নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রেসিডেন্ট জিয়া ইতিহাসের কালো অধ্যায়

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৩১



কর্নেল তাহের ও জিয়াউর রহমান গং সিপাহী বিপ্লবের নামে কাউন্টার ক্যু তৈরি করে - সিপাহীরা নন মেট্রিক, ক্লাস এইট পাশ হয়তোবা তাও না, অর্ধশিক্ষিত সিপাহীরা হিংস্র হয়ে গগণ ফাটিয়ে গুলি বর্ষণ আর আন্দোলনের স্লোগান দিয়ে উঠে -

“সিপাহী সিপাহী ভাই ভাই
-অফিসারের রক্ত চাই”


০৭ ই নভেম্বর ১৯৭৫ বাংলাদেশের আরেক সূর্য সন্তান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ (বীর উত্তম) কে হত্য করা হয় যার মুল নায়ক কর্ণেল তাহের ও জিয়াউর রহমান গং, বিপ্লবের নামে অফিসার হত্যার কাজগুলো সাধারণ সৈনিকেরা করতো, কিন্তু ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফের হত্যার দায়িত্ব পালন করে দুজন অফিসার সহ সৈনিক দল, অফিসারগণকে খালেদ মোশাররফ খুবই পছন্দ করতেন “কে ফোর্সের” অধীনে ৭১ এর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সেই দুজন ছিলেন ক্যাপ্টেন আসাদ ও ক্যাপ্টেন জলিল, এদের মধ্যে ক্যাপ্টেন আসাদকে ৭১ এর যুদ্ধকালীন সময়ে খালেদ মোশাররফ নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শত্রুর হাত হতে উদ্ধর করেছিলেন ।

অসীম সাহসী মুক্তিযোদ্ধা বীরউত্তম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফের ইউনিফর্মড মৃতদেহ ক্যান্টনমেন্টের রাস্তায় খেজুর গাছের নিচে অপমান ও অবহেলায় পড়ে থাকে - দুখিনী বাংলাদেশের প্রদ্বীপসম সন্তানেরা একে এক নিভে যেতে শুরু করেন ।

অফিসার হত্যার কাউন্টার ক্যু কে নানা নামে রাঙানো হয় “সিপাহী বিপ্লব, বিপ্লব ও সংহতি দিবস, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস” - ইত্যকার নাম, হায়রে অভাগা বাংলাদেশ ।

১৯৭৬ জেনারেল জিয়াউর রহমান ক্ষমতা কুক্ষিগত করার সাথে সাথে শুরু হয় এক প্রহসনের বিচার, স্থান ঢাকা কেন্দ্রিয় কারাগার - নাম “ রাষ্ট্র বনাম মেজর জলিল গং” কর্ণেল তাহের সহ অভিযুক্ত ৩৩ জন ইউনিফর্মড অফিসার !!! ১৯৭৭ সনের ৯ই অক্টোবর পর্যন্ত জিয়া্উর রহমানের নির্দেশে সামরিক আদালতে সরকারী নথিপত্র হিসেবে ১,১৪৩ (এক হাজার একশত তেতাল্লিশ) জন অফিসার ও সৈনিক ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হয়েছে - বাংলাদেশের কারাগারের বাতাস তরুণ সব সৈনিক ও অফিসারদের দির্ঘনিঃশ্বাস এবং হতাশ ক্রন্দন বিষাক্ত হয়ে আছে আজো ।

রাষ্ট্রিয় হত্যার দীর্ঘ ৩৫ বছর পর হাইকোর্টে এক রীট পিটিশন করা হয়। পিটিশনে বলা হয় ৩৩ জন ইউনিফর্মড অফিসার সহ ১,১৪৩ জন সৈনিক ও অফিসারের বিচার অবৈধ । হাইকোর্টের রীট পিটিশন আমলে এনে ও যাবতীয় তথ্য ও সাক্ষ্য বিচার বিবেচনা করে ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন মহামাণ্য বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী, ২২শে মার্চ ২০১১, তাঁর রায়ে বলা হয় ৩৩ জন ইউনিফর্মড অফিসার সহ ১,১৪৩ জন সৈনিক ও অফিসারকে ঠান্ডা মাথায় ততকালীন রাষ্টপক্ষ কুশলী হত্যা করেছে, এই বিচার অবৈধ। জেনারেল জিয়াউর রহমানকে এই সাজানো হত্যা কান্ডের জন্য দায়ী করা হয়, রায়ে বলা হয় জেনারেল জিয়া বেঁচে থাকলে এই হত্যা কান্ডের জন্য তার বিচার করা হতো, বাংলাদেশ আইনে মৃত অপরাধীরদের বিচারের বিধান নেই ।।

জিয়াউর রহমান অতি ভাগ্যবান মানুষদের একজন, মাত্র ৪৩ বছর বয়ষে তিনি বাংলাদেশের সপ্তম প্রেসিডেন্ট হোন । ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল প্রেসিডেন্ট বিচারপতি সায়েম এক ঘোষণায় জানান -

“আমি সাদাত হোসেন সায়েম শারীরিক অসুস্থতার কারণে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে পড়েছি। সুতরাং আমি মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোণীত করেছি এবং তাঁর কাছে প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব অর্পণ করেছি”

শারীরিক অসুস্থতার কাতর হয়ে প্রেসিডেন্ট সায়েম জিয়াকে প্রেসিডেন্ট করেন নি, জিয়া এই ঘোষণা দিতে তাকে বাধ্য করেছিলেন।

যবনিকাঃ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তার ক্ষমতাবলে কঠিন যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযমকে পাকিস্তান থেকে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিলেন এবং বিশেষ ক্ষমতায় বসালেন - আর সামরিক আদালতে সৈনিক ও অফিসারদের বিচার হতেই থাকলো আর তাদের দির্ঘশ্বাস কষ্ট জমা হতে লাগলো চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে - এবং আশ্চর্য্যজনক ভাবে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজেই ৩০শে মে, ১৯৮১ জিয়াউর রহমানের এক সময়ের সাথী জেনারেল মঞ্জুর ও তার দল জিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন - আরেকটি সেনা অভ্যুথ্যান ঘটে। বলা হয়ে থাকে জেনারেল মঞ্জুর তার রুপবতী স্ত্রী দ্বারা পরিচালিত ছিলেন - সেনা অভ্যুথ্যান ঘটানো ও জিয়া হত্যার পেছনে প্রলয়ংকারী স্ত্রীবুদ্ধি কাজ করে থাকতে পারে । হযরত আলী (রাঃ) বর্ণিত বাণী থেকে বলছি “আপনার হিসাব আপনাকেই দিতে হবে ইহকালেও পরকালেও”


লেখাটি উৎসর্গ করছি - জনাব চাঁদগাজী ভাইকে যিনি মুরুভূমিতে পানি খোঁজার মতো ইতিহাস খোঁজে বেড়ান এবং নিজে ইতিহাসের কড়াল সাক্ষি।


সুত্র:
দেয়াল - হুমায়ুন আহমেদ
রক্তঝরা নভেম্বর ১৯৭৫ - নির্মলেন্দ গুণ

ছবি: গুগল




মন্তব্য ৬০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৪৯

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: সবাই দেখি ইতিহাস লিখে যাচ্ছে! যে যার মতো করে!! ভবিষ্যত প্রজন্ম আজ এক ইতিহাস জানবে পরের দিন ঠিক তার বিপরীত ইতিহাস জানবে!!! সত্যিই আমরা জ্ঞানপাপীদের রাজ্যে বাস করছি!!!!

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইতিহাস জানার অধিকার সাধারণ মানুষের আছে, আমার জানামতে এখানে সম্পূর্ণ নির্ভুল তথ্যে উপস্থাপণ করেছি, আপনার যদি কোনো কারণে মনে হয় এই তথ্য ভুল, তাহলে আপনার হাতে কিবোর্ড আছে লিখুন সঠিক কি !!! আপনাকে ধন্যবাদ আপনার মুলবান সময় দেওয়ার জন্য ।

২| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

নীল আকাশ বলেছেন: ইতিহাসের এত দুরে গেলেন কেন ? সাম্প্রতিক BDR এর কাহিনী কি ভুলে গেছেন নাকি? ইতিহাসের এত দুরে যদি যেতেই চান তাহলে ১৯৭২-১৯৭৫ পর্যন্ত রক্ষী বাহিনী, মুজিব বাহিনী কি করেছে সেটা ভুলে গেছেন কিভাবে? আপনার পারেন ও বটে ! আপনারা হলেন সেই কাকের মতো যারা চোখ বন্ধ করে চুরি করা সাবান লুকিয়ে রাখে..........আর মনে করে আমি চোখ বন্ধ করেছি সুতরাং আর কেউ দেখতে পারবে না।

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জ্বী, বি ডি আর এর গল্প ও লিখেবো । তাছাড়া ১৯৭২-১৯৭৫ এ দেশের চুরি ডাকাতি, লুট, মহামারি নিয়ে ও লিখবো, আপনি মনে করিয়ে দিলেন আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি ।

৩| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: নতুন কোনো কথা নাই।

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই নতুন গল্প আসছে, আশা করি আপনার ভালো লাগবে ।

৪| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:১৮

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: মুজিব প্রেমী রা এত কষ্ট করে ব্লগে লিখে সবাই কে ইতিহাস জানাচ্ছেন। জিয়া প্রেমীদের ও অনুরোধ শুধু সব ভুল ইতিহাস বলে না চিল্লিয়ে কষ্ট করে আপনারাও লিখুন তবে সঠিক দলিল দিয়ে। তাহলে ব্লগের সবাই নিজের বোধবুদ্ধি দিয়ে বিচার করে নেবেন, কে ঠিক আর কে ভুল ছিলেন। অবশ্য যাদের দিলে বল সিল মেরে দিয়েছে,তাদের কানে সেসব যাবে না। তারা দলের প্রতি ঈমান হারিয়ে ফেলবে B-)

৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কি বিচিত্র ব্যাপার আপনি আমার কথাটিই বলেছেন, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আর শুভেচ্ছা।

৫| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৩২

শাহাদাত নিরব বলেছেন: এখন যারা ইতিহাস লিখবে তারা সবাই কারো মুখ থেকে শোনা বা কোথাও থেকে পড়া
(২/১ জন পাবো কিনা সন্দিহান যারা সে সময়কার সাক্ষস প্রমান)
এবার আসুন যারা শুনে লিখছে তারা কতটুকু সত্য টা শুনেছে এবং যারা কোথাও থেকে পড়ে লিখছে তারা কতটুকু বাস্তব টা পড়েছে।
আমি নিজেও অনেক গুলো বই পড়েছি সামান্য কিছু মিল খুঁজে পেলেও বেশির ভাগই গড়মিল।
সত্য টা কেউ বলছে না
সবাই নিজের দোষ টা লুকিয়ে রেখে অন্যকে সত্য মিথ্যা মিলিয়ে দোষারোপ করে যাচ্ছে।
আর বলির পাঠা হচ্ছি আমরা নতুন প্রজন্ম সত্য টা জানা থেকে বঞ্চিত হয়ে।

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: শাহাদাত নিরব ভাই, আমি কিন্তু যথেষ্ট পড়ে তারপর পোষ্ট দিয়েছি এবং সুত্র উল্লেখ করা আছে তারপর ও আমি নিজে তথ্য যাচাই করেছি আমার নিজ আত্মীয় পরিজনদের মাধ্যমে । তাই বিভ্রান্ত করার জন্য পোষ্ট নয় বা আমি নিজেও বিভ্রান্ত নই । তাছাড়া শাহাদাত নিরব ভাই আমি রাজনৈতিক কোনো দলের সাথে যুক্ত বা অন্ধ ও নই, আমার পুরোনো পোষ্ট পড়লে বুঝতে পারবেন আমি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ঘৃণা করি কারণ দেশের ৭১ এর যুদ্ধ সমতুল্য রক্ত তারা নিজেও ঝড়িয়েছে।

৬| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৬

একদম_ঠোঁটকাটা বলেছেন: জানতে চাইলে সেই সময়ের পেপার কাটিং গুলো জোগাড় করে পরুন। সঠিক ইতিহাস জানতে পারবেন কারণ তখনও সেগুলো আজকের মত বিকৃত হয়ে যায় নি। কারো ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণা পরবেন না।

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: একদম_ঠোঁটকাটা ভাই, আমি কিন্তু সে সময়ের পেপার কার্টি পড়েছি, দৈনিক আজাদ, ইত্তেফাক আমার বারংবার পড়া, তাছাড়া আমি মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান । আমি ইতিহাস বিকৃত করছি না যা সত্যি তা সত্যি ।

৭| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

নাহিদ০৯ বলেছেন: নতুন কিছু নেই। আরো অনেক পড়তে হবে।

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: nahih09 ভাই, কথা সত্যি পড়তে হবে পড়ার কোনো বিকল্প নেই ।

৮| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সকাল ১১:৫০

সিগন্যাস বলেছেন: একসময় ইতিহাসের প্রতি খুব ঝোঁক ছিল।এখন আর নেই।তবুও আপনার পোষ্ট পড়লাম।

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ইতিহাস পড়বেন না কেনো ? ইতিহাস পড়তে পারেন - সম্রাট বাবর থেকে পড়া শুরু করতে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন ক্ষমতা আর ক্ষমতার লোভ কতোটা ভয়ংকর হয় । তাছাড়া ইতিহাস পড়ায় আশা করি আনন্দও পাবেন । ধন্যবাদ ভাই ।

৯| ৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৯

জেকলেট বলেছেন: লেখক জিয়াকে যেভাবে সবকিছুর জন্য দায়ি করলেন ইতিহাস কিন্তু তা বলেনা। তৎকালীন যে সকল আর্মি অফিসার নিরপেক্ষ ছিলেন বা জীবিত ছিলেন এবং পরিবর্তীতে লেখালেখি করেছেন তাদের অলমোষ্ট সবাই একি কথা লিখেছেন।
৭নভেম্বরের পরে যা হয়েছে মিলিটারিতে পরাজিতদের এই অবস্তাই হয়। সেটা বাংলাদেশ হউক বা উন্নত বিশ্ব হউক (ইরাকের সাদ্দাম হোষেন, লিবিয়ার গাদ্দাফি বা আফগানিস্থানের ওসমাবিন লাদেন এন্ড গং)।
জিয়ার এখনে ক্রডিট জাসদের সাথে তাল দিয়ে দেশে জগা খিচুড়ি এবং পরবর্তিতে গৃহযুদ্ধ ঠেকে দেশ কে বাচানো।তাহেরের মত বিপ্লবিরা শুধু বিপ্লবকে জীবনের টার্গেট হিসবে নিয়েছিলেন।
৭৫ এর মুল ট্রজেডি শেখ মুজিবের মৃত্যু। একটা ছায়া জাতির উপর থেকে সরে যাওয়ায় পরবর্তি ঘটনা গুলো তৈরি হয়েছে। এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে যগ্যোতম টিকে ছিলো। আরেকটা কথা জিয়া নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলে। এবং খালেদ মোশাররফের মত যেড ফোর্সের প্রধান ছিলেন

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মেজর জিয়া একজন যোগ্যতম মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের প্রধাণ মেজর জিয়ার কাছে বাংলাদেশ ঋণী । কিন্তু পরবর্তী ইতিহাস ছিলো ক্ষমতার কালো অধ্যায় - এটি দুঃখজনক ।

১০| ৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৫

ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ বলেছেন: @ ঠাকুর মাহমুদ-জনাব,আপনি কি সঠিক ইতিহাস জানতে চান নাকি জেনারেল জিয়াকে গালাগালি করে মনের ক্ষোভ মেটাতে চান ? আর 'সঠিক ইতিহাস'বলতে কি বুঝায় ? ইতিহাস হচ্ছে কোন ঘটনার বিভিন্ন পক্ষের অবস্থান ব্যাখ্যা। জয়ী পক্ষের বক্তব্যের সাথে পরাজিত পক্ষের বক্তব্যের স্বাভাবিক কারণেই মিল হবেই না। বাংলাদেশের 1971-1976 সালের ঘটনাবহুল রক্তাক্ত ইতিহাস যদি জানতে চান তবে কবি-উপন্যাসিকদের বইয়ের পাশাপাশি, সরাসরি ঘটনার সাথে জড়িত/কাছে থেকে দেখেছেন এমন ব্যক্তিদের বই পড়া উচিত। কিছু বইয়ের তালিকা দিলাম-
1.মহিউদ্দিন আহমেদ-জাসদের উত্থান-পতন অস্হির সময়ের রাজনীতি ( প্রথমা প্রকাশন, 3য় সংস্করণ , 2015 )
2.মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব:) বীর বিক্রম- এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য স্বাধীনতার প্রথম দশক (1971-1981) (মাওলা ব্রাদার্স,4র্থ প্রিন্ট,2014)
3.কর্নেল শাফায়াত জামিল (অব:)-একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ,রক্তাক্ত মধ্য আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর (সাহিত্য প্রকাশ, 6ষ্ঠ প্রিন্ট)
4.ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন (অব:)-বাংলাদেশ রক্তাক্ত অধ্যায় 1975-81 (পালক পাবলিশার্স ,দশম সংস্করণ, 2017)
সুযোগ থাকলে পড়বেন, ব্লগ সঠিক ইতিহাস জানার স্হান নয়।

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ ভাই, আপনার সুন্দর লেখা ও বিচার বিবেচনাকে আমি শ্রদ্ধা করি, আমি বই গুলো পড়েছি, আমি ইতিহাস কিছু জানি তাছাড়া আমাদের পরিবার ১৯৭১ যুদ্ধে সরাসরি অংশগ্রহণকারী পাঁচজন তাদের মধ্যে যুদ্ধ শেষে চারজন ফিরে আসেন আর একজন কুড়িগ্রাম চিলমারিতে শহীদ হোন । ইতিহাস আমাদের জানতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই ইতিহাস জানতে হয়, আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের সকল রাজনীতিকে ঘৃণাকরি - যা সাধারণ মানুষের রক্তের বিনিময়ে টিকে আছে । ধন্যবাদ ভিন্নচিন্তা ভিন্নমত ভিন্নপথ ভাই - ধন্যবাদ ।

১১| ৩০ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:০৬

অক্পটে বলেছেন: আপনি আলোচনা করেছেন কিন্তু নির্মোহভাবে নয়। আপনি জিয়াকে নিয়ে অসত্য আর কুট রাজনীতি করছেন। সত্যকে টুয়িস্ট করে এদিক ওদিক করে নিজের চরিত্রটিকেই প্রকাশ করেছেন। আপনি নিজে বিভ্রান্ত এবং চেষ্টা করছেন অন্যদেরও বিভ্রান্ত করার। সত্য জানুন সত্য লিখুন ভাল লাগবে।
সত্য জানুন

৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৫:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অক্পটে ভাই, আমি ইতিহাস ম্যানিপুলেট করছি না, যা সত্যি তা সত্যি । ইতিহাস আমাদের জানতে হয় জীবনের প্রয়োজনেই ইতিহাস জানতে হয়, আমি ব্যাক্তিগতভাবে প্রত্যেক্ষ বা পরোক্ষভাবে বাংলাদেশের সকল রাজনীতিকে ঘৃণাকরি - যা সাধারণ মানুষের রক্তের বিনিময়ে টিকে আছে ।

১২| ৩০ শে জুন, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৯

চাঁদগাজী বলেছেন:


তৃতীয় বিশ্বের সেনা বাহিননীর অফিসারেরা গত শতকে "ক্যু' করে ক্ষমতা দখল করে, দেশগুলো সম্পদ ও সুযোগ নিজেরা দখল করেছিলো; জনতাকে তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বন্চিত করেছে।

জেনারেল জিয়া বাংগালীদের হয়ে মুক্তিযু্দ্ধ করেছিলেন; পরে, তিনি ভয়ংকর হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নিজের স্বরূপ প্রকাশ করেছেন। উনার নিজের ক্যু'এর বিপক্ষে ১৯টি ক্যু হয়েছিল, ১৯তম ক্যু'তে এই হত্যাকারী নিজে প্রাণ হারায়; তবে, মৃত্যুর আগে, ১৮ ক্যু'তে অংশ গ্রহনকারী অনেক মুক্তিযোদ্ধা ফাঁসীতে ঝুলায়ে হত্যা করে এই রক্তপিপাসু।

আমরা একদিন তার করবস্হান পার্লামেন্ট এলাকা থেকে নালাতে ফেলে দেবো।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই, মিথ্যা তথ্য মানুষে সহজে গ্রহণ করে মিথ্যা তে নানা ধরণের ঝাল মিষ্টি টক গল্প সমাহার থাকে, বাস্তব সত্য সাধারণ পানির মতো স্বাদ ও গন্ধ হীণ বা কখনো কখনো নিম তিতা তাই বাস্তব সত্য মানুষ গ্রহণ করতে শিখেনি - এটা জেনেটিক গঠণ ও হতে পারে হয়তো প্রকৃতি আমাদের সেভাবেই তৈরি করেছে ।

জিয়া হত্যার পর বেগম খালেদা জিয়ার প্রাপ্তিঃ -

১। জরুরী ভিত্তিতে দশ লক্ষ টাকা নগদ মঞ্জুরী।
২। এক টাকা মুল্যে ঢাকার অভিজাত ও নিরাপদ এলাকায় বিশাল বাড়ী।
৩। ২৫ বছর বয়ষ না হওয়া পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের দুই পুত্র তারেক জিয়া এবং আরাফাত কোকো দেশের ভেতর কিংবা দেশের বাইরে পড়াশোনার সমস্ত খরচ সরকারের।
৪। ২৫ বছর বয়ষ না হওয়া পর্যন্ত জিয়াউর রহমানের দুই পুত্র তারেক জিয়া এবং আরাফাত কোকো মাথা পিছু মাসিক ১,৫০০ (এক হাজার পাঁচশত) টাকা ভাতা হিসেবে পেতে থাকবে যা সরকারী পেনশন স্কিম আইন মতো বাৎসরিক বৃদ্ধি পাবে।
৫। সরকার বেগম জিয়া এবং তার দুই পুত্রের দেশের ভেতর ও দেশের বাইরে সমস্ত খরচ বহন করবে।
৬। সরকার এই পারিবারের জন্য একটি তাপানুকুল গাড়ী (মিলিটারী ল্যান্ড ক্রুজার) দেবেন এবং গাড়ীর ড্রাইভার ও পেট্রোল খরচ সরকার বহন করবেন।
৭। এই পরিবারকে একটি টেলিফোন বরাদ্দ করা হবে যার খরচ সরকার বহন করবে।
৮। বেগম খালেদা জিয়ার বাড়ীতে গ্যাস, বিদ্যুত ও পানির খরচ সরকার বহন করবে ।
৯। খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সহকারী এবং পাঁচ জন গৃহভৃত্যের (বাসার মালী, বাবুর্চী ইত্যাদি) খরচ সরকার বহন করবে ।

এতো রাষ্ট্রিয় সম্মাণী ও সুবিধার পর ও বেগম খালেদা জিয়া বিশেষ ব্যাক্তিবর্গের কুমন্ত্রনায় হোক আর নিজের ইচ্ছায় হোক রাজিনীতিতে এলেন স্বৈরাচার এরশাদ সরকার পতন ঘটিয়ে তিনি নিজে একজন স্বৈরশাসক হিসেবে আবির্ভূত হলেন - বাংলাদেশের সূর্য, আকাশ, বাতাস ১৯৮২ হতে ২০১৮ আজোব্দি স্বৈরশাসকের মুষ্টিগত হয়ে গেলো - হয়তো বা আমরা আমরণ এই স্বৈরশাসকের ক্ষমতায় পিষ্ট হবো ।

১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৪

জেকলেট বলেছেন: চাদগাজী সাহেব ব্যাক্তিগত আক্রমন বা আক্রোশ কোনটাই ইতিহাসের আলোচনায় ঠিক নয়।

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: না ব্যাক্তিগত আক্রমণ নয়, তবে দেশ ব্যাক্তির চেয়ে বড় এটি আমাদের বুঝতে হবে ।

১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩৮

জেকলেট বলেছেন: একজন আওয়ামিলীগারের চোখে জিয়া কেমন ছিলেন:: পড়ুন ফারুক চৌধুরীর জীবনের বালুকাবেলায় (প্রথমা প্রকাশনি)। আশা করি অনেক কিছু জানবেন। ফারুক চৌধুরী আওয়ামিলীগের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির উপদেষ্টা ছিলেন

৩০ শে জুন, ২০১৮ রাত ৯:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আওয়ামিলীগ দুধে ধোয়া কোনো রাজনৈতিক দল নয়, দেশের বিপর্যয়ের পেছনে বিএনপির যেমন অবদান আওয়মিলীগের ও কোনো অংশে কম নয়, ১৯৯০ এরশাদ হটাও আন্দোলনে বিএনপি জামাত আওয়ামিলীগ একটি দল হয়ে গিয়েছিলো হয়তো আপনার জানা নেই। এই দেশে রাজনীতির নামে নোংরা নর্দমার কীট দেশ শাসণ করছে । ফারুক চৌধুরী কে আপনাকে বলি ফারুক চৌধুরী একজন দালাল আর দালারের বই ছাপিয়েছে প্রথম আলো পত্রিকা নামক দালালের ছাপা প্রথমা, এই দেশে ইনকিলাব রাজাকারের পত্রিকা ছিলো আর দালালের পত্রিকা হচ্ছে প্রথমআলো।

১৫| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: রাজীব নুর ভাই নতুন গল্প আসছে, আশা করি আপনার ভালো লাগবে

খুব ভালো।
অপেক্ষায় থাকলাম।
ভালো থাকুন।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই ধন্যবাদ, আপনি আমার প্রিয় মানুষ আপনার লেখা পড়ে ভালো লাগে, ধন্যবাদ ভাই ।

১৬| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৭

জহিরুল ইসলাম সেতু বলেছেন: ইতিহাসের পরিক্রমায় অনেক কিছুই ঘটে সময়ের প্রয়োজনে, আবার অনেক কিছুর জবাব আসে কর্মফলে। সবটুকুই ইতিহাস, সুন্দর বলছেন।
কিন্তু লেখার গুরুত্ব হারালো যবনিকা প্যারার শেষ অংশে অহেতুক মঞ্জুরের স্ত্রীর প্রসঙ্গটা টেনে আনায়।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেতু ভাই, ক্ষমতার সাম্রাজ্য টিকে আছে সাধারণ মানুষ আর সৈনিকের রক্তের বিনিময়ে, তবে সেতু ভাই জেনারেল মঞ্জুরের স্ত্রীর বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক ছিলো আর তাই টেনে আনা, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখার মুল্য দেওয়ার জন্য লেখার অর্থ অনুধাবন করার জন্য । ধন্যবাদ আবারো কথা হবে ব্লগে - - - ।

১৭| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:২৮

খাঁজা বাবা বলেছেন: আপনি একদৃষ্টি তে দেখছেন।
ইউটিউবে তৎকালীন ঘটনাপ্রবাহের সামরিক বেসামরিক প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেক ইন্টার্ভিউ আছে।
দেখবেন আশা রাখছি।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: খাঁজা ভাই, আমি একদৃষ্টিতে দেখছিনা কারণ দেশের এই সামরিক ব্যাবস্থা ও মুক্তিযুদ্ধের সাথে আমাদের প্রতোক্ষভাবে জড়িত, তাই সত্যটা আমি জানি এবং সত্য জানতে হয় আমাদের নিজের প্রয়োজনেই, আমি ইউটিউবে সাক্ষাতকার দেখেছি, আপনি অনুগ্রহ করে ডালিম, রশিদ, ফারুক গং এর সাক্ষাতকার দেখবেন, আশা করি আপনার কাছে পরিস্কার হবে অনেক কিছুই ।

১৮| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫০

নূর আলম হিরণ বলেছেন: জিয়া দেশ চালানোর চেয়ে নিজের জিবন বাঁচাতেই বেশি ব্যস্ত ছিলেন। গোলাম আযমকে ফিরিয়ে আনা রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া এগুলিও তার নিজের জীবন রক্ষার জন্য।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জিয়া দেশ ভালোই চালিয়েছেন, তিনি দুর্যোগ মন্ত্রনালয় ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপণা, কৃষি মন্ত্রনালয় তথা কৃষি উন্নয়ন, বৈদেশিক আমলাতান্ত্রিক যোগাযোগ, জনশক্তি রপ্তানী খুব শক্তহাতে ও সুন্দর ভাবে তৈরি করেছিলেন তবে তার সামরিক ব্যাবস্থাপণা ভয়ংকর ছিলো যার কারণে রক্ত দিতে হয়েছে অনেক নিরহ সৈনিক ও বীরসম অফিসারের - আর পরিনাম আপনারা সবাই জানেন ।

১৯| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫১

ব্লু হোয়েল বলেছেন: যাদের প্রত্যক্ষ অনুপ্রেরণায় ১৯৭৫ এর শোকবিহবল ঘটনা ঘটেছিল তাদের কোন দায় পরিলক্ষিত হয় নি !!!

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই ব্লু হোয়েল, আমার লেখার ইতিহাস সংকলিত, ১৯৭৬ থেকে শুরু করেছি ছোট আকারে বিস্তারিত লিখতে গেলে আপনি পড়ার ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলতেন, তবে ১৯৭৫ এ যা হয়েছে তা ভয়ংকর - যার মাতম আজীবণ বাংলাদেশ বহন করতে হবে ।

২০| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই,

গতকালও পড়েছিলাম। বিষয়টি নিয়ে আমি একেবারে অজ্ঞাত। কাল প্রথমদিকে যে কারনে কমেন্ট করিনি। আজ দেখলাম অনোকের মন্তব্য । দেখি আলোচনা কোন দিকে যায়।


অনেক অনেক শুভ কামনা আপনাকে।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ভাই, ধন্যবাদ আপনাকে, আপনার জন্য রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ।

২১| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:১৫

রাকু হাসান বলেছেন: একজন খালেদ মোশার‌ফ স্যারের এভাবে লাশ পড়ে থাকা যেন বাংলাদেশ পড়ে আছে । তাঁর অবদান ভুলার নয় । এই খালেদ মোশারফ না থাকলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতে পারতো কিন্ত আরও সময় লাগতো .ব্যক্তিগত মতামত ।

সত্য জানানোর জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি শ্রদ্ধেয় ঠাকুর মাহমুদ

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাকু হাসান ভাই, মুক্তিযোদ্ধা বীরউত্তম ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ ছিলেন বাংলাদেশের ক্ষণজন্মা প্রদীপসম সন্তান যেই ধরনের সন্তান শত শহস্র বছরে এক একটি জন্ম নেয়, সত্যি কথা দেশ স্বাধীণ হতো তবে সময় লাগথো আরোও । আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ লেখার মুল অর্থ অনুধাবন করার জন্য ও লেখার মুল্য দেওয়ার জন্য ।

২২| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫১

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আমি গণত‌ন্ত্রে বিশ্বাসী। বন্দুকতন্ত্র আমার পছ‌ন্দের জি‌নিস নয়। এপ্লাস পো‌স্টে ভা‌লো লাগা। শুভ কামনা।

০১ লা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন ভাই, আমরা সবাই চাই গণতন্তন্ত্র কিন্তু বাস্তবে এই গণতন্ত্রের মুখোশে আছে বন্দুকতন্ত্র ও পরিবারতন্ত্র ।। আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা ।।

২৩| ০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: অফিসারদের মারার প্ল্যান ছিল তাহের গং-দের। সেখানে জিয়ার ভূমিকা ছিল না। পরে রায় কার্যকরের ক্ষেত্রে জিয়া প্রভাবক হতেও পারেন। তবে ভুলে গেলে চলবে না, তাহরে গং-রা অফিসার হত্যার কারণেই তাহেরকে নির্দেশদাতা হিসাবে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। আবার সেই অফিসারদের দ্বারা জিয়াকে গৃহবন্দী করা যে ভুল ছিল সেটাও মাথায় রাখতে হবে। একই রায় বিএনপি আমলে হলে জিয়া ক্লিন চিট পেতেন আদালত থেকে...

০১ লা জুলাই, ২০১৮ রাত ১০:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: বিচার মানি তালগাছ আমার ভাই, আপনি যে আমার পুরোটা পোষ্ট মন দিয়ে পড়েছেন এই জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করছি, তাহের গং জিয়া সহ, পরে তাহের গ্রুপের অফিসার কয়েকজন বিট্রে করে জিয়ার পক্ষ নেয় যদিও বিট্রেকারীদের শেষ রক্ষা হয়নি জিয়া তাদের লোভে ফেলে ক্ষমতা কুক্ষিগত করেন, আজো রহস্য সাধারণ জীবন যাপনে অভ্যস্ত জিয়া কেনো এই ধরনের ক্যু ও সেনা অভ্যুথ্যান অভিযানে গেলেন তার পেছনে কোন বিদেশী শক্তি তাকে প্রলুব্দ করেছিলো !!!

২৪| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:১৪

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এখানে একটা তথ্যগত ভুল বলছেন আপনি। জিয়াকে গৃহবন্দী করার পরই তাহের গং জিয়াকে মুক্ত করার জন্য এবং খালেদ মোশাররফ গং-কে উৎখাতের জন্য অভ্যূত্থান করে। তাহের ঐ সময় সেনাবাহিনীর কেউ ছিল না। তাই তার সাথে মিলে জিয়া সেনা অভ্যূত্থান করার কোন কারণই ছিল না।
আপনি বলতে পারেন জিয়া তাহেরের চাষ করা ফসল ঘরে তুলেছেন। সেই সাথে কোন বিদেশী শক্তির ইন্ধন থাকলেও থাকতে পারে...

০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জিয়া তাহেরের চাষ করা ফসল ঘরে তুলেছেন। সেই সাথে কোন বিদেশী শক্তির ইন্ধন থাকলেও থাকতে পারে... তালগাছ ভাই আপনার এই মন্তব্য ১০০ তে ১০০ সমর্থন করছি এটা এক বিড়াট রহস্য বিদেশী শক্তি এখানে কাজ করে থাকতে পারে যাতে করে এতো এতো সৈনিক ‍ও অফিসারের মৃত্যুকুপ হয় জিয়া সরকার।

২৫| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এই সরকার কোন অধ্যায় চলছে? এরা কতগুলো হত্যা করেছে। বিডিআর বিদ্রোহে কতজন প্রাণ দিয়েছেন। শেখ হাছিনা কি ক্ষমতা ছাড়বে কোনদিন। তার মতো অসভ্য নেত্রী পৃথিবীর ইতিহাসে আর আছে কিনা? শাপলা চত্বরের কসাই কতজন লোক মেরেছিলো। কতগুলো গুম হয়েছে? কত টাকা লুট করেছে হাছিনা সরকার । ১৫৪ আসনে একক প্রার্থীর পর সেটা বৈধ সরকার হয় কিভাবে?
শেখ হাছিনা যেসব চুক্তি করেছে সেগুলো দেশ বিক্রি নয় কি? দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বিচার ব্যবস্থা এত খারাপ কোন কালে ছিলো নাকি? মাগুরা উপনির্বাচনের কথা বলে ওনি কি বুঝাতে চান। শেখ হাছিনা ছাড়া অন্য সব দল নির্বাচনে দূর্ণীতি আর সে করে না? তার সবসময় নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করা উচিৎ? আইটি জয় কত টাকা চুরি করেছে? দেশের মানুষ পছন্দ না করলেও তার ক্ষমতায় থাকতে হবে । এখন কি কালো অধ্যায় চলছে না । ৭৫ সাল পর্যন্ত কি অধ্যায় ছিলো? দূর্ভিক্ষ হলো। কম্বল চুরি হলো,লবন চুরি হলো, ৭২এর নির্বাচন কেমন হয়েছিলো? শেখ হাছিনা কি মুসলমান???

০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, আপনি কেমন আছেন ভাই? আপনার প্রতিটি কথার জবাব দেওয়ার দুঃসাহস আমার নাই । তবে কয়েকটা প্রশ্নের জবাব দিচ্ছি “বাংলাদেশ বদ্বীপ দেশ তিন দিকে স্থল একদিকে জল তাও বঙ্গোপসাগর - সেখানে লবনের অভাব নেই, আমি বিজ্ঞানের ছাত্র, বয়ষ হয়েছে চুলে পাক ধরেছে অনেক দিন হলো, ভাই আমার বোঝার বাইরে বাংলাদেশে লবনের আকাল কিভাবে হয়”? আমি জানি না !!! ১৯৭৬ থেকে ২০১৮ স্বৈরশাসকের মুষ্টিগত আছে বাংলাদেশের জমিন-আকাশ-বাতাস।

সেলিম আনোয়ার ভাই আপনার প্রশ্ন আমি যথাযথ চাঁদগাজী ভাইয়ের কাছে ট্রান্সফার করেছি দেখি চাঁদগাজী ভাই কি বলেন ?

২৬| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:১৫

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: খেলা দেখতেছেন?

০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু, আজকে আমি খেলা দেখতেছিনা কারণ পছন্দের মতো কোনো টিম নাই, আর্জেন্টিনা পুর্তুগাল, জার্মান সব বিদায় এবার ব্রাজিল ও বিদায় হবে মনে হচ্ছে । যাক ফ্রান্স আর মেক্সিকো নিয়ে ঝুলে থাকি দেখা যাক এই দুই দলের কেউ পারে কি না ।

২৭| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৩৭

রিফাত হোসেন বলেছেন: অফটপিক: ফ্রান্স,মেক্সিকো আর উরুগুয়ে নিয়ে আমিও ঝুলে আছি। :)

০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রিফাত হোসেন ভাই, আমি ব্যাবসায়ী মানুষ সহজে হাল ছাড়ি না, কোনো না কোনো পথ খোজে নেই, সেই পথের নাম ঝুলে থাকা - মনের আনন্দে ঝুলে থাকা শুনে আমি আনন্দিত, কেউ তো আছে যে আমার মতো বা আমি তার মতো কিছুটা হলেও - কি বলেন ? ঝুলে আছি ফ্রান্স আর মেক্সিকো নিয়ে আর আপনি ছাড় দেননি তিনটি দল নিয়ে আছেন ফ্রান্স,মেক্সিকো আর উরুগুয়ে নট ব্যাড ব্রাদার-নট ব্যাড, জীবনে আনন্দ খোজে পাওয়াটা সত্যি আরেক আনন্দের নাম ।

২৮| ০২ রা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৩৪

নিশি মানব বলেছেন: পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ হলো একমাত্র দেশ যার ইতিহাস পড়তে গেলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। ঘুরে পড়ে যায়।
এই দেশের ইতিহাস দেশের ভিতরেই একেকটা মানুষের কাছে একেক রকম। প্রজন্মের পর প্রজন্ম চেন্জ হয়। ইতিহাস পাল্টে যায়।

০২ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই নিশি মানব, আমার ব্লগে আমি নিজে আমার প্রায় ৫৪-৫৫ টি পোষ্ট মুছে দিয়েছি, হয়তোবা আমার লেখা আপনার পড়া হয়নি-আমি জানিনা । প্রসঙ্গে আসি নিশি মানব ভাই বাংলাদেশে নয় সমস্ত পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশী যা বিকৃত হয়েছে তা হচ্ছে “ইতিহাস ও ধর্ম” এই কথাটি আমার ব্লগে আমি অনেকবার লিখেছি, শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর যে কোনো দেশ বা ধর্মীয় ইতিহাস পড়লে মনে হতে পারে মাথা ঘুরে পড়ে যাই অন্তত তাই উচিত । আপনার সাথে ১০০ তে ১০০ সমর্থন করছি । ধন্যবাদ ।।

২৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১০:৫৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: আপনি জিয়ার যেইসব কাজের কথা উল্লেখ করলেন সেইসব একনায়কদের কাজ। তবে জিয়া যে জনপ্রিয় ছিলেন এটা তো আর মিথ্যা নয়। একটি অরাজক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়েছিলেন। সেই সময়ের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য এটি ছিল অনেক বড় অর্জন।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: জিয়া জনপ্রিয় ছিলেন জনপ্রিয় আছেন, বিচিত্র কারণে বাংলাদেশে একবারই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে তা ১৯৯০ এ, এই ধরনের নিরপেক্ষ নির্বাচন না অতীতে কোনো দিন হয়েছে - না ভবিষ্যতে আর কোনো দিন হবে!!! পাগল বাঙ্গালী মাতাল হয়ে ধানের শীষ ধানের শীষ করে বেগম খালেদা জিয়াকে ক্ষমতায় নিয়ে আসেন। ইতিহাস আমি জানি এবং শক্তভাবেই জানি তবে এই দেশে আওয়ামীলিগ যা বিএনপি জামাত ও তা একই দ্রব্য ভিন্ন ভিন্ন নামে ভিন্ন বোতলে বিষ !!!

৩০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ রাত ৮:১৩

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "বিচিত্র কারণে বাংলাদেশে একবারই নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে তা ১৯৯০ এ, এই ধরনের নিরপেক্ষ নির্বাচন না অতীতে কোনো দিন হয়েছে - না ভবিষ্যতে আর কোনো দিন হবে!!!"

হ্যা, বিচারপতি শাহাবুদ্দিনের কোন তুলনা হয় না। শুধু নির্বাচন নয়, সংবাদ পত্রের স্বাধীনতাও তিনি নিশ্চিত করে যান। মাত্র তিন মাস ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি সেই তিন মাস সম্পূর্ন জন কল্যানে খরচ করেন। তিনি একই সাথে যোগ্য এবং সততাসম্পন্ন মানুষ। তিনি তার বিচারকের পেশাকে ভালবাসতেন বলে আবার সেই পদে ফিরে যান। তাকে প্রথমে বিএনপি এবং পরে আওয়ামী লীগ অনেক বিরক্ত করে। কিন্তু তিনি কখনই নিজের আদর্শ বিসর্জন দেন নি।

৯০ সালে আমি ভোট দেই। আওয়ামী লীগ সেই সময় সম্পূর্ন বাম ঘরানার লোকজন দিয়ে বেষ্টিত এবং প্রভাবিত ছিল। আজকের আওয়ামী লীগের সাথে তখনকার আওয়ামী লীগের কোন তুলনা হয় না। বাংলাদেশে বাম ঘরানা কখনই গ্রহনযোগ্য ছিল না। থাকলে তাহের ক্ষমতা পেতেন। জিয়া আর যাই হোক বুদ্ধিমান ছিলেন। সেকারনেই নিজে ধার্মিক না হলেও রাজনীতিতে ধর্ম টেনেছিলেন। সেই ট্রাম্প কার্ড সম্পূর্ন কাজে লাগে। বিএনপি টিকে যায় রাজনীতিতে। আওয়ামী লীগ তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতার সংজ্ঞা নাকখত দিয়ে পাল্টিয়ে এখন ১০ বছর ধরে বিনা ভোটে ক্ষমতায় রয়েছে। এটা আওয়ামী লীগ ভাল করেছে কারন মানুষের জন্য রাজনৈতিক দল, রাজনীতির জন্য মানুষ নয়।

যাই হোক, আমি জিয়ার ভক্ত বলে তার ভাল দিক গুলো আমার চোখে পড়ে। কিন্তু জিয়া অবশ্যই সাধু সন্ত নন এবং তিনিও ক্ষমতাপ্রিয় ছিলেন। অবশ্য অবশ্যই তিনি যোগ্যতা সম্পন্ন ছিলেন। মাত্র তিন বছরে বাংলাদেশকে একটি দৃঢ় ভিতের উপরে দাড় করিয়ে দেন। যা আওয়ামী লীগ করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

আমার বিশ্বাস ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আবারো ভবিষ্যতে সুষ্ঠু এবং মানসম্পন্ন নির্বাচন হবে। তার আগে বাংলাদেশে সুশাসন থাকতে হবে। এই সবই একদিন হবে। যদিও আজকের এই ডিজিটাল যুগে ছেলে মেয়েরা ইন্টারনেটের নেশায় নিজেদের বুদ করে রেখেছে, তবুও হঠাৎ একদিন সচেতনতা ফিরে আসবে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আমি আশাবাদী মানুষ তারপরও অতীত ও বর্তমান বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বাংলাদেশ আফগানিস্তানের দিকে ধাবিত হচ্ছে এবং দ্রুত পায়ে - এটা ভয়ংকর । এই দেশ সুন্দর সফল হোক এই আমাদের প্রার্থনা, আপনার মতামতের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনি আমার লেখাকে যথাযথ মুল্যায়ন করেছেন আবারো ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.