নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব... নচেত চুপ থাকিব...

সত্য তখনই দাম পায়, যখন তার পাশে মিথ্যা নামক অদৃশ্য বস্তুটি স্থান পায়......

নহে মিথ্যা

নহে মিথ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভয়ংকর যত মাছ

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৫৭

হলিউডের JAW আর SHARK সিনেমার কল্যানে হাঙ্গর মাছ অনেক আগেই ভয়ংকর মাছের তালিকায় নাম লিখিয়েছে। কিন্তু এই একটি মাত্র মাছ বাদেও আরো অনেক মাছ আছে যা নিত্যান্ত ভয়ংকর। অনেকে বলবেন পিরানা মাছ। না একদম না!! পিরানা অনেকটা লাজুক প্রকৃতির মাছ। এর থেকেও আরও ভয়ংকর মাছ আছে। এমন কি সেরা দশ ভংকর মাছের মধ্যে পিরানা পরেই না!! কি অবাক হচ্ছেন? অবাক হওয়ারই কথা। কিন্তু সত্যি যে এটাই। তাহলে আর দেরি কেন?? চলেন জেনে নেই সব থেকে ভয়ংকর দশটি মাছের পরিচয়। আমি দশম মাছের পরিচয় দিয়ে শুরু করব তারপর ধীরে ধীরে সবথেকে ভংকর মাছের পরিচয় তুলে ধরব।



টাইগার ফিশঃ







পানির এই দত্যকে নিয়ে দু'টি লেখা আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এই ভয়ংকর মাছকে আর ঘাটানোর দুঃসাহস দেখালাম না। তার থেকে আপনার "দৈত্য টাইগার মাছ, আফ্রিকার কথিত পানির দৈত্য" আর "জলদানব টাইগার ফিশ" এই দুটি লেখা পড়লেই বুঝে যাবেন এই মাছ কতটা ভয়ংকর।



পিরাইবা মাগুর মাছ (Piraiba Catfish):







ধরুন আপনি উত্তর আমেরিকার কোন এক নদীতে আপনি বর্ষি দিয়ে মাছ ধরছেন। হঠাৎ বর্ষির দড়িতে টান পড়ল। আপনি সর্বোচ্চ ভাবলেন আপনার বর্ষিতে ধরা পরেছে সর্বোচ্চ ২ফুট লম্বার মাছ। বর্ষির দড়ি ছেড়ে ছেড়ে অবস্থা। আপনিও নাছর বান্দার মত লেগে রইলেন। বেশ খাটনি করার পরে দেখলেন ভেসে উঠল ৯ ফুট লম্বা নীল আর কালো ডোরা কাঁটা দাগের একটি মাছ। আপনি ভয় পেলেও মাছ ধরার লোভে লেগে রইলেন। আরেকটু কাছে আসলে বড় হা করা মাছের মুখে যদি দেখেন কোন মানুষের পায়ের কাঁটা অংশ!! এটিই পিরাইবা মাগুর মাছ। এরা মিঠা পানির ভয়ংকর এক মাছ। এদের দাঁত গুলি পিছন দিকে বাঁকানো থাকে তাই এদের কামড় থেকে বাঁচা বেশ কঠিন। কামড় দিলে অঙ্গহানী ঘটবেই।



Goonch Fish:







এই মাছের সন্ধান মেলে ইন্ডিয়া আর নেপালের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া "কালি নদীতে"। অনেক দিন যাবত হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া বা হঠাৎ তলিয়ে যাবার ঘটনা ঘটছে এই নদীতে। কিন্তু এর কারন কারোরই জানা ছিল না যত দিন পর্যন্ত না এই মাছের সন্ধান মেলে নদীতে। এই মাছের খাদ্য তালিকায় মানুষের অবস্থান সবার উপরে। খয়েরি রঙয়ের ৭ ফুট লম্বা এবং ৩০০ পাউন্দ ওজনের এই মাছের আছে ব্লেডের মত ধারালো দাঁত। যা খুবই ভংকর। সর্বশেষ মানুষ শিকারের ঘটনায়, ১৭ বছরের একটি ছেলেকে তার প্রেমিকার সামনে এই মাছ টেনে নিয়ে যায়। এবার বুঝে দেখুন কেমন ভংকর এই মাছ। আর বিশেষজ্ঞদের মতে নদীর কাছে শশান থাকায় আর অনেক সময় বিভিন্ন কারনে দাংগায় মানুষের মৃত দেহ গুম করতে নদী ব্যাবহার করায় এই মাছের খাদ্য তালিকায় মানুষের মাংস স্থান করে নিয়েছে।



Great Barracuda:







Great Barracuda কে বলা হয় সমুদ্রের "টরপিডো", কেননা এই মাছটি হঠাৎ করেই গতি বাড়িয়ে ধেয়ে আসতে পারে। এর আছে তিন ইঞ্চি লম্বা দাঁত আর এরা লম্বায় ৬ ফুটের কাছাকাছি হয় আর ওজনে ১০০ পাউন্ড। এই মাছ গুলি মূলত আকর্ষিত হয় চকচকে কোন জিনিষের দিকে। অর্থাৎ আপনার যদি শখ থাকে পানির নিচে বর্ষা দিয়ে মাছ শিকার করার তাহলে বলতেই হবে আপনি আক্রান্ত হতেই পারেন। আর যদি আক্রমন করেই বসে তাহলে বেশ কয়েকটি সেলাই দিতেই হবে, আর তা না হলে বেশ ভাল পরিমানে শরীরের মাংস আপনাকে হারাতে হবে। আর যদি বেচারার মেজাজ খারাপ থাকে তাহলে এক কথায় আপনার মৃত্যু। এই মাছের আক্রমনে পূর্ব আমেরিকাতে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়।



Wels Catfish:







মাগুর প্রজাতির এই মাছ গুলিকে বলা হয় মাগুর প্রজাতির তিমি। কেন বললাম?? কেননা এরা লম্বায় হয় ১৩ ফুট আর ওজনে হয় ৪০০ পাউন্ড মাত্র। এছাড়াও ইতিহাস ঘাটলে ২০ ফুট লম্বা মাছের খোঁজ পাবার প্রমান মেলে। এদের দেহ গঠন, মুখের ভিতর ধারালো দাঁত আর বেশ হিংস্র স্বভাবের কারনে বলা যায় এরা অনেক ভয়ংকর মাছ। বাংলাদেশে যারা থাকেন তাদের ভয় পাবার খুব একটা দরকার নেই, কেননা এখন পর্যন্ত এই মাছ আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি। এদের মূল বাস ইউরোপের দেশ গুলিতে। বিশেষ করে বার্লিন লেক, স্পেইনের রিজার্ভয়েজ এবং রাশিয়ার ভলগা নদীতে বেশী সংখ্যায় দেখা মেলে। এখানে যারা সাঁতার কাটতে যাবেন, তাদের জন্য বিশেষ উপদেশ "সাবধান"।



Giant Freshwater Stingray:







আমাদের দেশে এই মাছটি শাপলা মাছ হিসেবে পরিচিত। স্বাদু পানির সম্ভাব্য সব থেকে বড় মাছ এটি। এই মাছটি ১৬ ফিট লম্বা আর ওজনে ২০০০ পাউন্ড। বিখ্যাত কুমির বিশেষজ্ঞ Steve Irwin মারা যান এই মাছের আক্রমনে। কিভাবে ভাবছেন?? এর পিছের লেজটি শক্ত করলে ছুরির মত ধারালো আকার ধারন করে, আর এতে বিষের উপস্থিতি থাকায় কোন ভাবে আপনার শরীরে কোথাও গেথে গেলে পটল তুলবেন এটা নিশ্চিত। এই মাছটি পাওয়া যায় উত্তর এশিয়ার নদীতে। এরা যদিও অনেক ভীতু প্রকৃতির হয় তারপরেও ভয় পেলে নিজেকে বাঁচাতে আক্রমন করে বসে। আর বলতে গেলে বলতে হয় এরা একটু বেশিই ভিতু আর তাই আক্রমণের পরিমান একটু বেশী হয়। আপনি যদি কোন নদীতে পানিতে নামার পরে টের পান আপনার পায়ের নিচে ভূমি নড়ছে তাহলে বুদ্ধিমানের কাজ হবে চুপ চাপ থাকা। কেননা এই মাছ পালিয়ে যাবে, আর যদি আপনি লাফিয়ে উঠেন তাহলে আবার আক্রমন করে বসতে পারে।



Muskellunge:







এই মাছটি খুব বেশি বড় না হলেও আক্রমন করে বসলে ভয়াবহ অবস্থা তৈরি করতে সক্ষম। সর্বোচ্চ ৭ ফুট লম্বা আর ৮০ পাউন্ডের এই মাছটির আছে খাঁচ কাঁটা দাঁত, যার কামড় হাংগরের কামড় থেকে কোন অংশে কম ভয়ংকর না। মাছটির সব থেকে ভয়ংকর দিক হল এর আক্রমনের ধরন। এক কামড়ে মুখ ভরে মাংস তুলে নেবার পর তা না খেয়ে ফেলে দিয়ে পুনঃরায় আক্রমন করে বসে। মানে তার আক্রমনের মূলেই থাকে শিকারের মৃত্যু। ১৩ বছরের একটি মেয়েকে আক্রমন করে পানির তলায় নিয়ে যাওয়া ও এক জেলেকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করার খবর পাওয়া যায়। আর মাছটি মুলত লুকিয়ে থাকে লেক বা নদীর পাড়ের গুল্ম বা ঘাসের মধ্যে। এ কারনে এরা খুব সহজেই মানুষের স্পর্শে আসতে পারে।



Electric Eel:







মাগুর (Catfish) প্রকৃতির এই মাছটি অন্যান্য মাছ থেকে একটু বেশিই ভয়ংকর। এরা আমাজান নদীর সব থেকে ভয়ংকর মাছ বা প্রানি। এদের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল এরা শরীর থেকে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করতে পারে। আর এই বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমান এতটাই বেশি হয় যে তা একটি ঘোড়াকে মারতে সক্ষম, অর্থাৎ প্রায় ৬০০ ভোল্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে সক্ষম। ৮ ফিট লম্বা এবং ৮০ পাউন্ডের এই মাছটির বিদ্যুৎ শক খেলে মানুষ সাথে সাথে মারা যায় আর যদি ঘটনা ক্রমে একটু কম বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় তাহলে দেখা যায় মানুষটি বেহুশ হয়ে যায় এবং পরবর্তিতে পানিতে ডুবে মারা যায়। তাই এই মাছ যে নদীতে থাকে সেখান দিয়ে সাতরে পার হওয়া কতটা ভয়ানক হতে পারে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। রি মাছটি ধরার এক মাত্র উপায় হল রাবারের হাত মুজা পরে। তা না হলে Spot Death।



Alligator Gar:







এই মাছটিকে বলা হয়, "প্রাক ঐতিহাসিক মাছ"। কেননা এই মাছটির মত আর কোন মাছ খুঁজে পাওয়া দায়। ১০ ফিট লম্বা আর ৪০০ পাউন্ড ওজনের এই মাছটি পাওয়া যায় উত্তর আমেরিকায়। কুমিরের মত মাথা আর ভয়ংকর শক্তিশালী চোয়াল আছে এই মাছটির। এই মাছটিকে ভয়ংকর মাছের তালিকায় দেওয়া হয়েছে ২য় স্থান। কেননা এর শিকার করার উপায় বেশ ভয়ানক। একবার একজন লোক গোড়ালি সমান পানিতে নেমে মাছ ধরছিলেন, এমন সময় এই মাছটি তার উপর ঝাপিয়ে পরে। আর তাকে শক্ত চোয়াল দিয়ে কামড়ে পানিয়ে নামিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আহত হলেও সে প্রানে বেঁচে যায় এই যাত্রায়। কিন্তু অন্য কেউ নাও বাঁচতে পারে। হয়ত এই মাছটি দ্বায়ি এই অঞ্চলে নদীতে নিখোঁজ যাওয়া মানুষদের জন্য।



হাঙ্গরঃ







এঁকে নিয়ে আর কি লিখব?? ভয়ংকর শিকারি মাছের তালিকায় হাঙ্গরের সাথে পাল্লা দিয়ে এখনও কোন মাছ পেরে ওঠেনি, আর পারবেও বলে মনে হয় না। "ভয়ঙ্কর যতো হাঙ্গর" লেখাটি পড়লে হাঙ্গর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পেয়ে যাবেন। তাই আর কষ্টো করে কিছু লিখলাম না।



জানলেনতো পৃথিবীর সব থেকে ভয়ঙ্কর মাছদের কথা। এখানে পিরানা স্থান পায়নি তার প্রধান কারন হল এরা দলগত ভাবে আক্রমন না করলে তেমন কিছুই করতে পারে না। একা একা এরা তেমন কোন ভয়ঙ্কর মাছ না বরং আপনাকে দেখে নিজেই পালাবে। তবে সাবধান একটি দেখলেই পালাবেন, কে জানে আশে পাশে হয়ত দলবেঁধে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।



লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয়ঃ রবিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৩

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:২৬

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: পোস্টে ভালা পাই । যে জাই বলুক মিঠা পানির মত আর কোন সুস্বাদু মাছ নাই

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

নহে মিথ্যা বলেছেন: তাজা বলেছেন ভাই :)

২| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৮

শাকিল ১৭০৫ বলেছেন: সব ভয়ংকরের খেলা দেখি এইখানে

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৮

নহে মিথ্যা বলেছেন: হুম ঠিক ঠিক :P

৩| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড.... মাছ ও এতো ভয়ংকর !!!!!!!!!!! ভয়ংকর মাছদের খোঁজ দেবার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..............

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:১৫

নহে মিথ্যা বলেছেন: পড়ার জন্যও আপনাকে ধন্যবাদ :)

৪| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:৪৯

নীল জোসনা বলেছেন: অনেক কিছু জানলাম । তথ্য ব হুল পোষ্ট এর জন্য প্লাস ।

















০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

৫| ০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৩৫

মামুন রশিদ বলেছেন: মৎস্য ভয়ন্কর :|

০৩ রা এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৫

নহে মিথ্যা বলেছেন: সাঁতার জানি না ভাই তাই পানির নিচের রায় সবই ভয়ংকর লাগে :(

৬| ০১ লা মে, ২০১৪ সকাল ১১:০২

নাভিদ কায়সার রায়ান বলেছেন: বাহ! বাহ! দারুন পোস্ট!

০২ রা মে, ২০১৪ দুপুর ১:০৩

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.