নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাহা বলিব সত্য বলিব... নচেত চুপ থাকিব...

সত্য তখনই দাম পায়, যখন তার পাশে মিথ্যা নামক অদৃশ্য বস্তুটি স্থান পায়......

নহে মিথ্যা

নহে মিথ্যা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতবর্ষের ১২ জন রাজকীয় ব্যাক্তি যারা ধনীদেরকে গরিব ভাবতে বাধ্য করবে

২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৩৬

ভারতবর্ষের রাজা বাদশাদের সম্পর্কে সকলেই কম বেশি জানেন। আচ্ছা এই রাজা বাদশারা আসলে কেমন ধনী ছিলেন এই নিয়ে অনেকের অনেক ধারনা বা কল্পনা আছে। আজ আপনাদের এরকম রাজকীয় ১২ জনের সম্পর্কে বলব, যাদের সম্পর্কে জানার পরে বর্তমান সময়ের ধনীদেরকেও নেহাত গরিব বলেই মনে হবে আপনার।


১২) কৃষ্ণ রাজা ওদেয়ার চতুর্থঃ
মহীশূরের মহারাজা 'কৃষ্ণরাজা ওদেয়ার চতুর্থ' তার দাসদের জন্য রাজকীয় একটি রোলস রয়েস গাড়ি তৈরি করান। এই গাড়ির মূল কাজ ছিল দাসদের সূর্যের প্রখরতা থেকে রক্ষা করা। ১৯১১ সালে তৈরি করা এই গাড়িটি পূনঃনির্মান করা হয় ২০১১ সালে, এই কাজে ব্যয় করা হয় ৪০০,০০০ ইউরো। কৃষ্ণরাজা ওদেয়ার চতুর্থ মারা যান ১৯৪০ সালে এবং তৎকালীন সময়ে তিনি বিশ্বের অন্যতম ধনী একজন ব্যাক্তি ছিলেন। তৎকালীন সময়েই তার সম্পত্তির পরিমান ছিল ৩৫ বিলিয়ন ইউরো থেকেও বেশি।


১১) জুনাগার এর নবাবঃ
বলা হয়ে থাকে জুনাগার (Junagarh) এর নবাব ৮০০ কুকুর পুষতেন এবং প্রতিটি কুকুরের দেখাশোনার জন্য একজন করে ব্যাক্তি বরাদ্দ থাকত। এটাই শুধু নয় একবার তার প্রিয় দু'টি কুকুরের বিবাহ অনুষ্ঠান করলেন আর এই অনুষ্ঠান করতেই তিনি তৎকালীন সময়ে খরচ করে ছিলেন ২০ থেকে ৩০ লক্ষ মুদ্রা, এবং সেই দিন তিনি তার রাজ্যে ছুটি ঘোষনা করেছিলেন।


১০) হায়দ্রাবাদের শেষ নাজিম মীর ওসামা আলী খানঃ
হায়দ্রাবাদের শেষ নাজিম মীর ওসামা আলী খানের অধীনে ছিল পৃথিবীর ৫ম বৃহত্তম হীরার খন্ড। এটির ওজন ছিল ১৮৪.৯৭ কেরেট এবং এর মূল্য তৎকালীন সময়ে ছিল ৫ মিলিয়ন ইউরো। জানেন তিনি এত দামি আর বড় হীরার খন্ড কি কাজে ব্যাবহার করতেন? খুব বড় কোন কাজে নয় পেপার ওয়েট হিসেবেই এর ব্যাবহার ছিল। বর্তমানে হীরাটি ইন্ডিয়ার সরকারের সংগ্রহশালায় রয়েছে।


০৯) রাজা জয় সিংঃ
আলওয়ার (Alwar) এর রাজা জয় সিং একবার লন্ডনে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তখন রোলস রয়েস এর একটি দোকানে তিনি গাড়ি দেখতে গেলে সেখানকার বিক্রেতা তাকে অপমান করেন। তিনি এর প্রতিশোধ নিতে কয়েক শত রোলস রয়েস গাড়ির অর্ডার দেন এবং তা ভারতে এনে তিনি এগুলো ব্যাবহার করা শুরু করেন শহরের আবর্জনা সরানোর কাজে। অবশ্য পরে তিনি তার নির্দেশনা উঠিয়ে নেন, তবে এর জন্য রোলস রয়েস এর পক্ষ থেকে তার কাছে ক্ষমা চাওয়ার পরে।


০৮) উদয়পুরের রাজ পরিবার স্ফটিক (Crystal) এত বেশি পছন্দ করতেন যে তাদের বাসস্থানের চেয়ার, টেবিল এমনকি ফ্যান এবং দেওয়াল এই স্ফটিক দ্বারা সজ্জিত করেন।


০৭) মহারাজা ভূপেন্দর সিংঃ
বিশ্ববিখ্যাত স্বর্নালংকার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান 'Cartier' একদিন সকালে এক ট্রাক ভর্তি দামি সব পাথর এবং অলংকার পেলেন পাটিয়ালার মহারাজা ভূপেন্দর সিং এর কাছ থেকে। রাজা তাদের এই অলংকার গুলি দেন যাতে এগুলোকে পুনঃনির্মান করা হয় পার্সিয়ান ধাঁচে। Cartier এর তৈরি করা 'পাটিয়ালা নেকলেস' তার মধ্যে অন্যতম এবং রাজকীয় অলংকার গুলির মধ্যে অন্যতম। আসলে এটি তৈরি করা রাজকীয় অলংকার গুলির মধ্যে অন্যতম সেরা একটি অলংকার।


০৬) লালবাগ প্রাসাদের প্রধান দরজাঃ
ভারতের ইন্দোরের লালবাগ প্রাসাদের প্রধান দরজা তৈরি করা হয় লন্ডনে এবং তা জাহাজের মাধ্যমে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্দোরে।


০৫) ইন্ডিয়ার প্রথম রাষ্ট্রপতি ডাঃ রাজেন্দ্র প্রসাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রবেশ করেন রূপার তৈরি রথে, আর এই রথের মালিক ছিলেন পাটিয়ালার মহারাজা।


০৪) মহারাজা জাগজিত সিংঃ
বিশ্বের সব থেকে বিখ্যাত ব্যাগ নির্মাতা কম্পানি 'Louis Vuitton' কে চিনেন না এমন লোকটি কে আছে বলুন। এদের ব্যাগের দাম কেমন তা বুঝি আর বলে বুঝাতে হবে না। এই Louis Vuitton মহারাজা জাগজিত সিং এর জন্য আলাদা ভাবে বিভিন্ন আকারের ব্যাগ তৈরি করতেন। আর মহারাজা বেশ ভ্রমন প্রিয়াসি হবার কারনে তার কাপড়, গহনা, পাগড়ি, জুতা এবং তার তরবারি বহনের জন্য ব্যাবহার করতেন।


০৩) দক্ষিন বম্বের আমেরিকার দূতাবাসঃ
দক্ষিন বম্বে অবস্থিত প্রায় ১০,০০০ স্কয়ার ইয়ার্ড এর উপর গড়ে ওঠা 'The Wankaner House' তৈরি করা হয় ১৯৩০ সালে। বাড়িটির মূল মালিক ছিলেন মহারাজা 'অমর সেন জালা'। বাড়িটি বিক্রি করে দেওয়া ১৯৫৭ সালে আমেরিকার সরকারের কাছে তৎকালীন সময়ে ১৮ কোটি রূপীর বিনিময়ে (৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)। কেননা তৎকালীন সময়ে রাজপরিবার এত বড় বাড়ির খরচ বহন করতে সক্ষম ছিল না, এছাড়াও রাজস্ব অনেক বাকি পরে গিয়েছিল।


০২) কোচবিহারের মহারানী ইন্দিরা দেবীঃ
বিংশ শতাব্দির বিখ্যাত জুতা নির্মাতা 'Salvatore Ferragamo' এর কাছে কোচবিহারের মহারানী ইন্দিরা দেবী ১০০ জোড়া জুতার অর্ডার দেন, যেগুলি সজ্জিত থাকবে হীরা দ্বারা।


০১) মহারাজা সওয়াই মাধু সিংঃ
জয়পুরের মহারাজা সওয়াই মাধু সিং কারিগরদের নির্দেশ দেন তার জন্য বিশাল বড় রূপার পাত্র তৈরি করতে। যাতে তিনি যখন ইংল্যান্ডে যাবেন তখন যেন গঙ্গা জল নিজের সাথে নিয়ে যেতে পারেন।

সূত্রঃ view this link
লেখকঃ জানা অজানার পথিক AKA নহে মিথ্যা।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: দারুন শেয়ার। ++

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৭

নহে মিথ্যা বলেছেন: ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম

২| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৯:৫৮

গেম চেঞ্জার বলেছেন: সুন্দর পোস্ট । ভাল্লাগছে ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৮

নহে মিথ্যা বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৩| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৩১

প্রামানিক বলেছেন: অনেক কিছু জানা হলো।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: কিছু জানাতে পেরেছি জেনে ভাল লাগছে

৪| ২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৬

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: দারুন তথ্যমূলক পোস্ট । ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য ।

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:০৯

নহে মিথ্যা বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ পড়ার জন্য

৫| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:০৫

কালীদাস বলেছেন: ৯নাম্বারটা ইন্টারেস্টিং লাগল :)

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:১০

নহে মিথ্যা বলেছেন: আমারো =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.