নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাবণ

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৮



সম্মুখ সমরে পড়ি, বীর-চূড়ামণি
বীরবাহু, চলি যবে গেলা যমপুরে
অকালে, কহ, হে দেবি অমৃতভাষিণি,
কোন্ বীরবরে বরি সেনাপতি-পদে,
পাঠাইলা রণে পুনঃ রক্ষঃকুলনিধি
রাঘবারি? কি কৌশলে, রাক্ষসভরসা
ইন্দ্রজিৎ মেঘনাদে অজেয় জগতে
ঊর্মিলাবিলাসী নাশি, ইন্দ্রে নিঃশঙ্কিলা?

মেঘনাদবধ কাব্য
কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত


প্রথম অধ্যায়: -
রাবণ একটি পুরাণ ইতিহাস। হতে পারে মিথ, হতে পারে নিছক গল্প অথবা উপন্যাস। অনেক কিছুই হতে পারে তবে পুরাণ অনুযায়ী এর ব্যাখ্যা পাওয়া যায় অনেক। তারমধ্যে সবথেকে বেশি প্রচলিত ব্যাখ্যাটি পুরাণ অনুযায়ী রাবণের ১০টি মাথা আসলে মানুষের ১০টি খারাপ চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের প্রতীক। (১) অহংকার (২) মোহ (৩) অনুতাপ (৪) ক্রোধ (৫) ঘৃণা (৬) ভয় (৭) হিংসা (৮) লোভ (৯) কাম (১০) জড়তা। এই ১০টি চারিত্রিক বৈশিষ্ঠ্যের প্রতীক হিসেবেই রাবণ দশানন।

রাবণ ভারতীয় মহাকাব্য রামায়ণের অন্যতম প্রধান চরিত্র ও প্রধান নায়ক। তিনি মহাকাব্য ও পুরাণে বর্ণিত লঙ্কা দ্বীপের রাজা। কিন্তু বর্তমানে শ্রীলঙ্কা যে সেই লঙ্কা সেটি এখনো নিশ্চিত নন। শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে রামায়নের এই তথ্যটি পাওয়া যায় না। রামচন্দ্রের পত্নী সীতাকে হরণ করে তিনি লঙ্কায় নিয়ে যান। সীতার উদ্ধারকল্পে কিষ্কিন্ধ্যার বানরসেনার সাহায্যে রামচন্দ্র লঙ্কা আক্রমণ করলে রাবণের সঙ্গে তার যুদ্ধ হয়। এই ঘটনা রামায়ণ মহাকাব্যের মূল উপজীব্য। রামায়ণের উত্তরকাণ্ডে তার পূর্বজীবনের কথা বলা হয়েছে।

রাবণের প্রকৃত নাম দশানন/দশগ্রীব। তার রাবণ নামটি শিবের দেওয়া। জনপ্রিয় শিল্পে তার দশটি মাথা, দশটি হাত ও দশটি পা দর্শিত হয়। মহাকাব্যে কামুক ও ধর্ষকামী বলে নিন্দিত হলেও রাবণকে মহাজ্ঞানী ও তাপসও বলা হয়েছে। উত্তর ভারতে দশেরা উৎসবে রাবণের কুশপুত্তলিকা দাহ আজও এক জনপ্রিয় প্রথা। রাবণ আদি যুগে সর্বপ্রথম মর্তে উড়ন্ত যান পুষ্পক রথ ব্যবহার করেন।

রাবনের পিতা ব্রহ্ম ঋষি বিশ্রবা এবং মাতা কৈকসী। বিশ্রবা মহর্ষি পুলস্ত্যর (সপ্তর্ষি/সপ্ত ঋষির একজন) পুত্র আর কৈকসী হলেন অসুর রাজা সুমালীর কন্যা। কৈকসীকে বিবাহের জন্য অসুর রাজা সুমালীর কাছে অনেক প্রস্তাব আসে কিন্তু সুমালীর ইচ্ছা যে, সে তার কন্যাকে মৃত্যু লোকের সবচেয়ে শক্তিশালী সত্তার সাথে বিবাহ দিবে, যাতে তার মেয়ের সন্তানরা ব্যতিক্রমী, তেজস্বীএবং পরাক্রমী হয়, তাই সকল বরকে তিনি ফিরিয়ে দেন কারণ তারা কেউই তার চেয়ে শক্তিশালী ছিলনা। কৈকসী অনেক ঋষি ও মুনির মধ্যে খুঁজে বিশ্রবাকে বিবাহ যোগ্য মনে করেন এবং তার সেবা করেন। তার সেবায় সন্তুষ্ট হয়ে ঋষি বিশ্রবা তাকে বিবাহ করেন। ব্রহ্ম ঋষি বিশ্রবার ঔরসে কৈকসীর গর্ভে তিন পুত্র যথাক্রমে দশানন (দশ মাথা বিশিষ্ট), কুম্ভকর্ণ, বিভীষণ এবং এক কন্যা শূর্পণখার জন্ম হয়। রাবণ ও তার সহোদরদের শিক্ষা তার পিতার কাছে সম্পন্ন হয়। রাবণ বেদ শাস্ত্রের অন্যতম একজন পন্ডিত ছিলেন।

রাবণ গীত রচনায় অতি নিপুন ছিলেন। তিনি শিবের পরম ভক্ত ছিলেন। সার্বক্ষণিক শিবের সান্নিধ্য পাওয়ার লক্ষ্যে তিনি যখন কৈলাশ পর্বতকে লংকায় প্রতিস্থাপনের জন্যে নিজ তপোবল দ্বারা দুই হস্তে তুলে নেন তখন মহাদেব তার পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি কৈলাশে স্পর্শ করলে রাবণের দুই হাত কৈলাশের নিচে চাপা পরে যায়। রাবণ তখন প্রচন্ড চিৎকার করতে থাকে এবং শিবকে শান্ত করার নিমিত্তে তিনি একটি গীত রচনা করেন, যা পরে "শিব তাণ্ডব স্তোত্র" নামে পরিচিত হয়। শিবের ক্রোধ শান্ত হয় এবং মহাদেব রাবণকে তার চন্দ্রোহাশ নামক খড়গ তাকে উপহার দেন এবং অতি উচ্চ মাত্রায় তার রোদন করার কারণে তার নাম রাবণ বলে পরিচিত হয়। “শিব তাণ্ডব স্তোত্র” গীতমালাটি রাবণ পুত্র ইন্দ্রজিৎ মুছে দেন যাতে পরবর্তীতে আর কেউ কোনোদিন কোনোকালে “শিব তাণ্ডব স্তোত্র” গীতমালা ব্যবহার করে শিবকে অনুকূল করতে না পারেন।

রাবণ বাস্তু শাস্ত্রে এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রে অতীব জ্ঞান রাখতেন। জ্যোতিষ শাস্ত্রে তার জ্ঞানের দ্বারা সে তার পুত্রের জন্মলগ্নে সকল গ্রহকে তার বসে এনে সেই তিথিকে মঙ্গল তিথী বানিয়ে নেন। রাবণ ব্রহ্মার কঠোর তপঃ করেন এবং বর প্রাপ্ত হন যে, নর ও বানর ছাড়া তাকে কেউ বধ করতে পারবেন না। রাবণ তার বৈমাত্রেয় বড় ভাই কুবের কে পরাজিত করে তার কাছ থেকে পুষ্পক বিমান নেন যা তাকে অতি অল্প সময়ে লঙ্কা থেকে যে কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে পারত। প্রথম জীবনে রাবণ শিবের সাথে যুদ্ধ করে পরাজিত হয়ে পরে শিবের ভক্ত হোন। রাবণ পূর্বজন্মে ছিলেন অভিশাপগ্রস্ত বিষ্ণুভক্ত বিজয়। রাবণ তার নিজশক্তিতে ত্রিলোকের অধিপতি হোন। শ্রী রাম অবতারিত হোন এবং রাবণকে বধ করেন। কথিত আছে, রাম রাবণকে হত‍্যা করে ১ বৎসর ব্রহ্ম হত্যার অনুশোচনায় হিমালয়ের তপস্যা করেন। কারণ রাম ছিলেন পুরুষোত্তম।



দ্বিতীয় অধ্যায়: -
চন্দ্রাবতীর রামায়ন কাহিনী শুরু হয়েছে লঙ্কার বর্ণনা দিয়ে। চন্দ্রাবতির রামায়নে রাম চরিত্রের বদলে সীতা চরিত্র হয়ে উঠেছে অনেক বেশী উজ্জল । কাব্যটি তাই রামায়ন না হয়ে হয়েছে নারীর দু:খের কাহিনী ‘সীতায়ন”। যে জন্য রামের জন্মের কথা প্রথমে না বলে সীতার জন্ম কাহিনী দিয়ে শুরু করে তার জীবনের গুরুত্বপুর্ণ ঘটনাবলী স্থান দিয়ে , তার মানসিকতাকে সুনিপুনভাবে ব্যখ্যা করে তারই পাতাল প্রবেশ দিয়ে রামায়নের কাহিনীর ছেদ টেনেছেন কবি । পুরুষতান্ত্রিক প্রাধান্যের কাছে নারীরা কিভাবে উপেক্ষিত ও লাঞ্চিত হয় ,কিভাবে তাকে দু:খের সাগরে নিক্ষেপ করা হয় – সেই ঘটনা তথা কাহিনী উঠে এসেছে চন্দ্রাবতীর রামায়নে "নারীর চোখে নারীর বয়ানে”।

অনেক লেখাতেই দেখা যায় রামায়ন আনুসারে রাবণ একজন দানব, তবে শ্রীলঙ্কানদের কাছে তিনি হিরো, শ্রীলঙ্কানদের কাছে রাবণের বিষয়ে রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু গল্প। উল্লেখ্য হিন্দু সম্প্রদায় যখন দশেরা পার্বন উদযাপন করে তখন তারা খুব ভক্তিভরে রামায়ন পাঠ করে । তাদের কাছে রামায়ন কেবল ভগবান রামের রাবণকে জয় করে সীতা উদ্ধার করার গল্পই নয়, এটি অনেক বাধা সত্ত্বেও খারাপের উপর ভালর জয়ের বিষয়। এটি সেই গল্প যা সেই ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির সঠিক বিষয়গুলির জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আশা এবং অনুপ্রেরণা দেয়। তবে আমরা সকলেই জানি যে প্রতিটি গল্পের দুটি দিক রয়েছে। শ্রীলঙ্কানদের কাছেও রাবণ সম্পর্কে আলাদা কিছু ধারণা রয়েছে। রাবণের পিতা ব্রক্ষ ঋষি বিশ্রবা ও মাতা কৈকসী। তার জন্ম বৃতান্ত ও গুনাবলী আপনার পোষ্টে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে । আসলে মনুর বয়সকালে তাঁর বাবা ছিলেন সাপ্তারিশের একজন। উচ্চ মার্গের পরিবার থেকে আগত, রাবণকে একাডেমিক এবং মার্শাল আর্ট উভয় ক্ষেত্রেই সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।



এটি একটি পরিচিত সত্য যে রাবণের দশটি মাথা ছিল এবং লোকেরা প্রায়শই বলে যে এটি তাকে তার জ্ঞানের জন্য বিশেষ উপহার দিয়েছে। ধারণা করা হয় যে তার ১০ টি মাথা থাকার অর্থ তিনি একজন খুব জ্ঞানবান ব্যক্তি এবং সেই যুক্তি অনুসারে এক মহান রাজা যিনি প্রশাসনের বিষয়ে দুর্দান্ত জ্ঞান রাখেন। আসলে, আয়ুর্বেদে সাতটি বই রয়েছে যার লেখক হিসাবে এখনও তাঁর নামই দাঁড়িয়ে আছে, যার ফলে তাঁকে একজন মহান চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কথিত আছে যে তার স্ত্রীর অনুরোধে তিনি শিশুদের জন্য আয়ুর্বেদিক (ঔষধ) প্রতিকারের বিষয়ে একটি বই লিখেছিলেন।



বিজ্ঞান থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে রাবণ নিজের জন্য একটি নাম তৈরি করেছিলেন। সীতাকে অপহরণ করার সময় রাবণের যে পুষ্পক বিমান ব্যবহৃত হয়েছিল পৌরাণিক কাহিনী মতে সেটি ছিল রাবণ আবিষ্কত উড়ন্ত যান । এই পৌরানিক উপাখ্যানটি প্রমান করে রাবণের জ্ঞান শুধু চিকিৎসা সাস্রের উপর্‌ই ছিলনা উপরন্ত তিনি বৈজ্ঞানিকও ছিলেন। নতুনত্বের দিকে তার ঝুঁক ছিল এবং তার অনন্য যানটি সে দিকটিই প্রতিভাত করেছে। এসকল বিষয়ে তার জ্ঞানই তাকে এমন একজন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলেছিল যে কারণে মানুষ তার প্রশংসা করেছিল সাথে তার শক্তিমত্তার জন্য তাকে ভয়ও করত।

তিনি শিবের এক মহান ভক্ত ছিলেন। রাবণ তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য ধ্যান করতেন। তিনি একজন মানুষ হিসাবে যেভাবেই থাকুন না কেন, কেউ অস্বীকার করতে পারেন না যে তিনি শিবের অত্যন্ত অনুরাগী ভক্ত ছিলেন। ভগবান শিব তাঁর দ্বারা এতই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে তিনি তাঁকে ঐশ্বরিক অস্ত্র ব্যবহার করার শক্তি দান করেছিলেন, এটি এমন এক সম্মান যা কেবলমাত্র একজন পরিশ্রমী ভক্তই অর্জন করতে পারেন।



শ্রীলঙ্কানদের কাছে রাবণ এবং রামের মধ্যে যুদ্ধের শুরুটাও ছিল ভিন্ন রকম। ভারতীয়রা বিশ্বাস করেন যে রাবণ যদি সীতাকে অপহরণ না করত তবে এর কিছুই ঘটতনা । অন্যদিকে শ্রীলঙ্কানরা বিশ্বাস করে যে ভগবান রামকে প্রনয় প্রস্তাব দেওয়ার কারণে রাবণের ভগ্নী সুপর্ণখার নাক কেটে রামভ্রাতা লক্ষনই ঘটনা প্রথম শুরু করেছিলেন। তাদের মতে, রাবণ যা কিছু করেছিলেন তা ছিল তার ছোট বোনের প্রতি আঘাতের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একজন বড় ভাই এর কাজ।

শ্রীলঙ্কানরা রাবণকে দেবতা হিসাবে অবশ্য পুজা করে না তবে তারা তাঁর সমস্ত কাজের জন্য তাঁকে একজন মহান রাজা হিসাবে বিবেচনা করে। তাদের জন্য, তিনি ছিলেন রাজা যিনি আক্রমণকারীদের প্রতিহত করেছিলেন। তাদের জন্য, তিনি হলেন সেই মর্মান্তিক নায়ক যিনি তার বোনের সম্মানের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করার সময় তাঁর নিজের ভাই বিভীষণ রামের স্বার্থের কারণে তার প্রতি বিশ্বাসঘতকতা করেছিল। শ্রীলঙ্কানদের কাছে তিনি ছিলেন সেই রাজা, প্রভুত জ্ঞানের পুস্কার হিসাবে যাকে দান করা হয়েছিল দশটি মাথা। তিনি ছিলেন সেই রাজা, যিনি ভগবান শিবের প্রতি তাঁর অঘাধ ভক্তির পুরস্কার হিসাবে অর্জন করেছিলেন এক শক্তিশালী ব্রহ্মাস্ত্র।



রাবণকে নিয়ে শ্রীঙ্কানদের কোন উৎসব পার্বণ নেই এবং তারা তাঁর নামে মন্দিরও তৈরি করেনি তারা। তবে তারা তাঁকে এক মহান রাজা হিসাবে দেখেন যার সাথে জড়িত রয়েছে একটি মর্মান্তিক পরিণতি। রাবণ একটি অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব যার কাহিনীর সাথে যুক্ত রয়েছে দুটি বিপরীত সত্য।

শেষ কথা: অত্যন্ত মজাদার একটি তথ্য দিয়ে শেষ করছি, রাবণ আমাদের মহেশখালী দ্বীপে মধ্যরাতে মধ্য প্রহরে অবতরণ করেছিলেন। আমাদের মহেশখালী দ্বীপে শিবের আগমন ঘটে রাবণের কারণেই - সে গল্প অন্য একদিন। সবাইকে নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের মতো বিদায় নিচ্ছি।



ছবি: গুগল সার্চ ইঞ্জিন
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষ।

তথ্য উপাত্ত:
প্রথম অধ্যায়: মেঘনাদবধ কাব্য কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত।
দ্বিতীয় অধ্যায়: কৃতজ্ঞতা্র সাথে যার নাম নিচ্ছি তিনি আমাদের সকলের প্রিয় জনাব, ডঃ এম এ আলী সাহেব।
গুগল সার্চ ইঞ্জিন।








মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:২৯

চাঁদগাজী বলেছেন:



সব ধর্মকে ততকালীন মানুষ গুরুত্বপুর্ণ করেছিলো রূপকথা যোগ করে; রাবণ উড়তেও পারতো, সে লংকা থেকে উড়ে্ এসে সীতাকে হরণ করে নিয়ে গিয়ে ছিলো। গ্রীক ও ইটালিয়ানরা ১০০ ভাগ রূপকথা দিয়ে ধর্মের পত্তন করেছিলো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ইতিহাস লেখা হয় বিজয়ীদের দ্ধারা। রাম লক্ষণ ব্রাদার্স যুদ্ধে হেরে গেলে নিশ্চয় রামের জায়গায় রাবণের পূজা হতো, নাকি বলেন? রাম নাম সত্যের - জায়গায় - রাবণ নাম সত্য হয়ে যেতো। বাদবাকি আপনার মতামতের সাথে আমিও একমত।

২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪১

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: রাবণ বেশ উঁচু মাত্রার বিদ্বান এবং দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছিলেন। আপনার মহেশখালীর গল্পের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রাবণ বেশ উঁচু মাত্রার বিদ্বান এবং দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছিলেন - একমাত্র বোন শূর্পণখার সম্মানের জন্য ‍যিনি যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারেন তিনি অবস্যই দুর্ধর্ষ বড় মাপের যোদ্ধা।

আমাদের মহেশখালীর ইতিহাস অবস্যই জানতে পারবেন। আমি লিখবো। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৪৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



রাম, লক্ষণ, রাবণ সবই কবি বাল্মীকির সৃষ্টি, তিনি যাকে জয়ী করেছেন, সেইই জয়ী

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




এও ঠিক। এর বাইরে যেহেতু জানার আর কোনো উপায় নেই, তাই গ্রন্থগত যতোটুকু আছে সেটাই সঠিক/বেঠিক হিসেবে হিসেবে ধরে নিতে হবে।

৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:২৩

অগ্নিবেশ বলেছেন: রাম লক্ষণ নিয়ে অনেক কাটা ছেঁড়া হয়েছে, কারো কিস্যু হয় নি, এবার হেপাজতে হিন্দু বিজেপি এসে গেছে, চুন থেকে পান খসলে চামড়া তুলে নেবে। আর ইসলামের পিছলামি নিয়ে কিছু বলুন দেখি, কল্লা থাকবে না। বারুদের স্তূপে বসে আছেন শুধু ফাটতে দেরী।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাবণ নিয়ে কিছু চিন্তা ভাবনা করছি আশা করি ভালো ও মজাদার কিছু তথ্য পাবেন। ধর্ম নিয়ে দেন দরবার গোলযোগ করে কোনো আনন্দ থাকার কথা না। রাজনীতি ও ধর্মের বিষয়ে আমার আগ্রহ কম।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। কখনো মহেশখালী বেড়াতে আসলে ইলিশ ভাপা খেয়ে যাবেন। স্থানীয়রা ভাপা পিঠার মতো ইলিশ মাছ ভাপ দিয়ে রান্না করেন। খেতে অসাধারন।

৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আমার কাছে এসব রূপকথা লাগে। আর টিভিতে এসব রূপকথা হিসেবেই দেখেছি।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৩:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



রূপকথাই ঠিক। খুব সম্ভব ১৯৮৭-১৯৮৮তে ভারতের দূরদর্শন টিভি চ্যানেলে রামায়ন সিরিয়াল দেখানো হতো, ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ করে রবিবারের লেখাপড়া লাটে উঠেছিলো। এমনকি কর্মজীবীরাও রবিবারে অফিসে যেতেন দেড়ি করে।

৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একদম ঠিক আমরা স্কুলে না যাওয়ার বাহানা খুঁজতাম। টিভির সামনে লোক ভরা থাকতো।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খুব কম মানুষের বাড়িতেই রঙিন টিভি ছিলো। যাদের বাড়িতে রঙিন টিভি ছিলো তাদের বাড়িতে রামায়ন/মহা ভারত দেখতে ছেলেমেয়ে বুড়াবুড়ি থেকে শুরু করে সকলের ভীর লেগেই থাকতো। রামায়ন ৩০ মিনিট মহা ভারত ৩০ মিনিট প্রদর্শিত হতো এই সময়টি ছিলো রবিবারের সবচেয়ে জমজমাট ও মজাদার সময়।

৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে লিখেছেন।
পড়ে ভালো লাগলো। শেষে যে তথ্য দিলেন- আমাদের মহেশখালি দ্বীপে এসেছিলেন। সেটা উপভোগ্য।

রামায়ন, মহাভারত রুপ কথা হোক, বা সত্য কাহিনীই হোক সকলের পড়া দরকার। এতে শিক্ষনীয় আছে অনেক কিছু।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বই পড়ে যদি নির্মল আনন্দ পাওয়া যায় তাহলে সেই বই সার্থক। রামায়ন মহা ভারত অত্যন্ত আনন্দদায়ক বই। এছাড়া মুভিগুলো দেখার মতো। রামায়ন/মহা ভারত মুভি দশবার করে দেখলেও পুরাতন হবার কথা না।

৮| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:২২

জুন বলেছেন: “এতক্ষণে” –অরিন্দম কহিলা বিষাদে
“জানিনা কেমনে আসি লক্ষণ পশিল
রক্ষঃপুরে ! হায়, তাত, উচিত কি তব
একাজ, নিকষা সতী তোমার জননী,
সহোদর রক্ষশ্রেষ্ঠ ? –শূলী-শম্ভূনিভ
কুম্ভকর্ণ ? ভ্রাতৃপুত্র বাসব বিজয়ী ?
নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে ?
চণ্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে ?


ঠাকুর মাহমুদ রামের চেয়েও রাবন আর পুত্র মেঘনাদ আমার অত্যন্ত প্রিয় চরিত্র ।
মাইকেল মধুসুদনের মেঘনাদ বধ ট্রাজিক কাব্য যেন ট্রয়ের যুদ্ধে হেক্টরেরই পরাজয়


রামের সম্পর্কেতো মেঘনাদের স্ত্রীই গর্ব ভরে সখীকে বলেছিল ঃ-

রাক্ষস নন্দীনি
আমি, রক্ষকুল বধু
আমি কি ডরাই সখী
ভিখারী রাঘবে !!


বলা হয়ে থাকে যে ভারতের যেই অংশ দিয়ে রাম শ্রীলংকা গিয়েছিল সেই রামেশ্বরম গিয়েছিলাম । সেই ভাসমান পাথরও দেখে এসেছি, সেগুলো শুধু প্রবাল ।। এই প্রবালের উপর দিয়েই তারা গিয়েছিল বলে লেখা রামায়নে। কি সুন্দর মালা আজি পরিয়াছো গলে, প্রচ্যেতঃ! হাঃ ধিক, ওহে জলাধিপতি! বলে রাবনের আক্ষেপ সেই প্রবালের মালা দেখেই ।
+

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৬:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শাহরুখ খান অভিনীত চেন্নাই এক্সপ্রেস মুভির শুটিং হয়েছে ভারতের শেষ কূল রামেশ্বরম। বাংলাদেশ থেকে যারা তামিল নাডু যান তারা সাধারণত চিকিৎসার জন্য সেখানে যান এ কারণে বেড়াতে পারেন না বলা চলে, তবে আপনার কথা আলাদা, তামিল নাডু থেকেও প্রায় ৩০০-৩৫০ কিঃমিঃ দুরে রামেশ্বরম। আপনি এতো দুরে বেড়াতে গিয়েছেন এটি আসলেই মজার বিষয়। রামেশ্বরম যেতে যে রেলওয়ে ব্রিজ পাড়ি দিতে হয় তাতে ট্রেনে করে সাগর পাড়ি দেবার স্বাদ পাবার কথা।

তামিল নাডু আমের জন্য বিখ্যাত এলাকা। আমের সিজনে তামিল নাডু গিয়ে যদি কেউ আম না খেয়ে ফিরে আসেন তাহলে বলা যায় তিসি তামিল নাডুর আসল স্বাদ পাননি।

রাবণ অত্যন্ত দুর্ধর্ষ বড় মাপের যোদ্ধা ছিলেন। একমাত্র বোন শূর্পণখার সম্মানের জন্য ‍রাবণ যুদ্ধ ঘোষণা করেন। ইন্দ্রজীৎ তথা মেঘনাদের ভূমিকা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে।

আমি (+) প্লাস পাইনি।

৯| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

রামিসা রোজা বলেছেন:

রাবণ মহেশখালী দ্বীপে মধ্যরাতে অবতরণ করেছিলেন এই
সব অনেক ঘটনাই অজানা এবং পড়তে ভালো লাগে ।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে অনেক কিছুই জানা হলো ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অনেক অনেক বড় বড় ইতিহাসের সাথে জড়িত আমাদের মহেশখালী। কখনো কক্সবাজার বেড়াতে এলে অবস্যই অবস্যই মহেশখালী হয়ে যাবেন, মহেশখালী আদিনাথের মন্দির একটি দেখার মতো ও মনে রাখার মতো জায়গা।

১০| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯

কবীর হুমায়ূন বলেছেন: রাবনকে চরিত্রহীন বলা যাবে না। কারন, সীতাকে অপহরণ করার পরও কিন্তু জোর করে ভোগ করেনি। সীতার মতের প্রাধান্য দিয়ে অপেক্ষা করেছে। আর, ভগবানের মর্যাদা নিয়ে যে রাম লঙ্কা জয় করেছে; সেখানেও অনৈতিক ছলের আশ্রয় নিয়েছে। নিরস্ত্র ইন্দ্রজিৎ বা মেঘনাদকে লক্ষ্মণ হত্যা করেছে। যা যুদ্ধের নীতি বহির্ভূত কর্ম।

সুন্দর হয়েছে লেখাটি। শুভ কামনা।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




শতভাগ সঠিক বলেছেন।
রাবণ হত্যার পুরো সহযোগিতা করেছে বিভীষণ। ইতিহানে বিভীষণের নাম এক কলঙ্কে গাঁথা থাকবে অনন্তকাল। আমি ইন্দ্রজিৎ/মেঘনাদকে নিয়ে লেখা শুরু করেছি আশা করি মেঘনাদের করুণগাথা গল্প পড়বেন। নিরস্ত্র মেঘনাদকে হত্যা করার মাঝে সত্যি সত্যি কোনো বীরত্ব ছিলো না। রাম লক্ষণ ব্রাদার্স পুরো কাহিনীতেই প্রতারণা করেছে।

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

১১| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৯

জুন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ আমরা পুরো দক্ষিন ভারত বেড়াতেই গিয়েছিলাম এক মাসের জন্য , অন্য কোন কাজে না । রামেশ্বরমে আমরা সেই ব্রীজ যা মুল ভুখন্ড থেকে রামেশ্বরমকে আলাদা করেছে তার উপরে দাড়িয়েছিলাম বেশ কিছুক্ষন । বলে বোঝাতে পারবো না সেই অনুভুতি । সমুদ্র থেকে ঝিরি ঝিরি ঠান্ডা বাতাস আর নীচে নীল পানি , রামেশ্বরমের তীর ঘেষে নারকেল গাছ আর নৌকা কি যে অপরূপ দৃশ্য যে শুধু নিজ চোখে না দেখলে বিশ্বাস হয় না । রামেশ্বরমের শেষ ভুভাগ ধানুষ কুড়িতে দাঁড়িয়ে সেই নীল অতলান্তে যেন অবগাহন করেছিলাম । আমরা অবশ্য পানিতে নেমেছি সেই বিশাল বিশাল ঢেউয়ের মাঝেই । এটা হিন্দু ধর্মাবল্মবীদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র স্থান । কিছু কিছু মন্দির অনলি ফর হিন্দুস লেখা ছিল আমরা তাতে যাই নি কিন্ত অন্যান্য মন্দির ঢুকে দেখেছি ।
এটাতো ভারতের প্রয়াত রাস্ট্রপতি এপিজে আবুল কালাম আজাদের জন্মভুমি । উনি ছিলেন এক জেলে পিতার সন্তান ।
প্লাস দিয়েছি :)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





আমি জানি আপনি বেড়াতে যাবার মানুষ, আপনি বেড়াতে গিয়েছিলেন। রামেশ্বেরম পাম্বান ব্রিজে দাড়ালে মনে হয় আমি নিজেও ইতিহাসের কিছুটা অংশ হয়েছি। আমি বিখ্যাত পাম্বান ব্রিজ নিয়ে লেখবো।

সীতা উদ্ধারের পরে ফিরে এসে, শিবের আরাধনা করেন রামচন্দ্র। রাবণকে বধ করে তিনি যে ব্রহ্মহত্যা করেছিলেন, সেই পাপ খণ্ডনের জন্যই শিবের আরাধনা করেন। বর্তমানে তামিলনাডুর রামেশ্বেরম সেই স্থানই হিন্দু তীর্থ হিসেবে গণ্য হয় (ওনলি ফর হিন্দুস)।

রামেশ্বরাম (রামেস্বারাম, রমেশ্বরম নামেও পরিচিত) ভারতের দক্ষিণ ভাগের প্রান্তিক ও মেষ কূল স্থান। ভারতের তামিলনাড়ুর রামনাথাপুরাম জেলার একটি শহর ও পৌরসভা। এটি পাম্বান দ্বীপে অবস্থিত পাম্বান চ্যানেল দ্বারা প্রধানভূমি ভারত থেকে পৃথক এবং শ্রীলংকার মান্নার দ্বীপ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারতীয় উপদ্বীপের উপরিভাগে মান্না উপসাগরে অবস্থিত।পাম্বান দ্বীপ, যা রামেশ্বর দ্বীপ নামে পরিচিত, পাম্বান সেতু দ্বারা মূলভূমি ভারতের সাথে সংযুক্ত। রামেশ্বর চেন্নাই ও মাদুরাইয়ের রেলপথের টার্মিনাস। বারাণসীর সাথে একত্রিত হয়ে এটি হিন্দুদের কাছে ভারতের পবিত্রতম স্থান এবং চার ধাম তীর্থযাত্রার অংশ বলে মনে করা হয়।

আপা আপনি কি রামেশ্বরমে ডাব/নারকেল খেয়েছেন খেয়ে থাকলে জানেন সেখানের নারকেলের কি স্বাদ! আর তাদের আপ্যায়ন আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে - মূল বিষয় মানুষগুলো শিক্ষিত তারচাইতে তারা ভালো মানুষও বটে।

১২| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:২০

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমাদের মহেশখালি আর সীতাকুণ্ডের কিছু পৌরানিক মিথ আছে। পড়েছিলাম, মনে নেই।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:১৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি লেখার চেষ্টা করছি, আশা করি তারাতারিই পাবেন লেখাগুলো।

১৩| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৪৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ইলিয়াড এবং রামায়ন,কাহিনি দুটিতে মিল আছে।দুটি কাহিনির একটি মৌলিক অন্যটি ছায়া অবলম্বনে লেখা।( আমার ধারনা)

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:২১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রামায়ন কি ইলিয়াডের সম সাময়িক? তাছাড়া ঐতিহাসিকদের মতে, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীতে রামায়ণ রচিত হয়েছে। আমরা রূপকথা বা নিছক উপন্যাস হিসেবে পড়ি, চরিত্রগুলো নিয়ে আলোচনা করার মতো যথেষ্ট স্কোপ আছে। মজাদার গল্প।

১৪| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: দশানন কাহিনী ভাল লাগলো।

চলতি রাবনের কথা হয়তো আসবে কোন অনাগত অতীতে ;)

+++

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সকল যুগেই অন্যায় অবিচার ছিলো - আছে - থাকবে। আমাদের দেশের মানুষের স্মৃতিশক্তিতে সমস্যা আছে তাই সবাই ভুলে যাওয়ার সম্ভবনা কঠিনভাবে ১০০% এবং পরবর্তিতে ১০০% নির্জলা ভূল তথ্য সম্বলিত ইতিহাস ছাপা হবে এবং আমরা পরে হতাশ হবো অযথা তর্ক করে কর্ম সময় নষ্ট করবো। অনেক অনেক ধন্যবাদ গ্রহণ করুন।

ভাই পোস্টে +++ পাইনি। এখন থেকে পোস্টে চেয়ে চেয়ে লাইক সংগ্রহ করবো বলে ভাবছি। পরে সর্বাধিক লাইকপ্রাপ্ত পোস্ট হিসেবে আলনাতে ঝুলানো যাবে। আবারও ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

১৫| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:২৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখক বলেছেন: বই পড়ে যদি নির্মল আনন্দ পাওয়া যায় তাহলে সেই বই সার্থক। রামায়ন মহা ভারত অত্যন্ত আনন্দদায়ক বই। এছাড়া মুভিগুলো দেখার মতো। রামায়ন/মহা ভারত মুভি দশবার করে দেখলেও পুরাতন হবার কথা না।


মহাভারত, রামায়ন সবার পড়া উচিত। সব ধর্মের লোকের পড়া উচিত। ইউটিউবে রামায়ন মহাভারতের ঘটনা গুলো নিয়ে এনিমেশন মুভি হয়েছে। আমি খুব আগ্রহ নিয়ে দেখি।

আপনার পোষ্টে অনেক মন্তব্য আসে। দেখতে ভালো লাগে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১০:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি তেমন মন্তব্য পাইনা। ব্লগে মন্তব্য কে বা কাহারা বেশী পান আপনি যেমন জানেন আমিও জানি। মন্তব্য সমস্যা না, আমার লেখা যারা পরবেন সকলকে অগ্রিম ধন্যবাদ। ছবি ব্লগ করবো বলে ভাবছি। আপনারে পোস্টে বেশ কিছু মন্তব্য ঝুলে আছে মন্তব্য উত্তর করছেন না কেনো? আপনি সম্ভবত ব্লগে সর্বাধিক পোস্ট ও মন্তব্যতে আছেন।

আমি চিড়া ভাজা খাচ্ছি। অনেকটা ঝালমুড়ি চানাচুরের মতো করে বানানো, সরিষার তৈল পেঁয়াজ কাঁচা মরিচ দিয়ে মেখে তৈরি করা। খেতে অসাধারণ।

১৬| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:১১

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো ব্যতিক্রমী পোস্টটি। বুঝতেই পারছি আপনি এখন পৌরাণিক কাহিনী নিয়ে পড়াশোনা করছেন। মেঘনাদবধ কাব্য আমার ভীষণ পছন্দের।রাবন আমার অন্যতম পছন্দের একজন হিরো। শত্রুকে বশ করার জন্য তিনি কৌশল নিতেই পারেন। আজ পর্যন্ত কোথাও এর ব্যতিক্রম হয়নি।রাবন নিজের শক্তিতেই লড়াই করেছিলেন। কিন্তু রামচন্দ্রকে তো সেই দেবতাদের সাহায্য নিতেই হয়েছিল। পোস্টে লাইক।
শুভেচ্ছা প্রিয় ঠাকুরমাহমুদ ভাইকে।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




পদাতিক চৌধুরি ভাই, রামায়ণ, মহা ভারত হচ্ছে সমগ্র বিশ্বের জন্য উপহার স্বরূপ। এতো মজাদার ঘটনাবহুল উপন্যাস খুব কমই আছে। রাবণ হচ্ছেন সেই ব্যক্তি যিনি নিজের বোনের সম্মানের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেন। বীরের মৃত্যু যুদ্ধক্ষেত্রেই হয় রাবণ ইন্দ্রজিৎ/মেঘনাধ এরা মহাকাব্যর বীর।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।


১৭| ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৮

ঢুকিচেপা বলেছেন: আগামী গল্পের অপেক্ষায় এবং নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা রইল।

২১ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খুব তারাতারিই আগামী গল্প পাবেন। গরম মসলা দিয়ে চা খেতে পারেন মজাদার গরম মসলা চা। আপনাকেও নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

১৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের গ্রামে অনেক হিন্দু বাড়ি আছে। আগে চৈত্রমাসে এইসব হিন্দু বাড়ির উঠানে যাত্রা ও নাটকের মত পালা হতো । স্থানীয় ভাষায় তাকে ডাই বলে, সেইসময় ছোটকালে দেখেছি রাম লক্ষণের পার্ট। আর ডাই দেখতে হিন্দু মুসলিম সবাই জড়ো হতো। এখন নাই এইসব আছে রাজনীতি আর ইয়াবা।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৩১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রাজনীতি, ধর্ম, মাদক, নারী পুরুষের উগ্রতা করে করে দেশ সহ সমগ্র বিশ্ব একদিন ধ্বংস হবে। যাত্রা পালাগান এসব কালের অতলে হারিয়ে গেছে আর ফিরে আসবে না। এখন ইন্টারনেট, নেটিজেন (নেট সিটিজেন) যুগ চলছে, সামনে আমাদের জন্য আরও ভয়ঙ্কর সময় অপেক্ষা করছে।

১৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:০২

সোহানী বলেছেন: মেঘনাদবদ কাব্য আমার খুব খুব প্রিয়। বাবা চমৎকার করে বর্ননা করতে কিভাবে মাইকেল মধুসূধন একজন ভিলেনকে নায়কের আসনে বসিয়েছেন। সে থেকে আসি মধুসূধন এর একনিষ্ঠ ভক্ত। আপনার লিখায় রাবনের স্তুতি ভালো লাগলো। অবশ্য তথ্যটা জানা ছিল না।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলা ভাষায় সবচেয়ে বড় ও কয়েকটি অন্যতম অবদানের মধ্য একটি হচ্ছে “মেঘনাদবধ কাব্য”। মেঘনাদবধ কাব্য যারা পড়েছেন তারা জানেন এই কাব্যতে কবি কি কি করেছেন? তিনি জীবনের সমস্ত শ্রম ভালোবাসা স্নেহ মায়া মমতা দিয়ে এই কাব্য রচনা করেছেন। আমি “রাবণ” নিয়ে আবার ফিরছি অতি শীঘ্রই।

শুভ কামনা রইলো বোন।


২০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ ভোর ৬:১৪

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



রাবণকে নিয়ে পোষ্টটি অসাধারণ ও অপুর্ব তথ্য সমৃদ্ধ হয়েছে । রামের গুণগান গেয়ে কৃত্তিবাসী রামায়ন যেমনি মহাকাব্য তেমনি রাবণের গুণগান গেয়ে বাংলার মধু কবি লিখেছেন মেঘনাদ বধ নামে মহাকাব্য । এছাড়া সপ্তদশ শতকের বাংলার প্রথম মহিলা কবি চন্দ্রাবতী লিখেখেন ব্যতিক্রমি রামায়ন ।

চন্দ্রাবতীর রামায়ন কাহিনী শুরু হয়েছে লঙ্কার বর্ণনা দিয়ে । চন্দ্রাবতির রামায়নে রাম চরিত্রের বদলে সীতা চরিত্র হয়ে উঠেছে অনেক বেশী উজ্জল । কাব্যটি তাই রামায়ন না হয়ে হয়েছে নারীর দু:খের কাহিনী ‘সীতায়ন” । যে জন্য রামের জন্মের কথা প্রথমে না বলে সীতার জন্ম কাহিনী দিয়ে শুরু করে তার জীবনের গুরুত্বপুর্ণ ঘটনাবলী স্থান দিয়ে , তার মানসিকতাকে সুনিপুনভাবে ব্যখ্যা করে তারই পাতাল প্রবেশ দিয়ে রামায়নের কাহিনীর ছেদ টেনেছেন কবি । পুরুষতান্ত্রিক প্রাধান্যের কাছে নারীরা কিভাবে উপেক্ষিত ও লাঞ্চিত হয় ,কিভাবে তাকে দু:খের সাগরে নিক্ষেপ করা হয় – সেই ঘটনা তথা কাহিনী উঠে এসেছে চন্দ্রাবতীর রামায়নে "নারীর চোখে নারীর বয়ানে”। চন্দ্রাবতীর কথা আমার ময়মনসিংহ গীতিকা পোষ্টে কিছু তুলে ধরা হয়েছে ।
মধুকবির মেঘনাদ বধে থাকা রাবণের কথামালা সুন্দরভাবে উঠে এসেছে আপনার পোষ্টের লেখাতে ।

অনেক লেখাতেই দেখা যায় রামায়ন আনুসারে রাবণ একজন দানব, তবে শ্রীলঙ্কানদের কাছে তিনি হিরো, শ্রীলঙ্কানদের কাছে রাবণের বিষয়ে রয়েছে আকর্ষণীয় কিছু গল্প।

উল্লেখ্য হিন্দু সম্প্রদায় যখন দশেরা পার্বন উদযাপন করে তখন তারা খুব ভক্তিভরে রামায়ন পাঠ করে । তাদের কাছে রামায়ন কেবল ভগবান রামের রাবণকে জয় করে সীতা উদ্ধার করার গল্পই নয়, এটি অনেক বাধা সত্ত্বেও খারাপের উপর ভালর জয়ের বিষয়। এটি সেই গল্প যা সেই ধর্মীয় সম্প্রদায়গুলির সঠিক বিষয়গুলির জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আশা এবং অনুপ্রেরণা দেয়।তবে আমরা সকলেই জানি যে প্রতিটি গল্পের দুটি দিক রয়েছে।

শ্রীলঙ্কানদের কাছেও রাবণ সম্পর্কে আলাদা কিছু ধারণা রয়েছে।
রাবণের পিতা ব্রক্ষ ঋষি বিশ্রবা ও মাতা কৈকসী । তার জন্ম বৃতান্ত ও গুনাবলী আপনার পোষ্টে সুন্দরভাবে উঠে এসেছে । আসলে মনুর বয়সকালে তাঁর বাবা ছিলেন সাপ্তারিশের একজন। উচ্চ মার্গের পরিবার থেকে আগত, রাবণকে একাডেমিক এবং মার্শাল আর্ট উভয় ক্ষেত্রেই সঠিক শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।

এটি একটি পরিচিত সত্য যে রাবণের দশটি মাথা ছিল এবং লোকেরা প্রায়শই বলে যে এটি তাকে তার জ্ঞানের জন্য বিশেষ উপহার দিয়েছে। ধারণা করা হয় যে তার ১০ টি মাথা থাকার অর্থ তিনি একজন খুব জ্ঞানবান ব্যক্তি এবং সেই যুক্তি অনুসারে এক মহান রাজা যিনি প্রশাসনের বিষয়ে দুর্দান্ত জ্ঞান রাখেন। আসলে, আয়ুর্বেদে সাতটি বই রয়েছে যার লেখক হিসাবে এখনও তাঁর নামই দাঁড়িয়ে আছে, যার ফলে তাঁকে একজন মহান চিকিৎসক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। কথিত আছে যে তার স্ত্রীর অনুরোধে তিনি শিশুদের জন্য আয়ুর্বেদিক( ঔষধ) প্রতিকারের বিষয়ে একটি বই লিখেছিলেন।

বিজ্ঞান থেকে শুরু করে চিকিৎসা পর্যন্ত সমস্ত ক্ষেত্রে রাবণ নিজের জন্য একটি নাম তৈরি করেছিলেন।
সীতাকে অপহরণ করার সময় রাবণের যে পুষ্পক বিমান ব্যবহৃত হয়েছিল পৌরাণিক কাহিনী মতে সেটি ছিল রাবণ আবিষ্কত উড়ন্ত যান । এই পৌরানিক উপাখ্যানটি প্রমান করে রাবণের জ্ঞান শুধু চিকিৎসা সাস্রের উপর্‌ই ছিলনা উপরন্ত তিনি বৈজ্ঞানিকও ছিলেন। নতুনত্বের দিকে তার ঝুঁক ছিল এবং তার অনন্য যানটি সে দিকটিই প্রতিভাত করেছে ।

এসকল বিষয়ে তার জ্ঞানই তাকে এমন একজন মানুষ হিসাবে গড়ে তুলেছিল যে কারণে মানুষ তার প্রশংসা করেছিল সাথে তার শক্তিমত্তার জন্য তাকে ভয়ও করত।

তিনি শিবের এক মহান ভক্ত ছিলেন। রাবণ তাঁকে সন্তুষ্ট করার জন্য ধ্যান করতেন। তিনি একজন মানুষ হিসাবে যেভাবেই থাকুন না কেন, কেউ অস্বীকার করতে পারেন না যে তিনি শিবের অত্যন্ত অনুরাগী ভক্ত ছিলেন। ভগবান শিব তাঁর দ্বারা এতই প্রভাবিত হয়েছিলেন যে তিনি তাঁকে ঐশ্বরিক অস্ত্র ব্যবহার করার শক্তি দান করেছিলেন, এটি এমন এক সম্মান যা কেবলমাত্র একজন পরিশ্রমী ভক্তই অর্জন করতে পারেন।

শ্রীলঙ্কানদের কাছে রাবণ এবং রামের মধ্যে যুদ্ধের শুরুটাও ছিল ভিন্ন রকম । ভারতীয়রা বিশ্বাস করেন যে রাবণ যদি সীতাকে অপহরণ না করত তবে এর কিছুই ঘটতনা । অন্যদিকে শ্রীলঙ্কানরা বিশ্বাস করে যে ভগবান রামকে প্রনয় প্রস্তাব দেওয়ার কারণে রাবণের ভগ্নী সুপর্ণখার নাক কেটে রামভ্রাতা লক্ষনই ঘটনা প্রথম শুরু করেছিলেন। তাদের মতে , রাবণ
যা কিছু করেছিলেন তা ছিল তার ছোট বোনের প্রতি আঘাতের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য একজন বড় ভাই এর কাজ ।

শ্রীলঙ্কানরা রাবণকে দেবতা হিসাবে অবশ্য পুজা করে না তবে তারা তাঁর সমস্ত কাজের জন্য তাঁকে একজন মহান রাজা হিসাবে বিবেচনা করে। তাদের জন্য, তিনি ছিলেন রাজা যিনি আক্রমণকারীদের প্রতিহত করেছিলেন। তাদের জন্য, তিনি হলেন সেই মর্মান্তিক নায়ক যিনি তার বোনের সম্মানের প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করার সময় তাঁর নিজের ভাইরারাও রামের স্বার্থের কারণে তার প্রতি বিশ্বাসঘতকতা করেছিল। শ্রীলঙ্কানদের কাছে তিনি ছিলেন সেই রাজা, প্রভুত জ্ঞানের পুস্কার হিসাবে যাকে দান করা হয়েছিল দশটি মাথা। । তিনি ছিলেন সেই রাজা, যিনি ভগবান শিবের প্রতি তাঁর অঘাধ ভক্তির পুরস্কার হিসাবে অর্জন করেছিলেন এক শক্তিশালী ব্রম্মাস্র ।

রাবণকে নিয়ে শ্রীঙ্কানদের কোন উৎসব পার্বণ নেই এবং তারা তাঁর নামে মন্দিরও তৈরি করেনি তারা। তবে তারা তাঁকে এক মহান রাজা হিসাবে দেখেন যার সাথে জড়িত রয়েছে একটি মর্মান্তিক পরিণতি ।
রাবণ একটি অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব যার কাহিনীর সাথে যুক্ত রয়েছে দুটি বিপরীত সত্য ।

এহেন ঐতিহাসিক গুণধর ব্যক্তিত্ব আমাদের দেশের মহেষখালীতে অবতরণ করেছিলেন শুনে অভিভুত হলাম ।
মহেষখালী দ্বীপে রাবণ এবং শীবের অবতরণ ও আগমন নিয়ে আপনার মুল্যবান লেখাটির অপেক্ষায় রইলাম ।

পোষ্টটি প্রিয়তে গেল ।

শুভেচ্ছা রইল

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই,
আপনার অত্যন্ত মূল্যবান মন্তব্যর জন্য আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ ও ঋণী। আমার পোস্টটি অসম্পূর্ণ থেকে যাবে যদি আপনার লেখা আমি আমার পোস্টে সংযুক্ত না করি, আর তাই পোস্ট কারেকশান করে প্রথম অথ্যায় ও দ্বিতীয় অধ্যায় করে আপনার সম্পূর্ণ লেখা মন্তব্য আমার পোস্টে অত্যন্ত গর্বের সাথে সংযুক্ত করেছি।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
মাইকেল মধুসূদন দত্ত
============================

“এতক্ষণে”- অরিন্দম কহিলা বিষাদে,
“জানিনু কেমনে আসি লক্ষ্মণ পশিল
রক্ষপুরে! হায়, তাত, উচিত কি তব এ কাজ?

নিকষা সতী তোমার জননী!
সহোদর রক্ষ:শ্রেষ্ঠ!
শূলিশম্ভুনিভ কুম্ভকর্ণ!
ভ্রাতৃপুত্র বাসববিজয়ী!

নিজগৃহপথ, তাত, দেখাও তস্করে?
চন্ডালে বসাও আনি রাজার আলয়ে?
কিন্তু নাহি গঞ্জি তোমা, গুরু জন তুমি

পিতৃতুল্য। ছাড় দ্বার, যাব অস্ত্রাগারে,
পাঠাইব রামানুজে শমন- ভবনে,
লঙ্কার কলঙ্ক আজি ভঞ্জিব আহবে

উত্তরিলা বিভীষণ, “বৃথা এ সাধনা,
ধীমান্। রাঘবদাস আমি; কী প্রকারে তাঁহার বিপক্ষ কাজ করিব, রক্ষিতে অনুরোধ?”

উত্তরিলা কাতরে রাবণি;-
“হে পিতৃব্য, তব বাক্যে ইচ্ছি মরিবারে!
রাঘবের দাস তুমি? কেমনে ও মুখে আনিলে এ কথা, তাত, কহ তা দাসেরে!”

স্থাপিলা বিধুরে বিধি স্থাণুর ললাটে;
পড়ি কি ভূতলে শশী যান গড়াগড়ি
ধূলায়? হে রক্ষোরথি, ভুলিলে কেমনে
কে তুমি? জনম তব কোন মহাকূলে?

স্বচ্ছ সরোবরে
করে কেলি রাজহংস
পঙ্কজ-কাননে যায় কি সে কভু, প্রভু, পঙ্কিল সলিলে,
শৈবালদলের ধাম?

মৃগেন্দ্র কেশরী,
কবে, হে বীরকেশরী,
সম্ভাষে শৃগালে মিত্রভাবে?
অজ্ঞ দাস, বিজ্ঞতম তুমি
অবিদিত নহে কিছু তোমার চরণে।

ক্ষুদ্রমতি নর, শূর, লক্ষ্মণ, নহিলে
অস্ত্রহীন যোধে কি সে সম্বোধে সংগ্রামে?
কহ, মহারথী, এ কি মহারথীপ্রথা?
নাহি শিশু লঙ্কাপুরে, শুনি না হাসিবে
এ কথা! ছাড়হ পথ; আসিব ফিরিয়া এখনি!

দেখিব আজি, কোন দেববলে,
বিমুখে সমরে মোরে সৌমিত্রি কুমতি!
দেব-দৈত্য-নর-রণে, স্বচক্ষে দেখেছ,
রক্ষ:শ্রেষ্ঠ, পরাক্রম দাসের!
কী দেখি ডরিবে এ দাস হেন দূর্বল মানবে?

নিকুম্ভিলা যজ্ঞাগারে প্রগলভে পশিল
দম্ভী; আজ্ঞা কর দাসে, শাস্তি নরাধমে।
তব জন্মপুরে, তাত, পদার্পণ করে বনবাসী!
হে বিধাত:, নন্দন-কাননে ভ্রমে দুরাচার দৈত্য?
প্রফুল্ল কমলে কীটবাস?

কহ তাত, সহিব কেমনে?
হেন অপমান আমি,- ভ্রাতৃ-পুত্র তব?
তুমিও, হে রক্ষোমণি, সহিছ কেমনে?”
মহামন্ত্র-বলে যথা নম্রশির: ফণী,
মলিনবদন লাজে,

উত্তরিলা রথী
রাবণ-অনুজ, লক্ষি রাবণ-আত্মজে;
“নহি দোষী আমি, বৎস; বৃথা ভর্ৎস মোরে তুমি!
নিজ কর্ম-দোষে, হায়, মজাইলা
এ কনক-লঙ্কা রাজা, মজিলা আপনি!

বিরত সতত পাপে দেবকুল;
এবে পাপপূর্ণ লঙ্কাপূরী;
প্রলয়ে যেমতি বসুধা
ডুবিছে লঙ্কা এ কালসলিলে!
রাঘবের পদাশ্রয়ে রক্ষার্থে আশ্রয়ী
তেঁই আমি। পরদোষে কে চাহে মজিতে?”

রুষিলা বাসবত্রাস! গম্ভীরে যেমতি
নিশীথে অম্বরে মন্দ্রে জীমূতেন্দ্র কোপি,
কহিলা বীরেন্দ্র বলী,

“ধর্মপথগামী, হে রাক্ষসরাজানুজ, বিখ্যাত জগতে তুমি;-
কোন ধর্ম মতে, কহ দাসে, শুনি,
জ্ঞাতিত্ব, ভ্রাতৃত্ব, জাতি,- এ সকলে দিলা জলাঞ্জলি?
শাস্ত্রে বলে, গুণবান্ যদি পরজন, গুণহীন স্বজন,
তথাপি নির্গুন স্বজন শ্রেয়:,
পর: পর: সদা!

এ শিক্ষা, হে রক্ষোবর, কোথায় শিখিলে?
কিন্তু বৃথা গঞ্জি তোমা! হেন সহবাসে,
হে পিতৃব্য, বর্বরতা কেন না শিখিবে?
গতি যার নীচ সহ, নীচ সে দুর্মতি।”
============================

ভাই সাহেব, আমি আরও ব্যাখ্যা লিখবো তার আগে আমাদের মহেশখালীর বাঁকের রাবণ নামা আপনার সম্মানে পোস্ট হবে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও ভালোবাসা রইলো।


২১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৪৮

ইসিয়াক বলেছেন: পোস্ট এবং মন্তব্যগুলো পড়লাম, আমার ভালো লেগেছে।
বড়দিনের আগাম শুভেচ্ছা রইলো।


ভালো থাকুন সবসময়।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। খেজুরের গুড় দিয়ে এখন নানান ধরনের পিঠা খাওয়ার সময়। খেজুরের গুড় দিয়ে লাল আটার রুটি আমার খুবই পছন্দ। আপনিও ভালো থাকুন। ফি আমানিল্লাহ।

২২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
মহেশখালী নিয়ে পোস্টের অপেক্ষা। আপনাকেও নতুন বছরের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



ভাই, মহেশখালী নিয়ে আমি লিখছি আশা করছি আপানাদের শীঘ্রই লেখাটি উপহার দিতে পারবো। শুভ কামনা রইলো।


২৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১২:০৬

মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:


রাবণ নিয়ে বিন্দুমাত্র দ্বিমত নেই। মতও ছিলো না ;)
কিন্তু মহেশখালী নিয়ে যা বললেন, এরপর আর কিছু ভাবতে পারছি না।
অপেক্ষায় থাকলাম।
বিষয়টা পৌরানিক থেকে বাস্তবিক হয়ে আমাদের দেশে ঢুকে পড়লো কিনা!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৪৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



পৃথিবীতে যতো মিথ আছে তার কিছু না কিছু তো সত্য! বিজ্ঞান সব হেসে উড়িয়ে দেয় কিন্তু বিজ্ঞান আজও পিরামিড তল্লাসি করছে তারা কি সন্ধান করছেন - মিথ! তারা মিথে উল্লেখ করা বই পুস্তক সাম্রাজ্য সন্ধান করছেন। মহেশখালী নিয়ে আমি লিখছি আশা করছি আপানাদের শীঘ্রই লেখাটি উপহার দিতে পারবো।

শুভ কামনা রইলো।

২৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:৩৫

রানার ব্লগ বলেছেন: রাম ও রাবোন দুইটাই রুপকথার ক্যারেক্টার !!!! ঠাকুরমার ঝুলি টাইপ গল্প !!!!!

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৫৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



সম্ভবত অনেক দিন পর আপনাকে আমার ব্লগে পেলাম, কেমন আছেন ভাই? ঠাকুরমার ঝুলি কিন্তু অনেক সত্য ঘটনাও আছে তবে কিছু মসলা যোগ করা এই যা। রূপকথা আছে বলেই আমরা রূপকথা পড়ি, আমার পছন্দের একটি বিষয় রূপকথা। hans christian andersen আমার একজন অতি প্রিয় লেখক।

শুভ কামনা রইলো।

২৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:৪৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



আমার সামান্য মন্তব্যটিকে আপনার মুল্যবান পোষ্টের অংশ করে নেয়ার মহানুভবতায় আমার পরিশ্রম স্বার্খক হয়েছে ।
নীচের বোল্ড করা কথা কয়টি আপনার পোষ্ট হতে ডিলিট করে দিলে ভাল হয , তা নাহলে পাঠক কনফিউসড হবেন ।
চন্দ্রাবতীর কথা আমার ময়মনসিংহ গীতিকা পোষ্টে কিছু তুলে ধরা হয়েছে ।

আমাদের মহাকবি মাইকেল মধুসুদনের মেঘনাদ বধ কাব্যে রাবণের স্বদেশ প্রেমের যে আপরূপ স্বরূপ প্রকাশ হয়েছে তা
রাবণকে সত্যিই পরুষোত্তম করে তুলেছে । লঙ্কাকে রাবন কেমন আপরূপ রূপে সাজিয়েছিলেন তা দেখা যায় সে মহাকাব্যে
থাকা নীচের কটি ছত্রে :
উঠিলা রাক্ষসপতি প্রাসাদ-শিখরে,
কনক-উদয়াচলে দিনমণি যেন
অংশুমালী। চারিদিকে শোভিল কাঞ্চন-
সৌধ-কিরীটিনী লঙ্কা— মনোহরা পুরী!
হেমহর্ম্য সারি সারি পুষ্পবন মাঝে;
কমল-আলয় সরঃ; উৎস রজঃ-ছটা;
তরুরাজি; ফুলকুল— চক্ষু-বিনোদন,
যুবতীযৌবন যথা; হীরাচূড়াশিরঃ
দেবগৃহ; নানা রাগে রঞ্জিত বিপণি,
বিবিধ রতনপূর্ণ; এ জগৎ যেন
আনিয়া বিবিধ ধন, পূজার বিধানে,
রেখেছে, রে চারুলঙ্কে, তোর পদতলে,
জগত-বাসনা তুই, সুখের সদন।


এই সুন্দর লঙ্কাপুরীকে রক্ষার জন্য সমুদ্রের প্রতি রাবণের পরিহাস যথা
সমুদ্রের বুকে পাথর ডেলে পথ তৈরী করে রাম বাহিনীর লঙ্কাপুরীতে প্রবেশের
দৃশ্য দেখে সমুদ্রের প্রতি রাবণ বলেছিল -
কি সুন্দর মালা আজি পরিয়াছ গলে
প্রচেত: হা ধিক ওহে জলদলপতি!
এই কি সাজে তোমারে, অলঙ্ঘ্য, অজেয় তুমি?’

এটি ছিল পরাজয়ে সমুদ্রকে লক্ষ্য করে রাবণের পরিহাস।

বিশ্বাসঘাতক পরম আত্মীয়দের প্রতি অতি বিনয়ের সহিত
রাবণ ও মেঘনাদের কতই না কাকুতি মিনতি ছিল তা দেখলেও
বিস্ময়াবিভুত হতে হয় ।

বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ শিরোনামে
আপনার দেয়া উদ্ধৃতেও তা পরিস্ফুট ।

রাবন বিষয়ে আরো ব্যাখ্যা ও তার আগে মহেশখালীর বাঁকে রাবণ নামা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

শুভেচ্ছা রইল



২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ডঃ এম এ আলী ভাই,
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার মন্তব্য উত্তর দিতে দেড়ি হয়েছে - বলা যায় বেশ দেড়ি হয়েছে। ভাই, আমি গত ২৩-১২-২০২০ রাতের ট্রেনে সিটিজি পোর্টে যাই আর ফিরেছি ২৬-১২-২০২০ ভোর। আপাতত কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা ফিরে কাজের বেশ কিছু ঝামেলাতে ছিলাম। আজ খানিকটা ফ্রি।

ডঃ এম এ আলী ভাই, এ কথা চিরন্তন সত্য যখন আপনজন শত্রুতে পরিণত হোন অথবা শত্রুর বন্ধু হয়ে উঠেন! - তখন নিজের আর কোনো কিছুই করার থাকে না। তখন আমাদের নৌকাডুবি হবার সম্ভবনা ১০০ তে ১০০ ভাগ, আর এখানে কোনো ছাড় ও থাকে না। আপনজন শত্রু হয়ে উঠেন খুবই সামান্য বিষয় নিয়ে - ব্যক্তিগত হিংসা, প্রলয়ংকারী স্ত্রী বুদ্ধি ও লোভ

বিভীষণ স্ত্রৈণ পুরুষ ছিলেন।

আমি খুব শীঘ্রই মহেশখালির বাঁকে রাবন নামা নিয়ে ফিরছি।
ভাই সাহেব আপনি ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদ থাকুন। ২০২১ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।


২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১৭

জুন বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ডঃএম এ আলী ভাই যা বলেছেন রাবণ সম্পর্কে তা আমার মনেরই কথা । হয়তো ধর্মীয় কারনে ( বৌদ্ধাধর্মাবল্মবী) শ্রী লংকায় রাবণ পুজিত নন তবে বীর হিসেবে অবশ্যই পুজিত ।
মহেশখালী নিয়ে আমার লেখা ছোট দুটো ছবিসহ পোষ্ট এর লিংক দিলাম দেখবেন কিন্ত। প্রথম পর্বের শেষে দ্বিতীয় পর্বের লিংক আছে । মহেশখালীতে রাবনের কিছু দেখি নি, দেখেছি অন্য কিছু।তবে এই চমকপ্রদ তথ্যটি নিয়ে জানার জন্য আপনার পোষ্টের অপেক্ষায় :)
হায়রে আমার মন মাতানো দেশ (১ম পর্ব)

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপা, আপনার মহেশখালীর ছবিগুলো দেখেছি উক্ত দুটি পোস্টে লাইক দিয়েও এসেছি। যদিও মহেশখালী যেতে পাড়ি জমানোকে সবাই বাঁকখালী নদী বলে থাকেন। লবনাক্ত পানির বাঁকখালী নামে পরিচিত নদী সত্যিকার অর্থে বঙ্গোপসাগরের
একটি শক্ত ও প্রাচীন মোহনা।

আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার মন্তব্য উত্তর দিতে দেড়ি হয়েছে - বলা যায় বেশ দেড়ি হয়েছে। ভাই, আমি গত ২৩-১২-২০২০ রাতের ট্রেনে সিটিজি পোর্টে যাই আর ফিরেছি ২৬-১২-২০২০ ভোর। আপাতত কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা ফিরে কাজের বেশ কিছু ঝামেলাতে ছিলাম। আজ খানিকটা ফ্রি।

আমি খুব শীঘ্রই মহেশখালির বাঁকে রাবন নামা নিয়ে ফিরছি।
২০২১ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।


২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:২১

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এ লেখায় ফিরবো !
প্রিয় তে থাকলো ।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত আপনার মন্তব্য উত্তর দিতে দেড়ি হয়েছে - বলা যায় বেশ দেড়ি হয়েছে। ভাই, আমি গত ২৩-১২-২০২০ রাতের ট্রেনে সিটিজি পোর্টে যাই আর ফিরেছি ২৬-১২-২০২০ ভোর। আপাতত কাজ শেষ হয়েছে। ঢাকা ফিরে কাজের বেশ কিছু ঝামেলাতে ছিলাম। আজ খানিকটা ফ্রি।

আমি খুব শীঘ্রই মহেশখালির বাঁকে রাবন নামা নিয়ে ফিরছি।

২০২১ নববর্ষের শুভেচ্ছা রইলো।

২৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: আলোচ্য বিষয়ে আমার পড়াশুনা একদমই নেই, জানাশোনাও খুবই কম। তবে আপনার পোস্ট পড়ে এবং পাঠকদের মন্তব্য থেকে অনেক কিছুই জানা হলো। বিশেষ করে ডঃ এম এ আলী এর একাধিক মন্তব্য আপনার এ সমৃদ্ধ পোস্টটাকে অধিকতর সমৃদ্ধ করেছে। জুন এর মন্তব্যগুলোও ভাল লেগেছে।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




খায়রুল আহসান ভাই,
রামায়ন মহাভারত আসলে রূপকথা ও উপন্যাস হিসেবে নিলেও বেশ মজাদার গল্প। আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত, আপনার মন্তব্যর জবাব দিতে আমার যথেষ্ট দেড়ি হয়েছে। আমি ঢাকা - চট্টগ্রাম - ঢাকা কাজে বেশ ঝামেলায় আছি। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা জানবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.