নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ক্ষনিক আলোকে আঁখির পলকে তোমায় যবে পাই দেখিতে...
বাংলাদেশ, লাল সবুজ পতাকা, বাবা সন্তানকে দিচ্ছে বাংলার পতাকা, হয়তো খুব বড় কোন ব্যাপার নয় এটি, হয়তো কিছুই নয় এটি।
কিন্তু যেদিন বাংলার প্রতিটি পিতা তার সন্তানকে বাংলার এই পতাকাটি দেবে, সেদিন কি অদ্ভুত দিন হবে???
জগত আবছা হয়ে যাবে সেদিন, স্থির হবে শুধু বাংলার পতাকা........
এদেশে এখনো বাঁশি বাজে, এখনো পৌষ পার্বণ হয়, এখনো রক্তিম আভা জাগে বাঁশির সুরের মূর্ছনায়.......
এখনো দুরন্ত শৈশব খেলা করে রাস্তায় রাস্তায়, পথে প্রান্তরে................
এখনো এমন শৈশব দেখি বাংলার কোন প্রান্তরে...............................
এখনো কৃষ্ণ-চক্র আলোর মাঝে দেখা যায়...............................
এখনো বাউলের গান শুনে বৈরাগ্য-ভাব জাগে মনের কোণে................................
এখনো গ্রামের বাড়িতে দাদীর বলীরেখা-পূর্ণ হাত নাতীর জন্য তালের পিঠা বানাতে ব্যাস্ত হয়ে উঠে.....................
এখনো রাস্তার মোড়ে চানাচুর, বিস্কিটের গাড়ি অতীতের স্মৃতি ফিরিয়ে আনে....................................
এখনো কোন মানবের হাতে মাটি দেবী হয়ে উঠে অর্ঘ্য পাবার জন্য....................................
এখনো বাংলার বুকে এসব আছে, হারিয়ে যায়নি বাংলার রূপ.................................
কিন্তু............................................................................................................
এখন বাংলায় আগুন জ্বলে সাধারণ মানুষের ছোট্ট স্বপ্নে, আগুন জ্বলে নাকি তার উপর যার উপর দাড়িয়ে থাকে আমাদের স্বপ্ন ! ! !
এখনো রাস্তার পাশে প্রচণ্ড বৃষ্টিতে কোন নাম না জানা মানসিক রোগীকে ভিজতে দেখেও আমরা গতি বাড়িয়ে চলে যাই, হাত বাড়াই না সাহায্যের ! ! !
আমরা খুবই খেয়ালী আমাদের নিয়ে, আশেপাশে কি হয় তা দেখি বা না দেখি, খুবই খেয়ালী ! ! !
এখনো কুকুর মানুষ একসাথে ঘুমায়, কুকুর উকি দিয়ে খবর নেয় নিজের সঙ্গীর, মানুষটির, আমরা মানুষরা কি খবর নেই???
গরমে ঘামে সেলাই করে চলা হাত দুটোর আয় কি জানি???
পাইপ-বাসীরা এখনো আছে, হুমায়ুন আহমেদের বইয়েই শুধু তাদের অস্তিত্ব নেই, বর্তমানেও আছে তারা, বহাল তবিয়তেই ! ! !
এখনো অলস দুপুরে ভাত-ঘুম নেয় মানুষ ! ! !
এখনো পসরা সাজিয়ে থাকে পন্যের বিক্রেতারা ! ! ! হোক তা স্টেশন বা বাসা, কিংবা কোন পল্লী ! ! !
এখনো দু'হাত তুলে স্রষ্টার কাছে মৃত্যু চায় কোন মা................. খাদ্যের বা জীবনের দায় এড়াতে................
এখনো হয়তো স্বপ্ন জাগে কিশোরের মনে ঘুমের ঘোরে .........................
এখনো দুষ্টামি চলে বন্ধুর সাথে, বন্ধুদের মাঝে..........................
এখনো মা চুমু খায় সন্তানের কপালে, তা মা যে পেশারই হোক, কিংবা সন্তান যেভাবেই অসুস্থ হোক....................
এখনো বাংলার বুকে বৈষম্য প্রবল হয়নি নারী-পুরুষে, হোক না তা অন্নে ! ! !
এখনো জীবনের গতি কমে নি, এখনো তা দূর্বার, আগুনের স্ফুলিঙ্গ ছড়ায়.......................
হয়তো কিছুটা বন্ধন আছে, আছে কিছুটা বাঁধা .......................
কিন্তু এখনো অদম্ম হাসি আর সাহস আছে বাংলার বুকে, রাজপথেই....................
এখনো স্বপ্ন আছে চোখে, আর আছে সেই স্বপ্নের রক্ষাকবচ......................
একদিন বাংলার বুকে ফানুশ উড়বে, সব স্বপ্ন দিয়ে গড়া ফানুশ উড়ে যাবে দূর আকাশে, বাংলার স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যাগী শহীদদের জানাবে তাদের স্বপ্নের বাংলার কথা, লাল সবুজ পতাকার দেশটির কথা....................
বাংলার কথা........................
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: ধন্যবাদ। অসংখ্য ধন্যবাদ।
২| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৯
আফসানা যাহিন চৌধুরী বলেছেন: দারুণ সব ছবি দেখে এসে হঠাৎ আগুন-ধরানো বাসটা দেখে বুক ধক করে উঠলো, মনে করিয়ে দিল সেই অসহ্য, তিক্ত দিনগুলির কথা...!
কিন্তু আমি শেষের ছবিটাকেই সত্য এবং একমাত্র সত্য বলে বিশ্বাস করি, এখনো..........
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫২
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: বুক ধক করে উঠে এখনো। আর আমিও ওই শেষের ছবিটাকেই সত্য বলে জানি। তিক্ততা হয়তো কষ্টকর কিন্তু শেখায় অনেক। সেই শিক্ষাই স্বপ্ন পূরণ করবে।
৩| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৪৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: অসাধারণ!!!!!! জাস্ট অসাধারণ!!
২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১০:৫৪
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: কি বলবো আমি??? ধন্যবাদ ভাই। অনেকটা প্রেরণা পেলাম।
৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৩৭
কামরুন নাহার বীথি বলেছেন: আপনার ছবিগুলো সত্যিই জীবনের কথা বলে!!!
ছবির সাথে ক্যাপশনগুলো আরো সমৃদ্ধ করেছে পোষ্টকে!!
এখনো বাংলার বুকে বৈষম্য প্রবল হয়নি নারী-পুরুষে, হোক না তা অন্নে ! ! ! -------
আপনার এই ক্যাপশনের সাথে আমি কণ্ঠ মেলাতে পারছি না।
এই বৈষম্য অনেক অনেক ক্ষেত্রে।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৭
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: আমি কিন্তু সেটাই বলেছি। বৈষম্য কমেছে খাবার খাওয়ার স্থানে। এখন ভাতের হোটেলে কর্মজীবি মহিলারা অনায়াসে খেতে যান। কিন্তু শুধু এটাই। অন্যান্য বৈষম্য একদিন এর মতোই শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু শুরুটা তো হল। আর আপনি যদি বলেন রুফটপ বা এজাতীয় স্থানের বৈষম্যের কথা, আমি সোজা বলবো, মানুষ হিসেবেই ধরিনা ওই স্থানের আকাইম্মা বড় বাপের পয়দাগুলোকে। বৈষম্য দেখতে হলে যেমন রাস্তা, পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বা সমাজের এভারেজ ম্যাস দেখতে হবে, তেমনি এর ভিন্ন রুপটাও এখানেই আছে।
লিখতে পারিনা দেখে ভালোমতো বোঝাতে পারলাম না বলে দূঃখিত।
মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৮
রিকি বলেছেন: অসাধারণ। অনেক অনেক ভালোলাগা রইল ভাইয়া
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:১৮
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১১:৪৯
পাজল্ড ডক বলেছেন: ছবি,ক্যাপশন অনবদ্য!
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১২:২০
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: জীবনের গল্প, ক্যাপশন কিভাবে যেন মিলে গেল..........
ধন্যবাদ।
৭| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ৯:৩৬
শামছুল ইসলাম বলেছেন: আবির ভাই, আপনার প্রতিটা ছবি একেকটা গল্প/কবিতার উৎস হতে পারে।
প্রিয়তে নিলাম।
জীবন ঘনিষ্ঠ এক জন মানুষের লেন্সে আরও ছবির অপেক্ষায়- তারই গুণমুগ্ধ একজন ভক্ত।
ভাল থাকুন। সবসময়।
২৮ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১০:৩৫
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: এমন মন্তব্য শুনলে উৎসাহ বেড়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। ভালো থাকবেন।
৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:৩২
আমিনুর রহমান বলেছেন:
মোটামুটি !
২৯ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪১
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: কষ্ট পেলুম।
৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৪৯
জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
মন্তব্য নিঃপ্রয়োজন ৷ অনেক ছবি নিজেই কথা বলে উঁঠে ৷
১১ ই নভেম্বর, ২০১৫ সকাল ৯:৫৭
চিত্রযোধী আবির বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
©somewhere in net ltd.
১| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৯:১৪
সুমন কর বলেছেন: মুগ্ধ এবং মুগ্ধ !!
+।