নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বৈশিষ্ট্যহীন একজন মানুষ।

মোটা ফ্রেমের চশমা

বলার মতো কিছু হতে পারিনি এখনো

মোটা ফ্রেমের চশমা › বিস্তারিত পোস্টঃ

সৈয়দ মুজতবা আলীর বই কেনা আর বইপড়া অভ্যাস

০৪ ঠা মে, ২০১৭ ভোর ৪:০৩

আমরা কজন দুনিয়াটাকে দেখেছি? বা দেখার ইচ্ছে পোষণ করি? দুনিয়া দেখার কথা বললেই মধ্যবিত্তের একমাত্র অস্ত্র প্রয়োগ করতে উঠে পড়ে লেগে যাই- 'টাকা পাবো কোত্থেকে?টাকা কামাতেই দিন যায়, দুনিয়া দেখার সময় কই?'

দুনিয়া কেন দেখবো? এই প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে আরেকটা প্রশ্ন করা যাক- 'কেন দেখবো না?' কয়েকদিনের জন্য এসেছি সবাই। মরে গেলে পচে যাবো। পচে গেলে মিশে যাবো। একবার সাত হাত মাটির নিচে চলে গেলে সাত দিনের বেশি শোক পালন কেউ করবে না। সুতরাং- দেখে নেই, দেখে নিন। মধ্যবিত্তের খোঁড়া অজুহাতটা একটু কম দেই? কি বলেন? হ্যা জানি- বিদেশ ঘুরতে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা লাগে। আর ছা-পোষা চাকুরীজীবী আর কামলাদের জন্য সেটা অসাধ্য সাধনের মতই।

দুমুখী কথা বলে ফেললাম?

আরে বাবা! দুনিয়াটাকে খুনের মামলার প্রত্যক্ষদর্শীর মত করে সরাসরি দেখা কেন লাগবে? কে বলেছে? দেখার চোখ থাকলে দেখা যাবেই। আল্লাহর দেয়া দুটা চোখ(চশমাধারীদের জন্য চারটা প্রযোজ্য) ছাড়াও তো মনের চোখটা তো আছে। সেটার তো আর মাইয়োপিয়া-হাইপারোপিয়া হওয়ার সুযোগ নেই যে দূরের জিনিস দেখা যাবে না। বরং এই চোখের ক্ষমতা ঘষে মেজে সুপারম্যানের মত করে নেয়া যায় চাইলে।

কিভাবে? আসুন দেখি রসের ভান্ডার, উইটকিং সৈয়দ মুজতবা আলী কি বলেছিলেন তার 'বই কেনা' প্রবন্ধে- ‘চোখ বাড়াবার পন্থাটা কি? প্রথমত- বই পড়া, এবং তার জন্য দরকার বই কেনার প্রবৃত্তি।

কি বুঝলেন? হাজার হাজার মাইল ভ্রমন করার হ্যাপা পোহাতে না চাইলে দুইমলাটে আবদ্ধ একটা পান্ডুলিপি কিনে ফেলুন। যেরকম দুনিয়াতে ভ্রমন করতে চান। ইতিহাসে ফেরত যেতে চান? হাত বাড়ালেই পাবেন ইসলামের ইতিহাস, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ধর্মের ইতিহাস নিয়ে লেখা হাজার হাজার বই; খালি ধর্মের ইতিহাস ভালো না লাগলে জানুন মিশরের ফারাওদের ইতিহাস, নিজের দেশের ইতিহাস, প্রতিবেশী দেশের ইতিহাস, ঘটে যাওয়া যুদ্ধের ইতিহাস। বনজঙ্গলে বাঘ ভাল্লুক মারতে চান কিন্তু বন্দুক নেই আবার সাহসটাও বড্ডো কম? তাতেও সমস্যা নেই। জিম করবেট-কেনেথ অ্যান্ডারসনরা লিখে গেছেন তাদের অভিজ্ঞতার কথা। যুদ্ধ ভালবাসলে লাইব্রেরিতে ঢুঁ মেরে দেখুন কত গোলাগুলি-বোমাবাজি-হানাহানি আটকে আছে অই দুই মলাটের ভেতর। সাহিত্যে ডুবতে চাইলে আগে শুরু করুন দেশী সাহিত্যিকদের দিয়েই। আগেই বিদেশ পাড়ি না জমানোটা ভালো। দেশের সাহিত্যকে চিনুন-ভালোবাসুন; নাক উঁচু হবে। দেশী সাহিত্যকে পাত্তা না দেয়ায় মধুসূদনের কি হয়েছিল তাও জানতে পারবেন বই পড়লে।

আরেকটু দেখি মুজতবা সাহেব কি লিখেছিলেন- মনের চোখ ফোটানোর আরো একটা প্রয়োজন আছে। বারট্রান্ড রাসেল বলেছেন- সংসারে জ্বালা-যন্ত্রনা এড়াবার প্রধান উপায় হচ্ছে, মনের ভিতর আপন ভুবন সৃষ্টি করে নেওয়া এবং বিপদকালে তার ভিতর ডুব দেওয়া। যে যত বেশি ভুবন সৃষ্টি করতে পারে, যন্ত্রনা এড়াবার ক্ষমতা তার ততই বেশি হয়’

এটা মনে হয় শান্তিকামী লোকজনের জন্য মোক্ষম অজুহাতের উপায়। সাংসারিক ঝামেলা-অর্থনৈতিক টানাটানি-রাস্তার হাঙ্গামা হুজ্জত-বসের ঝাড়ি; ঝামেলার শেষ নেই। পুরোই পালাবি কোথায়- সিচুয়েশন। প্রবলেম নেই। বইটা খুলুন আর ঢুকে যান ভেতরে। নার্নিয়ার ওয়ারড্রোবের দরজার মত করে বইয়ের মলাট খুলে। জিজ্ঞেস করতে পারেন- নার্নিয়া? খায় না মাথায় দেয়? উত্তর হবে এইটাও বই। বই একধরনের এস্কেপ রুট হিসেবে কাজ করতে পারেন অশান্তির সময়। তবে তার মানে এই না যে, ঝামেলা হলেই মুখ লুকাবেন বইয়ের পাতায়। বই পড়বেন কমন সেন্স বাড়ানোর জন্য। যে কোন সমস্যা সমাধানে কমন সেন্সই হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। আর কমন সেন্স বাড়ানোর প্রথম রাস্তা হলো সাধারন জ্ঞান বাড়ানো। বই ছাড়া সাধারন জ্ঞান নিজে নিজে কিভাবে বাড়াবেন বলুন? আপনি তো মুখচোরা।

ওহ আসল কথার উত্তর দিতেই তো ভুলে গেছি। ‘টাকা!’ মুজতবা সাহেব মোক্ষম একটা কথা বলে গিয়েছিলেন এ প্রসঙ্গে- ‘বই সস্তা নয় বলে লোকে বই কেনে না, আর লোকে বই কেনে না বলে বই সস্তা করা যায় না।

বই তো আর ফ্রি ফ্রি দেবে না কেউ। তাহলে এত কচকচানির দরকারটা কি ছিলো? বই কিনবে কারা? উত্তরটা ‘বই পড়া’ প্রবন্ধটা পড়লেই পেয়ে যাবেন। অলসদের জন্য তুলে দিচ্ছি- ‘ভেবে-চিন্তে অগ্র-পশ্চাৎ বিবেচনা করে বই কেনে সংসারী লোক। পাঁড় পাঠক বই কেনে প্রথমটায় দাঁতমুখ খিচিয়ে, তারপর চেখে চেখে সুখ করে করে, এবং সর্বশেষে সে কেনে ক্ষ্যাপার মত, এবং চুর হয়ে থাকে তার মধ্যিখানে'

আপনার টাকা নেই, বাজার করতে গিয়ে, বাচ্চাদের স্কুলের বেতন দিতে গিয়ে, বুয়ার-টিউটরের বেতন দিতে গিয়ে টাকা মেলাতে হিমশিম খান? তো সমস্যা কি? লাইব্রেরি আছে কি করতে? হাজারে বিজারে লাইব্রেরি-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র তো আছেই আপনার জন্য। সদস্য হয়ে শুরু করুন। সদস্য হওয়ার জন্য যেই ফী লাগবে সেটা রিকশায় না গিয়ে একদিন হেঁটে চলাচল করলেই হয়ে যাবে। অজুহাত দেবেন না। ইচ্ছে থাকলে উপায় করে নেয়াই যাই। জ্যামে পড়ে থাকলে গাড়িতে হেডফোন কানে না দিয়ে দশপাতা পড়ে ফেলুন। কাকরাইল কিংবা কাকলী মোড়ের জ্যাম কখন ছুটে গেছে খেয়ালই করতে পারবেন না।

বই পড়ার অভ্যাস না থাকলে কিংবা রিডার্স ব্লকে থাকলে অথবা মরচে পড়ে যাওয়া অভ্যাস হলে অল্প অল্প করে পড়ুন। দরকার হলে একপাতা একপাতা করে। একদিনেই কেউ লর্ড অফ দ্যা রিংস-ওডিসি-মহাভারত কিংবা দূরবীন-সাতকাহন-গীতাঞ্জলি শেষ করতে বলছে না। অধৈর্য্য হবেন না

পড়ুন। পড়তে উৎসাহ দিন। আর উৎসাহ না দিলেও নিরুৎসাহিত করবেন না।

আমার নিজের কথা একটু বলার লোভ সামলাতে পারছি না।

ছোট বেলায় বই পড়ার হাতে খড়ি হয় চুরি করে তিন গোয়েন্দা দিয়ে। তারপর দেশীয় উপন্যাস গুলোতে হাত পড়ে। বিদেশী লেখকদের সাহিত্য কমই পড়া হয়েছে। নির্দিষ্ট কোন লেখকের বই ধরে ধরে পড়া হয়নি। যখন যারটা পেয়েছি কিংবা চুরি করেছি অথবা ধার করেছি(কারো বই গাপ করে দিইনাই এই পর্যন্ত)- হ্যান্স ক্রিশ্চিয়ান অ্যান্ডারসন, লিও টলস্টয়, চার্লস ডিকেন্স, এডগার রাইজ বারোজ, এডগার এলান পো, হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড, এরিক মারিয়া রেমার্ক, মারিও পুজো, পাওলো কোয়েলহো, জুল ভার্ন, ড্যান ব্রাউন কিংবা শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, মানিক বন্দোপাধ্যায়, সুকুমার রায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, নিমাই ভট্টাচার্য, বিভুতিভুষণ বন্দোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, হুমায়ুন আহমেদ, রকিব হাসান, কাজী আনোয়ার হোসেন, জাহানারা ইমাম - নাম নিতে নিতে ভুলে যাচ্ছি। একটা সময় বই পড়তে পড়তে নেশা এমন হয়ে গিয়েছিলো যে পড়ার কিছু না পেলে বাংলা দ্বিতীয় পত্রের রচনা অংশটাই পড়তাম। যাই হোক- গত চার পাঁচ বছরে বই পড়ার অভ্যাসটা বলতে গেলে ‘নাই’ হয়ে গিয়েছিলো ফেসবুক-ইন্সটাগ্রাম-মেসেঞ্জার-সিনেমা আর টিভি সিরিজের চাপে। ইদানিং নষ্ট হয়ে যাওয়া সময় গুলোর কথা মনে করে অনুতপ্ত হচ্ছি আর মনের বদ্ধ দুনিয়া খোলার চেষ্টা করছি এক গাদা বই কিনে। জমানো টাকার মোটামুটি সিংহভাগ শেষ এগুলোর পেছনে কিন্তু আফসোস নেই। আফসোস হচ্ছে এতদিন বই থেকে মুখ ফিরিয়ে রাখার জন্য আর বই কেনার মত পর্যাপ্ত টাকা না থাকার জন্য।

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ৮:০৯

হাফিজ রাহমান বলেছেন: ভাই ! লেখাটা অসম্ভব রকমের ভাল লাগল। অতিশয় মুগ্ধ হলাম। লেখার প্রতিটি বর্ণই শিক্ষণীয়। আপনাকে এক সমুদ্র ধন্যবাদ চমৎকার একটি পোষ্ট দেবার জন্য। তাবু সুনির্দিষ্ট করে বিশেষ কোনো অংশকে মার্ক করতে পারছি না। অনেক ভাল থাকুন।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৬

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: লেখা এত ভালো লেগেছে জেনে খুব খুশি হলাম। আসলে নিজের উপলব্ধি থেকেই লেখা পুরোটাই। সকাল সকাল এত চমৎকার মন্তব্য দেখে মনে হচ্ছে দিনটা ভালোই যাবে।

মন থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ রইল।

২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৪

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: খুব সুন্দর লিখেছেন । পড়ে অনেক ভাল লাগল। আসলে এখন সময়ের অভাবে বই পড়া হয়না। তবে খুব বই পড়তে ইচ্ছে করে। ভাবছি সময় বের করে মাঝে মাঝে আগের মত বই পড়তে চেষ্টা করব।
আর হ্যা বই পড়ে কিন্তু সেই সব বইয়ের রিভিউ লিখতে ভুলবেন না যেন।
অনেক অনেক শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৮

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বই পড়ে রিভিউ লেখাটা আসলে বেশ কঠিন। পাঠক রিভিউয়ে গল্প জানতে চায় না কিন্তু তার রসটা পেতে চায় ঠিকই। তবু চেষ্টা করবো আপনার কথা মাথায় রেখে পরবর্তীতে কিছু লেখার।

অল্প হলেও শত ব্যস্ততার মধ্যে একটু পড়ুন- ভালো থাকবেন আগের চাইতে বেশি।

ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবসময়।

৩| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৭

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: ১৯৯৫ সালের পরে জন্ম নেওয়া কোনো ব্যক্তি আমার সমান বই পড়েনি। এটা চ্যালেঞ্জ করতে পারি। রবীন্দ্রনাথও আমার বয়সী থাকাকালীন এত বই পড়েনি। আমার একমাত্র কাজই হচ্ছে বই পড়া। রাতদিন, সকাল দুপুর যখন ইচ্ছা তখন।

আমি যখন ক্লাস সিক্সে তখন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের মাধ্যমে বই পড়ার সূচনা। তবে আগেও পড়েছি। যা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। ক্লাস ফোরে থাকতে জনৈক প্রতিবেশির কাছ থেকে "বিপদ" নামক একটা উপন্যাস পড়েছিলাম। এক বৈঠকে। বুঝতেই পারছেন এই উপন্যাস ক্লাস ফোরের ছাত্রের পক্ষে বোঝা দূরে থাক পড়াটাই কতদূর অসম্ভব। আমি যে সব বুঝেছিলাম তা না। তবে গল্পের নায়ক যে বিড়াল নিয়ে বিপদে পড়েছেন তা বুঝেছিলাম। পরে ক্লাস ফাইভে আরো কয়েকটা বই পড়েছি। এবং আমার সখ ছিলো উপরের ক্লাসের সব বই পড়ে ফেলা। আমার বড় বোন আমার চেয়ে দুই ক্লাস উপরে ছিলো। তার সব বই আমি পড়ে ফেলতাম। (কারণ তখন আমি গল্প উপন্যাস সংগ্রহ করতে পারতাম না।)
যাইহোক, ক্লাস সিক্সে থেকে প্রধান অংশ শুরু। স্কুলের লাইব্রেরি আর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলে চলছে পড়াশুনা। একই সময়ে "পারি" নামক এক সমবায় সংস্থার স্থানীয় লাইব্রেরি থেকেও অনেক পড়েছি। ২০১৪ সালে মোবাইল হাতে পেলাম।আর আমার বই হার্ডকপি থেকে সফটকপিতে চলে গেলো। গত দুইবছরে যে কত বই পড়েছি তার কোনো হিসাব নেই। জাফর ইকবাল, শিবরাম, মিসির আলি শেষ। আর টুকরো টুকরো হাজরো বই। হেমেন্দ্রকুমার সমগ্র ইত্যাদি।

আমার আনুমানিক পঠিত বই হাজারের উপরে। আর এখন মোবাইলের মেমরিতে ১ জিবির উপরে বই আছে। যখন যেখানে যা পেয়েছি লোভি কুকুর যেভাবে হাড় চাটে সেভাবে শেষ করেছি।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১০:৫৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: রবীন্দ্রনাথও আমার বয়সী থাকাকালীন এত বই পড়েনি অ্যাঁ??

আমার মতে বই পড়তে হলে সব ধরণেরই বই পড়া উচিত। এতে জ্ঞানের পরিধি একটা গন্ডিতে আটকে থাকে না। সেটা হার্ডকপি হোক আর সফটকপি হোক। বই হলো আত্নার খাদ্য।

এমন পাঁড় পাঠকের দেখা পেয়ে ভালো লাগছে। আপনার বই সংগ্রহ দেখার লোভ হচ্ছে। আপনার এই নেশা ছড়িয়ে দেবেন আশা করি আপনার আশে পাশের সবার মধ্যে।

আপনার এমন ব্যক্তিগত কথা শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন।


ধন্যবাদ মোটা ফ্রেমের চশমা।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ।

ভালো থাকবেন।

৫| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৫

সুমন কর বলেছেন: অনেক দিন পর চমৎকার একটি পোস্ট পড়লাম। দারুণ লিখেছেন।
+।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৮:০৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: সুমন ভাই, আপনার মন্তব্য পেলে খুব ভালো লাগে। আর এমন প্রশংসা করায় অনুভূতি ব্যক্ত করতে পারছি না
অসংখ্য ধন্যবাদ গ্রহন করুন। প্লাসের জন্য এক্সট্রা থ্যানকু

৬| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ দুপুর ২:৫৮

ধ্রুবক আলো বলেছেন: চমৎকার একটা পোস্ট, খুব ভালো লাগলো ++++++

বই পড়ার অভ্যাস খুব ভাল অভ্যাস। বই কিনতে অনেক টাকা লাগে, লাইব্রেরী হলো সহজ সমাধান।
আমি যে অঞ্চলে বাদ করি এখানে পাবলিক লাইব্রেরী নেই। ঢাকা যেয়ে কোস্ট করে মাঝে মাঝে সংগ্রহ করে পড়ি এছাড়া কিছু বই সংগ্রহে আছে আমার।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৮:১১

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: এখন তো পিডিএফের যুগ। টাকার সমস্যা হলে কিংবা বই না পেলে পিডিএফ নামিয়ে নেবেন
প্রশংসার জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম।

৭| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩১

লর্ড অফ দ্য ফ্লাইস বলেছেন: ভালো লাগলো। হুমায়ুন আহমেদের মৃত্যুর পর দেশে একঝাক নতুন লেখক দাঁড়িয়ে গেছেন। দারুণ সব প্লট নিয়ে তারা কাজ করছেন। দেশি মৌলিক থ্রিলার, হরর, ফ্যান্টাসি পড়তে ভালোই লাগে। আর মাংগা সব সময়ই প্রিয়। পেন ড্রাইভে করে ব্যাংকে নিয়ে যাই। সময়মত পিসিতে পড়ি।

বইয়ের দাম আসলেই অনেক বেশি। ছাত্ররা এসব বই বেশি পড়ে। তাদের কথা মাথায় রেখে মূল্য নির্ধারণ করা উচিৎ।

০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৮:১৫

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: কথাটা ভালো বলেছেন। তানজিম রহমানের অক্টারিন কিংবা মাশুদুল হকের ভেন্ট্রিলোকুইস্টের কথা মনে পড়ে গেলো আপনার কমেন্ট দেখে। সেইসাথে কাসাফাদ্দৌউজা নোমান কিংবা ইশতিয়াক আহমেদের মত লেখকরাও হাত পাকিয়ে নিচ্ছেন

আর টাকার সমস্যাতে তো আমি নিজেই পড়ি।কিছু কিছু বইয়ের দাম শুনলে হকচকিয়ে যেতে হয়।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ জানবেন।

৮| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:০৯

অপ্‌সরা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!!!!!!!

বই পড়ার মজার ইতিহাস!

আসলেই আমিও ঠিক তেমনি বাংলা রচনার মাঝেও সাহিত্যের মজা খুঁজে পেতাম!

কিন্তু আজকাল ফেসবই এর একছত্র অধিকারী হতে চলেছে যার কারণে মানুষ আর রচনা তো দূরের কথা গল্পের বই পড়াও ভুলতে বসেছে! :(

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২১

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: আমি বেশি মজা পেতাম 'পরীক্ষার আগের রাত্রি' - টাইপ রচনা পড়ে :D আর বাসায় একগাদা বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বই ছিলো বলে রচনার অভাব হয়নি কখনো :P

ফেবুর আধিপত্য এখন চলছে ঠিক। কিন্তু পাঁড় পড়ুয়ারা ঠিকি ধরে রেখেছ অভ্যাস। যদিও এমন পাঠকের সংখ্যা অনেক কম এখন।

৯| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:২২

শাইয়্যানের টিউশন (Shaiyan\'s Tuition) বলেছেন:
‘বই সস্তা নয় বলে লোকে বই কেনে না, আর লোকে বই কেনে না বলে বই সস্তা করা যায় না।'

অপূর্ব!

সৈয়দ মুজতবা আলীর দেশ থেকে এক রাশ ভালো লাগা।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২২

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বৈশ্বিক ভালোবাসা পেয়ে আমি আনন্দিত! অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

শুভরাত্রি।

১০| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৩২

আহমেদ জী এস বলেছেন: মোটা ফ্রেমের চশমা ,




বেশ চটকদার লেখা । একটানে পড়ার মতো, যদি পড়ার অভ্যেস থাকে কারো ।

মনে পড়ে গেলো ছেলেবেলার কথা । কত বই যে চুরি করেছি ! আর কারো কাছ থেকে বই এনে পড়ার পরে ফেরত দিতে যে কি কষ্ট হতো ! ছলেবলে ফেরত না দিতে পারলে আলহামদুলিল্লাহ বলতাম ।

আর মুজতবা আলী তো বলেই গেছেন , " রুটি-মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে কিন্তু বইখানা অনন্ত যৌবনা যদি তেমন বই হয় । "

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৫

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: বেশির ভাগ পাঠকের সংগ্রহের শুরুটাই হয় বই গাপ করে দেয়ার মাধ্যমে :D :P

আপনি মুজতবা আলী সমগ্র ডাউনলোড করে নিতে পারেন। দারুন সব লেখা!!

১১| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৬

ক্লে ডল বলেছেন: সাহিত্যকে পাত্তা না দেয়ায় মধুসূদনের কি হয়েছিল তাও জানতে পারবেন বই পড়লে। সপ্তাহ খানেক আগে মহাকবি মধুসূদনের জীবনের ইতিহাস পড়লাম। মাকে দিয়েছিলাম পড়তে। শেষ পড়তে গিয়ে দেখি টপটপ জল পড়ছে মায়ের চোখ দিয়ে। বই মানুষকে হাসায়, কাঁদায়, ভাসায়, ডুবায়। সব সব।

জানতে হলে পড়তে হবে। আর পড়ার জন্য বইই সম্বল।

ধন্যবাদ। এত সুন্দর পোষ্ট দেওয়ার জন্য।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৪০

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: মধুসূদনের জীবনী আমার মতে সবার পড়া উচিত। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে কিভাবে সেরা হতে হয় সেটা তিনিই দেখিয়ে দিয়েছেন।

জানতে হলে পড়তে হবে। আর পড়ার জন্য বইই সম্বল।

চমৎকার বলেছেন। আসলেই বই পড়ার কোন বিকল্প নেই। নতুন বইয়ের ঘ্রাণের কাছে আর কিছু লাগে? বলুন তো!

কৃতজ্ঞতা জানবেন এমন ভালোলাগা মন্তব্য করে যাওয়ার জন্য।

১২| ০৪ ঠা মে, ২০১৭ রাত ১০:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট। দশে দশ দিলাম।

০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:৩০

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ভালোবাসা জানবেন।

১৩| ০৫ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩৫

আলভী রহমান শোভন বলেছেন: চমৎকার পোস্ট। বই পড়ার অভ্যাস আমার সেই ছেলেবেলা থেকেই ছিল। এখনো আছে। প্রতিদিন অন্তত ২/৩ পাতা না পড়লেই নয়। :)

০৫ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৪:১৬

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য।

আপনার মত করে আমি নিজেও এখন প্রতিদিন কম করে হলেও ২-৩ পাতা করে পড়ি।

১৪| ০৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৩১

আদি বিনতে শাতিল বলেছেন: ভালো লাগলো ভাইয়া :)

০৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৩

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: থ্যাংকিউ আপু

১৫| ০৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১১:৩৬

রাতুল_শাহ বলেছেন: টাকা!’ মুজতবা সাহেব মোক্ষম একটা কথা বলে গিয়েছিলেন এ প্রসঙ্গে- ‘বই সস্তা নয় বলে লোকে বই কেনে না, আর লোকে বই কেনে না বলে বই সস্তা করা যায় না

লেখাটা অনেক ভালো লাগলো। ইদানিং বই পড়া শুরু করেছি।

০৮ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৪৯

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: মুজতবা আলীর প্রত্যেকটা লেখাই উপভোগ্য।

১৬| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:১৩

ব্লগার_প্রান্ত বলেছেন: আপনার লেখা মুজতবা আলীর মতই।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১:১১

মোটা ফ্রেমের চশমা বলেছেন: ভাই!!! অনেক বড় সম্মান দিয়ে ফেলেছেন প্রশংসা করতে গিয়ে!! :|| এতো বড় আমি কোন দিক দিয়েই নই!!!
লেখাটা এতো ভালো লাগার কারন কিন্তু সেই মুজতবা আলী-ই। তার কথা গুলোই নিজের ভাষায় বলেছি স্রেফ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.