নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তুমি কেমন করে গান করো হে গুনী, আমি অবাক হয়ে শুনি, কেবল শুনি ।।

ঠাকুরমাহমুদ

sometimes blue sometimes white sometimes black even red, even golden ! yes dear - its me - i am sky ! color your life, than your life will be colorful

ঠাকুরমাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রহরী

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৫



(১)
যতোদুর পর্যন্ত চোখ যায় শুধু বালি আর বালি আর পাথুরে পাহাড়! পাহাড়ের ঐ পাড়ে কি আছে? - বালি আর বালি আর পাথুরে পাহাড়! রোদ্রের আলোতে বালি চিক চিক করে! দেখে মনে হতে পারে পরিস্কার ঝকঝকে পানি টলমল করছে! পথ ধরে সারাবেলা হাটার পরও সেই পানির দেখা মেলে না। জনমানবহীন মরুপ্রান্তর। পাহাড়ের কুল ঘেষে একদল মানুষ বাস করে। তামাটে গায়ের রঙ, জরাজীর্ণ শরীর ঠিক গুচ্ছগ্রাম নয় এরা যাযাবর, বেদুইন। সামান্য পানির খোঁজে দিনের পর দিন মাসের পর মাস বছরের পর বছর মরুভূমির একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ছুটে বেড়ায়। বালিমাটি খুড়ে এক ধরনের আলু পাওয়া যায়, যা থেকে অত্যন্ত কৃপণতার সাথে পানির তেষ্টা মেটে। মরুপ্রান্তরের পশুর সাথে লড়াই করে পশুর জীবন যাপন করাই এদের দৈনন্দিন জীবন। সময় ১০,০০০ বিসি।

বেদুইন দলের দলনেতা অসুস্থ। দলনেতা জুম্মা মারা গেলে সত্যি সত্যি এই বেদুইন দলটি পথহারা দিশেহারা হয়ে পড়বে। দলের সকলে গত তিন রাত ধরে অগ্নিপূজা করে যাচ্ছেন। ফলাফল শূন্য। দলের নারী পুরুষ থেকে শুরু করে শিশু পর্যন্ত আশাহীনতায় দিন গুনছেন। চতুর্থ রাত চতুর্থ প্রহরে নিভু নিভু আগুনের আলোতে দেখা যায় দুর থেকে একজন অপরিচিত আগন্তুক বেদুইনদের আস্তানার দিকে এগিয়ে আসছেন! বেদুইন দলের নারী পুরুষ তটস্থ হয়ে অস্ত্র হাতে নেন - তীর ধনুক, ধারালো পাথর, গুলতি। দলনেতার অপ্রাপ্তবয়স্ক একমাত্র পুত্র মাকুবা আগুনের মশাল হাতে মারমুখী উদ্যত হয়ে দাড়ায়। আগন্তুক দুইহাত তুলে প্রমাণ দেন তিনি নিরস্ত্র। ডান কাঁধে ভেড়ার চামড়ার ছোট পোটলা তাতে বেশ বড় আকারের টকটকে লাল একটি বেদানা! আগন্তুক হাতের পোটলাটি দলনেতার পুত্র মাকুবার হাতে তুলে দেন। এই ফল খেলে আপনার পিতা সুস্থ হতে পারেন! মাকুবা ছুটে যান তাঁর মৃত্যুপথযাত্রী পিতার কাছে।

জ্বলন্ত মশালের আগুনের আলোতে বেদানার দানাগুলো লাল চুনি পাথরের মতো ঝকঝক করে উঠে। বেদুইন দলের সকলে ঝুঁকে পড়েন ফলের দিকে, তাঁদের জীবনে এমন ফল খাবেন অনেক দুর দুরান্তের কথা - এমন ফল না কেউ কোনোদিন দেখেছেন আর না কেউ কোনোদিন শুনেছেন। দলনেতা জুম্মা অদ্ভুৎ আশ্চর্য আর অত্যন্ত পুষ্টিদায়ক মজাদার ফলের কিছু দানার রস খেয়ে চোখ মেলেন! - দলনেতা জুম্মার কাছে এটি স্বর্গীয় ফল মনে হয়! পুষ্টির কারণেই হোক আর অত্যন্ত স্বাদের জন্যই হোক, অথবা হতে পারে শেষ রাতের সেই আগন্তুকের হাতেই হয়তোবা যাদু ছিলো। এ যাত্রা দলনেতা জুম্মা বেঁচে গেলেন।

(২)
রাজ্যহারা হুমায়ূন জীবন বাঁচাতে পালাতে পালাতে এসেছেন রাজস্থানের যোধপুরের শেষ সীমানায়। সাথে আছেন তাঁর স্ত্রী হামিদা বানু, আর বিখ্যাত বৈরাম খাঁ। অর্থের অভাব, খাবারের অভাব, পানীয় পানির অভাব তারপরও কিছু সৈন্য আর কয়েকজন আমীর রয়ে গিয়েছেন তাঁদের সাথে। মধ্যরাতে কিভাবে যেনো সামান্য গম যোগারযন্ত্র হয়েছে, এখন তাই লবন পানি দিয়ে সিদ্ধ হচ্ছে। ভাবতেও কষ্ট হয় হিন্দুস্থানের সম্রাট বাদশাহ হুমায়ূন আর হিন্দুস্থানের সম্রাাজ্ঞী হামিদা বানু গম সিদ্ধ খাবেন! ভগ্নহৃদয় হুমায়ূন দেখতে পেলেন হামিদা বানু কি যেনো খুব আরাম করে খাচ্ছেন অথচ হামিদা বানুর কাছে কোনো খাবার থাকার কথা নয়! হুমায়ুন জানতে চান - হামিদা কি খাচ্ছেন? হামিদা বানু উত্তর দেন - খুব বেদানা খেতে ইচ্ছে করছে তাই তিনি বেদানা খাচ্ছেন। হুমায়ূন হতবাক হয়ে লক্ষ্য করেন হামিদা বানুর হাতে কিছুই নেই, তিনি জানতে চান - বেদানা কোথায়? হামিদা বানু অশ্রুসজল চোখে উত্তর দেন - তিনি কল্পনায় বেদানা খাচ্ছেন!

বিস্ময়কর একটি ঘটনা - তখন রাতের চতুর্থ প্রহর, একজন অপরিচিত আগন্তুক হুমায়ূনকে কুর্নিশ করে জানান তিনি ডাকাত দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত একজন বণিক। কিন্তু তাঁর কাছে একটি বড় বেদানা আছে যা বাদশাহের সন্মানে তিনি এটি উপহার দিতে চান। বাদশাহ কি দয়াকরে তাঁর উপহার গ্রহণ করবেন? হিন্দুস্থানের সম্রাাজ্ঞী অনেক দুঃখে কেঁদেছেন আজ বেদানা হাতে তিনি আনন্দে কাঁদছেন! হামিদা বানু অন্তঃসত্ত্বা। হামিদা বানু সিন্ধ রাজ্যের অমরকোটে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর নাম রাখা হয় আকবর। পৃথিবীর ইতিহাসে এই আকবর তাঁর স্থান করে নেন “আকবর দ্য গ্রেট” হিসেবে। সময় ১৫৪২ সন।

(৩)
ডিসেম্বরের কনকনে শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন অন্ধকার রাত। ১৯৮২ এফজে-৪০ মডেলের লক্কর ঝক্কর একটি ল্যান্ড ক্রুজার নিয়ে ছুটে চলেছেন একজন প্রহরী। গায়ে জ্যাকেট পায়ে ভারী ডিউটি বুট, পাশের সিটে রাখা কেইনউডের ওয়াকিটকি রেডিও। গরম পানিতে হাত ধুয়ে হাতমোজা পড়েছেন তারপরও বরফ শীতল বাতাসে হাত জমে যাচ্ছে, স্টিয়ারিং ধরে রাখতে রিতিমতো কষ্ট হচ্ছে। দুর দুরান্ত পর্যন্ত কোনো বাড়িঘর নেই, জনমানবহীন মহাসড়কের দুই পাশে গাছ আর সবুজ প্রকল্পের জিয়া খাল। মহাসড়কের সঙ্গী মাঝে মাঝে দেখা দিয়ে হুস করে চলে যাচ্ছে মালবোঝাই হলুদ রঙা সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন ট্রাক। প্রহরী খুবই আশ্চর্য হয়ে লক্ষ্য করেন মহাসড়কের পাশে তিনজন নারী পুরুষ হারিকেন হাতে দাড়িয়ে আছেন! রাতের চতুর্থ প্রহর, এই সময়ে মহাসড়কে নারী পুরুষ বিপদে পড়ে দাড়িয়ে আছেন নাকি এটি কোনো ট্র্যাপ! প্রহরী দ্রুত চিন্তা করেন, তিনি কি দাড়াবেন নাকি চলমান গতিতে চলে যাবেন? আকস্মিক আক্রমণ ও নিরাপত্তার কথা ভেবে অস্ত্র হিসেবে ড্রাইভিং সিটের নিচ থেকে স্টেইনলেস স্টিলের শিকল বের করে ডান হাতে পেঁচিয়ে তিনি ল্যান্ড ক্রুজার পাশ করেন। না, তিনজন নারী পুরুষ নন এখানে চারজন। অল্প বয়স্ক অন্তঃসত্ত্বা এক মেয়ে সড়কের পাশে শুয়ে হিচকি দিয়ে কেঁপে কেঁপে উঠছেন সাথে অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের মাতাপিতা ও একজন গ্রাম্য ধাত্রী। তাঁরা জানান আত্মীয় পরিজনের কলহের কারণে তাঁরা বসতবাড়ি ছেড়ে গ্রামের বাইরে বাড়ি করেছেন আর আজ দুর্দিনে পাশে কেউ নেই। এখানে সদর হাসপাতালে যেতেই তারা মহাসড়কে দাড়িয়ে আছেন!

প্রহরীর রাস্তা ফুরোয় না। তিনি রোগীনি ও তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে যথাসম্ভব দ্রুতগতিতে ল্যান্ড ক্রুজার নিয়ে ছুটেন। রোগীনির নাম আলেয়া। আলেয়া হিচকি বন্ধ করে দিয়েছেন। দেখে মনে হচ্ছে আলেয়া গভীর ঘুমে অতলে তলিয়ে যাচ্ছেন। প্রহরী আলেয়াকে বারবার ডাকেন, আলেয়ার মাতাপিতাকে বলেন - আলেয়ার সাথে আপনারা কথা বলুন। আলেয়া অনেক কষ্টে চোখ খুলে আবারও চোখ বন্ধ করেন। প্রহরী গাড়ীর ড্যাশবোর্ড খুলে প্রমাণ সাইজের লাল টকটকে একটি বেদানা বের করেন। বেদানাটি পেয়েছেন প্রবাস থেকে ফিরে আসা একজন সিনিয়রের কাছে। প্রহরী না খেয়ে এটি রেখে দিয়েছেন তাঁর মাতাপিতা ও সন্তানদের জন্য। তিনি আলেয়ার মায়ের হাতে বেদানা দিয়ে বলেন - ভাঙ্গুন, মেয়ের মুখে দানা চিপে রস দিন। প্রহরী স্টিয়ারিং হাতে আলেয়ার সাথে কথা বলেন - আলেয়া মা, আপনার সন্তান অনেক সাহসী হবে। আপনার সন্তান আপনার বাবা মায়ের চাইতেও দেখতে সুন্দর হবে - - - । সময় ১৯৯৩ সন।

পরিশিষ্টঃ সদর হাসপাতালের মসজিদে মুয়াজ্জিন ফজরের আযান দিচ্ছেন। হাসপাতালের লম্বা করিডোরে সবাই ক্লান্ত - অবসন্ন - অপেক্ষারত। একজন নার্স এসে জানিয়েছেন আলেয়া একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। মা পুত্র ভালো আছেন। ডাক্তার লেবার রুম থেকে বাইরে আসতে সময় লাগবে, কারণ তাঁদের অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে পৌছাতে কিছু দেড়ি হলে হয়তো মা সন্তানকে বাঁচানো যেতো না। কান্নারত আলেয়ার পিতা প্রহরীকে গভীর মমতায় জড়িয়ে ধরে জানতে চান - এখন চারোদিকে ফজরের আযান হচ্ছে, তাঁর নাতী হয়েছে, তাঁর কি আযান দিতে হবে? প্রহরী প্রবল আত্মবিশ্বাসের সাথে জানান - আপনার আযান দিতে হবে। আপনি আযান দিন।

ফজরের আযানকে ছাপিয়ে আরো একটি আযান হাসপাতালের চিকিৎসক নার্স ও বোর্ডার’রা শুনতে পান। হাসপাতালের করিডোরে আলেয়ার পিতা আযান দিচ্ছেন -

আল্লাহু আকবার - আল্লাহু আকবার
আল্লাহু আকবার - আল্লাহু আকবার
আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ
আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ

উৎসর্গঃ নাটক সিনেমায় কখনো কখনো মূল চরিত্রের চেয়েও পার্শ্ব-চরিত্রের খুব জোড়ালো শক্ত ভূমিকা থাকে। ব্লগেও এমন আছেন। তেমনই জোড়ালো ভূমিকার একজন স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই। তিনি হয়তো পোস্ট কম দিয়েছেন কিন্তু তাঁর মন্তব্যগুলো খুবই প্রয়োজনীয় ও লেখালেখির জন্য প্রেরণাদায়ক। আজকের সামান্য লেখাটি স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাইকে উপহার।

মুঘল সালতানাত বাদশাহ হুমায়ূন তথ্যসূত্রঃ
তাজকিরাতুন ওয়াকিয়াত।
ক্যামব্রিজ হিস্টরি অব ইন্ডিয়া।
হুমায়ূন নামা।
বাদশাহ নামদার।









মন্তব্য ৩৮ টি রেটিং +১১/-০

মন্তব্য (৩৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কিছু ঐতিহাসিক কথামালার ভিতরদিয়ে একটি উপকারী ফল তথা বেদানার গুণের কথা উঠে এসেছে
লেখাটিতে সুন্দর ভাবে ।
কিছুটা অলোকিক , কিছুটা কল্পনা প্রসুত হলেও বেদানায় সত্যিই রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান ও
ভেষজ গুণাবলির সমাহার । নিয়মিত বেদানা খেলে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এবং নানাবিধ রোগের
প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে বেদানা প্রহরীর মতই কাজ করে ।

বেদানার উপকারিতার মধ্যে নিন্মোক্তগুলি অন্যতম ;
১) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে-
বেদানা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। বেদানাতে বৃদ্ধমান রয়েছে অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট ও বায়ো একটিভ পলিফেলনস।
আমাদের শরীর এর রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে এই বেদানা।
২) হজম শক্তি স্বাভাবিক রাখে-
আমাদের শরীরের জন্য এই হজম শক্তিটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই হজম শক্তি স্বাভাবিক রাখে এই বেদানা।
বেদানায় প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩) প্রস্টেট ক্যান্সার এর সাথে লড়তে সাহায্য করে-
পুরুষদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রস্টেট ক্যান্সার এর আক্রান্ত এর ঝুকি বেড়ে যায়।
এই বেদানা প্রস্টেট ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) হাড়ের জন্য-
হাড়ের স্বাস্থ ভাল রাখতে বেদানা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বেদানায় রয়েছে পটাশিয়াম, ও পলিফেলন। হাড় কে মজবুত করে এই বেদানা।
৫) ত্বকের সুরক্ষায়-
ত্বকের সুরক্ষার জন্য বেদানা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।
যাদের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে, তাদের কালো দাগ দূর করতে বেদানা ভুমিকা পালন করে।
৬) ঠান্ডা-কাশিতে-
ঘন ঘন ঠান্ডা ও কাশি আছে যাদের তাদের জন্য বেদানা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বেদানার রস খেলে এই ঠান্ডা ও কাশি উপশম হয়।
৭) দাঁত এর যত্নে-
দাঁত এর যত্ন্র বেদানা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে৷ এছাড়া ও মাড়ির সমসায় বেদানা
ভুমিকা পালন করে থাকে।দাঁত সুস্থ রাখতে বেদানা বেশ উপকারী ।
৮) হৃৎপিন্ড ভাল রাখে-
হৃৎপিন্ড ভাল রাখতে বেদানা খাওয়া উচিৎ। উচ্চ রক্ত চাপ ও রোধ করে এই বেদনা।

মুল্যবান তথ্য সম্বলিত পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
উৎসর্গ যতার্থ হয়েছে ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম

শুভেচ্ছা রইল

তথ্য সুত্র : অন্তর্জাল

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৫২

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





ভাই সাহেব, আপনি আমার লেখা পড়েছেন মন্তব্য করেছেন আমি আনন্দিত। আপনি বেশ কিছুদিন ব্লগে অনুপস্থিত ছিলেন তখন বেশ চিন্তায় ছিলাম। আপনি ব্লগে আছেন এটিই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়। বেদানা সংক্রান্ত তথ্যগুলো খুবই উপকারী। আমার প্রিয় ফলের মাঝে বেদানা একটি ফল। তারপরও আমার অসংখ্য প্রিয় ফল আছে তার একটির ছবি দিচ্ছি এটি হচ্ছে টক ফল “ডেউয়া” কাঁচা অবস্থায় এটি দিয়ে ছোট মাছের টক ঝোল রান্না করা হয়ে থাকে আর পাঁকা ফলের ভর্তা।



দক্ষিণ ভারতের প্রতিটি দেশে ডেউয়া আছে তবে আমার ধারণা বার্মাতে ডেউয়া সবচেয়ে বেশী পাওয়া যায়। এর স্বাদও অনন্তকাল মনে রাখার মতো।

আপনার সুসাস্থ্য কামনা করছি।


২| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



কিছু ঐতিহাসিক কথামালার ভিতরদিয়ে একটি উপকারী ফল তথা বেদানার গুণের কথা উঠে এসেছে
লেখাটিতে সুন্দর ভাবে ।
কিছুটা অলোকিক , কিছুটা কল্পনা প্রসুত হলেও বেদানায় সত্যিই রয়েছে অনেক উপকারী উপাদান ও
ভেষজ গুণাবলির সমাহার । নিয়মিত বেদানা খেলে শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য এবং নানাবিধ রোগের
প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে বেদানা প্রহরীর মতই কাজ করে ।

বেদানার উপকারিতার মধ্যে নিন্মোক্তগুলি অন্যতম ;
১) রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে-
বেদানা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। বেদানাতে বৃদ্ধমান রয়েছে অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট ও বায়ো একটিভ পলিফেলনস।
আমাদের শরীর এর রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর ভুমিকা পালন করে এই বেদানা।
২) হজম শক্তি স্বাভাবিক রাখে-
আমাদের শরীরের জন্য এই হজম শক্তিটা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই হজম শক্তি স্বাভাবিক রাখে এই বেদানা।
বেদানায় প্রচুর পরিমান ফাইবার থাকে যা আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
৩) প্রস্টেট ক্যান্সার এর সাথে লড়তে সাহায্য করে-
পুরুষদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে প্রস্টেট ক্যান্সার এর আক্রান্ত এর ঝুকি বেড়ে যায়।
এই বেদানা প্রস্টেট ক্যান্সারকে নিয়ন্ত্রণ করে।
৪) হাড়ের জন্য-
হাড়ের স্বাস্থ ভাল রাখতে বেদানা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বেদানায় রয়েছে পটাশিয়াম, ও পলিফেলন। হাড় কে মজবুত করে এই বেদানা।
৫) ত্বকের সুরক্ষায়-
ত্বকের সুরক্ষার জন্য বেদানা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে।
যাদের চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে গেছে, তাদের কালো দাগ দূর করতে বেদানা ভুমিকা পালন করে।
৬) ঠান্ডা-কাশিতে-
ঘন ঘন ঠান্ডা ও কাশি আছে যাদের তাদের জন্য বেদানা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।
বেদানার রস খেলে এই ঠান্ডা ও কাশি উপশম হয়।
৭) দাঁত এর যত্নে-
দাঁত এর যত্ন্র বেদানা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে৷ এছাড়া ও মাড়ির সমসায় বেদানা
ভুমিকা পালন করে থাকে।দাঁত সুস্থ রাখতে বেদানা বেশ উপকারী ।
৮) হৃৎপিন্ড ভাল রাখে-
হৃৎপিন্ড ভাল রাখতে বেদানা খাওয়া উচিৎ। উচ্চ রক্ত চাপ ও রোধ করে এই বেদনা।

মুল্যবান তথ্য সম্বলিত পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।
উৎসর্গ যতার্থ হয়েছে ।

পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম

শুভেচ্ছা রইল

তথ্য সুত্র : অন্তর্জাল

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




ভাই সাহেব, সালাম নিবেন। আপনার অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক ও বেদানার তথ্য সংক্রান্ত মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার জীবনে আমি যতো ফল খেয়েছি প্রতিটি ফল আমার কাছে মনে হয়েছে স্বর্গের ফল। আপনি অবশ্যই বেত ফল “বেতুইন” খেয়েছেন।



সিলেট ও পার্বত্য চট্টগ্রামের গভীর ও দুর্গম পাহাড়ি অঞ্চলের কাঁটা সর্বস্ব গাছ হতে এমন ফল পেরে আনা সত্যি সত্যি দুঃসাধ্য বিষয়। কিন্তু এই ফল যিনি একবার খেয়েছেন আমার মনে হয় তিনি আজীবন এই ফলের কথা স্বরণ রাখবেন।



আপনার দেয়া গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও মন্তব্যে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

৩| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: গল্পগুলি ভালো লাগলো

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




গল্পগুলো পড়েছেন জেনে আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আমি ইমগুর দিয়ে ছবি আপলোড করতে পারছিনা। বারংবার চেষ্টা করেও ছবির লিংক কাজ করছে না। তাই ব্লগের সাপোর্ট সিস্টেমে ছবি আপলোড করেছি।

আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

৪| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: এখানে আবার দেখে নিতে পারেন।

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ছবি নতুনভাবে আপলোড হয়েছে। আপনার পোস্টটি প্রিয়তে রেখেছি যাতে পরবর্তীতে কোনো সমস্যা হলে কারেকশান করে নিতে পারি। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।


৫| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:১৬

চাঁদগাজী বলেছেন:


বাংলাদেশে বেদানার বাগান আছে?

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




বাংলাদেশে ডালিম হয়। ডালিমের বাগান আছে। এছাড়া আনার বেদানা শখ করে বাড়িতে ছাদে কেউ কেউ রোপণ করেছেন।
আমাদের দেশে আনার বেদানা ভালোমানের হয় না। কারণ মাটি ও বাতাস। বেশ কয়েকজন বানিজ্যিকভাবে আনার ও বেদানা চাষ করেছেন আকার আকৃতি ছোট। তবে লাভবান হয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত হোননি বলেই জানি।

বাংলাদেশে আনার বেদানা ভারত ও পাকিস্তান সহ ইরান তুরস্ক থেকে আমদানি হয়।

৬| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন: বাংলাদেশে বেদানার বাগান আছে?
আছে।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



বাংলাদেশে আনার বেদানা বানিজ্যকভাবে চাষ হচ্ছে বাগানও আছে। তবে মাটি ও আবহাওয়ার কারণে প্রকৃত আকার ও আকৃতি সহ স্বাদ হচ্ছে না। খুব সম্ভব ভবিষ্যতে হাইব্রিড করে বড় আকৃতি করে নিতে পারবে, স্বাদ কেমন হবে জানা নেই। তবে এটি সত্য বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের গণ-আন্দোলন হয়ে গিয়েছে। আর সবুজ কমলা এখনও তেমন ভালো করতে পারে নি।

৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: দুটি গল্পকে মিলিয়েছেন খুব সুন্দর করে।৭১ রে এমন দৃশ্য অনেক দেখেছি।২৫ মার্চের পর ঢাকা থেথে হেটে অনেক কষ্ট করে যারা মিরকাদিম বাজারে আসে তাদের অনেকে জীবনে এক মাইল পথ হাটে নাই।একেতো লম্বা সফর তার উপর না খাওয়া।আমরা তখন চিড়া ও গুড়ের ব্যবস্থা করি।তারা হয়তো কোন দিন চিড়া গুঁড় খায় নাই।
দিল্লির বাদশারা পরে লুট তরাজ করে অনেক সম্পদের নাকি হয়েছিল,এখন যেমন অনেকে হয়।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মুক্তিযুদ্ধ থেকে আমাদের অনেক অনেক শেখার ছিলো, আফসোস দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধ থেকে নষ্ট রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই শিখেননি আর এই নাম খরচা করে অনেক কিছু হয়েছে ভবিষ্যতে আরো হবে। সংগ্রামের বছর খাবারের যেই কষ্ট করেছি তা বলে শেষ করা যাবে না। তবে এই খাবারের কষ্ট দীর্ঘ মেয়াদী ছিলো। পারিপার্শ্বিক সমস্যার তা বিস্তারিত লেখা সম্ভব নয়। - তা আপনি জানেন।

গুড় মুড়ি চিড়া ছিলো যুদ্ধের দিনের খুব সম্ভব একমাত্র খাদ্য অবলম্বন। অনেক দিন এমনও হয়েছে রান্না করা ভাতের পাতিল রেখে দৌড়ে পালাতে হয়েছে। দুঃখের দিনের কথা মনে করলে দুঃখ বাড়ে। থাক সেসব কথা। আপনার মন্তব্য পেয়ে বেশ ভালো লেগেছে। আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছি - আমি আপনার মন্তব্যের জন্য অপেক্ষা করি।

৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: জুম্মা নামটা সুন্দর।
গল্প দারুন হয়েছে। প্রথম মন্তব্যকারী যে মন্তব্য করেছেন এঁর পরে আর কোনো কথা থাকতে পারে না।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৫০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার শাহেদ জামাল গল্পও চমৎকার হয়েছে। আপনি কি এখনও রাতে ভয় পান? আপনাদের এলাকা রেষ্টুরেন্ট হয়ে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। এতো রেষ্টুরেন্ট এতো কাপড়ের দোকান। খুব সম্ভব পুরো ঢাকা গুলিস্তান হয়ে যাচ্ছে। দেখা যাবে এক সময় হয়তো ঢাকার নাম পরিবর্তন হয়ে গুলিস্তান হয়ে যাবে।

৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৪:০২

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমাদের বেত বাগান ছিলো। আমার দাদা বাজারে নিয়ে বেত বিক্রি করতো। আর এখন বেত বাগান চোখেই পড়ে না। কেমন আছেন আপনি।

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি বেত বাগান দেখেছেন চেনেন জানেন জেনে ভালো লাগছে। পাহাড়ি অঞ্চলে বেতবন এখনোও আছে। বেত ফল বেতুইন একবার খেলে সারাজীবন মনে থাকে। অদ্ভূত এক ফল। আমি ভালো আছি ভাই। আপনার বাবার প্রতি সালাম ও দোয়া রইলো।

১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৬:০৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: ঠাকুর মাহমুদ ভাই,
সামুতে আমার ভূমিকা নগন্য দর্শকের, মাঝে মধ্যে দুএকটা কমেন্ট করে যাই ! আমাকে দর্শকের সারি থেকে তুলে একেবারে পার্শ্বচরিত্রে আসন দেয়াটা আপনার বিশাল মনের পরিচয়। অসংখ্য ধন্যবাদ এই অধমকে স্মরণ করার জন্য।

তিনটি ঘটনার মধ্যেই অনেক মানবিক দিক রয়েছে, রয়েছে আধ্যাত্মিক বিষয়ও। আপনি ঘটনাগুলোর মধ্যে যে যোগসূত্র তৈরী করেছেন তা এক কথায় অসাধারণ। শেষেরটি পড়ে আমি অনেকটা ইমোশনাল হয়ে পড়লাম। প্রহরীকে যেন খুব চেনা মনে হলো - জানিনা কেন !

১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ ভাই, আমরা যারা নিয়মিত অনিয়মিত ব্লগে লেখালেখি করছি তার মূলে আছে লেখায় অনুপ্রেরণাদায়ক মন্তব্য। হয়তো পোস্টকারী মূল ভূমিকায় থাকেন তবে পোস্টে কিছু মন্তব্য আছে যা খুবই গুরুত্ব বহন করে তাঁর মধ্য অন্যতম আপনি একজন। একটি মন্তব্য একটি লেখার গতি বাড়িয়ে দিতে পারে ঠিক তেমনই একটি মন্তব্য লেখার গতিও রোধ করতে পারে। আপনি প্রথম সারির মন্তব্যকারী। ভাই, আপনার প্রতি রইলো অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

দেশেবিদেশে নানান ফল খেয়েছি, আমাদের দেশের চমৎকার একটি ফল হচ্ছে জাম। জাম আমার এতোটাই প্রিয় যে, জামের রসে কাপড় নষ্ট হলেও মন খারাপ লাগে না। আর জাম রঙটিও আমার খুব পছন্দের।



দেশে এমনও জাম আছে! - তৃপ্তির সাথে আপনি একাই আধা কিলো জাম খেতে পারবেন। জাম মুখে দিয়ে মনে হবে খানিক সময় চোখ বন্ধ করে রাখি। আপনাকে আবারও ধন্যবাদ ও অনেক অনেক শুভ কামনা।


১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৪

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উফ কী সুন্দর পোস্ট মন হারিয়ে গেলো
জাজাকাল্লাহ খাইরান

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:১৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



আপনি লেখাটি পড়েছেন এবং আপনার কাছে লেখাটি ভালো লেগেছে তাতে আমি মনে করছি লেখালেখির কষ্ট সার্থক হয়েছে। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৩

আহমেদ জী এস বলেছেন: ঠাকুরমাহমুদ,




প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে শুরু করে বর্তমানের মানুষের চাওয়া-পাওয়ার গল্প দারুন সিম্বলিজমে গেঁথে গেছেন। এই গেঁথে তোলার কাজটিও করেছেন তেমন মুন্সিয়ানার সাথে যাতে মালাটি হয়ে উঠেছে দুলিয়ে যাওয়ার মতো। যে পরিশিষ্ট দিয়ে মালার শেষ গেরোটি দিয়েছেন তা অপূর্ব।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:২৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:






আহমেদ জী এস ভাই, আপনার মাঝে বিশেষ একটি গুণ আছে। আপনি একটি লেখা যখন পড়েন লেখায় / গল্পে কোথয় কোন মোড় নিয়েছে তা ধরতে পারেন আর তার পেছনে আরেকটি বড় কারণও আছে আপনি সম্পূর্ণ লেখাটি মন দিয়ে পড়েন। আমি আপনার কাছে কৃতজ্ঞ আপনি লেখার প্রতিটি মোড় ও অর্থ বুঝতে পেরেছেন এবং ধরতে পেরেছেন।



আহমেদ জী এস ভাই, আনারস এমন একটি ফল যার গুণাগুণ হয়তো বলে শেষ করা যাবে না। অনেকে পছন্দ করেন অনেক হয়তো আনারস পছন্দ করেন না। আমার কাছে খুবই পছন্দের একটি ফল আনারস। আমি দেশের বাইরে সুপর শপ বা সেভেন ইলেভেন থেকে আনারসের ক্যান সংগ্রহ করে নেই। আমি আমাদের নিজ দেশে এমনও আনারস খেয়েছি খেয়ে মনে হয়েছে এই আনারস, সাধারণ আনারস না, এই আনারস অবশ্যই বিশেষ আনারস। মনে হয়েছে এই আনারসে মধু, লেবু ও কমলা মেশানো আছে।

খুবেই চমৎকার একটি মন্তব্য করে লেখাটিকে আপনি যেই সন্মান দিয়েছেন তাঁর জন্য আমি মনেপ্রাণে আপনার কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করছি। আপনাকে অশেষ অশেষ ধন্যবাদ।

১৩| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:২০

মোগল সম্রাট বলেছেন: ১৯৯৩ সালের ঘটনা? ল্যান্ডক্রুজার, সিকিউটিরিটি বুট, কেইনউডের ওয়াকিটকি, সে আবার প্রহরী তাও মহাসড়কে? ঠাকুর ভাই আমার আউলা ঝাউলা লাগতাসে।

বরাবরের মতো অলঙ্করনে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সবুজ ঘাসের বুকে শেফালীর হাসির মতো।

শুভকামনা নিরন্তর।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

মোগল সম্রাট ভাই, লেখালেখি সবার জন্য নয়, ঠিক তেমনই লেখা পড়াও সবার জন্য নয়। আপনি গল্প বুঝেন। গল্পের কোন অংশে কি আছে তা আপনার জন্য অর্থাৎ নিঃসন্দেহে আপনি একজন প্রথম শ্রেণীর পাঠক। আপনাকে শীতের দিনের খেজুর গুড়ের শুভেচ্ছা। শীতের দিনের সকালে লাল আটার রুটি, লাল চালের ভাত ভাত, লাল চিড়া অথবা লাল মুড়ির সাথে খেজুরের গুড় আর এক গ্লাস গরম দুধ খেয়ে মনে হবে স্বর্গের খাবার।

আপনার মন্তব্যটি লেখালেখির জন্য অত্যন্ত প্রেরণাদায়ক। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৪| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:৫৮

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সুন্দর।+ :)

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




কবিতার যাদুকর প্রিয় সেলিম আনোয়ার ভাই, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪৭

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: প্রতিটি ঘটনার সাথে বেদানা অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। সুন্দর পোস্ট+++++

২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৫

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




মোঃ মাইদুল সরকার ভাই, আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ।

১৬| ০১ লা জানুয়ারি, ২০২২ দুপুর ১২:০৩

অন্তরন্তর বলেছেন: ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা ঠাকুর ভাই। আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীন পৃথিবীর সকলের হেফাজত করুন।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:২৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

অন্তরন্তর ভাই, আপনার মনে আছে এমন শীতের দিনে আমাদের বাড়িতে সরিষা আর মাশের ডালের সিজন। নতুন মাশের ডাল দিয়ে আইড় মাছ, বোয়াল মাছ রুই মাছের মাথা দিয়ে রান্না হতো। সেই স্বাদ সেই ঘ্রাণ সেই সব দিন কিছুই এখন আর নেই। আছে শুধু স্মৃতি।

আপনাকেও নতুন বছরের শুভেচ্ছা। আল্লাহপাক আমাদের সকলকে ভালো রাখুন। ফি আমানিল্লাহ।

১৭| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১২:৪৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
নব বর্ষের শুভেচ্ছা রইল ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:০০

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

ডঃ এম এ আলী ভাই, সালাম নেবেন। আশা করি ভালো আছেন। আমাদের দেশের প্রতিটি মানুষের জীবনের বড় একটি স্মৃতি জড়িয়ে আছে নদীর সাথে। নদীমাতৃক দেশ বাংলাদেশ। আপনার আমার অনেক অনেক স্মৃতি আছে নদীর সাথে, আশা করি ব্লগে সময় নিয়ে লিখবো।

আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।


১৮| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: চমৎকার প্রতীকি ভাষায় তিনটে গল্প বলে গেলেন। প্রতিমন্তব্যের ঘরে যেসব ছবি যোগ করেছেন, সেগুলো খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং তথ্যপূর্ণ।

১০ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:২৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:

গল্পগুলো পড়েছেন জেনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। খায়রুল আহসান ভাই, আমি ঢাকার ব্যস্ততা সহ গ্রামের বাড়িতে জমি আর ফসল নিয়ে বেশ ব্যস্ত আছি তাই ব্লগে সময় দিতে পারিনি, আমার পুরাতন পোস্টে আপনার মন্তব্য উত্তরও সঠিক সময়ে দিতে পারিনি, প্লিজ মনোকষ্ট নিবেন না।

এক সময় এক বয়স ছিলো এক বসাতেই হয়তো ৫০ পঞ্চাশটি লিচু একা খেয়ে নিতাম। বাংলাদেশের ফলের মাঝে লিচু আমার খুবই প্রিয় একটি ফল। সিজনে বায়তুল মোকারম ও গুলশান বনানী সহ ঢাকা নিউ মার্কেটে খুব সম্ভব সবচেয়ে ভালো লিচুগুলো পাওয়া যায়। এতো অল্প সময়ের ফল সম্ভবত বাংলাদেশে আর নেই।

আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ ও শুভ কামনা।

১৯| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১১:৫৯

রোকসানা লেইস বলেছেন: বাহ কি যে ভালোলাগল পড়তে। খুব সুন্দন শব্দ চয়নে সাজিয়েছেন ঐতিহাসিক লেখাগুলি। অথচ লেখার মূল বিষয় একটাই রসাল ফল বেদানা। প্রতিটা গল্প ভীষন সুন্দর চিত্রকল্প একেঁ দিল মনে।
আর মন্তব্যগুলোতে কি দারুণ সব ফলের ছবি জুড়ে দিয়েছেন।
বেতফল কতকাল খাই না। ইস এক সময় বেতের বনে বসে বেতফল খেতাম। খুব প্রিয় ছিল আমার।

০৫ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১১:০৬

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:






আপনি গল্প লিখেন আপনি গল্প বুঝতে পারেন। আপনি গল্পটি পড়েছেন জেনে ভালো লেগেছে অনেক অনেক। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও শুভ কামনা। বেতফল, জাম, কুটি জাম, কতবেল, ডেওয়া, কাঁচা তেতুল কাঁচা আম বিলেম্বু দিয়ে টক তরকারি আমার প্রিয়।

আমাদের গ্রামে সবচেয়ে সন্মানী পিঠা হচ্ছে চিত্রা পিঠা। চিত্রা পিঠা করা হয় বিশেষ মেহমানদের আপ্যা্য়ন করার জন্য। আপনাকে চিত্রা পিঠার শুভেচ্ছা ও দাওয়াত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.