নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ললি, শান্ত মেয়েটা। বুকে কি একটা শক্ত অসুখ আছে। ডাক্তার ওকে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে বলেছে। রাশান পুতুলের মত ফর্সা মিষ্টি চেহারা চশমা পড়া মায়াময় বিষন্ন চোখের মেয়েটিকে দেখলেই মনে হয় অনেক দুঃখ ওর। অনেক সেনসিটিভ। বয়সের তুলনায় অনেক বেশি বোঝে।
তার ঠোঁটের ফাঁকে শীতের শেষ বিকেলের আলোর মত এক টুকরো মিষ্টি হাসি। আশ্চর্য রকম সুন্দর।
এই কয়েকটি লাইন মনে হয় ছোটবেলায় খুব প্রবলভাবে গেঁথে গিয়েছিলো।
শাহরিয়ার কবির যে কখন মনের পটে ছবিটা এঁকে দিয়েছিলেন, বুঝিইনি।
অথবা থাকবে মুদ্রার উল্টোপিঠটাও।
টুনি।
কথায় কথায় কথার খামচি দিতে চাওয়া পাগলিটা। কিংবা নখ দিয়েই। আবার সুযোগ পেলেই ছেলে মানুষের মত জিভ বের করে ভেংচি কাটবে আর রেগে গেলে ধুপ করে পিঠে কিল বসিয়ে দেবে। ভূতের গল্প শুনে গুটি-সুটি হয়ে আশ্রয় খুঁজবে কারো বাহুতে। টুনির মত মেয়েরও হয়তো আছে চাপা কোন না বলা কষ্ট।
ছবিটা খুব নিপুণ ভাবেই এঁকে দিয়েছিলেন লেখক শৈশবে।
আরেক বার, প্রেম হয়েছিল। এক অদেখা বিদেশিনীর সাথে। নিজের অজান্তেই অযথা কোন কারনেই যেন বইয়ের পাতা থেকে তুলে এনেছিলাম কল্পনায়। অ্যানি।
লেখকের ভাষায়- মেয়েটা সুন্দরী। মাথাভর্তি কালো চুল। শান্ত। বাদামী চোখ।
রকিব হাসানের তিন গোয়েন্দার সাথে শৈশব-কৈশোর কাটেনি এমন ছেলেমেয়ে মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না।
হুট করেই যেনো কল্পনাটা শুরু করে দিয়েছিলাম-
‘‘অ্যানি অভিনয় শুরু করতেই নীরব হয়ে গেল সমস্ত অডিটরিয়াম। যেন কোন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে সে। নাক কুঁচকাল, মোরগের মত ঘাড় কাত করল, হাসল, ভ্রূকুটি করল।’’ সাথে সাথেই যেন মনের প্রজেক্টর দিয়ে পর্দায় মেয়েটাকে দেখতে পাচ্ছিলাম। ঘাড় কাত করছে, সেই সাথে হাসছে নিঃশব্দে। অনিন্দ্য সুন্দরী। বিদেশিনী সুলভ সাদা চামড়া, টসটসে ঠোঁটে কৌতূহল মিশ্রিত ভালো লাগার মত নিস্পাপ হাসি।
ক্লিক! পর্দা নেমে গেলো যেনো। কল্পনায় ওইটুকুই দেখেছিলাম। অন্য কোন দৃশ্যে চাইলেও কল্পনায় আনতে পারছিলাম না ওকে। কিন্তু ওটুকুই যথেষ্ট ছিলো দাগ কেটে যাওয়ার জন্য। মজার ব্যাপার হলো- কালো চুল লেখা থাকলেও আমি কল্পনায় কেনো জানি সোনালী-বাদামী চুল দেখেছিলাম। হাসলে দাঁতগুলো দৃষ্টি কেড়ে নিচ্ছিলো ঠোঁটের ফাঁক থেকে।
কিন্তু খুব বেশিক্ষন প্রেমে থাকতে পারিনি। অ্যানি মারা পড়ে কাহিনীতে। কিন্তু ঐযে; কেন যে ভালো লাগলো মেয়েটাকে তখন, জানি না। কেনো কল্পনা করেছিলাম তাও জানি না।
তারপর বড় হয়ে দেখা পেলাম নিমাই ভট্টাচার্যের মেমসাহেবের।
না। আমি সবার মত মেমসাহেবের প্রেমে পড়িনি। আমি মেমসাহেবের প্রেমের প্রেমে পড়েছিলাম। তার ভালোবাসাকে দেখে ভালোবাসতে শিখেছিলাম।
এতটা আবেগী, এতটা নাটকীয়তায় ভরপুর, এতটা ত্যাগ স্বীকার করার মত শক্তির অধিকারিণী, এত ধৈর্য্যে পরিপুর্ণ- সেতো কেবল মেমসাহেবই হতে পারেন, মেমসাহেবই হতে জানেন।
মনে হয় নাকউঁচু স্বভাবের কারনে কিংবা বর্ণবৈষম্যের কারনেই হোক- কালো মেমসাহেবকে ভালোবাসিনি। দূর থেকে তার ভালোবাসা দেখে হিংসা করেছিলাম। আমিও যদি পেতাম এমন একজন মেমসাহেব!
মেমসাহেব, ভালোবেসেছি তোমার সত্ত্বাকে।
বয়সের সাথে সাথে বইয়ের পাতার প্রেমিকারা-ভালোলাগারা বদলাতে থাকে। বদলায় না কেবল নতুন নতুন বইয়ের ফাঁকে খুঁজে পাওয়া প্রেমিকাদের ভালোবাসার ইচ্ছেটা। আবার কার যেনো প্রেমে পড়ে যাই হুট করে।
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৬
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: হুট করে তো আসে। হুট করে তো যায় না। এটাই তো সমস্যা!
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৫
চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: বিগ সমস্যা! মাগার সমাধান তো আছে নাকি!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৬
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: দুইটা হিসটাসিন খেয়ে ঘুম। ঘুমাইলে জাগতিক সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৫৮
চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: এইন্দা হটাইয়েন!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:০১
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আইচ্ছা।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৩:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
এখনো বইয়ের পাতার ভাঁজে ভাঁজে আটকা পড়ে আছেন? রক্ষা করতে কেহ আসেনি?
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৫
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: মেমসাহেবরা ধরা দেয় এতো সহজে গাজী সাহেব?
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:০৮
কাশফুল মন (আহমদ) বলেছেন: কত প্রেম এভাবে হারিয়ে গেলো,,
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৬
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আহা! কত প্রেম চাপা পড়ে গেলো পৃষ্ঠা উল্টাতে উল্টাতেই.............
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:১৭
কালীদাস বলেছেন: ইন্টারেস্টিং! আমি ভেবেছিলাম কেবল আমারই এই এফেয়ারগুলো ছিল
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সব বইপড়ুয়াই মনে হয় কখনো না কখনো এমন অবস্থায় পড়েছে।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৯:৫৪
শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: টুনি।
কথায় কথায় কথার খামচি দিতে চাওয়া পাগলিটা। কিংবা নখ দিয়েই।
রুবিয়ানা ভাইরাসের চৌদ্দটা ভেকসিন নিতে হয়নি!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: নাহ! আমি টুনির চাইতে ললিকেই বেশি পছন্দ করতাম। খামচিও খেতে হয়নি
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৪
শায়মা বলেছেন: রেমির প্রেমে পড়োনি!!!!!!!!!!
কিংবা রেনুর প্রেমে...........
লাবন্য কিংবা বনলতা সেন!!!!!!!!
হায় হায় তাইলে আর কি হলো জীবনে!!!!!!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: রেনুর সাথে আমি যেন কেন পাশ্চাত্যের 'ম্যালেনা'র মিল খুঁজে পাই। তাকে চায় সবাই। কিন্তু রেনু কাকে চায়?
আর বনলতা সেনের চুল আমাকে অন্ধকারে বেশি টানেনি। টেনেছে মেমসাহেবই।
আর ইয়ে..... একটা কথা গোপনে বলি, রেমির চাইতে আমার ধ্রুবকেই বেশি ভালো লেগেছে তার ব্যক্তিত্বের কারনে।
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
শায়মা বলেছেন: বই এর পাতার স্বপ্নপুরুষ ও স্বপ্নকন্যারা আর আমার মনের পাতার খোকাভাই
আমারটা পড়ো!!!!!!!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:১৭
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: পড়লাম।
ওরে সর্বনাশ! তুমিও দেখি প্রেমে পড়েছো ছাপার অক্ষরদের!! তাও আমার চাইতে অনেক বেশিবার
১০| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২০
শায়মা বলেছেন: আরে ভাইয়া আমারও তো!!!!!!!
তাই সারাজীবন ধ্রুবকেই খুঁজে গেলাম!!!!!!!!
একবার খুঁজে পেলে মজা দেখাতাম বেটাকে!!!!!!
রেমিকে এত কষ্ট দেবার মজা!!!!!!!!!!!!!!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: হুউহ! ধ্রুবকে কেউই বুঝলো না, আর তুমি পাবে খুঁজে। আরেকবার- হুউহ!
১১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
শায়মা বলেছেন: না পাওয়াই ভালো!!!!
পেলে তো বেটা মাইর খেয়ে মরে যাবে!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৯
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: থাক থাক। জানো তো, ধ্রুবর প্রেমিকার অভাব নেই। ওরাই তোমাকে সানডে-মানডে ক্লোজ করে দিতো এমন কিছু করলে
১২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৪৩
শায়মা বলেছেন: ইশ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!
সানডে মানডে ক্লোজ করলে আমিও টিউজডে, ওয়েডনেসডে,থার্সডে, ফ্রাইডে, সাটারডে করে দিতাম!!!!!!!!!!!!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:১৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বুঝেছি বুঝেছি! এক দেবদাসের জন্য এত গুলো পারু!!! ঝগড়া তো হবেই
১৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
সুমন কর বলেছেন: বয়সের সাথে সাথে বইয়ের পাতার প্রেমিকারা-ভালোলাগারা বদলাতে থাকে। বদলায় না কেবল নতুন নতুন বইয়ের ফাঁকে খুঁজে পাওয়া প্রেমিকাদের ভালোবাসার ইচ্ছেটা। আবার কার যেনো প্রেমে পড়ে যাই হুট করে।
আরো প্রেমে পড়ার কথা ছিল তো !!!
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:০২
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: পড়ব পড়ব। এখন যার যৌবন, প্রেমে পড়ার শ্রেষ্ঠ সময়। সময় তো ফুরায়নি
বাই দ্যা ওয়ে, কেমন আছেন সুমন ভাই? অনেক দিন পরে ঢুঁ দিলেন।
১৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১১:৩৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
শাহরিয়ার কবির যে কখন মনের পটে ছবিটা এঁকে দিয়েছিলেন, বুঝিইনি।
এই ভাই আমি আবার কি করলাম ?
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: কি করলেন??? দুইটা মেয়েকে লিখসেন। একটাকে তো পার্মানেন্টলি মাথায় সেট করে দিসেন। আপনারে পায়া নেই
১৫| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা রে কত কত কত্ত কিছু মনে করায়ে দিলেন !
ভালো পোস্ট
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:২৫
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আপু, আমারো তো মনে পড়ছিল খালি খালি। তাই ধপাশ করে লিখে ফেললাম।
থ্যাঙ্কু। প্রশংসা এন্ড কমেন্টের জন্য
গুড নাইট। স্লীপ টাইট।
১৬| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৫৮
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: আজ্ঞে,
এ ভাই মোটা চশমা
উল্টাপাল্টা অপবাদ দিবেন না বলে দিলাম কিন্তু .........
আই কিন্তু জলের মত স্বচ্ছ এবং নিরহ মানুষ।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:০৩
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আমার ফ্রেম নিয়া গেসেন ক্যান?
হু, আপনি শিওর দুদকের তদন্তের মত স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু মানুষ, আই জানি
১৭| ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
বিলিয়ার রহমান বলেছেন: এভাবেই বয়সের অত্যাচারে হারিয়ে যায় অনেক প্রেমিকা!!
১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সবই বয়সের দোষ! আমার-আপনার কুনো দোষ নাইক্ক!
১৮| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৬
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: কোথায় যেন হাড়িয়ে গেলাম
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৪
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: জলদি ফেরত আসুন ভাই
১৯| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০০
শামীম সরদার নিশু বলেছেন: জলদি আইয়া পড়ছি, সামু থেকে হাড়াতে চাইনা
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২০
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: শাবাশ! আসেন, থাকেন, লেখেন।
২০| ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ২:৫০
ভবঘুরে যাত্রি বলেছেন: ভালো লাগায় রাখলাম
২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৮
মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ভালো লাগার অংশ হতে পেরে আনন্দিত বোধ করছি। অনেক ধন্যবাদ।
শুভকামনা সবসময়।
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:৪৪
চিন্তক মাস্টারদা বলেছেন: আবার কার যেনো প্রেমে পড়ে যাই হুট করে।