৮ রাত ১১:১৯

শামচুল হক বলেছেন: দারুণ দারুণ ইফতারীর ছবি। ধন্যবাদ

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: দারুন ছবি সাথে নিদারুন করুণ ফিলিস্তিন, সিরিয়া, ইয়েমেন, ইরাক, লিবিয়া, শামচুল হক ভাই ধন্যবাদ আপনারে চোখে সবই পড়ে দেখুন বস্তব, কিছু বলুন।

১৪| ৩১ শে মে, ২০১৮ রাত ১২:২৪

টোনাল্ড ড্রাম্প বলেছেন:

তুরস্কে (প্রায়) চার বছরের জীবনে অনেক জায়গায় খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় প্রোগ্রাম থেকে শুরু করে একদম নিচ পর্যন্ত আইমিন একদম গরীব কিংবা নিন্মমধ্যবিত্ত পরিবার পর্যন্ত। খাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কমন একটা কালচার দেখেছি। কমবেশী এটা সকল ক্ষেত্রে ফলো করা হয়।

প্রথমত: এক বাটি স্যুপ (তুর্কি ভাষায় যাকে চর্বা বলে, বাংলা ভাষায় বললে ডাল)। রাজসিক কোন প্রোগ্রাম হলে সাথে অনেক লতা পাতার সালাদ থাকবে। আর মোটামুটি ধরনের হলে শুধু লেবু অথবা শশার সালাদ।

দ্বিতীয়ত: প্লেটের কোনায় এক চামচ পরিমান ভাত আর আরেক কোনায় গোশত/মুরগী/মাছ থেকে যে কোন একটা আইটেম তাও পরিমানমত। আপনি ইচ্ছা করলেই এরচেয়ে বেশী নেওয়ার সুযোগ নেই। কারন তুর্কিদের খাবার টেবিলে আমাদের দেশের মত বাটিভর্তি গোশত কিংবা মাছ দেওয়ার কোন কালচার নেই। প্লেটে আপনার ভাগ্যে যতটুকু পড়ে তাতেই সন্তুষ্ট চিত্তে খেয়ে আলহামদুলিল্লাহ পড়া ছাড়া আর কোন গতি নেই।

তৃতীয়ত: মিষ্টান্ন। রাজসিক কোন ব্যপার হলে হয়তো নানা কালারের ২/৩ পিছ মিষ্টি পাবেন অথবা বড় একটা বাকলাভা। আর ছোটখাট হলে একপিছেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে আপনাকে।

চতুর্থত: আনলিমিটেড তুর্কিশ চা। যা রংচায়ের মত তবে বেশি লিকারের হওয়ায় তিতা এবং স্বভাবতই দুধ থাকার কোন প্রশ্নই আসেনা। আলাদা একটি বাটিতে চিনির টুকরা পাবেন, তবে কখনো কখনো আপনি কেবল এক টুকরা চিনি পাবেন। তার্কিশরা সাধারণত অল্প চিনিতে/চিনি ছাড়া খেতে অভ্যস্ত। তাই প্রখম প্রথম আপনাকে বেশ কষ্ট করে মানাই নিতে হবে।

আর হে, স্যুপ থেকে শুরু করে পুরো সময়টাইতেই একমেক (তুর্কি রুটি যা বিশেষত পাউরুটির মত, তবে মিষ্টি পাউরুটি নয়) এভেলএভেল থাকবে। কেননা একমেক/রুটি ছাড়া তাদের চলেনা।

উপরের এই কমন কালচারটা আপনি তুর্কির যে কোন প্রোগ্রামে পাবেন। সেটা রাষ্ট্রীয় কোন ভোজ হোক কিংবা কোন সাধারণ প্রোগ্রাম হোক অথবা হোক কোন বিয়ে অনুষ্ঠান। তবে বিয়েতে হয়তো কেক পেতে পারেন যেটা বর-কণে কাটবে, তার থেকে এক/দুই টুকরা। আর সাধারণ দেখা-সাক্ষাত, মিটিং কিংবা অফিস আদালতে গেলে আপনাকে এক কাপ চা/ কফিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। সেটা হোক প্রেসিডেন্ট প্যালেস, হোক কোন ছোট অফিস।

যা বলতে চাচ্ছি তা হল খাওয়ার ব্যপারে তুর্কিদের আভিজাত্য আপনি কমই খুজে পাবেন কিংবা একদমই পাবেন না। অপচয়েরতো প্রশ্নই আসে না। খাওয়ার পর ছোটখাট রুটির টুকরা যাও বাচে তাও তাদেরকে সংগ্রহ করতে দেখি পশু-পাখিদের খাবার হিসেবে। অবশ্য ব্যতিক্রমতো আছেই। তবে কমন কালচার আমার কাছে এমনটাই মনে হয়েছে।

তবে তাদের একটি জায়গাতে বেশ অভিজাতে ভরপুর। তা হলো, দান-খেরায়াতের ক্ষেত্রে। অনেকটা মুক্ত হস্তে দানের মত। এটা সমাজের কমন কালচার। সবাই দান করে। যে হয়তো অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করে সেও মুক্তহস্তে দান করে। আর সেজন্যই তুর্কি পৃথিবীতে দ্বিতীয় মানবিক সহায়তাকারী দেশ হিসেবে গতবছর ৬ বিলিয়ন ডলার দান করেছে। জিডিপির আকার হিসেবে ধরলে তুরস্ক বিশ্বে প্রথম। বলাই বাহুল্য, এই বিশাল পরিমান দানের রেকর্ড এজন্যই সম্ভব হয়েছে যে, একদম সাধারণ জনগনও মুক্ত হস্তে দান করে।

এবার মূল কথায় আসি। গত কয়েকদিন ধরে পৃথিবীতে সভ্যতাগুলোর পতনের কারন পড়ছি। তাতে দুটি বিষয় কমন, প্রথমত: পতনের পূর্বে তারা বেশ অভিজাত হয়ে পড়েছিল কিংবা অভিজাততন্ত্র তাদেরকে ঘিরে ধরেছিল, দ্বিতীয়ত: দুর্বলদের প্রতি তারা জুলুম করেছিল তথা দুর্বলদের থেকে অর্থ নিয়ে এই অভিজাততন্ত্র পরিচালনা করতো।

এর বিপরীতে সভ্যতাগুলো গড়ার ইতিহাস যদি পড়ি বিশেষ করে ইসলামে জীবন যাপনের ক্ষেত্রে দুটো জিনিষ বেরিয়ে আসে। প্রথমটা হলো; সাধারণ জীবনযাপন অন্য অর্থে বললে রাজসিক কিংবা অভিজাত নয় এমন জীবন, আর দ্বিতীয়টি: প্রচুর দান তথা দুর্বলদের সহায়তা।

আমার মনে হয় তুর্কিরা যতদিন এ দুটো বিষয় ধরে রাখতে পারবে ততদিন তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারবে। ইনফ্যক্ট এক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্বে তুর্কিশরাই সবচেয়ে এগিয়ে আছে

হাফিজুর রহমান

৩১ শে মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তবে তাদের একটি জায়গাতে বেশ অভিজাতে ভরপুর। তা হলো, দান-খেরায়াতের ক্ষেত্রে। অনেকটা মুক্ত হস্তে দানের মত। এটা সমাজের কমন কালচার। সবাই দান করে। যে হয়তো অনেক কষ্ট করে জীবনযাপন করে সেও মুক্তহস্তে দান করে। আর সেজন্যই তুর্কি পৃথিবীতে দ্বিতীয় মানবিক সহায়তাকারী দেশ হিসেবে গতবছর ৬ বিলিয়ন ডলার দান করেছে। জিডিপির আকার হিসেবে ধরলে তুরস্ক বিশ্বে প্রথম। বলাই বাহুল্য, এই বিশাল পরিমান দানের রেকর্ড এজন্যই সম্ভব হয়েছে যে, একদম সাধারণ জনগনও মুক্ত হস্তে দান করে।

১৫| ৩১ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৫৮

রাজীব নুর বলেছেন:

৩১ শে মে, ২০১৮ বিকাল ৪:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, এটাই কি জীবনের শেষ ইফতারী ! খেতে খেতে ডাইনিং টেবিলেই মৃত্যু !!!

১৬| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:০২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়ু!!!!!!

আমার পোস্টে গিয়ে কিন্তু ইফতার নিয়ে কিচ্ছু বলতে পারবানা!!!!!!!

আগেই বলে দিলাম!!!!!! :(

০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপুরে, কিছুই বলবো না, কথা রাখলাম, আমি নিরামিষভোজী মানুষ হয়েছি প্রায় একযুগ পার করে দিয়েছি তাই কাওকে ব্যাক্তিগত আক্রমণ করা আমার কাজ নয়।

১৭| ০২ রা জুন, ২০১৮ দুপুর ২:৫৯

শায়মা বলেছেন: থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ থ্যাংক ইউ ভাইয়ামনি!!!

তবে আই লাইক ডেকোরেটিং.....মোর দ্যান ইটিং.........

০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমার জীবনে চেনা অচেনা অসংখ্য ভাই বোনের কাছে অনেক অনেক ভালোবাসা পেয়েছি, তাদের কাছে আমি ঋণী, তাদের মতো আপনার কাছে ও আমি ঋণী। ভাই বোনের ঋণ পরিশোধ করা যায় না - আপনার এই ভাইটি আপনার জন্য জন্য দোয়া করছি -
বোন রে, আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, ব্যস্ত থাকুন, আপনার প্রতিটি দিন যেনো হয় সুন্দর থেকে সুন্দরময়।

১৮| ০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:১৯

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া একটা কথা বলি,

গত বছর রমজানের সময় তোমার এই রকমই ইফতারে অসংযম বিষয়ক একটা পোস্ট ছিলো। সেই পোস্ট নিয়ে তার লিঙ্ক দিয়ে কিছু ঈর্ষাকারী মানুষ যারা আমার ছবি আঁকা নিয়ে অযথা উন্মাদীয় কিছু যুক্তি দিয়ে পিছে লাগতে এসেছিলো তারা আমাকে ব্যাঙ্গ করে সেই পোস্টের মূল বিষয়ের সাথে আমার ইফতারী পোস্টের তুলনা করছিলো। যা ছিলো পুরোই হাস্যকর ও সুস্পষ্ট হিংসা ও নোংরামীর পরিচায়ক।

সেই সময়টা আমিও তোমাকে সেই দলের একজন মালটি ভাবতে শুরু করি ও এড়িয়ে চলি।

কারণ এই সব ঈর্ষাপরায়ন বিষয়ে সময় নষ্ট করলে আমার সৃষ্টিশীল কর্মকান্ডের সময় নষ্ট হয়।

তবে আজ বুঝলাম তুমি আসলে একেবারেই অন্য জগতের মানুষ যর মাঝে রয়েছে একটি সুন্দর হৃদয়। :)

০২ রা জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বোন রে, ইফতারী নিয়ে আমি লিখেছি, গতবছর ও লেখা ছিলো আপনার তা মনে আছে এবং সেই জন্য আপনি আক্রান্ত হয়েছিলেন যেনে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত, তবে আমি কাওকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমণ করিনি তাছাড়া আপনার পোষ্টেও না, আর আপনি সেই দুঃখ পেয়ে মনে কষ্ঠ লালন করেছেন যেনে আমিও আপনার সাথে সমদুঃখি। বোন রে, একটা কথা বলি পৃথিবীতে দুঃখ ধোয়ায় কোনো সাবান আবিস্কার হয়নি তাহলে সেই সাবান হয়তো বা সবচেয়ে বেশী ক্রয় বিক্রয় হতো। আপনার লেখায়, আপনার এই ভাই তার বোন কে উদ্দেশ্য করে একটি গান -

মার স্নেহ কাকে বলে জানিনা
বাবার মমতা কি বুঝতে না বুঝতেই
এ বিরাট পৃথিবীতে দেখলাম
সে ছাড়া আমার আর কেউ নেই
সে আমার ছোট বোন…
বড় আদরের ছোট বোন।।

ভালো থাকুন বোন, পরম করুণাময়ের মঙ্গলের ছায়া আপনাকে দিক শান্তি ।

১৯| ১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৮

রানা আমান বলেছেন: আপনার পোস্টে ব্যবহৃত ইফতারীর ছবিগুলো কেমন যেন পরিচিত লাগছে । এই টেবল রানার এবং ক্রকারীজ গুলো ।

১০ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছবি: - গুগল হতে সংগৃহিত পোষ্টে উল্লেখ করা আছে ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.