নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা - গল্প

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৬




।। ছোটবেলার গল্প ।।
অনেক দিন আগের কথা আনুমানিক ১৯৮০-১৯৮২ সন এর মাঝামাঝি হবে হয়তো, আমরা তখন মিরপুর পল্লবীতে থাকি, আমার বড় চাচা আমাদের সকলকে নিয়ে মাঝে মাঝে সন্ধ্যায় গল্প করতে বসতেন, আমরা সবাই শ্রোতা আর বড় চাচা বক্তা, বড় চাচা গল্প বলতেন গল্পে ভয়ের সময় তিনি নিজেই যেনো ভয় পেতেন আর গল্পের আনন্দের সময় তিনি নিজেও আনন্দিত হতেন (আসলে এখন বুঝি গল্পের মুল বিষয় হলো যিনি গল্প বলবেন তিনি নিজেও সেই গল্পের একজন অভিযাত্রী হিসেবে ভুমিকা পালন করবেন) বড় চাচা নিজে যে শুধু সেই গল্পের একজন অভিযাত্রী ছিলেন, তা কিন্তু না - তিনি আমাদের সবাইকে নিয়ে সেই গল্পের জগতে চলে যেতেন। বড় চাচা গল্প বলতেন আর আমরা সবাই অবাক হয়ে শুনতাম, কখনো ভয়ে জবুথবু হয়ে যেতাম, কখনোবা সবাই অট্টহাসিতে ফেটে পড়তাম, আমাদের সাত আটজনের হাসিতে মনে হতো বাসার ছাদ উড়ে যাবে হয়তোবা । সেইসব দিনের গল্পের মধ্যে অন্যতম কয়েকটি গল্পের মধ্যে একটি হচ্ছে “হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা” এই গল্পটি আমাদের কোনো এক ক্লাসে পাঠ্য বইয়ে ছিলো কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে কেনো জানি আজ এই গল্প আর কোনো পাঠ্য বইয়ে নেই! হয়তোবা সবার কাছে এই গল্প পুরোনো হয়ে গেছে বা এই গল্প আমাদের দেশে এখন আর প্রয়োজন নেই!

মুল গল্পঃ - যেভাবে পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য বইয়ে মুদ্রিত ছিলো
---------------------------------------------------------------------------------
শহরটার নাম হামেল্ন৷ সবাই চেনে হ্যামিলন নামে ৷ ছোট্ট, সাজানো, সুন্দর শহর হ্যমিলন ৷ সেই শহরের মানুষের খুব দুঃখ ৷ সেখানে যেন ইদুর বন্যা হয়েছে ৷ বলছি ১২৮৪ সালের কথা ৷ হাজারে হাজারে ইঁদুর ৷ এখানে সেখানে, ঘরের মধ্যে যাও সেখানেও ইঁদুর ৷ এই ধরো কোন বাচ্চা স্কুলে যাবে, ব্যাগ গোছাচ্ছে, দেখা গেল ঐ ব্যাগের মধ্যে গোটা পাঁচেক ইঁদুর ছানা ৷ কিংবা স্কুলের খেলার মাঠে শিশুদের পা খামচে ধরছে ইঁদুর ৷ কি যে যাচ্ছেতাই অবস্থা ! শহরের মেয়র পড়েছেন ভারি বিপদে ৷ নগর পিতার ঘুম নেই ৷ কি করবেন তিনি...

এমনি এক ইঁদুর দিনে হ্যামিলনে এসে পৌঁছালো আজব এক লোক ৷ লোকটির পরনে খাটো নানান রঙ্গের আলখাল্লা, মাথায় চোঙ্গার মতো উপরে উঠে ঝুলে পড়া টুপি ৷ হাতে লম্বা এক বাঁশি ৷ আহা কি সুন্দর করেই না বাঁশি বাজায় লোকটি...৷

শহরের মধ্যখানে মেয়রের অফিস ৷ এক সময় সেখানকার রোদে গা জুড়াতো মানুষ ৷ আজ আর সেই অবস্থা নেই ৷ লোকজন ঘরে কোনভাবে দিন কাটায় ৷ অফিস আদালতের কাগজপত্র কেটে কুটে একাকার করে দিচ্ছে ইঁদুর আর ইঁদুর ছানারা ৷ শহরের গণ্যমান্য লোক তাই বসেছেন সভায় ৷ কি করা যায় সেই চিন্তায় সকলের কপালে পড়ে গেছে ভাঁজ৷ ঐ সভায় এসে পৌছালো সেই অদ্ভুত বাশিওয়ালা...

: আমি আপনাদের সমস্যা সমাধান করে দিতে পারি৷ আমি হচ্ছি ইঁদুর শিকারি ৷ আমি এই শহর থেকে তাড়িয়ে দিতে পারি সব ইঁদুর ৷

মেয়র একটু ভ্রূ কুঁচকে বললেন
: বিনিময়ে তুমি কি চাও ?

তখনি সমস্বরে সেখানে উপস্থিতরা বলে উঠলেন.... তুমি যা চাও আমরা তাই দেবো ৷ টাকা চাও, সোনা চাও, জমি চাও, ঘর চাও, বাড়ি চাও সব তোমাকে দেবো, কেবল আমাদের রক্ষা করো ৷

লোকটি একটু হাসলো ৷ তারপর বাইরে বের হয়ে নিজের রঙিন আলখাল্লাটার মধ্য থেকে দারুণ একটি বাঁশি বের করল..... তারপর সেই বাশি বাজাতে বাজাতে ঘুরতে থাকল হ্যামিলনের পথে ৷ সে বাঁশির এক অচেনা সুরের আকর্ষণে শহরের হাজার হাজার ইঁদুর দল বেঁধে ছুটছে লোকটির পেছনে পেছনে ৷ নর্দমার গর্ত থেকে, অন্ধকার গলি থেকে, রান্নাঘরের পেছন থেকে দলে দলে বেরিয়ে আসছে ইঁদুর ৷ সুরের সন্মোহনে পাগল যেনো ইঁদুরের দল ৷

ঐ শহরের পাশে যে নদী তার নাম ভেজার ৷ লোকটি থামলো না ৷ ভেজার নদীর পাশ দিয়ে হাঁটতে শুরু করলো সে ৷ আর তাঁর পিছু অদ্ভুত সুরের মূচ্ছর্নায় আসতে থাকলো ইঁদুরের দল ৷ এক সময় বাশিওয়ালার বাঁশির সুর থেমে গেলো৷ কি এক চক্রবাঁকে যেন এক উন্মাদনা এসে ভর করলো ইঁদুরের দলে ৷ আর সে যেনো উন্মাদনাতেই দল বেঁধে ঝাপিয়ে নদীর জলে...

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা এভাবেই ইঁদুরের কবল থেকে রক্ষা করলো শহরবাসীকে ৷ কিন্তু এরপর?

ইঁদুর বিদেয় হবার পর শহরের মেয়র আর শহরের গণ্যমান্য লোকদের কাছে এসে চাইলো তার সম্মানী ৷ কিন্তু কি হলো জানো ... মেয়র এবং তার সাঙ্গপাঙ্গরা প্রাপ্য সোনাদানা তো দিলই না, আরো বরং ধমকে তাড়িয়ে দিল বাঁশিওয়ালাকে ৷

বাঁশিওয়ালা খুবই দুঃখ পেলো ৷ তার চোখে পানি ৷ প্রতিশোধ নেবার বাসনা তার মধ্যে ৷ কিছুদিন পর যখন শহরের লোকজন তাদের গীর্জায় প্রার্থনারত, সেই ক্ষুব্ধ, প্রতারিত বাঁশিওয়ালা ফিরে এলো আবার ৷

এবার তার মাথায় লম্বা লাল রঙের টোপর ৷গায়ে জড়ানো অদ্ভুত পোশাকটি অনেক লম্বা ৷ সেই পোশাক থেকে বের করল সে একটি ছোট্ট বাঁশি ৷ সেই বাঁশিটি বেজে উঠলো ৷ কিন্তু এবার বাঁশির একেবারেই অন্য সুর ৷ সেই সুরে এবার আর ইঁদুর বেরিয়ে এলো না ৷ বেরিয়ে এলো শহরের সমস্ত শিশুর দল ৷ সুরের মূর্চ্ছনায় বাঁশিওয়ালার পেছনে পেছনে সরু পথ থেকে বড় পথ ৷ পাহাড়ের কোল থেকে নদীর কুল পর্যন্ত এগিয়ে যাচ্ছে শিশুর দল ৷ এই দলে আছে শহরের মেয়রের আদরের কন্যাও ৷ এরপর বাঁশিওয়ালা শিশুদের নিয়ে কোথায় যেন হারিয়ে গেলো ৷ এই পাহাড়, ঐ নদী, পাশের শহর সব জায়গা খুঁজেও পাওয়া গেলো না সেই শিশুদের ৷ পাওয়া গেলে কেবল দুটি শিশুকে ৷ মিছিলের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারার কারণে পিছিয়ে পড়েছিল বলে তাদের ফিরে আসতে হলো ৷ তাদের একজন অন্ধ বলে জানতে পারলো না, কোথায় গেল সবাই ৷ আরেকজন বোবা বলে জেনেও কিছু বলতে পারলো না.....

এর পর আর কোনদিন দেখা যায়নি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে ৷


গল্প সংগ্রহ:- http://www.dw.com - সমাজ সংস্কৃতি
ছবি: সার্চ ইঞ্জিন গুগল

উৎসর্গ : - আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি “ছোটবেলার গল্প” লেখাটি উৎসর্গ করছি প্রিয় পদাতিক চৌধুরি ভাইকে, আমি অতি সামান্য একজন মানুষ তারপরও জীবনে অনেক অনেক ভালোবাসা ও সন্মান স্নেহ মায়া মমতা পেয়েছি সেই ঋণ পরিশোধের উপায় আমার জানা নেই, তেমনি একজন পদাতিক চৌধুরি ভাই যার ভালোবাসায় আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি - পদাতিক চৌধুরি ভাই আপনি ভালো থাকুন ব্যস্ত থাকুন - আমার জন্য ও দোয় করবেন যতোদিন বেঁচে থাকি যেনো ভালো থাকি ব্যস্ত থাকি, পরম করুনাময় আমাদের সকলকে শান্তি দিন - আমেন ।।

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩২

স্রাঞ্জি সে বলেছেন: ধন্যবাদ আবার মনে করিয়ে দিলে শৈশবস্মৃতি।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: স্রাঞ্জি সে, আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, শৈশবেই আসলে আমাদের আনন্দময় জীবন ।

২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

লাবণ্য ২ বলেছেন: ছেলেবেলায় এই গল্পটি পড়ে আমার অনেক মন খারাপ হয়েছিল।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: আপা, আমার বড় চাচা গল্প বলতেন মনে হতো আমরা সেই গল্প নিজ চোখে দেখছি - গল্প শুনে ছোট বেলায় আমরা সব ভাইবোন কাঁদতাম, জানি না এমন গল্পগুলো পাঠ্য বই থেকে মুছে দেওয়ার কারণ কি, শিক্ষাবোর্ডের বেশ কয়েক জনকে জিগ্যাসা করেছি তারা কেও জানেন না - তাহলে জানেন টা কে ? যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ???

৩| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি আমার এখনও অনেক পছন্দ। আমি আমার মেয়েকে এই গল্প শোনাই।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ছোট শিশুদের মনে এই গল্প মারাত্বকভাবে স্পর্শ করে যায়, তা হচ্ছে মানবিকতার স্পর্শ - নাম না জানা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ও
হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য ছেলেমেয়ের জন্য আজো মন কাঁদে ।

৪| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


গপটি এখন পাঠ্য তালিকায় নেই?

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:০১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: চাঁদগাজী ভাই,
এটাই সমস্যা আমাদের দেশে সাহিত্যের মুল গল্পগুলো খুব টেকনিক্যালি সরিয়ে ফেলা হয়েছে, দেশে পাঠ্য বইয়ে এখন যা আছে তা পড়ার জন্য প্রাইভেট কোচিং করতে হয় - আবেগময়, শিক্ষনিয় লেখা বেমালুম মুছে দেওয়া হয়েছে - অনেক বড় ষড়যন্ত্র ! যার শিকার ভবিষ্যত প্রজন্ম ।

৫| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: সুপ্রিয় মাহমুদ ভাই,

আশাকরি উপরওয়ালার কৃপায় ভালো আছেন। আমরাও ভালো আছি। আপনি বড়চাচার গল্পবলার মাধ্যমে যেমন গল্পটি শুনেছেন, পাশাপাশি ক্লাস ফাইবের টেক্সট বই থেকেও পড়ার সুযোগ পেয়েছেন, তেমনি আমিও ক্লাস সিক্সে গল্পের বইতে গল্পটি পড়েছি। সেদিন সেই ছোটোবেলায় বাঁশিওয়ালার মত যেন কল্পনায় ভেসে যেতাম। আমার অসম্ভব ভালো লাগা একটি গল্পছিলো এই গল্পটি।

তবে এখন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনও সমস্যার নিরসনে আমরা এই বাঁশিওয়ালার খোঁজকরি। আজ জীবনের মধ্যাহ্নে দাঁড়িয়ে বহু সমস্যা সুরেলা বাঁশিই আমাদের নেপথ্যে চালিকাশক্তির কাজ করে উত্তেজনা প্রশমিত করে।

বর্তমানে আপার প্রাথমিক পর্যন্ত কোনও ক্লাসের পাঠ্যে বইতে এই সুন্দর গল্পটি নেই।
সিলেবাস কমিটির মডারেটরা হয়ত গল্পটি উপকারিতা হারিয়েছেন বলে মনে করেন। ফলে বর্তমান প্রজন্ম এমন গল্পের রসাস্বাদন করতে বঞ্চিত।

অনেক শুভ কামনা প্রিয় মাহমুদ ভাইকে।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি, আমার প্রথম লেখাটি “ছোটবেলার গল্প” আপনাকে উৎসর্গ করা, দুঃখের ব্যাপর হচ্ছে এই দেশে শিক্ষা নিয়ে যেই ষরযন্ত্র হচ্ছে তা ধরার মতো কেউ নেই, প্রতিবাদ করার ও কেউ নেই, আবেগময় ও শিক্ষনিয় গল্প প্রবন্ধ কবিতা সব সব - সকল পাঠ্য বই থেকে খুবই টেকনিক্যালি মুছে দেওয়া হয়েছে - যাতে করে ভবিষ্যত প্রজন্ম হবে আবেগহীন রোবট !!!

৬| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: প্রিয় গুরু,


শেষটা দিয়ে শুরু করি। লেখাটি যাকে উৎসর্গ করেছেন তিনি আমার একজন শ্রদ্ধেয়; অতি আপনজন। পদাতিক চৌধুরী ভাই যেমন ভদ্র তেমন মেধাবী। খুব ভাল মনের একজন মানুষ।

আর হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা তো ক্লাস ফোরের বাংলা বইয়ে পড়েছি। গল্পটি সেই বয়সে এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে মনে হতো রূপকথার গল্প পড়ছি। এতদিন পর আবারও মনযোগ দিয়ে পড়লাম।

আমাদের দেশে এমন একজন যাদুকর এখন বড়ই দরকার। যার বাঁশির ফুঁয়ের জোরে দেশের আগাছাগুলো ভেসে যাবে; কয়েক কোটি দুষ্টু ঈদুরকে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেবে। আর রাবার স্ট্যাম্প ম্যাডামদের গভীর সমুদ্রের নির্জন কোন দ্বীপে নির্বাসন দেবে।

পোস্টে লাইক।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু তে গুরু তে অপার মিল, গুরু আমার লেখার মুল শিকড়ে চলে গেছেন - আমাদের দেশে আসলেই এমন একজন জাদুকরী বাঁশিওয়ালা খুব প্রয়োজন যিনি তাঁর বাঁশির সুরে সমস্ত নোংরা মানুষ নামক অমানুষ গভীর সমুদ্রে বিসর্জন দেবেন আমরা হবো আপদমুক্ত ।। অশিক্ষিত গন্ডমুর্খের কাছে আমরা ২০ কোটি জনতা জিম্মি হয়ে গেছি গুরু, এই বিষাক্ত কালো অধ্যায় কবে শেষ হবে জানিনা । আমরা জাতি হিসেবে অতি দুর্ভাগা এক জাতি আমাদের জাদুর বাঁশিও নেই আমাদের মাহাথির মোহাম্মদ ও নেই ।।

৭| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই,

আজকের পোষ্টটি আমাকে উৎসর্গ করেছেন দেখে আনন্দিত। তবে লজ্জিতও। আমি ব্লগে একেবারে নবাগত। অনেক সিনিয়র গুনি মানুষের সান্নিধ্য আমরা ব্লগে পাই। যাদের বিচক্ষণতা, কমেন্ট আমাদের চলার পথের নির্দেশকা স্বরূপ। এমতাবস্থায় নিজের সামান্য বিবেকবুদ্ধিকে যদি কেউ তুলে ধরে তাহলে কিছুটা সঙ্কুচিত হতে বাধ্য।

তবুও সম্মান যখন দিয়েছেন, মাথায় তুলে নিলাম এবং হৃদয়ে ধারন করলাম। নিজের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই। সত্যি খুব কমদিন ব্লগে এসে যেভাবে আপনাদের ভালোবাসা পেলাম, তার ঋন কোনও দিন শোধ করার নয়। আমার ও আমাদের এই সম্পর্ক আমাদের গর্ব, আমাদের সম্পদ যা বয়ে চলুক আবহমানকাল ।

অনেক অনেক শুভ কামনা প্রিয় মাহমুদ ভাইকে।



০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পদাতিক চৌধুরি ভাই,
বন্ধুত্ব একটি আবেগময় বিষয় - আর বন্ধুত্বে ভালো মানুষ, ভালোবাসার মানুষ, সম্মানী মানুষ চিনতে দেরি হয় না, সম্মানী মানুষকে সম্মান দিতে গর্ববোধ করি - আপনার প্রতিও রইলো অনেক অনেক শুভ কামনা ।

৮| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: আমার দুই প্রিয়; দুই ঠাকুর; দুই জনকে একসাথে পেলাম।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গুরু, আমার আরেকটা পরিচয় আছে - শিক্ষাজীবনে দির্ঘদিন হোষ্টেল ও কর্মজিবনে প্রচুর রান্না করে খেতে হয়েছে তাছাড়া আমি আর আমার বড় ভাই ছিলাম মা আর বড় চাচীর রান্নার সহকারী - সিলেটের শাতকড়া দিয়ে মাংশ রান্না আর বিন্নি চালের ভাত আমি ভালোই পারি - আমি একজন ভালো বাবুর্চীও তাই শুক্রবারে মাঝে মাঝে আমার জায়গা হয় পাকের ঘরে ।

৯| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:০১

সিগন্যাস বলেছেন: প্রিয় ঠাকুর ভাই
হ্যামিলিয়নের ঘটনা ইতিহাস কতৃক স্বীকৃত।ইতিহাসবিদরা বলেন এই ধরনের ঘটনা আসলেই ঘটেছিলো

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রিয় সিগন্যাস ভাই, আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনি আমার লেখাকে মুল্যায়ন করেছেন, সিগন্যাস ভাই আমি ইতিহাস পড়ি আমার প্রিয় পাঠ ইতিহাস, আমি জানি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্প নিয়ে ইতিহাসে স্বীকৃতি আছে, তর্ক বিতর্ক ও আছে, তারপরও আমি প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেছি এতো সুন্দর গল্পে বিতর্ক আনতে চাচ্ছি না বলে, আপনাকে আবারো ধন্যবাদ ও শুভ্ছো আপনি হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পের অনেকটুকু জানেন ইতিহাস সহ, যারা প্রকৃত ইতিহাস জানেন তাদের আমি সম্মান করি ।

১০| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৩৪

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রিয় মাহমুদ ভাই,

আমাদের প্রিয় ব্লগের স্টার সুপ্রিয় কাওসার ভায়ের আবেগময় কমেন্ট আমাদের অন্যতম পুরষ্কার। আজ আমরা আনন্দিত যে প্রিয় ভায়ের কথার গাঁথুনিতে আমরা সবাই মিলেমিশে একাকার । এ এক মিলনমেলা। আসুন আমরা সব্বাই মিলে ঈদের সময় আপনাকে না পাওয়াই লেট কোলাকুলি করে নিই।


অনেক শুভ কামনা ব্লগের সমস্ত পাঠক ও মন্তব্যদাতাদের। আর আপনাকে জানাই হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা।

০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে ভিলেন হয়ে যাই, ভিলেন বলে তো খলনায়ক ! - যার এতো বন্ধু সে তো অনায়াসে খলনায়ক হতে পারে, না কি !!! তারপর দেশের আগাছা নামক অমানুষ নির্মুলে নেমে পড়ি, কি বলেন পদাতিক চোধুরি ভাই আর গুরু কাউসার চৌধুরী ভাই ?

১১| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:


আমার দুই গুরুকে একই পোস্টে পাওয়ার ভাগ্য এ জনমে হবে কিনা জানি না; তবে এ বাঁধন যাবে না ছিড়ে, যদি না হারিয়ে যাই ব্লগারদের ভীড়ে!! B-)

গুরুজী, আপনি বলেছেন সিলেটের সাতকরা আর বিরুইন চাল আপনার প্রিয়। শুনে বাক্কা কুশি অইছি। B-)

আর, আরেক গুরু প্রিয় পদাতিক ভাইকেও দাওয়াত সিলেট ভেড়িয়ে যাওয়ার জন্য। সিলেট খুব সুন্দর, পরিচ্ছন্ন আর আধুনিক শহর। বেড়ানোর জায়গার অভাব নেই।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: কাউসার চৌধুরী ভাই, আপনি তো বস্ আমাকে বিড়াট দায়বদ্ধ করে দিলেন গুরু, বন্ধুত্বের দায়বদ্ধ - আমি কৃতজ্ঞ আপনার কাছে সমকৃতজ্ঞ পদাতিক চৌধুরি ভাইয়ের কাছেও । সিলেট আমারো খুব প্রিয় এলাকা, আমি অবসরে সিলেট বেড়াতে আসি ।

১২| ০৩ রা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪১

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: গল্পটি পড়ে ঐ বয়সেও খারাপ লাগত বাঁশিওয়ালার জন্য। এখানে অফ টপিকে 'গল্প বলা' নিয়ে একটা স্মৃতি শেয়ার করি। আমার স্কুলের কাছেই ছিল পাবলিক লাইব্রেরী। টিফিন ছুটিতে কয়েকজনের দেখাদেখি আমিও পাবলিক লাইব্রেরীতে গিয়ে গল্প, রূপকথা পড়তাম। মলত স্কুলের বই এর বাইরে বই পড়ার অভ্যাস শুরু হয়ে তখন থেকেই। সেই আমি যখন মাত্র ক্লাস এইট/নাইনের ছাত্র তখন গ্রামে গিয়ে আমার চেয়ে ৪/৫ বছরের ছোট কাজিনদের গল্প শোনাতাম। তারা ৭/৮ জন আমার গল্প শুনত! আমি বাড়িতে যাওয়ার আগে একটা কাগজে গল্পের নাম লিখে নিয়ে যেতাম। আর শিরোনাম দেখে দেখে গল্প বলতাম! এখনকার কেউ বিশ্বাস করবে না। এমন কি কলেজে যাওয়ার পর আমি 'তিন গোয়েন্দা'র গল্পও তাদের শোনাতাম। নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে হত আমার!...

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ভাই তালগাছ, আপনার স্মৃতী আমি মনে প্রাণে বিস্বাস করি কারণ আমি নিজেও আপনার কাজটি করেছি ! আফসোস লাগে - কি আনন্দময় জীবন ফেলে এসেছি, কলেজ ‍ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অনেক বন্ধু সহপাঠি’র সাথে এখন আর তেমন যোগাযোগ নেই তবে প্রাইমারি আর হাইস্কুল জীবনের অধিকাংশ বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ আছে - ভাবতেও আশ্চর্য্য লাগে ইমোশনের শক্তি আসলেই বেশী । ধন্যবাদ ভাই আপনি আপনার স্মৃতী বলে আমার লেখার সময় ও পরিশ্রমকে স্বার্থক করেছেন।

১৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১২:৪২

প্রামানিক বলেছেন: হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ছোটকালে পড়েছিলাম। আবার মনে করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা গল্পটি মনে হলেই একই সাথে দুঃখ লাগে সেই নাম না জানা বাঁশিওয়ালার জন্য এবং দুঃখ লাগে হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য শিশু কিশোরদের জন্য - প্রামানিক ভাই এই গল্পটি ইতিহাস স্বীকৃতি দিয়েছে ঘটনা সত্যি।

১৪| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১০

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আমরাও পড়েছি। দারুন ভালো লাগতো গল্পটি ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: সেলিম আনোয়ার ভাই, হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা খুবই ইমোশনাল একটি গল্প, পাঠ্য বই থেকে এই ধরনের গল্প তুলে দিয়ে আমি মনে করি শিক্ষা বোর্ড অনেক বড় ধরনের ক্রাইম করেছে, এই গল্প শিশুতোশ গল্পের অন্যতম একটি গল্প, যেই গল্প মানুষের মনে চিরোদিনের জন্য স্মৃতী রেখে যায় তার মুল্য - অমুল্য ।

১৫| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ১:৪৬

শামচুল হক বলেছেন: পুরানো স্মৃতি মনে পড়ে গেল। ধন্যবাদ

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ রাত ২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হক ভাই, আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ, স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পেরেছি এ এক বিড়াট প্রাপ্তি ধন্যবাদ আবারো ।

১৬| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৬

অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ছোট বেলায় এই গল্পটি খুউব....ভালো লাগতো।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৪০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: অনন্য দায়িত্বশীল আমি, ভাই এই গল্প আমারো অনেক পছন্দের গল্প, দুঃখ আগামী প্রজন্মকে এই গল্পের ভালোলাগা আর মানবিক দুঃখ থেকে খুব টেকনিক্যালি দুরে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে - এই গল্পটি এখন কোনো পাঠ্য বইয়ে নেই, উধাও !!!

১৭| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: ছোট শিশুদের মনে এই গল্প মারাত্বকভাবে স্পর্শ করে যায়, তা হচ্ছে মানবিকতার স্পর্শ - নাম না জানা হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা ও
হারিয়ে যাওয়া অসংখ্য ছেলেমেয়ের জন্য আজো মন কাঁদে ।


আমি এখনও ছটদের গল্প খুব মন দিয়ে পড়ি।
অনেক ছোট ছোট বাচ্চা আমার কাছে গল্প শুনতে আসে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৪১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রাজীব নুর ভাই, এই আবেগঘণ বিবেকময় গল্প কবিতা পাঠ্য বই থেকে তুলে দিয়ে মানণীয় শিক্ষা বোর্ড আগামী প্রজন্ম তৈরি করছে এক আবেগহীন রোবট প্রজাতি - কর্তাব্যাক্তিদের ব্যাক্তিগত ক্ষয়ক্ষতি কতোটুকু হবে জানি না কারণ তারা ইতিমধ্যে আবেগহীণ ও কানাডা প্রবাসী তাদের পরিবার ।

১৮| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আহা ! কি মায়া জেগেছীল শৈশবে!

কই গেল ওরা! আর এলৌনা! কেন এলৌনা!
বাঁশীওয়াল কই নিয়ে গেল! মেয়র এত খারাপ কেন?
ওয়াদা রাখলেইতো আর বাচ্চাগুলৌ হারাতো না!
আহা আমি যদি থাকতাম! জানতমা ওরা কই গেল :-/

দারুন স্মৃতিময় গল্প মনে করিয়ে দিলেন! ৪ নং এর প্রতিমন্তভ্যে সহমত। ভীষন ষড়যন্ত্র চলছে!!!!

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: গল্প শুনে আমরা সবাই কেঁদেছি, সেই শৈশবের স্মৃতী আজো মনে করে দেয় আহাঃ নাম না জানা সেই বাঁশিওয়ালা আর শিশুদের কি হলো, কষ্ট লাগতো নগরপিতা আর কর্তাব্যাক্তিদের উপর - তাদের ছলনা ও কুটিলতার কারণে কি এক মর্মান্তিক ঘটনা - আফসোস ।

১৯| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৫

প্রামানিক বলেছেন: হ্যামিলনের কাহিনীটি বাস্তবেই ঘটেছিল। ১২৮৪ সালের ঘটনা। বংশীবাদক বাঁশি বাজিয়ে শিশুদেরকে যে গুহায় ঢুকিয়েছিল সে গুহাটি এখনও আছে। তবে গুহাটি সিল করে দেয়া হয়েছে।

এই সেই হ্যামিলন শহর।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রিয় প্রামানিক ভাই, গল্পটি বাস্তব এবং এর প্রমাণ সহ নথিপত্র ইতিহাস স্বীকৃতি দেয় হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা সত্য ! কষ্ট লাগে যখণ মনে হয় আহাঃ নাম না জানা সেই বাঁশিওয়ালা আর শিশুদের কি হলো, কষ্ট লাগতো নগরপিতা আর কর্তাব্যাক্তিদের উপর - তাদের ছলনা ও কুটিলতার কারণে কি এক মর্মান্তিক ঘটনা - আফসোস ।

২০| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৭

প্রামানিক বলেছেন: হ্যামিলনের কাহিনীটি বাস্তবেই ঘটেছিল। ১২৮৪ সালের ২৬শে জুনের ঘটনা। বংশীবাদক বাঁশি বাজিয়ে শিশুদেরকে যে গুহায় ঢুকিয়েছিল সে গুহাটি এখনও আছে। তবে গুহাটি সিল করে দেয়া হয়েছে।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: প্রামানিক ভাই, পৃথিবীতে অনেক কিছুই ঘটেছে ইতিহাস পড়লে তার সাক্ষী ও স্বীকৃতি পাওয়া যায়, আমরা হতোবাক হই বাস্তব শুনে “সত্যি এমনোও হয়েছিলো” ইতিহাসে এই ধরনের হতোবাক করার মতো ঘটনা অঢেল, আমাদের দুর্ভাগ্য আমাদের পাঠ্য বইয়ে মজাদার, কাকতালীয় ও হতোবাক করার মতো ইতিহাস নেই, যা আছে তা পড়াতে আনন্দ দেয় না, পড়া লেখার নামে যা দেয় তার নাম ক্লান্তি আর প্রাইভেট টিউটর কোচিং ! পাঠ্য বইয়ে যদি ছাত্রছাত্রী ইতিহাস না পড়ে তাহলে ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ কিভাবে হবে বলবেন কি ? এখন তেমন পাবলিক লাইব্রেরীও নেই, যা আছে তা রাজনৈতিক সভা সেমিনারের জন্য ও রাজনৈতিক আড্ডাখানা কাজে ব্যাবহৃত ।

২১| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৪৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ ,




নষ্টালজিক । সেই পুরোনো দিনের কথা সেকি ভোলা যায় .....
আমরা পড়েছি " হ্যামিলনের বংশীবাদক" নামে ।
আর একটি ছিলো ইংরেজীতে " গালিভার'স ট্রাভেলস " । এটাও মজার ।
এই দেশে আমরা জনগণই যেন তেমনি সব "লিলিপুট" আর শাসকশ্রেনী হলো "ব্রবগিংন্যাগ" !
হেকিনাহ দেগাল........................ :(

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৫:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: পাঠ্য বইয়ে যদি ছাত্রছাত্রী ইতিহাস না পড়ে তাহলে ইতিহাসের প্রতি আগ্রহ কিভাবে হবে বলবেন কি ? এখন তেমন পাবলিক লাইব্রেরীও নেই, যা আছে তা রাজনৈতিক সভা সেমিনারের জন্য ও রাজনৈতিক আড্ডাখানা কাজে ব্যাবহৃত । আপনার মুল্যবান মন্তব্যবর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ‍ও শুভ কামনা ।

২২| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:৫৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ছেলে বেলায় ফিরে গেলাম, কিছু সময়ের জন্য। খুব ভাল লাগল। পুরাতনকে নতুন করে। থ্যাংকস ভাই।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: মোঃ খুরশীদ আলম ভাই, শৈশবের স্মৃতীর কাছে কোনো স্মৃতীরই তুলনা চলে না, আপনি আমার লেখাকে মুল্যায়ন করেছেন আপনাকে অনেক শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ ।

২৩| ০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭

তারেক ফাহিম বলেছেন: ছোট বেলায় পড়েছি।
আবার পড়লাম, ধন্যবাদ।

০৪ ঠা জুলাই, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: তারেক ফাহিম ভাই আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ্চ্ছো ।

২৪| ০৫ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

ব্লগ মাস্টার বলেছেন: ধন্যবাদ আহা! শৈশব যদি আবার ফিরে আসতো ।

০৬ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৩:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ব্লগ মাস্টার ধন্যবাদ ভাই, সত্যি বলতে আমাদের শৈশব ই জীবনের আসল আনন্দময় সময় - যো পার করে এসেছি আর কখনো ফিরে পাবো না ।

২৫| ০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১২

রক বেনন বলেছেন: চমৎকার একটি শিশুতোষ গল্প পোস্টে শেয়ার করার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ ঠাকুর ভাই।

০৯ ই জুলাই, ২০১৮ বিকাল ৪:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: রক বেনন ভাই আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ, আমরা শিক্ষা নিয়ে লড়বো, দেশে সুশিক্ষার বড় আকাল রক বেনন ভাই ।

২৬| ২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:১০

সজল_ বলেছেন: হ্যামিলনের বাশিওয়ালা গানটির কথা মনে পড়ে গেলো :-B

২৬ শে আগস্ট, ২০১৮ বিকাল ৩:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হ্যামিলনের বাশিওয়ালা আমাদেরে অতীত জীবনের অসংখ্য স্মৃতীকথা, ছেলেবেলার না বলা দুঃখ কষ্ট ।

২৭| ১১ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: শৈশবে পড়া এবং ভালো লাগা গল্পের মধ্যে অন্যতম "হ্যামিলনের বংশীবাদক" গল্পটির কথা স্মরণ করিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
"আমাদের দেশে এমন একজন যাদুকর এখন বড়ই দরকার। যার বাঁশির ফুঁয়ের জোরে দেশের আগাছাগুলো ভেসে যাবে; কয়েক কোটি দুষ্টু ঈদুরকে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেবে" - কাওসার চৌধুরী'র এ কথাটার সাথে একমত।
পোস্টে প্লাস। + +

১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গল্পটি খুবই দুঃখ নিয়ে লিখেছিলাম। আমাদের তৃতীয় প্রজন্ম পড়ার মতো পাঠ্য বইয়ে তেমন কিছুই পাচ্ছে না। পাঠ্য বইয়ে তারা যা পাচ্ছে তাতে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই। পাঠ্য বইগুলো অত্যন্ত সাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা দর্শক মাত্র।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

২৮| ১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০১

ইসিয়াক বলেছেন: আমিও ছোটবেলায় পড়েছি।যতবার পড়েছি বাচ্চাগুলো আর বাঁশিওয়ালার জন্য মন কেমন করতো। আহা কোথায় হারিয়ে গেল ওরা!
মন ছুঁয়ে যাওয়া গল্প যা এখনও স্মৃতিতে অম্লান।

ভালো থাকুন প্রিয় ব্লগার।
শুভ কামনা সতত।

১২ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গল্পটি খুবই দুঃখ নিয়ে লিখেছিলাম। আমাদের তৃতীয় প্রজন্ম পড়ার মতো পাঠ্য বইয়ে তেমন কিছুই পাচ্ছে না। পাঠ্য বইয়ে তারা যা পাচ্ছে তাতে স্নেহ মায়া মমতা ভালোবাসা বলতে কিছুই নেই। পাঠ্য বইগুলো অত্যন্ত সাবধানে ক্ষতিগ্রস্ত করে দেওয়া হয়েছে। আমরা দর্শক মাত্র।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।


আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.