নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পালাবে কোথায়

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৫:২৬



(এক)
মেঘনা নদীর বুকে গঞ্জের বাজারে আড়তদার, ছোট বড় মাঝারি দোকানি সহ ক্রেতা বিক্রেতার খুবই ব্যস্ত দিন কাটে। সন্ধ্যার সাথে সাথে বাজারে জ্বলে উঠে কুপি, ভোমা কুপি, হারিকেন, হ্যাজাক বাত্তি আবার কোথাও কোথাও মশালও। দৈত্যাকৃতির বোয়াল মাছ আইড় মাছ দেখে তব্দা লেগে তাকিয়ে থাকতে হয় এতো বড় মাছ হয়? এইগুলো মাছ নাকি অন্য কিছু? বাজারে সারি সারি আড়ত মহাজনি ঘর আর দোকান। নারকেল ও গুড়ের আড়তের পরের গলি পান সুপারি সাদাপাতা খয়ের জর্দা আর তামাকের আড়ত। এই দিকে আসলেই জর্দা তামাক আর সাদা পাতার ঘ্রাণে মাথা ভনভন করতে থাকে। তামাকের ঘ্রাণ! তামাকের নেশা! দূর দূরান্ত বাজার থেকে আসা দোকানদার’রা কাপড়ের পোটলা করে টাকা পয়সা নিয়ে গঞ্জের বাজার হতে পান সুপারি সাদাপাতা তামাক জর্দা বাজার করে গয়না নৌকা করে ফেরত যান। দুনিয়ার এমন কিছু নেই যা গঞ্জের বাজারে পাওয়া যায় না। সময় - ১৯৬৯, ভৈরব বাজার, ভৈরব বাজার জংশন।

শক্ত সামর্থ্য মানুষ রহিমুদ্দি আর কলিমুদ্দি গয়না নৌকা থেকে সুপারির ঝাকি আড়তে নামায়। আবার পণ হিসেব সুপারি বিক্রির পর ঝাকি ঝাকি সুপারি ভাটি অঞ্চলের বাজারের যাত্রীর গয়না নৌকাতে উঠিয়ে দেয়। রহিমুদ্দি কলিমুদ্দি দুুই ভাই, তাদের বাড়িতে বউ বাচ্চা, মা বাপ, ভাইবোন বেবাক মানুষ নিয়ে বড় পরিবার বড় সংসার। দুই ভাইয়ের দুই বউই মাশাল্লাহ সুন্দরী, বাড়ি ঘরের রান্না সহ সকল হাতের কাজ দৌড়ের উপর করে। সুখি সংসার। অসুখ অশান্তির কোনো কারন নেই। রহিমুদ্দি আর কলিমুদ্দির কর্তা আড়তদার মনিলাল বাবুর মুখে সব সময় পান থাকে, পান মুখে সব সময় হাসি। মনিলাল বাবু হাসি খুশি দরাজ দিলের মানুষ। বেতন ছাড়াও টাকা পয়সা দুই হাতে বিলান। তারপরও একদিন রহিমুদ্দি আর কলিমুদ্দি গঞ্জের বাজার হতে কওয়া নেই বার্তা নেই গায়েব। গায়েব বলতে উধাও!

গঞ্জের বাজার হতে প্রতি বছর দশ বিশজন গায়েব হয়! কেউ জানে না এরা কোথায় যায়! এদের বাচ্চাগুলো হয় অনাথ আর বউগুলো হয় বেওয়া! মা বাপ ভাইবোন সহ বউ বাচ্চা বছরের পর বছর রহিমুদ্দি কলিমুদ্দির জন্য অপেক্ষা করে। অপেক্ষার আর শেষ হয় না। মসজিদে শিরনি মানত করে। উঝা তাবিজ তুলা রাশির জাতক দিয়ে আয়না পড়া কিছুই বাদ যায় না। তারপরও রহিমুদ্দি কলিমুদ্দির আর খোঁজ মিলে না। ষাঁড়ের মতো শক্তি গায়ে আস্ত জোয়ান মর্দ কিভাবে গায়েব হয় এর কোনো কুল কিনারা হদিস আর হয় না। দিন যায় মাস যায় বছরের পর বছর যায় যুগের যুগ রহিমুদ্দি কলিমুদ্দি নিখোঁজ। ১৯৭১ আর ১৯৭৪ এর পর সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ ও পরিবার পরিজন তাঁদের নিখোঁজ মানুষ খোঁজ করা ছেড়ে দেন। তারপরও কেউ আশা ছাড়ে না, ঘোলা চোখে মাটির পথ পানে চেয়ে থাকেন দুঃখিনী মা আর চিরো দুঃখিনী বউ - যদি মানুষটা ফিরে আসে পুরোনো বাড়িতে পুরোনো সংসারে!

(দুই)
১লা জুন, ১৯৯১ শনিবার। কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া। সামার সাহেব এসেছেন তিন সপ্তাহের একটি বিশেষ ট্রেইনিংয়ে। শেরাটন সুবাং হোটেল এন্ড টাওয়ার্স (বর্তমান - হোটেল ডোরসেট গ্রান্ড সুবাং) এর ১০১১ নম্বর স্যুটে হয়েছে তাঁর থাকার ব্যবস্থা। দশম তলার এগারো নম্বর স্যুট। অত্যন্ত মূল্যবান ইরানের পুরু কার্পেটে মোড়ানো স্যুট। বিশাল জানালা। ডানলোপিলো ব্রান্ডেড মূল্যবান মেমোরি ফোম কিং সাইজ বেড ম্যাট্রেস আর আর হাঁসের পালকের বালিশ! সামার সাহেবের জীবনে এই প্রথম ফাইভ স্টার হোটেলে থাকার ব্যবস্থা। এতো আরামদায়ক বিছানা আর বালিশে অর্ধরাত ঘুম না হওয়ার পর সামার সাহেব কম্বল গায়ে দিয়ে ফ্লোরে শুয়ে রাত পার করেন। রবিবার ভোর হতেই তিনি প্রায় ২০ কিলো পাড়ি দিয়ে মসজিদ ইণ্ডিয়া হতে দুইটি তুলার বালিশ সংগ্রহ করেন। কারণ সোমবার হতে ট্রেইনিং! আর এতো আরামদায়ক বিছানা আর বালিশে আর যাইহোক ২৮-৩০ দিন অঘুমা করে শরীরের উপর অত্যাচার সহ্য করা সত্যি সত্যি কঠিন বিষয়।

ট্রেইনিংয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইউএনএইচসিআর এর সাথে বার্মা থেকে আসা রিফিউজিদের নিয়ে ফিল্ডওয়র্কে সামার সাহেবের ঈগলের চোখ আরোও তীক্ষ্ণ হয়। শত মানুষের ভিড়ে লুঙ্গি পরিহিত লিকলিকে শরীরে কাঁচাপাকা বাবরি চুল আর দাড়িতে প্রায় ষাটোর্ধ্ব বয়সের দুইজন পাশাপাশি দাড়িয়ে সাথে রোহিঙ্গা পরিবার। লিকলিকে দুর্বল শরীর হলেও বোঝা যায় কোনো এক কালে কালশে তামাটে রঙের এই শরীর ছিলো বেশ মজবুত, ছিলো শক্তি। সেই শক্ত সামর্থ্য মানুষ আজ বয়সের ভার আর দুঃখতাপে ন্যুব্জ! সামার সাহেব এগিয়ে যান। অনেক কাছে প্রায় মুখোমুখি দাড়িয়ে দুইজনকে হতবাক হত বিহ্বল করে দিয়ে বলেন - আপনি রহিমুদ্দি আর আপনি কলিমুদ্দি?

আত্মকথা: সত্য ঘটনা অবলম্বনে গল্পটি লেখা হয়েছে। গল্প এখানেই শেষ নয়। তারপরও গল্পের প্রয়োজনে গল্প এখানেই শেষ করতে হয়েছে। বাইশ বছর! অনেক অনেক দিন, অনেক মাস, অনেক বছর! প্রায় দুই যুগ পর তাদের কেউ চিনবেন - খোঁজে পাবেন এটি সত্যি সত্যি বিস্ময়কর! তাই হয়তো গল্পের নামকরণ - পালাবে কোথায়?

উপসংহার: বাংলাদেশে প্রচুর নারী পুরুষের - বাচ্চা সহ ও বাচ্চা ফেলে সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা প্রবলভাবে লক্ষ্য করা যায়। কেনো এমনটি হয়েছে তার ব্যাখ্যাতে না যাই। তবে এটি সত্য এই দেশে পুরুষ যেমন সংসার ছেড়ে পালিয়ে যান ঠিক তেমনই নারীও কম নন। প্রচুর নারী সংসার ছেড়ে পালিয়েছেন। হয়তো পাশের গ্রামে, হয়তো পাশের জেলাতে, নতুন শহরে অথবা পালিয়ে গিয়েছেন দেশ হতে দেশান্তরে। যেমনটি গল্পের রহিমুদ্দি আর কলিমুদ্দি। বিশেষ করে ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, কলিকাতা আর বার্মা কি পরিমান বাংলার মানুষ হজম করে নিয়েছে তা যেমন তেমন রূপকথাকেও হার মানাবে।

উৎসর্গ: হাসান কালবৈশাখী ভাইকে তাঁর পোস্টে ১৩ নং মন্তব্যে কথা দিয়েছিলাম - মানুষ পালিয়ে যাওয়া ও হারিয়ে যাওয়া বিষয়ে আমি লিখবো। আশা করি কথা রাখতে পেরেছি। গল্পটি তাই হাসান কালবৈশাখী ভাইকেই উৎসর্গ করছি।

ছবি: সুলতান আবদুল সামাদ বিল্ডিং। পুরাতন হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভবন। কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার: সামহোয়্যারইন ব্লগ। নির্বাচিত পোষ্টে “উক্ত লেখাটি” স্থান দেওয়াতে সামহোয়্যারইন ব্লগ কর্তৃপক্ষকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।






মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:০৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: রহিমুদ্দি আর কলিমুদ্দির শেষ পরিনতিটা জানতে পারলে আরও ভাল লাগত।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কিছু জটিলতার জন্য গল্পটি অসমাপ্ত ও অমীমাংসিত। গল্পটি পড়েছেন ও পছন্দ করেছেন জেনে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

২| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কামাল১৮ বলেছেন: মানব পাচার কারি দালালরা এটা করে আসছে মানুষকে রঙ্গিন স্বপ্ন দেখিয়ে।এদের গণকবর পাওয়া গেছে বার্মার জংগলে হাজার হাজার ডুবে মরেছে ভূমধ্যসাগরে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মানব পাচারকারী তখনও ছিলো এখনও আছে। তবে সংসার হচ্ছে একটি বন্ধন। অনেক মানুষ এই বন্ধন ধরে রাখতে পারে না। বন্ধন ভেঙ্গে পালিয়ে যান। জঙ্গল আর সাগরও একক অদ্ভূৎ জগত প্রচুর মানুষ গিলে খেয়েছে। গল্পটি পড়ার জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৩| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,



সাসপেন্স রেখে শেষ করেছেন একটি সত্য ঘটনার গল্প। সুন্দর লেখা । যে কালের কথা বললেন, তা তো কালের গর্ভে চলে গেছে কোথায় ! বর্তমান থেকে সেসব দিনের গন্ধ পালিয়ে গেছে হয়তো কিন্তু স্মৃতি থেকে তা পালাবে কোথায় !!!!!!!!!

উপসংহারে বলেছেন - বউ ,বাচ্চা ফেলে সংসার ছেড়ে যাওয়ার প্রবনতা বেড়েছে প্রবল। আবার এর ব্যাখ্যাও দিতে চাননি। এটা ঠিক হলো কি ? গল্প হোক, প্রবন্ধ হোক, কবিতা হোক লেখকের কিছু দায় থাকে। লেখার ভেতরে সামাজিক সমস্যার বিষয়গুলোর উল্লেখ হলে তার কার্যকরন বা একটা সমাধানের কথাও আকারে ইঙ্গিতে বলতে হয়। তাতে লেখাটি জোরালো হয় , কিছু মেসেজও পাওয়া যায়। সেটা থেকে বঞ্চিত করলেন।
পোস্ট লাইকড ++++++

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আহমেদ জী এস ভাই, লেখাটি পড়ে আপনি বুঝতে পেরেছেন লেখোটিতে প্রচুর জটিলতা আছে। তাই কিছু ব্যাখ্যা থেকে দূরে সরে গিয়েছি। - এটি ইচ্ছাকৃত।

মানব সমাজ ও সংসার হচ্ছে বন্ধন। অনেক মানুষ এই বন্ধন ধরে রাখতে পারেন না, আবার অনেক মানুষ এই বন্ধন ধরে রাখতে চান না। আর তাই বন্ধন ভেঙ্গে পালিয়ে যান - হয়তো কোনো মোহে! অজানা অচেনা কোনো ডাকে! হয়তো অনেক কিছুই হতে পারে। নারী পুরুষের সংসার ভাঙ্গার ও সংসার হতে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টি ভয়াবহ। এর পেছনে বড় একটি বিষয় কাজ করে আর তার নাম হচ্ছে মোহ।

কিছু গল্প অমীমাংসিত থাকে। এখানে লেখকের হাত বাধা। গল্পটি পড়েছেন ও পছন্দ করেছেন জেনে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

৪| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলার মানুষ অভাবে পরিবার রেখে আজো প্রবাসে গিয়ে হারায়ে যাচ্ছেন; বাংলাদেশের যা সম্পদ আছে, কাউকে প্রবাসে যেতে হবে না, মাথা খাটাতে হবে।

০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




অভাব আর স্বভাব দুইটিই ভয়ংকর বিষয়। স্বভাবের দোষে মানুষ যা করে তা দেখার জন্য আপনাকে কোনো একদিন যেতে হবে চট্টগ্রাম কোর্টে। বাংলাদেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের যে কোনো একটি মামলা আপনার অভিজ্ঞতা আরোও গভীর করবে বলে ধারণা করছি।

৫| ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪০

রাজীব নুর বলেছেন: অসম্পূর্ন গল্প কেন?

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আমার ধারণা আপনি বেশ ভালো লিখেন এবং গল্প ভালো বুঝেন। অসম্পূর্ণতার মাঝে পূর্ণতা আছে - এটি আপনার জানার কথা। তাই এই গল্পটি অমীমাংসিত।

৬| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন: গল্পটা অসম্পূর্ণ বা অমীমাংসিত মনে হয়নি। কারণ কিছু জটিলতার ব্যখ্যা গুলো দিতে চাননি। যেহেতু গল্পটা সত্যি তাই মীমাংসা নিজের মত করে নিলাম। চমৎকার লেখনী। +++
আসলেই হারিয়ে যাওয়া মানুষ গুলো কোথায় যায়? সুন্দর সংসার ফেলে কেনই বা যায়? রঙিন স্বপ্নের সন্ধান দেয় কারা? মানবপাচারকারীদের রুখে দেবার সময় কি শেষ।

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আমি লগ আউট নিয়ে আমার লগইন করেছি আপনার মন্তব্য উত্তর দিতে। মানবপাচারকারী অবশ্যই দায়ী, তবে পুরুষের প্রতি নারীর অতিরিক্ত মোহ ও নেশা আর নারীর প্রতি পুরুষের অতিরিক্ত মোহ ও নেশা ভয়ংকর হয়ে থাকে। অধিকংশ মানুষ সংসার ভাঙ্গে ও পালিয়ে যায় এই ধরনের পাগল করা মোহ ও নেশাতে। ব্যতিক্রম খুবই কম যা সাধারণত উদাহরণের বাইরে পড়ে। +++ পাইনি।



৭| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
খুব গুরুত্বপুর্ন একটা বিষয় তুলে আনলেন। দুঃখ বেদনা দেশান্তরি হওয়া এসব গল্প হলেও সত্য গল্প।
নোয়াখালী থেকে একসময় অনেক লোক হুট করে নিখোজ হয়ে যেত। মানবপাচারকারীর যুগ তখনো শুরু হয় নি।
এরা বেশিরভাগ জাহাজে চাকুরি নিয়ে মাদ্রাজ রেংগুন এডেন, সিংহল(বর্তমান শৃলংকা) চলে যেত। অনেকে লন্ডন পর্যন্ত যেয়ে স্থায়ী হয়ে গেছিল। সবচেয়ে বেশী গেছে আসাম মেঘালয় অরুনাচলের দিকে।

তবে বর্তমান কালে সিরিয়া আফগান বাদে পৃথিবীর আর এভাবে কোথাও পালিয়ে থাকা সম্ভব না। ফিঙ্গারপ্রিন্ট ভিত্তিক এনাইডি চালু হওয়ার পর।
আসাকরি 'পালাবে কোথায়' পর্বটি চালু রাখবেন।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




লেখাটি আপনাকে উৎসর্গ করা স্বার্থক হয়েছে কারণ আপনি লেখাটি পুরোপুরি পড়েছেন এবং ধরতে পেরেছেন ঘটনার সময়কাল। সেই সময়ে মানবপাচার শুরু হয়নি বা তেমন মজবুত শক্ত ছিলো না। মানুষ কি কারণে বাড়ি ঘর সংসার চেড়ে দিনের পর দিন হাড়িয়ে যেতেন তা সত্যি সত্যি এক রহস্য।

এরা বেশিরভাগ জাহাজে চাকুরি নিয়ে মাদ্রাজ রেংগুন এডেন, সিংহল(বর্তমান শৃলংকা) চলে যেত। অনেকে লন্ডন পর্যন্ত যেয়ে স্থায়ী হয়ে গেছিল। সবচেয়ে বেশী গেছে আসাম মেঘালয় অরুনাচলের দিকে। - আসাম, ত্রিপুরা, কোলকাতা (কলিকাতা) সহ বার্মা সবচেয়ে বেশী মাইগ্রেশন হয়েছে। এছাড়া সাউদি আরবের মক্কাতেও আমি প্রচুর মাইগ্রেটেডে লোক দেখেছি।

জরুরী কাজে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম তাই যথা সময়ে মন্তব্য উত্তর দিতে পারিনি। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৮| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ২:২৩

নেওয়াজ আলি বলেছেন: অভাবের কারণে ঘর সংসার ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ি এইসব নরনারী পিপুলদের এবং দূতাবাস কর্মকতাদের অবৈধ আয়ের বড় উৎস

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জ্বী সঠিক বলেছেন। জরুরী কাজে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম তাই যথা সময়ে মন্তব্য উত্তর দিতে পারিনি। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

৯| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:১১

এইচ তালুকদার বলেছেন: সত্য ঘটনা নিয়ে গল্প ভালো লাগলো। হুমায়ুন আহমেদ ও সংসার ফেলে পালিয়ে যাওয়ার বিষয় টা নিয়ে বিশেষ আগ্রহী ছিলেন ওনার অনেকগুলো গল্প উপন্যাসেই বিষয় টা এসেছে, বিশেষ করে অপেক্ষা নামের উপন্যাস টার কথা বলতেই হয়।
দিন দুয়েক আগে খবরে এক বৃদ্ধা কে দেখলাম যিনি ২২ বছর পর নেপাল থেকে সন্তান্ দের কাছে ফিরে এসেছেন

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আসাম, ত্রিপুরা, কোলকাতা (কলিকাতা) সহ বার্মা সবচেয়ে বেশী মাইগ্রেশন হয়েছে। এছাড়া সাউদি আরবের মক্কাতেও আমি প্রচুর মাইগ্রেটেডে লোক দেখেছি।

আপনার মন্তব্য পড়ে খুবই ভালো লেগেছে - ভালো লেগেছে আপনি সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন এবং মাইগ্রেশনের সমস্যাগুলো আপনি কম বেশী জানেন। জরুরী কাজে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম তাই যথা সময়ে মন্তব্য উত্তর দিতে পারিনি। মূল্যবান মন্তব্যর জন্য আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:১৩

জুন বলেছেন: মনের ভেতর কেমন একটা অনুভূতি কাজ করছে বোঝাতে পারবো না ঠাকুর মাহমুদ। এই রহিমুদ্দি কালিমুদ্দি কি স্বেচ্ছায় মালয়েশিয়া গিয়েছিল নাকি তাদের পানখোর মনিবের প্ররোচনায় পরে গিয়েছিল তা ওরাই ভালো জানে।
বেশ কয়েক বছর আগের কথা বোনের বাসায় দাওয়াত খেয়ে ফিরতে কিছুটা রাত হয়ে গেছে, প্রায় ১টা। দেখি গেটের বাইরে পাশের বাসার মধ্যবয়সী মহিলা অদ্ভুত রকম সাজগোজ, তার বাসার কিশোরী কাজের মেয়েটি যে কিনা অসম্ভব রূপবতী তাকে আধুনিক সাজে সাজিয়ে গুজিয়ে একটি গাড়িতে তুলে দিল। পরদিন থেকে তাকে আর কোনদিন দেখি নাই। নাহলে বিকেলে আমি ছাদে গেলে সে তাদের ছাদে আসতো শুকনো কাপড় নিতে।
মনে হয় মধ্যপ্রাচ্যের কোন দেশের পতিতালয়ে ঠাই হয়েছে তার । এভাবেই হারিয়ে যায় আমাদের দেশের নর-নারী আর কিশোর- কিশোরীরা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




রহিমুদ্দি কলিমুদ্দি বার্মা ছিলো সেখানে দীর্ঘদিন ঘর সংসার করে তারপর গিয়েছে মালয়েশিয়া। বাংলাদেশের লোকজন এক সময় বার্মা এবং আসাম ও কলিকাতা গিয়ে দ্বিতীয় ঘর সংসার করতো। মানবপাচার সে সময়ে গত তিন দশকের মতো তৈরি হয়নি বা ছিলো না।

বাংলাদেশ হতে কি পরিমাণ নারী নানান দেশে পাচার হয়ে গিয়েছে তা কল্পনাকেও হার মানাবে।
জরুরী কাজে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম তাই যথা সময়ে মন্তব্য উত্তর দিতে পারিনি। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১১| ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গল্পটা হুট করে শেষ হয়ে গেলো!!!

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গল্পের ফ্রেমওয়র্ক করা ছিলো হঠাৎ করে শেষ হবে। বিষয়টি ইচ্ছাকৃত। কিছু জটিলতার কারণে ব্যাখ্যগুলো থেকে দূরে সরে থেকেছি। জরুরী কাজে আমি ঢাকার বাইরে ছিলাম তাই যথা সময়ে মন্তব্য উত্তর দিতে পারিনি। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১২| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:১৭

নীল আকাশ বলেছেন: সাসপেন্স গল্প। খুব ভাল লাগলো।
আমার এক্টাই প্রশ্ন, সামার সাহেব কে? এটা বছর পর সে কীভাবে রহিমুদ্দি আর কলিমুদ্দি কে চিনতে পারলো?

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সামার সাহেব গল্পের একজন চরিত্র। রহিমুদ্দি কলিমুদ্দি সামার সাহেবের এলাকার ও পূর্বপরিচিত লোক। গল্পটি পড়ে আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমারও ভালো লেগেছে। এবং গল্প লেখা স্বার্থক হয়েছে বলে মনে করছি।

আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৩| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: এই লেখার পরের পর্ব পারলে লিখে ফেলুন। সেখানে মাঝখানের ঘটনা উঠে আসবে।
শুভ কামনা।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



গল্পটি এখানেই সমাপ্ত। অন্য কোনো দিন অন্যকোনো গল্প নিয়ে আবার আসবো। আপনার ভালো লেগেছে জেনে আমি আন্তরিকভাবে আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৩

সাদীদ তনয় বলেছেন: নারী শুধু অভাবের কারণে পালায় না বরং অনেক ক্ষেত্রে স্বামীর আচরণের কারণও পালিয়ে যায়।মানুষ অনিশ্চিত ভবিষ্যতকে অনেক বেশী ভয় পায়।

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৫৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




জ্বী সঠিক বলেছেন। আপনার মূল্যবান মন্তব্যর জন্য অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: কম দুঃখে ত্যাক্ত-বিরক্ত নরনারীগণ নিজ গৃহ থেকে পালিয়ে যান না। প্রত্যেকেরই থাকে কোন না কোন মর্মস্পর্শী ইতিহাস! আর যারা একেবারে দেশ ছেড়েই পালিয়ে যান, তাদের দুঃখ কষ্টের মাত্রাটা আরও অনেক বেশি হয়ে থাকে। গল্পের মাধ্যমে একটি করুণ বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।

জুন এর উল্লেখিত কাহিনীটিও বড় মর্মান্তিক!

পোস্টে প্লাস। + +

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১:৪২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সংসার ভাঙ্গার ঘটনা সহ সংসার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার আড়ালেও ঘটনা থাকে। বিচিত্র কারণে এ সকল বিষয় বিস্তারিত আমরা কখনো জানতে পারিনা, বা হয়তো কখনো কখনো অল্প বিস্তর জানতে পারি। দেশে এখনও সংসার ভাঙ্গছে প্রচুর। তাঁর পেছনে দায়ী কে খোঁজতে হলে ভয়াবহ নিষ্ঠুর বাস্তবতা বেড়িয়ে আসে।

আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.